thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

সিফাতের বর্ণনায় চেকপোস্টে যা ঘটেছিল

২০২০ আগস্ট ১৩ ০৯:২৬:১৮
সিফাতের বর্ণনায় চেকপোস্টে যা ঘটেছিল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ‘তল্লাশি চৌকিতে গাড়ি থামান অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এপিবিএন ছেড়ে দিলেও শ্যামলাপুর চেকপোস্টে ড্রাম ফেলে পথ রোধ করে টেকনাফ থানা পুলিশ। গুলির শব্দ পাই। সিনহা সাহেবের শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছিলো।’

সেদিনের ঘটনার এভাবেই বর্ণনা করছিলেন ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত সিনহার সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাত।

বুধবার (১২ আগস্ট) বেসরকারি একটি টেলিভিশনকে সিফাত আরো বলেন, ‘আমাদের হাতে ট্রাইপড ছিলো; সম্ভবত এটা তারা ভুল বোঝে। গাড়ি থেকে নামার সময় আমাদের হাতে কোনো অস্ত্রও ছিলো না। নামতেই গুলির শব্দ, তারপর মাটিতে লুটিয়ে পড়ার দৃশ্য। সিনহা সাহেব নামার সময় দুই হাত উঁচু করে নামেন। এরপর আমি পেছনে চলে যাই। কিন্তু গাড়ির কারণে আর কিছু দেখতে পারিনি। ক্লাম ডাউন, ক্লাম ডাউন আওয়াজ শুনতে পাই। যে অফিসার বন্দুক তাক করেছিলেন ওই অফিসারই এ কথা বলছিলেন। এরই ভেতর গুলির শব্দ শুনি। পরে দেখি সিনহা সাহেব শুয়ে পড়েছেন। আমি ভাবছি হয়তো ওনার শরীরে গুলি লাগেনি। ফাঁকা আওয়াজ হয়েছে।’

ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সিফাত আরও বলেন, ‘তারপর দেখি ওনার শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে। ওনার (সিনহা) ব্যক্তিগত অস্ত্রটিও ছিলো গাড়িতে, নেমেছিলেন হাত উঁচু করেই।’

উল্লেখ্য গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা নিহত হন। ওই ঘটনায় নিহতের বড় বোন হত্যার অভিযোগ এনে টেকনাফ থানার সাবরক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় জনকে আসামি করে মামলা করেন।

অন্যদিকে, পুলিশের দায়ের করা মামলায় সিফাত ও তার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথকে আসামি করা হয়। গত ১০ আগস্ট কক্সবাজার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান সিফাত। হত্যা মামলাটি র‌্যাব তদন্ত করছে।

বুধবার (১২ আগস্ট) রাতে এ বিষয়ে র‌্যাবের লিগাল অ‌্যান্ড মিডিয়া পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘তদন্তের প্রয়োজনে এবং ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথের সঙ্গে আমাদেরও কথা বলতে হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৩আগস্ট, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর