thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

বেসরকারি হাসপাতালের উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী

২০২০ মে ৩০ ১৫:১৫:৪৭
বেসরকারি হাসপাতালের উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশের সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিল। ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী করোনা মোকাবেলায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন এবং এই ব্যাপারে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে বৈঠকসূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে।

গণভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিদায়ী স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম, আইইডিসিআর-এর পরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা, করোনা মোকাবেলায় কারিগরি কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লাহ, ডা. মাহমুদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং ইউজিসির অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ডা. আহমেদ আল কায়কাউস এবং প্রধানমন্ত্রীর সচিব তোফাজ্জেল হোসেনসহ আরো কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

এই বৈঠকে সারাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী বলেন যে লকডাউন সরকার দিয়েছিল কিন্তু কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি, লকডাউন মানেনি। এই নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি যেন মানা হয় সে ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন যে, আগামী কিছুদিন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে সচেতনতা তৈরির জন্য কিভাবে মাঠে নামানো যায় সে ব্যাপারে একটি উপায় উদ্ভাবন করার জন্য। এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি হাসপাতালগুলোর উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে, ধানমন্ডিতে একটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য সরকারের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছে, আবার যেকোন মানুষ যখন পরীক্ষা করতে যাচ্ছে, সেখানে তাঁরা চার হাজার টাকা করে নিচ্ছে। সরকারি একজন এমপির মালিকানাধীন ঐ হাসপাতালটির নাম উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে, যদি তাঁরা রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়, তাহলে সরকার যে টাকা তাঁদেরকে দিচ্ছে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। সরকার বিনামূল্যে করোনা পরিক্ষার জন্যে যে মহান উদ্যোগ নিয়েছিল, সেই উদ্যোগ বেসরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, পরীক্ষার ব্যাপারে অনেকেই প্রভাব খাটিয়ে যত্রতত্র পরীক্ষা করছে। মূলত যারা ভুক্তভোগী, যাদের উপসর্গ রয়েছে, তারা পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না। এই অবস্থা বন্ধ করা দরকার। শুধু যাদের উপসর্গ আছে, তাদের পরীক্ষা করার জন্য নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী একটু জ্বর হলেই হাসপাতালে যাওয়া বা হাসপাতালে ভর্ত ইহওয়ার সমালচনা করেন। তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোতে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে মূলত বাড়িতে। সামান্য জ্বর হলে হাসপাতালে ভর্তি হঈয়ার দরকার নেই।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য তিনি নির্দেশনা দেন। এছাড়া সরকারি ডাক্তাররা এখন ৭দিন ডিউটি করছেন। ২১ দিন ছুটি নিচ্ছেন। এই অবস্থার পরিবর্তন করা দরকার বলেও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দেন।

তিনি ১৪ দিন ডিউটি এবং ১৪ দিন ছুটি এভাবে কাজ করা যায় কিনা তা ভেবে দেখতে বলেন।

বৈঠকে আলোচনা করা হয় যে, সবকিছু খুলে দেওয়ার পর যদি পরিস্থিতির অবনতি হয়, তাহলে সরকার হয়তো আবার নতুন করে লকডাউনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে। তবে এখন স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং জনগণের সচেতনতার উপর গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সেজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়কে কাজ করার নির্দেশনা দেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩০মে, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর