thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

আজ বাবরি মসজিদ মামলার রায়

২০২০ সেপ্টেম্বর ৩০ ০৯:৪৩:৫৬
আজ বাবরি মসজিদ মামলার রায়

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় রামভক্তরা হামলা চালিয়ে ভেঙে ফেলে ১৫ শতকের ঐতিহ্যবাহী বাবরি মসজিদ। এর অভিঘাতে দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসায় নিহত হন ১ হাজার ৮০০ জন। ২৮ বছর পর বুধবার মসজিদ ধ্বংসের মামলার রায় ঘোষণা করবে লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত।

অবশ্য এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অযোধ্যায় বিতর্কিত জমির মালিকানা মামলার নিষ্পত্তি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে সেখানে রামমন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বাবরি ভাঙার ঘটনাকে 'আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন' বলেও আখ্যা দিয়েছে ভারতের শীর্ষ আদালত।

এই মামলায় মোট ৪৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৭ জন মারা গিয়েছেন। ৮৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মারা গেছেন ১৩৪ জন। অনেকে নিখোঁজ।

বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। অভিযুক্তদের মধ্যে লালকৃষ্ণ আদভানি, উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহ, মুরলী মনোহর জোশী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অশোক সিঙ্ঘল, গিরিরাজ কিশোর, বিষ্ণুহরি ডালমিয়া, বিনয় কাটিয়ারের মতো হেভিওয়েট নেতা রয়েছেন।

লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলীমনোহর জোশী দুজনেই বাবরি মসজিদ ধ্বংসে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দাবি করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশে তাদের ফাঁসানো হয়েছে। উমা ভারতী অবশ্য বলেছেন, তাকে যদি ফাঁসি দেয়া হয় তা হলেও তিনি নিজেকে ধন্য বলে মনে করবেন।

আগামীকাল ঐতিহাসিক এ মামলার রায়ে জানা যাবে, আদভানি, জোশী, উমারা দোষী সাব্যস্ত হয় কি না। রায় ঘোষণার সময় ৯২ বছর বয়সী আদভানিসহ ৩২ অভিযুক্তকেই আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আশির দশকের শেষে রাম জন্মভূমি উদ্ধার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন লালকৃষ্ণ আদভানি। সেই আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে মসজিদ ধ্বংসের মধ্য দিয়ে। তখন থেকে মসজিদ ধ্বংসের ফৌজদারি ও মসজিদের জমির মালিকানার মামলা সমান্তরালভাবে চলছিল।

২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেয়, বিতর্কিত জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া ও রামলালা বিরাজমানের মধ্যে সমবণ্টন করে দেয়া হোক। ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ আদালত ২ বছরের মধ্যে ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতকে।

এরপর, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে বিতর্কিত জায়গায় মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেয় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। ২ দশমিক ৭৭ একর বিরোধপূর্ণ জমিতে মন্দিরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ট্রাস্ট গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। আর মসজিদ নির্মাণে সরকারকে অযোধ্যার অন্য কোনো জায়গায় পাঁচ একর জমি দেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। রায়ের পরপরই অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩০সেপ্টেম্বর, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর