মার্জিন ঋণ: জলে কুমির ডাঙায় বাঘ

মাহি হাসান, দ্য রিপোর্ট: মার্জিন ঋণ, পুঁজিবাজারের আলোচিত এক পদ্ধতি। বিভিন্ন সময় পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় মার্জিন ঋণ গ্রহণ করে নিঃস্ব হয়েছেন হাজার হাজার বিনিয়োগকারী। ধারণকৃত শেয়ারের বিপরীতে ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেন বিও একাউন্ট ধারীরা। এরপর যখন দর পতন শুরু হয়, ব্রোকাররা নিজেদের টাকা তুলে নিতে মার্জিন অ্যাকাউন্টের শেয়ার জোরপূর্বক বিক্রি (ফোর্সসেল) করে দেন। জোরপূর্বক বলা হলেও আগে থেকে চুক্তিবদ্ধ হন বিনিয়োগকারী ও ব্রোকার যা আইনসিদ্ধ । তাতে যে কোনো পরিস্থিতিতে শেয়ার বিক্রি করে ঋণ সমন্বয় করার বিধি সংযুক্ত থাকে। ঋণ নিয়ে কেনা শেয়ারের দরপতন হলেই ঋনের টাকা উঠিয়ে নিতে ব্রোকাররা শুরু করেন ফোর্স সেল। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উভয় পক্ষকেই নিঃস্ব করছে মার্জিন ঋণ। দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে বাজারের জন্যও বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।
বর্তমানে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বেধে দেওয়া মার্জিন ঋণের হার ১ : ০.৮। এর অর্থ হলো কোনো গ্রাহকের ১০০ টাকা থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ থেকে আরও ৮০ টাকা ঋণ নেওয়া যাবে। যদিও বর্তমানে এই মাত্রা তুলনামূলকভাবে কিছুটা সহনীয়। কিন্তু ২০১০ সালে গ্রাহকের বিনিয়োগের বিপরীতে দশগুণ পর্যন্ত ঋণ দিয়েছিল বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ, যা ছিলো নিয়ম বহির্ভূত। সেসময়েমার্জিন ঋণের হার ১ :২ ছিলো।
ধরা যাক, এ ক্যাটাগরির এক্স কোম্পানির ১০০ টাকা দরের শেয়ার কিনতে ৮০ টাকা ঋণ গ্রহণ করলেন করিম নামক বিনিযোগকারী। প্রতিটি শেয়ারের ক্রয় মূল্য ১০ টাকা করে। মোট ১৮০ টাকায় ১৮টি শেয়ার কিনলেন। যদি শেয়ারটির দর ৫ টাকার নিচে নেমে আসে তখন শেয়ারের মোট শেয়ারের দর ৯০ টাকার নিচে নেমে আসবে। ৪ টাকায় নেমে আসলে দর দাঁড়ায় ৭২ টাকায়। ব্রোকাররা ৫ টাকার নিচে বা ৯০ টাকার নিচে দর নামার আগেই শেয়ার বিক্রি করে দেন। নিজের দেওয়া ঋণের ৮০ টাকা তুলে নেন। সুদের টাকা বিনিয়োগকারীর কাধে চাপে। বিনিয়োগকারীর পুরো টাকা খোয়া যায়।
এভাবেই বছরের পর বছর মার্জিন ঋণ নিয়ে পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বর্তমানে পুঁজিবাজার পরিস্থিতিতে মার্জিন ঋণ একাধিক কারণে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। মার্জিন ঋণের কবলে পড়ে এখন দুই ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্জিন ঋণে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা আছে বিশাল অস্বস্তিতে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দিলে দাম কমে ফোর্সড সেলের মধ্যে পড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে লেনদেন না হলে সুদের পরিমাণ বাড়তেই থাকবে।
বেশ কয়েকমাস পুঁজিবাজার ছিলো নিম্নমুখী। এজন্য ফ্লোর প্রাইস থাকায় চাইলেও বিক্রি করতে পারছেন না। এতে করে শেয়ারের মূল্য কমছে বাজারে পতন থাকায়। পাশাপাশি বাড়ছে সুদের পরিমান। বর্তমানে নতুন মুদ্রানীতির কারণে এঋণের সুদের হারও বেড়েছে এখন অতিরিক্ত ২থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত সুদগুনতে হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের । ফলে তাদের মার্জিন ঋণের বোঝা আরও ভারী হচ্ছে। বর্তমানে ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ সুদ গুণতে হচ্ছে মার্জিন ঋণের। অর্থ্যাৎকোন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করলে অবশ্যই তাঁকে এমন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে হবে যেসব কোম্পানির মুনাফা ১৫ বা ১৭ শতাংশের বেশি।
যেমন ধরা যাক পুঁজিবাজারে খাদ্য খাতের কোম্পানি বঙ্গজ বিস্কুট। কোম্পানিটি ২০১৯ থেকে ২০২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫% মুনাফা দিয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালে ৫%। ২০২১ সালে ৩% এবং ২০২২ সালে দিয়েছে ৪% মুনাফা। অর্থ্যাৎ, কোন বিনিয়োগকারী বঙ্গজের শেয়ারে মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করলে কখনোই লাভবান হবেন না। এছাড়া অতীতে ইতিহাস বলছে, বাজার চাঙ্গা হলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ব্রোকার ও ডিলারদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেন। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ধরনই হচ্ছে কিছুদিন ভালো থাকলে কিছুদিন টানা পতন চলবে। যার ফলে বাজার ভালো থেকে মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করতে করতে বাজার পতনের মুখে পড়ে। সুদের চাপের পাশাপাশি দর পতনের ধাক্কা-দুই দিকেই ক্ষতির মুখে পড়ে যান বিনিয়োগকারীরা। জানা যায়, শেয়ারবাজারে লেনদেন করছে-বতর্মানে এমন ব্রোকারেজ হাউজের সংখ্যা ২৪০টি। এর মধ্যে গ্রাহককে মার্জিন ঋণ দিয়েছে-এমন হাউজের সংখ্যা ১০০টির মতো।
অতীতের দুই পতনের সময় মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করে পুঁজি হারিয়েছে হাজারো বিনিয়োগকারী। পাশাপাশি মার্জিন ঋণের টাকা ফেরত পায়নি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজগুলোও। দর পতন হলেই মার্জিন ঋণ দেওয়া ব্রোকার হাউজ গুলো শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়। ফোর্সড সেলে ক্ষতির মুখে পড়েন বিনিয়োগকারী। যদিও এই ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজগুলোও তেমন কিছু দায় নেই। তারা তাদের ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে শেয়ার বিক্রি করবেই। এছাড়া সুদের হার বাড়িয়ে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা নীতিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, “ঘোষিত নতুন মুদ্রানীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের সীমা থেকে সরে আসে। যার ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়েছে। মার্জিন ঋণের টাকা ব্যাংক থেকে লোন করে আনা হয়। ফলে ব্যাংকের সুদ হার বাড়লে আমাদেরও বাড়াতে হবেই।“
মার্জিন ঋণের পরিমাণ কত তা জানতে চাইলে বিএমবিএ সভাপতি বলেন, “বাজারে মার্জিন ঋণের পরিমাণ কত তা বলা আসলে জানা কঠিন কারণ, প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আমরা এমন কোন তথ্য পাইনা।“ তিনি আরো জানান,"২০১০ সালের ধসের সময় একাধিক ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক লোকসান গুণেছে। ব্যাংক থেকে ধার করে এনে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন লোন দিয়েছে। পরে ধসের মুখে পড়ায় সেই টাকা আর ফেরত পায়নি প্রতিষ্ঠানগুলো। বরবারই পুঁজিবাজারের পতন হলে মার্জিন ঋণ নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন শোনা গিয়েছে। বিনিয়োগকারিদের পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হবার অন্যতম কারন মার্জিন ঋণ এমন আলোচনা আগেও শোনা গেছে । যা এখনো চলমান আছে মার্জিন ঋনের প্রচলন। যদিও বিনিয়োগকারিরা কিছুটা সচেতন হবার কারনে মার্জিন ঋণের প্রতি আগ্রহ কমেছে । ২০১০ সালের পর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত প্রতিবেদনেওপুঁজিবাজারে ধসের পেছনে মার্জিন ঋণকে দায়ী করা হয়।সেখানে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ পরিহারের সুপারিশও করা হয়। পুঁজিবাজারের মার্জিন ঋনের অংকটা কতো? এই সংখ্যাটা কেও যথাযথ বলতে পারেনি। তবে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যাক্তি জানান সংখ্যাটা ১৫ হাজার কোটির বেশি। অর্থনীতিবীদরা মনে করেন বাংলাদেশের মতো দেশে মার্জিন ঋণ নিয়ে ব্যবসায় না করাই ভালো। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে বলেন, "পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ঋণ যত কম হবে তত ভালো। যেকোন ব্যবসায়ীক কার্যক্রমেই ঋণ যত কম তত ঝুঁকি কম। অতীতে দেখা গিয়েছে ঋণ বা লোন করে যারা এই ব্যবসায় করা তাঁরা ক্ষতিগ্রস্থ সবচেয়ে বেশি। ঋণের বাইরে থাকা বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি সম্পূর্ণভাবে হারায় না। ফলে ঋণের ব্যাপারে সব সময় সতর্ক থাকা উচিত"।
মার্জিন নিয়ে অতীতে নানা সমস্যায় পড়লেও বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ফ্লোর প্রাইস। রাজধানীর মতিঝিলে এক ব্রোকারেজ হাউজে এ্ প্রতিবেদকের কথা হয় আলী ইমাম নামে এক বিনিয়োগারীর সাথে। লেনদেন করছেন প্রায় ১৫ বছর। তিনি বললেন, বর্তমানে ৩ লাখ টাকার মতো মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু গত কয়েক মাসের মন্দা বাজার। আবার সাথে ফ্লোর প্রাইস। চাইলেও বের হতে পারেন নি। যার ফলে নিজের সঞ্চয় থেকে এখন দিবেন মার্জিন ঋণের সুদের টাকা। একেতো শেয়ার কিনে ক্ষতির মুখে পড়েছেন সাথে যুক্ত হয়েছে মার্জিন ঋণের সুদ। এভাবে শুধু আলী ইমাম নয় অনেক বিনিয়োগকারী ভালো মৌল ভিত্তির শেয়ারে বিনিয়োগ করেও গত এক বছরে ফ্লোর প্রাইস ও উদ্ভূত অর্থনৈতিক নানা সংকটের কারণে শেয়ার বেচাকেনা করতে পারেন নি। ফলে সুদের অর্থ গূনতে হবে নিজের পকেট থেকে। মার্জিন ঋণের বিপাকে আরেক বিনিয়োগকারী আকরামুল হক। লোভে পড়ে আসল ও মুনাফার টাকার সঙ্গে মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু বাজার নেমে যাওয়ায় বাজার ধসে ৮ লাখ টাকার বিনিয়োগ নেমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখে। অর্থাৎ ৫ লাখ টাকা হাওয়া। এমন হাজারো বিনিয়োগকারী রয়েছে বাজারে। মার্জিন ঋণ নিয়ে সব হারিয়ে বসে আছেন। দেশের শীর্ষ স্থানীয় এক ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান নির্বাহী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন "মার্জিন ঋণের ২০১০ সালের আমাদের ক্ষত এখনো শুকায়নি। ২০১০ সালের ধাক্কা সামাল দিতে আমরা এখনো পারিনি। গত বছর খানেক আগে পুঁজিবাজারে লেনদেন কমে যাওয়ায় আমাদের ব্রোকারেজ হাউজগুলোর যে করুন অবস্থা তা ২০১০ সালের ফসল।" তিনি আরো বলেন, "মার্জিন ঋণ আমাদের ব্যবসায় আমাদের দেয়া ঋণের টাকা উঠাতে ফোর্সসেল আমাদের করতেই হবে।"
পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, "মার্জিন ঋণে সুবিধা থাকলেও ক্ষতির দিকটা অনেক। হ্যাঁ, এটা ঠিক মার্জিন ঋণের কারণে অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগ করছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীর পুরো বিনিয়োগ নিজের নিয়ন্ত্রনে থাকেনা। মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো নিজেদের অর্থ তুলতে বিনিয়োগকারীকে চাপে রাখে। যেটা অনেক বছর ধরে হয়ে আসছে"।
ফ্লোর প্রাইসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, "বাজারকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে। এভাবে কৃত্তিমতা দিয়ে বাজার চলতে পারেনা।" তিনি বলেন , “ফ্লোর প্রাইসের কারণে অনেক ভালো কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হচ্ছে। বাজারে লেনদেন কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি মার্জিন ঋণের সুদের পরিমান বাড়ছে।“ ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়ে বাজারকে নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়ার পক্ষে এই পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ। তবে আরেক পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, “ফ্লোর প্রাইস থাকায় বাজার ফ্রিজ হয়ে আছে। সুদ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের এটা ঠিক। তবে বাজারে তো পতন ঘটছে না বড় রকমের। তিনি বলেন, ফ্লোর প্রাইসে ঠেকেছে বাজারের পতন। তাঁর আশঙ্কা , ফ্লোরপ্রাইস এই মুহূর্তে তুলে দিলে দাম কমে ফোর্সসেলের মধ্যে পড়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, "নানা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নানা রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই মুহুর্তে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সুদ মওকুফ করা প্রয়োজন। এই ব্যাপারে ভাবতে পারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশন। মওকুফ না করলেও যাদের শেয়ার ফ্লোরে রয়েছে তাঁদের ছাড় দিতে পারে বিএসইসি"। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল ৭১ এ এক অনুষ্ঠানেবাংলাদেশ মার্চেন্টস ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান জানান, "২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের সময় ফোর্সসেল বন্ধ করায় পুঁজিবাজারের মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের প্রায় এক লাখ কোটি টাকাআ আটকে আছে এখনো"।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ সংস্থা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) শেয়ারবাজার ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণের প্রায় ১৭১ কোটি টাকার সুদ মওকুফের উদ্যোগ নিয়েছিলো।
এদিকে ডিএসইর ওয়েবসাইট থেকে জানাগেছে,গত কয়েক সপ্তাহ পুঁজিবাজার মিশ্র অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সব ধরনের মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৩.৭৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ১৫ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৩৫কোটি৭০ লাখটাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৩২০ কোটি ৬৬লাখটাকার বা ১৩.৭৩শতাংশ লেনদেন কমেছে। ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধান ৭দশমিক ৬৩পয়েন্ট বা দশমিক ১২শতাংশ কমে ৬ হাজার ২৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই শরীয়াহ সূচক বেড়েছে দশমিক ১৮ শতাংশ। এসময় ডিএসইতে মোট ৪০৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ৯১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১৯টির।
(দ্য রিপোর্ট/ টিআইএম/ মাহা/ পনের অক্টোবর দুই হাজার তেইশ)
পাঠকের মতামত:

- সূচকের উত্থান: ডিএসইতে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে
- বেসরকারি চিকিৎসক-নার্সদের সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করবে সরকার
- মাগুরার শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুততম সময়ে শেষ করা হবে: আইজিপি
- মডেল মসজিদ নির্মাণে অনেক অনিয়ম হয়েছে : প্রেস সচিব
- শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোক
- হাসিনাকে ফেরত চাওয়া চিঠির জবাব এখনো দেয়নি ভারত : মুখপাত্র
- "শিশু ধর্ষণের বিচারে সোমবারের মধ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল"
- মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে
- ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব
- মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে চার পাণ্ডবের আবেগঘন বার্তা
- ট্রেন হামলার পেছনে ভারত
- চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় স্কুল শিক্ষার্থী ভাই-বোনসহ ৩ জনের মৃত্যু
- এনবিআর দুই ভাগ হচ্ছে, জুলাইয়ে কার্যক্রম শুরু
- 'শাহবাগে ফ্যাসিবাদ' ইস্যুতে মাহফুজ আলমের ব্যাখ্যা
- বিকেলে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, থাকছে যেসব কর্মসূচি
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ২০ রমজানের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে
- ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদায় প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা
- সচিবালয় ও যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
- ঢাকায় এসেছেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সেনাবাহিনী নিয়ে ভুয়া খবরের প্রতিবাদ আইএসপিআরের
- এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন
- গাজীপুরে শ্রমিক নিহতের জেরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
- বহির্বিভাগে কর্মবিরতি পালন করছেন ঢামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
- যমুনায় যেতে পুলিশের বাধা, সড়কে শুয়ে পড়েছেন শিক্ষকরা
- এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে ‘ডা.’ নয়: হাইকোর্ট
- পাকিস্তানে চলন্ত ট্রেনে হামলা, ৪৫০ যাত্রীকে জিম্মি
- টেস্ট ক্রিকেটের দেড়শ বছর পূর্তিতে দিবারাত্রির ম্যাচ আয়োজন
- বিমা খাতে দুর্নীতি নির্মূল করবোই: বিআইএ সভাপতি
- স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন সাত বিশিষ্ট ব্যক্তি
- পাচার অর্থ ফেরানো সম্ভব, অনেকেই প্রস্তাব দিয়েছে: আনিসুজ্জামান
- শেখ হাসিনা পরিবারের ১২৪ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
- রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানো প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
- জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
- বিটিভিকে জনপ্রিয় করতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা
- ধর্ষণের বিচার দাবির গণপদযাত্রায় পুলিশের লাঠিচার্জ
- বিজ্ঞাপন ইস্যুতে ৩ নিষেধাজ্ঞা পেতে যাচ্ছেন কোহলি-গাভাস্কাররা
- টিকটক কিনতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রের চার কোম্পানি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের
- বিএসইসির ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে: রাশেদ মাকসুদ
- জামিন নিয়ে পদত্যাগ করলেন বিএসইসির ইডি মাহবুবুল আলম
- বিএসইসির সার্ভেইল্যান্সে সিস্টেম ব্যবহারে অনিয়মের শঙ্কা: দুদক
- ডিএসই ও সিএসইতে নতুন ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু
- এনআইডিতে যুক্ত করা যাবে একাধিক স্ত্রীর নাম
- হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ নিজ বাসায় খুন
- পল্লবী থানায় ঢুকে যুবকের অতর্কিত হামলা, ওসিসহ তিনজন আহত
- ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ, দীর্ঘ যানজট
- বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরিভিত্তিতে সহায়তা চাইল জাতিসংঘ
- "বিচার ও সংস্কার করুন, আমরাই নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেব"
- সাভারে পাওয়ার গ্রিডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
- কানাডার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মার্ক কার্নি
- নাসার নজরুলের তিন দেশের সম্পদ জব্দের আদেশ
- গভীররাতে আদালত, মাগুরায় শিশু ধর্ষণ মামলার ৪ আসামির রিমান্ড
- মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর ‘মৃত্যুর গুজব’, যা জানাল আইএসপিআর
- ভোরে রাজধানীর চার থানা পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ, ফিরতি ২৪ মার্চ
- বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু, সড়ক অবরোধ
- নব্বই কর্মদিবসের মধ্যে স্টারলিংক ইন্টারনেট চালু করতে চায় সরকার
- ৪ মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাইজড করার নির্দেশ
- শেখ হাসিনাকে ঢাকায় ডেকেছে স্বাধীন তদন্ত কমিশন
- বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় ভারত : রাজনাথ সিং
- ধর্ষণের প্রতিবাদে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি
- "বাংলাদেশে সরকার বদলালে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের পরিবর্তন হতে পারে"
- পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ২১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা
- ভারত থেকে ৬ হাজার টন চাল নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে
- নোবেল শান্তি পুরস্কার জেতার স্বপ্ন ট্রাম্পের, এবার সম্ভাবনা কতটুকু?
- পাকিস্তান খেলে টাকার জন্য, ভারতের লক্ষ্য শিরোপা: হাফিজ
- পুলিশের দায়িত্ব পালন করবেন নিরাপত্তাকর্মীরা, করতে পারবেন গ্রেপ্তার
- হিযবুত তাহরীরের প্রধান সংগঠকসহ ৩৬ জন গ্রেপ্তার
- ‘নারীদের ওপর জঘন্য হামলার খবর গভীরভাবে উদ্বেগজনক’
- ওয়ান-ইলেভেনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে ভুল ছিল: সাবেক মার্কিন কূটনীতিক
- মাগুরার সেই শিশুর পাশে তারেক রহমান
- মাগুরার সেই শিশুকে নেওয়া হচ্ছে সিএমএইচে
- মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, সব আসামি গ্রেপ্তার
- কার বাহুডোরের সঙ্গে ছবি দিয়ে সরিয়ে নিলেন পরীমণি?
- বিশ্ব সাঁতারে সামিউল ও অ্যানি
- অবসর ভেঙে ফেরা স্টোকস পাচ্ছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব!
- জুলাই আন্দোলনে সেনাবাহিনীকে ‘সতর্ক’ করেছিলেন ভলকার তুর্ক
- গভীররাতে আদালত, মাগুরায় শিশু ধর্ষণ মামলার ৪ আসামির রিমান্ড
- মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, সব আসামি গ্রেপ্তার
- সিরিয়ায় আসাদপন্থীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষে নিহত ৭০
- এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন
- ধর্ষণের বিচার দাবির গণপদযাত্রায় পুলিশের লাঠিচার্জ
- কার বাহুডোরের সঙ্গে ছবি দিয়ে সরিয়ে নিলেন পরীমণি?
- হিজবুত তাহরীরের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ : পুলিশ সদর দপ্তর
- ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ, ফিরতি ২৪ মার্চ
- বিটিভিকে জনপ্রিয় করতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা
- নোবেল শান্তি পুরস্কার জেতার স্বপ্ন ট্রাম্পের, এবার সম্ভাবনা কতটুকু?
- মাগুরার সেই শিশুর পাশে তারেক রহমান
- বিশ্ব সাঁতারে সামিউল ও অ্যানি
- বিএসইসির অস্থিরতা দ্রুত সমাধান চায় বিএমবিএ
- আগামী দুইদিন তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস
- ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রীম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ
- এনআইডিতে যুক্ত করা যাবে একাধিক স্ত্রীর নাম
- বাংলাদেশ নিয়ে ভারত ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা
- জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
- অন্যায় দাবির কাছে মাথা নত করব না: বিএসইসির চেয়ারম্যান
- "বাংলাদেশে সরকার বদলালে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের পরিবর্তন হতে পারে"
- এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে ‘ডা.’ নয়: হাইকোর্ট
- চেয়ারম্যান-কমিশনারদের পদত্যাগের দাবিতে অনড় বিএসইসির কর্মচারীরা
- নব্বই কর্মদিবসের মধ্যে স্টারলিংক ইন্টারনেট চালু করতে চায় সরকার
- শেখ হাসিনাকে ঢাকায় ডেকেছে স্বাধীন তদন্ত কমিশন
শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর
শেয়ারবাজার - এর সব খবর
