thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ 24, ৫ চৈত্র ১৪৩০,  ৯ রমজান 1445

পোশাক শ্রমিকেরা ছুটছেন ঢাকার দিকে

২০২০ এপ্রিল ০৪ ১৫:৩০:৪৬
পোশাক শ্রমিকেরা ছুটছেন ঢাকার দিকে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রবিবার (৫ এপ্রিল) থেকে পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার খবরে রাস্তায় শ্রমিকদের উপচেপড়া ভিড়। গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে, টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে, নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরিতে হঠাৎ করে মানুষের ঢল দেখা গেছে।

আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর−

গাজীপুর
ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে শনিবার সকাল থেকেই শ্রমিকদের ভিড়। ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর অঞ্চলের পোশাক কারখানার কর্মমুখী মানুষ পিকআপ, ট্রাক, ভ্যানগাড়িতে করে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশে ছুটছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেকে মহাসড়কে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানোর চেয়ে চাকরি রক্ষাই বেশি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তাদের অনেকে।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে ঢাকামুখী যাত্রীরা কেউ হেঁটে যাচ্ছেন। আবার যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা ভালো তারা ভ্যান বা পিকআপে করে ছুটে চলছেন ঢাকার দিকে। ময়মনসিংহ থেকে গাজীপুরের ভাড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, তবে এখন এক স্টপেজ থেকে অন্য স্টপেজে যাওয়ার জন্য ভাড়া গুনতে হচ্ছে দেড়শ’ থেকে দুইশ’ টাকা। অতিরিক্ত টাকা দিয়েই যাচ্ছেন পোশাক শ্রমিকরা।

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রমিক সুফিয়া খাতুন জানান, ‘কারখানা খুলে গেছে তাই যাচ্ছি। আজ কারখানায় উপস্থিত না হতে পারলে যে কয়দিন ছুটি পাইছি সে কয়দিন অনুপস্থিত দেখাবে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে অতিরিক্ত টাকা দিয়েই কারখানায় যাচ্ছি।’

বিভিন্ন যানবাহনের জন্য অপেক্ষমাণ ও দলবেঁধে হেঁটে চলা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার থেকে তাদের পোশাক কারখানাগুলো খোলা হবে। কারখানা থেকে তাদের ফোন দেওয়া হয়েছে ৫ এপ্রিল কাজে যোগদান করতে হবে।

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বড়পুটিয়া এলাকার আকরাম হোসেন গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘেরবাজার এলাকার মন্ডল গার্মেন্টস লিমিটেডের সুইং অপারেটর। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার তাকে অফিস থেকে ফোন দিয়ে ৫ এপ্রিল কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী শনিবার ভোর সাড়ে ৬টায় বাড়ি থেকে রওনা হন। কোথাও তিনি যাত্রীবাহী বাসের দেখা পাননি। কখনও অটোরিকশা, কখনও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, আবার কখনও হেঁটে দুপুর ২টার সময় মাওনা চৌরাস্তা এসে পৌঁছান। করোনাভাইরাসের কারণে সরকারের লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘কারখানা খোলা থাকলে এ দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। কারখানার ভেতরেও এ দূরত্ব কতক্ষণ বজায় থাকবে?’

একই কারখানার সহকারী অপারেটর সোনিয়ার বাড়িও ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকায়। তিনি বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় স্বামী-সন্তান নিয়ে মুখে মাস্ক লাগিয়ে বাড়ি থেকে রওনা হন। কোনও যানবাহন না পেয়ে প্রথমে হেঁটে, আবার রিকশায় এক হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে দুপুর আড়াইটায় মাওনা চৌরাস্তা এসে পৌঁছান। ২শ’ টাকা ভাড়ার জায়গায় পাঁচগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে কারখানায় যোগ দিতে যাচ্ছেন।

মাওনা চৌরাস্তা থেকে মাঝে-মধ্যে দুয়েকটি পিকআপ ভ্যান ঢাকার দিকে যেতে দেখা যায়। সেগুলো বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রী ওঠায় না। স্ট্যান্ড থেকে সামান্য আগে বা পেছন থেকে যাত্রী উঠিয়ে নিয়ে যায়।

গাজীপুর মহানগরের নাওজোর এলাকার কর্টজ অ্যাপারেলস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ ও প্রশাসন) সৈয়দ শামসুর রায়হান জানান, ‘কারখানা বন্ধ দেওয়ার সময় শ্রমিকদের সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমান আবাসস্থলে অবস্থান করতে বলা হয়েছিল। সে অনুযায়ী আমাদের শ্রমিকেরা তাদের বাসায়ই ছিল। আমরা তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছি। শতকরা পাঁচ শতাংশ শ্রমিক তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। দেশের এ সংকটময় মুহূর্তে ওই অনুপস্থিতিতে তেমন একটা ক্ষতি হবে না আশা করছি।’

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ট্রাক-পিকআপ চালকদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদেরও ওইসব পরিবহন থেকে নেমে যেতে বলা হচ্ছে। অনেকে দলবেঁধে হেঁটে গাজীপুর মহানগর ও ঢাকা অভিমুখে চলছেন।’

এ ব্যাপারে শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা নাসরিন বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ট্রাক পিকআপে যাত্রী বহন করায় বেশ কয়েকজন ট্রাক চালককে অর্থদণ্ড ও তা আদায় করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নেও তৎপর রয়েছে।
উত্তরবঙ্গ থেকে টাঙ্গাইল দিয়ে আসছেন শ্রমিকরা

টাঙ্গাইল
ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে করোনা আতঙ্কের মধ্যেও দেদার চলছে যানবাহন। শনিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকেই মহাসড়কে এ চিত্র দেখা গেছে।

গত ২৬ ও ২৭ মার্চ গার্মেন্টস বন্ধ থাকার পর আবার ২৮ মার্চ খোলা হয়। ওইদিন থেকে আবার ৪ তারিখ পর্যন্ত গার্মেন্টস বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। আগামীকাল রবিবার (৫ এপ্রিল) গার্মেন্টস খোলা হবে। এজন্য উত্তরবঙ্গের শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক ও পিকআপে করে ঢাকার দিকে যাচ্ছেন। প্রাইভেটকার ভাড়া করেও যাচ্ছেন তারা। মাঝেমধ্যে বাসও চলতে দেখা গেছে এ সড়কে। যেখানে নির্দেশনা রয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার, সেখানে শ্রমিকরা গাদাগাদি করে যানবাহনে চলাচল করছে। এদিকে শ্রমিকদের আনতে ঢাকা থেকে যাত্রীশূন্য বাস নিয়ে চালকদের উত্তরবঙ্গের দিকে যেতেও দেখা গেছে।
উত্তরবঙ্গ থেকে টাঙ্গাইল দিয়ে আসছেন শ্রমিকরা

মহাসড়কের এলেঙ্গায় যানবাহনের জন্য অপেক্ষমাণ বেশ কয়েকজন গার্মেন্টসকর্মী বলেন, করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেও খাবারের তাগিদ ও চাকরি হারানোর ভয়ে আজই ঢাকায় যাচ্ছেন তারা। উত্তরবঙ্গ থেকে কয়েকটি গাড়ি পরিবর্তন করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের।

সাদ্দাম নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিক বলেন, ‘পরিবারের খাবারের তাগিদে করোনা আতঙ্কের মধ্যেও ঢাকায় যাচ্ছি। না গেলে তো চাকরি থেকেও বাদ দিতে পারে কর্তৃপক্ষ।’
উত্তরবঙ্গ থেকে টাঙ্গাইল দিয়ে আসছেন শ্রমিকরা

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি কাজী আইয়ুবুর রহমান বলেন, ‘মহাসড়কে ট্রাক-পিকআপ চলাচল করতে দেখা গেছে। শুনেছি আগামীকাল রবিবার গার্মেন্টস খোলা হবে। একারণে শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। তবে বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।’

নারায়ণগঞ্জ
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পণ্যবাহী ট্রাক, রিকশা, ভ্যানসহ ছোট ছোট যানবাহনে করে ভেঙে ভেঙে নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানীসহ আশপাশের গার্মেন্ট কারখানাগুলোতে যোগ দিতে আসছেন শ্রমিকরা। শনিবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে শ্রমিকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

গার্মেন্টস মালিকরা জানান, বিকেএমইএ ও বিজিএমইএ আওতাভুক্ত গার্মেন্টস মালিকরা নোটিশ দিয়ে গত ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ রাখার জন্য নোটিশ দেন। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই রবিবার থেকে গামেন্টস খোলা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জের রাস্তায় শ্রমিকদের ভিড়

নগরীর বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় গিয়ে দেখ যায়, দল বেঁধে বিসিকের রাস্তায় শ্রমিকরা হাঁটাহাঁটি করছে। তাদের হাতে কোনও গ্লাভস বা মুখে মাস্ক নেই। নেই কোনও প্রকার স্বাস্থ্য সুরক্ষার সামগ্রী।

সিদ্ধিরগঞ্জে শিমরাইল মোড়ে শ্রমিক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কাল থেকে গার্মেন্টস খুলবে। তাই কষ্ট করে ভেঙে ভেঙে অনেক টাকা ভাড়া গুনে নারায়ণগঞ্জে এসেছি। গত মার্চ মাসের বেতন পাইনি। এপ্রিল মাসের ৭/৮ তারিখে বেতন দেবে। গার্মেন্টস খুললে কাজে যোগ না দিলে যদি বেতন না দেয় বা ছাঁটাই করে দেয়, এই ভয়ে কাজে যোগ দিতে এসেছি।’

আরেক শ্রমিক আসাদুজ্জামান জানান, ‘হাতে টাকাপয়সা নেই। কোনও সহায্য সহযোগিতাও পাইনি। তাই কাজে যোগ দিতে নারায়ণগঞ্জে এসেছি।’ করোনার ভয়বহতার সময় কাজে যোগ দিতে এসেছেন, কিন্তু মাস্ক বা হাতে গ্লাভস নেই কেন জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, ‘গরিব মানুষ এগুলো পরে কী হবে। করোনার ভয় আমাদেরও আছে। কিন্তু কী করার আছে? মালিকপক্ষ গার্মেন্টস খুলছে, তাদের কথামতো কাজে যোগ না দিলে বেতন পাব না। যদি ছাঁটাই করে, তখন তো আরও বিপদে পড়বো।’

বিকেএমইএ’র সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান পরিচালক মুনসুর আহমেদ বলেন, ‘গত ২৯ মার্চের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ এপ্রিল থেকে গার্মেন্টস খোলা হচ্ছে। তবে এই সময় গার্মেন্টস খোলা রাখার পক্ষে আমি নই। গার্মেন্টস মালিক হিসেবে নয়, একজন নাগরিক হিসেবে আরও দশদিন গার্মেন্টস বন্ধ রাখা প্রয়োজন। কারণ করনোভাইরাস সারা বিশ্বে যে মহামারি আকার ধারণ করছে, তাতে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। গার্মেন্টস খোলা থাকলে আমার শ্রমিকদের রুটি রুজির ব্যবস্থা করলাম, স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করলাম। কিন্তু কোনও শ্রমিক যদি করোনায় আক্রান্ত হয়ে কাজে আসে, সেটি কীভাবে সামাল দেবো?’

এ ব্যাপারে বিকেএমইএ’র সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান এমপি জানান, ‘বিকেএমইএ জরুরি সভা করে গামেন্টস ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল। সেই সময় আমরা নোটিশে বলে দিয়েছি ৪ এপ্রিলের পর যেসব গার্মেন্টস যারা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে না, তাদের গার্মেন্টস বন্ধ রাখতে হবে। অনেক গার্মেন্টসে গত মার্চ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন দেওয়ার জন্যই সাময়িকভাবে গার্মেন্টস খোলা হচ্ছে। কারণ শ্রমিকদেরও তো খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে।’
শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের উপচেপড়া ভিড়

ফেরিতেও চাপ
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে শত শত যাত্রী ভিড় করেছেন। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় তারা ফেরিতে করে পদ্মা নদী পার হয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। তবে গণপরিবহন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। মাঝেমধ্যে দুয়েকটি সিএনজি বা মোটরসাইকেল দেখা যাচ্ছে, তারা দ্বিগুণ ভাড়ায় যাত্রী পার করছে।
ফেরিতে উপচেপড়া যাত্রী

একই অবস্থা দেখা গেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সংযোগস্থল পাটুরিয়া ঘাটে। শনিবার সকাল থেকে ফেরিতে ও নৌকায় করে মানুষ পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। পাটুরিয়া ঘাটে এসে গাড়ির জন্য অপেক্ষায় গিজগিজ করতে দেখা গেছে হাজারও মানুষকে। তাদের একটাই লক্ষ্য, যে কোনও মূল্যে যেতে হবে কর্মস্থল এলাকায়। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে মানুষজন ট্রাকে, পিকআপ ভ্যানে, রিকশা, ইঞ্জিনচালিত ভ্যানগাড়িতে গাদাগাদি করে ফিরছেন রাজধানী ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন গার্মেন্ট কারখানা অভিমুখে।
পাটুরিয়া ঘাটে মানুষের ভিড়

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান জানান, ‘গণপরিবহন চলাচল নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে এ নৌ-রুট দিয়ে শুধু জরুরি কাঁচামালবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স পার করা হচ্ছে। ঘাট দিয়ে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে জোর করে ফেরিতে উঠছে। হাজারও যাত্রী, আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। এ রুটে ১৫টি ফেরির মধ্যে সীমিত আকারে চারটি ফেরি চলাচল করছে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৪এপ্রিল,২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর