thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

শুভ জন্মদিন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ কামাল

২০২০ আগস্ট ০৫ ০৮:২৯:৪৭
শুভ জন্মদিন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ কামাল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: গল্প কিংবা নাটক, সিনেমায় নায়কদের নানান রকমের গুণ থাকে। চরিত্রের প্রয়োজনেই অনেক সময় এই রকমটা আরোপ করেন পরিচালক। বাস্তবতা হল ব্যক্তি জীবনে কোন মানুষেরই এতো শত গুণ থাকে না। কিন্তু এইখানেই ব্যতিক্রম ও অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন শেখ কামাল। মাত্র ২২ বৎসরের জীবনে নানা গুণে গুণান্বিত ছিলেন তিনি। সময়ের বিবেচনায় অকাল প্রয়াত কবি সুকান্তকেও ছাড়িয়ে গেছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি শুধু খেলাধুলা-ই নয়। সঙ্গীতচর্চা, অভিনয়, বিতর্ক ও উপস্থিত বক্তৃতা থেকে শুরু করে বাদ্যযন্ত্র বাজানো সকল ক্ষেত্রেই ছিল তার দক্ষতা। সেইসাথে একাধারে মুক্তিযোদ্ধা, ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক ও তারুণ্যের সংগঠক কি ছিলেন শেখ কামাল!

ঢাকার শাহিন স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সমাজ বিজ্ঞানে পড়াশোনা করতে গিয়েই তারুণ্যের সংগঠক হয়ে উঠেন তিনি। আর এভাবেই পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিস্তৃত হল তার কর্মপরিধি। ছায়ানটের সেতারবাদন বিভাগের মেধাবী ছাত্র শেখ কামাল প্রতিষ্ঠা করেন ‘ঢাকা থিয়েটার’। সুঅভিনেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যঅঙ্গনে সুপরিচিত ছিলেন তিনি। সেইসাথে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্র শেখ কামাল বাস্কেট বল টিমের ক্যাপ্টেনও ছিলেন।

বেঁচে থাকলে শেখ কামালের বয়স আজ ৭১ বৎসর পূর্ণ হতো। সেইসাথে অর্জনের তালিকায় যুক্ত হতো আরও অনেক প্রাপ্তি। আমরা অনেকেই ব্যক্তিজীবন নিয়ে অনেক চিন্তা করি। ব্যক্তি জীবনে আমাদের অর্জন থাকে। কিন্তু শেখ কামালকে কিন্তু এই রকম বলা যায়। তার ব্যক্তিজীবনের অর্জনগুলোও যেন বাংলাদেশের জন্য। তার অর্জন ই যেন বাংলাদেশের প্রাপ্তি। বেঁচে থাকলে হয়তো বাংলাদেশটাই পাল্টে দিতো ওই সময়ের তরুণ শেখ কামাল। জানা যায়, বাস্কেটবলে তাঁর অসামান্য দক্ষতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার হলের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখেছিল। ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানী জান্তা সরকার রবীন্দ্রসঙ্গীত নিষিদ্ধ করল সেখানেও তার প্রতিবাদের ভাষা হল রবীন্দ্র সঙ্গীত। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে যেখানে যখনই সুযোগ পেতেন বিশ্বকবির গান গেয়ে অসহিংস প্রতিবাদের অনন্য নজির স্থাপন করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠক স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে ফিরেই গড়ে তুলেন আবাহনী সমাজকল্যাণ সংস্থা। আর এভাবেই ক্রিকেট আর হকির সমন্বয়ে শুরু করেন ‘আবাহনী ক্রীড়া চক্র’। কামাল। স্বপ্ন দেখতেন একদিন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া অঙ্গনে এক পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে।

শেখ কামাল সম্পর্কে বলতে গিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তার এক ব্যাচ জুনিয়র একজন জানান, আমাদের সময়কার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে প্রাণবন্ত ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ‘অলরাউন্ডার’ বলতে যা বোঝায় তিনি ছিলেন তা-ই। গান, নাটকসহ সাংস্কৃতিক নানা বিষয়সহ সব ধরনের খেলাধুলায় তিনি ছিলেন সমভাবে পারদর্শী। সেতারও ছিল তাঁর একটি প্রিয় বাদ্যযন্ত্র। সবসময় হইহুল্লোড় করে আসর মাতিয়ে রাখতেন। আর দলবেঁধে গান গাইতেন। ছোটবড় সবার সঙ্গে ছিল তাঁর বন্ধুত্ব। চালচলন ছিল একেবারে সাদাসিধা। তাঁকে দেখে কখনও মনে হত না যে, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৫আগস্ট, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর