thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ৯ শাওয়াল 1445

নকল স্যানিটাইজার বাড়াচ্ছে ক্যানসারের ঝুঁকি

২০২০ জুন ২৮ ০৭:০৭:৫২
নকল স্যানিটাইজার বাড়াচ্ছে ক্যানসারের ঝুঁকি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে স্যানিটাইজার জাতীয় পণ্যের চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে নকল পণ্য ছাড়ছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে ‘আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল’ ব্যবহার করা হয়। যা ‘জীবাণুনাশ’ করে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা আইসোপ্রোফাইল ব্যবহার না করে কমদামি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল মিথানলে’ মিশিয়ে তৈরি করছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এতে ক্যানসারের মতো মারণব্যাধির ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

শনিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এসময় আটটি প্রতিষ্ঠানকে মোট সাড়ে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা এবং দুজনকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়াও দুটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়।

এর আগে গতকালও যাত্রাবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল স্যানিটাইজার জব্দ করে র‌্যাব।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আখতারুজ্জামান এই অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানে প্রায় চার হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড রাব, ৫০ কেজি ওজনের ১৪টি ড্রামে খোলা হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং দুই হাজার লিটার জি লিকুইড হ্যান্ড স্যানিটাইজার জব্দ করা হয়।

অভিযান শেষে আখতারুজ্জামান বলেন, করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড রাব বিশেষ কার্যকরী। যা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় আইসোপ্রোফাইল অ্যালকোহল। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয় বরং জীবাণুনাশক। কিন্তু একটি সংঘবদ্ধ অসাধু ব্যবসায়ীচক্র আইসোপ্রোফাইল‌ অ্যালকোহল ব্যবহার না করে শরীরের জন্য ক্ষতিকারক ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল মিথানল ব্যবহারে তৈরি করছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড রাব। সাথে ব্যবহার করছে বিষাক্ত রং। ফলে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড রাবের মতো সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারে জীবাণু তো নাশ হয়ই না, বরং তৈরি করে ক্যানসারের ঝুঁকি।

রসায়নবিদরা জানিয়েছেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল, অ্যালোভেরা অয়েল, গ্লিসারিনসহ নানা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। মানবত্বকের সহনশীল মাত্রা অনুযায়ী এগুলো ব্যবহার করতে হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম আবে কাউছার বলেন, ল্যাবে পরিমাণ মতো রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করতে হয়। উপকরণ কমবেশি হলে ত্বকের ক্ষতি হবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকায় এই ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য শরীরের ব্যবহারের ফলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ওষুধ প্রশাসন বলছে, নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। যেগুলো ত্বকের ব্যবহার করা যাবে না। এগুলো ব্যবহার করলে ফাঙ্গাল ইনফেকশাসসহ নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। তখন জীবাণুমুক্ত হতে গিয়ে উল্টো শরীরে রোগবালাই ছড়াবে। তাই আসল এবং নকল পণ্য দেখে কিনতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৮জুন, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর