সালাহ উদ্দিন শুভ্র
আম আদমি কি দয়া
ঝাড়ুর মালিকানা
আম আদমি পার্টির নির্বাচনী প্রতীক ছিল ঝাড়ু। ভারতের ‘সর্বপুরুষ’ মাহাত্মা গান্ধী ঝাড়ুকে তুলনা করেছিলেন মনে মনে তওবা করার সঙ্গে। তওবা করে মনের সব ময়লা মুছে ফেলা যায়। সহজ ভাষায় সমালোচনা নিজের মনে ঝাড়ুর কাজ করে। ঝাড়ু গার্হস্থ্য আবর্জনা কেবল নয়, নানা রকম ঝাড়ু নানা রকম ময়লা সাফ করতে সক্ষম। ঝাড়ুদার মাত্রে ঝাড়ুর মালিক হন না- এ বিষয়টা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আম আদমি পার্টিকে বুঝতে এই সব প্রশ্ন আমাদের কিছু উপকারে আসবে। ভারতীয় সংস্কৃতিতে ঝাড়ু হচ্ছে অপয়া বিতাড়নকারীর প্রতীক। বাড়ির দরজায়, মেহমানের সামনে অথবা গৃহীর গৃহত্যাগের কালেও ঝাড়ু সামনে আনতে হয় না। সময় ও সুযোগ মতো ঝাড়ুর ব্যবহারে ময়লা দূর করা হয় এবং অপয়া ব্যক্তির মুখেও ‘ঝাঁটা মারা’র অনুমোদন ভারতীয় সমাজে বলবৎ আছে। আম আদমি পার্টি সমাজের ময়লা বলতে যে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনাকে চিহ্নিত করেছে তা ঝাড়ু দেওয়ার মাধ্যমে তারা সাফ করে ফেলবে- নেতার প্রতি এই তাদের আশ্বাস। ঘরদোর সাফ থাকলে লক্ষ্মী আসেন, সরস্বতী আসেন। নোংরা ঘরে যারা আসেন তারা দুর্ভোগ আনেন। ময়লা বিতাড়নকারী আম আদমি পার্টির এমন ইশতেহার জনকল্যাণমুখী ও মঙ্গলকজনক বলে ভাবতে সমস্যা হয় না। এখানে আম আদমি পার্টির বা দিল্লি সরকারের বর্তমান প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঝাড়ুদারদের সরদার। রাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তার নির্দেশে ভারত মাতার সকল জঞ্জাল সাফ করবে। এখানে জঞ্জালেরও সর্বজনীন কোনো অর্থ নেই। লুটপাট, অনিয়ম, ইত্যাদি ইত্যাদি হলো জঞ্জাল। আর তাকে সাফ করার মধ্য দিয়ে ঝকঝকে-তকতকে এক ভারত বানাবে আম আদমি। ঈশ্বরও তাদের সঙ্গে আছেন। তিনি ঝাড়ুর প্রকৃত মালিক। আমাদের সন্ধান তার নিমিত্তে।
ভারতের আম আদমি পার্টি তার ইশতেহারে যে সব ক্ষেত্রকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে তা আমলে নিতে হবে। ইশতেহারের উদ্দেশ্য বলতে গেলে বিদ্যমান পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে তারা জনকল্যাণমুখী করবেন। রাষ্ট্র ও সমাজের মানুষের নানা রকম সমস্যা তদারকির জন্য মধ্যস্থতাকারী সংস্থা থাকবে। এরা একেক নামে একেক রকমভাবে জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত থাকবে। কেউ জল বিলাবে, কেউ মিটার চেক করবে ইলেকট্রিসিটি কনজিউম বিষয়ক, শিক্ষা, নারীর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য, বস্তিগুলোর হাল-হকিকত দেখভালের দায়িত্বেও থাকবে নানা সরকার অনুমোদিত, সরকারের সহযোগী সংস্থা। দুর্নীতির মাধ্যমে যে দেশীয় সম্পদের অপচয় ঘটে, জনগণের হয়রানি হয়, কাজের নামে অকাজ হয় তা তারা দূর করে আলো ঝলমল এক দিল্লি অথবা ভারত গড়ে তুলবে। সে জন্য জনগণের মাঝে প্রথমে পানি বিতরণ তারপর আগের তুলনায় অর্ধেক দামে বিদ্যুৎ বিক্রির ব্যবস্থা তারা পাকা করে ফেলেছেন। ভারতের মতো রাষ্ট্রে জল হোক অথবা বিদ্যুৎ তার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট করপোরেশনের। আম আদমি বলছে, এ সব করপোরেশন দুর্নীতিগ্রস্ত এবং এ সব কারণে জনগণ বিশুদ্ধ জল বঞ্চিত হচ্ছে। তার মানে উন্নয়ন, জলাশয় ভরাট করে ভবন নির্মাণ, জনসংখ্যার ঘনত্ব ইত্যাদি কোনো ব্যাপার না। সরিষায় ওই একটা ভূতের বাস তা হলো দুর্নীতি। তার বশে থাকা এক দল অলস ও অকর্মণ্য ব্যক্তি দিল্লির মানুষকে কষ্টে রেখেছে। জলের অভাবে ধুঁকছে জনতা। অতএব তাকে জল দাও। আম আদমির কেরামতি এমন যে দুই দিনে জলের ব্যবস্থা হয়ে গেল। পরের দিন বিদ্যুতের দাম কমিয়ে দাও শতকরা পঞ্চাশ ভাগ। এই তেলেসমাতি কাজ কিসের ভিত্তিতে হলো? তার জবাব নাই। বিদ্যুতের বিল কমানো বিষয়ে ডিসেম্বর থেকেই আলোচনা চলছিল এ কাজ কতটা স্বস্তিদায়ক হবে সরকারের জন্য। কারণ বিদ্যুতের দাম এই পরিমাণে কমিয়ে আনার যে ক্ষতি তা পূরণ হবে কী দিয়ে! সরকার কী এ কাজে ভর্তুকি দিয়ে যাবে, নাকি ট্যাক্স বাড়াবে অথবা অন্য কোনো উপায়ে আম আদমি তার বিদ্যুত খাতের এই ঘাটতি পূরণ করবে তা বোধগম্য নয় দিল্লির বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের কাছে। দিল্লির ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন বলেছে, সরকার একার দায়িত্বে বিদ্যুতের দাম কমাতে পারে না। কমিশনের প্রস্তাব তারা পাস অথবা বাতিল করতে পারে। কমিশনের সঙ্গে আলাপ সাপেক্ষে কোনো একটা দাম নির্ধারণ করতে পারে। তবে আম আদমি পার্টি তো নির্বাচনী জিকিরে এ সব সুবিধার কথা বলে আসছে। করপোরেশনের সঙ্গে আলাপ না করে প্রচারণায় নেমেছে। এখন সবার প্রশ্ন বিদ্যুতের এমন দাম কতদিন বহাল রাখা সম্ভব?
ভারতীয় চিন্তক, লেখক অরুন্ধতি রায় জানিয়েছিলেন, আম আদমি পার্টির তিন নেতা ম্যাগসাইসাই পুরস্কার জেতা এবং খোদ কেজরিওয়ালেরই রয়েছে এনজিও। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বিশ্বজুড়ে যে দুর্নীতি বিরোধী ছয় শ’ প্রকল্প আছে তার মতো একটা প্রকল্প এই আম আদমি পার্টি। অরুন্ধতি আরও আপত্তি জানিয়েছিলেন, এই পার্টি ফোর্ড ফাউন্ডেশন থেকে টাকা নিয়েছে অন্তত চল্লিশ লাখ ডলার। অনুদানের আরও টাকা পাইপ লাইনে অপেক্ষায় আছে। এই পার্টি তার নির্বাচনী খরচের বিশ কোটি রুপি জোগাড় করেছিল চাঁদা সংগ্রহের মাধ্যমে। ভারতে বসবাসরত ভারতীয় এবং বিদেশে বসবাসরত ভারতীয়রা তাদের এই পরিমাণ অর্থের সংস্থান দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় নিয়ম ভেঙ্গে পোস্টারিং-এর অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দুর্নীতির ভিডিও প্রচারের সঙ্গেও যুক্ত এই পার্টি। অরুন্ধতি রায় বলেছেন, দুর্নীতিবিরোধী নেতা আন্না হাজারের গর্ভজাত এই পার্টি। যাদের রয়েছে বিশ্ব ব্যাংকের যোগাযোগ। যারা দুর্নীতি প্রতিরোধের নামে করপোরেট পুঁজিকে আরও শক্তিশালী করতে চায়। অর্থাৎ সরকারি কিংবা লুম্পেন দুর্নীতি হটিয়ে তারা করপোরেট নীতি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এনজিও কায়দায় দেশ চালাতে চায়। এনজিওপনাকে আরও শক্তিশালী করতে চায়। বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে চায় এবং বেসরকারি এ সব সংস্থার মধ্য দিয়ে তারা ভারতকে সর্বাধুনিক করপোরেট রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। টাকার উৎসের অভাব যেহেতু নাই। প্রয়োজনে প্রতিবেশী দেশগুলোর সহায়তাও নেওয়া যাবে। বাংলাদেশের সুন্দরবনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসানো যাবে। এমন কাজ নেপালে করতে হলেও চাই সাম্রাজ্যবাদীদের সহযোগিতা। করপোরেটের হাত ধরে সে সব সুবিধা পেতে আর কতক্ষণ! ফলে বলা যায়, আম আমি পার্টি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে। কংগ্রেস তাদের এখনকার মিত্র, বিজেপিও মিত্র হয়ে উঠতে বেশি দিন সময় নেবে না। যদি আম আদমি না-ও টিকতে পারে তাহলে কংগ্রেস এ সব বাস্তবায়ন করবে ধীরে ধীরে। একটা বিষয় বুঝতে হবে যে কংগ্রেসের সহযোগিতা কিন্তু আম আদমিকে সরকার গঠনে সহায়তা করেছে। বিজেপিকেও এ বিষয়ে খুব আপত্তি করতে দেখা যায় নাই। শুরুটা দিল্লি দিয়েই হল কিন্তু। দিল্লি থেকে ঢাকায় এমন কোনো আম আদমির উত্থান ঘটানো কঠিন কিছু নয়। সময় তার হাতে খেলার দান লুকিয়ে রাখে বলেই সমস্যা। নইলে কে বলতে পারে ঢাকার ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ এমন একটা পাতানো বীজ নয়।
ফলে ঝাড়ুর মালিকানা ঝাড়ুর চরিত্র নির্ধারণ করে। ঝাড়ুকে ময়লা-আবর্জনা চিনতে শেখায়। আম আদমির প্রতীক ঝাড়ুর মালিককে না চিনলে মুশকিলে পড়তে হবে সামনে। জনগণ যদিও ভোট দিয়েছে সব জেনে-শুনেই। কিন্তু ভোটের গণতন্ত্র শেষ ফয়সালা হিসেবে টিকে থাকবে কিনা, গণতন্ত্রের সুবিধা জনস্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে কিনা এ সব প্রশ্ন আম আদমিকে মোকাবেলা করতে হবে অচিরেই। জলের দামে ভারতীয়রা তাদের সার্বভৌমত্ব কতদূর পর্যন্ত বিকাতে রাজি থাকবেন মূল রাজনৈতিক সংঘাত আসলে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
রাজনৈতিক দলের দাতব্য ভূমিকা
রাজনৈতিক দলের এমন কোনো দাতব্য ভূমিকা থাকা নেসেসারি নয়। জনগণের সঙ্গে তার নানা কিসিমের কায়কারবার চলে। জনতার ওঠা এবং বসায় রাজনৈতিক দল সঙ্গী থাকে। রুশ বিপ্লবের নেতা লেনিন বলেছিলেন, রাজনৈতিক দল একটি জীবন্ত প্রক্রিয়া। এর প্রত্যেকটা অঙ্গ অপরাঙ্গের সঙ্গে যুক্ত। সেক্টরিয়ান পলিটিক্স অথবা কায়েমী স্বার্থবাদী রাজনীতির সঙ্গে তাই অন্য জনসমষ্টির সংঘাত অপরিহার্য হয়ে ওঠে অনেক সময়। এখনকার পুঁজিবাদ যেমন সর্বময় হয়ে উঠতে চায় তাতে ঘর-বাড়ি-গাছ-জল-মাছ কোনো কিছু তার আওতার বাইরে থাকে না। প্রাকৃতিক জলাধার, ফলাধার যাই থাক না কেন সে নিয়ন্ত্রণ তৈরি করতে চায়। দখল নিয়ে নিতে চায়। ফলে আপাত যে সুবিধা দিল্লির জনগণ ভোগ করছে তার প্রতিদান বিষয়ে তাদের সতর্কতা জরুরি। হিন্দী ‘নায়ক’ সিনেমায় একদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়ে অনিল কাপুর যা যা করে ফেললেন তার প্রতি জনগণের আগ্রহ থাকতেই পারে। এমন কোনো নায়ককে যে তারা মনে মনে কামনা করেন সেই সিনেমার জনপ্রিয়তা তার প্রমাণ রাখে। আম আদমি তেমন কোনো পর্দার নায়ক পাওয়ার জনআকাঙ্ক্ষাকে পুঁজি করে রাতারাতি বেড়ে উঠেছে। এটা বলা যায়, অনেকে বলছেনও। কিন্তু রাজনৈতিক গোমরটাকে তারা লুকিয়েছে। দিল্লির জনতা কিন্তু কংগ্রেস এবং বিজেপিকেও ভোট দিয়েছে, আম আদমির প্রলোভনে সবার সাড়া সমান নয়। কংগ্রেসের সহযোগিতায় নানা রকম গিমিক তারা তৈরি করতে পেরেছে বটে। তবে তাতে কারসাজি আছে অনেক এমনটা ভাবা অমূলক হবে না। দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকে যে অর্থে ‘ম্যাস মুভমেন্ট’ বলা হচ্ছে তার কিছু চিত্র ভারতীয় গণমাধ্যম মারফত আমাদের দেশেও পৌঁছেছে। আন্না হাজারের যে আন্দোলন তাতে শামিল ছিল অনেক এনজিও কর্মী, শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত জনতা। সকল অংশের জনতা সেখানে হাজির ছিলেন না। তারা রাজনৈতিকভাবে একে গ্রহণ করতে পারেন নাই বলে দূর থেকে অনুমানে আসে। অন্তত আন্না হাজারের অনশন থেকে শুরু করে আম আদমির নানা রাজনৈতিক জমায়েত খেয়াল করলে এ সব বিষয়ে ধারণা তৈরি করা যায়। তাদের মিডিয়া প্রচারও হয়েছিল অনেক। হাজারে একাই এমন একটা ভান সেখানে ছিল। বস্তুত তার পেছনের কারবারিরা আড়ালে ছিলেন আবার একেবারে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে লুকিয়েও থাকেন নাই। তারা ‘স্বচ্ছ’ থাকতে চেয়েছেন। ভারত সরকার অপরাপর জনদাবি যেভাবে দমিয়ে দিয়েছে এ বিষয়ে তাদের ছিল নরম সুর। বিষয়টাকে ফেনিয়ে তোলা হয়েছে অনেক দিন ধরেই। বেশ চতুর পরিকল্পনা করেই আম আদমি দিল্লির মসনদে বসতে পেরেছে বলা চলে। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা যাদের খুব একটা নেই-ও। জনসংযোগ আর গণমাধ্যম এই দুই কৌশল কাজে লাগিয়ে তারা পরিচিতি পেয়েছে সর্বত্র।
মধ্যবিত্ত জনতার যে সমস্ত সংকট তাকে মূলধন করে আম আদমি জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছে। রাষ্ট্রের নাগরিকগণ রাষ্ট্রীয় সম্পদ, বণ্টন, ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন ইত্যাদির নিরিখেই সুবিধাদি ভোগ করবেন। আম আদমির হিসাব ভিন্ন। অনেকটা রামকৃষ্ণ মিশনের মতো। জনতা আসবে আর তারা বিলাবেন। দাতা এবং গ্রহীতার সমাজ। আম আদমি মধ্যবিত্তকে নাই করে দিতে চায়। রাষ্ট্রে কেবল দাতা এবং গ্রহীতা থাকবে। বিদ্যুত কনজিউমের ক্ষমতা একজন মধ্যবিত্তের যতটা খেয়াল রাখতে হবে একজন শিল্পপতির তারও অধিক। ফলে দাম কমিয়ে দিলে সুবিধা বেশি পাবেন বড়লোকেরা। গরিবের সুবিধা তেমন নাই বললে চলে। তার দিন আনি দিন খাই অবস্থার নিরসন ঘটবে কীভাবে। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তার নিরাপত্তা, জীবনমানের নিশ্চয়তা ইত্যাদির অধিকার গুরুত্বপূর্ণ। সে সব বিষয়ে আম আদমির বলার কথা তেমন নাই। শ্রমশোষণের বিষয়ে কি হবে, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কী বিচার হবে, রাষ্ট্র মানে যে এক বিশাল যজ্ঞ তার সংজ্ঞাই কেমন পাল্টে দিতে চায় এই আম আদমি! অনেক বিষয়ে কিন্তু তাদের বক্তব্য খুঁজে পাওয়া যায় না। বরং জনকল্যাণের মতো কিছু দাতব্য কাজ তারা করতে চায়। এটা তাদের চরিত্রকে চিহ্নিত করার একটা উপায়, সহজে এ কথা বলা যায়। দিল্লির মসনদে তারা অন্তত কয়েক বছর টিকে থাকবেন ভালো মতো। কিন্তু দিল্লি বলতে যে বিদ্যুৎ আর পানি কিংবা নোংরা বস্তি বোঝায় না তা টের পেতে খুব বেশি রাজনীতি সচেতনতার দরকার হয় না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়ার অন টেরর’ পরবর্তী সময়ে বিশ্ব রাজনীতির বাঁক বদলের কৌশলগুলোও এ ক্ষেত্রে নজরে রাখা জরুরি। যুক্তরাষ্ট্র এখন আর দখল অথবা যুদ্ধ করে নয় আইডিয়া দিয়ে রাষ্ট্র কব্জা করতে চায়। সেটা অধিক নিরাপদ। করপোরেট রাষ্ট্র তাদের এ সব কাজের জন্য সুবিধা। তাতে সার্ভিল্যান্স থাকবে বাধাহীন। খানা-খাদ্য থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, সব কায়দা করে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারলে তাদের হুমকি কমে। নুতন মার্কিন রাজনীতির নতুন ঘুঁটি আম আদমি, এমন একটা হুঁশিয়ারি নিয়ে রাজনৈতিক কাজ করে যাওয়ার কতর্ব্য বর্তাচ্ছে অন্তত দক্ষিণ এশিয়ার মানুষজনের।
সালাহ উদ্দিন শুভ্র : লেখক ও সাংবাদিক
পাঠকের মতামত:
- এমবিবিএস ভর্তি: প্রমাণ নিয়ে আসেননি মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৪৯ শিক্ষার্থী
- বিপিএলে পারিশ্রমিক ইস্যুতে তদন্ত কমিটি
- ঋণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কমিটি
- বোনের বাসা থেকে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান গ্রেপ্তার
- আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ট্রাইব্যুনালের অসন্তোষ
- চুক্তি সই করল এআইবি পিএলসি ও দি ইবনে সিনা ট্রাস্ট
- উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা: ‘মনে হয় না আর কেউ বেঁচে আছেন’
- ২১ কোম্পানির অর্ধবার্ষিকে মুনাফা বেড়েছে
- কোচ বাটলারকে চান না সাবিনারা
- ধর্মের ভিত্তিতে নয়, দেশ পরিচালিত হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে: জামায়াতের আমির
- সৌদিতে বাংলাদেশি বন্দিদের ক্ষমা করতে আসিফ নজরুলের অনুরোধ
- কোটা নিয়ে ৩ সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের
- নির্বাচন কমিশন নির্বাহী বিভাগের আজ্ঞাবহ: বদিউল আলম মজুমদার
- আসিফ ও আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিইনি: নাহিদ
- "নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হতেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই"
- ছাত্ররা নিজেরাই দল গঠন করবে: ড. ইউনূস
- ওয়াশিংটনে মাঝ আকাশে হেলিকপ্টারের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষ
- এক গণমাধ্যমে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড সর্বোচ্চ ১৫ জন
- বিএসইসির শিবলী রুবাইয়াতসহ ৯ জনের পাসপোর্ট বাতিল
- আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করবে বৈষম্যবিরোধীদের লিগ্যাল সেল
- বিতর্কিত প্রবন্ধ প্রত্যাহার, ‘ছাত্র সংবাদ’ এর দুঃখ প্রকাশ
- যারাই ক্ষমতায় আসুক দেশ চালানো চ্যালেঞ্জিং হবে: তারেক রহমান
- তিন জন বাদ, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন ৭ জন
- দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে ওয়ালটনের মুনাফা ৩০৪ কোটি টাকা
- বিশেষ তহবিলের আকার ও সময় বাড়ানোর সুপারিশ ডিবিএর
- ডেঙ্গু নিয়ে ২৩ জন হাসপাতালে ভর্তি
- আইসিসির প্রধান নির্বাহীর পদত্যাগ
- ফ্র্যাঞ্চাইজিরা টাকা দিচ্ছে কি না, নজরে রাখবে বিসিবি
- ভারতে মহাকুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে নিহত ১২
- মিয়ানমার ও ভারত থেকে দুই জাহাজে এলো ৩৬ হাজার টন চাল
- গুম-খুনের নির্দেশ দিতেন শেখ হাসিনা নিজেই
- সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে: তারেক রহমান
- অবশেষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের কর্মবিরতি স্থগিত
- "সৌদিতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা পূরণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে"
- দ্রুত দেশে ফিরতে চান খালেদা জিয়া: ডা. জাহিদ
- কর্মবিরতি প্রত্যাহার, ঘুরছে ট্রেনের চাকা
- গাড়ির সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় কাজ করবে প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার
- ট্রাম্পের দাবি মেনে নিল কলম্বিয়া
- আশা ভোঁসলের নাতনির সঙ্গে প্রেম, যা বললেন সিরাজ
- ৩৪ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট জিতলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পরীমণি
- ঢাবি উপাচার্যের দুঃখ প্রকাশ
- কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাড়ে ৩ হাজার জনের নিয়োগ স্থগিত
- চরমোনাই পিরের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
- আবারও শাহবাগে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা
- ১১৫ বারের মতো পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
- মঙ্গলবার থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধের হুমকি
- ঢাবি প্রো-ভিসির পদত্যাগে ৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের
- সুদানে হাসপাতালে ভয়াবহ ড্রোন হামলা, নিহত ৬৭
- রোববার গুলশান-২ এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ
- ক্রিকেট অপারেশন্স ও নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান হলেন ফাহিম
- ক্রিকেটারদের ‘শঙ্কিত’ না হওয়ার বার্তা বিসিবির, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমাধানের আশ্বাস
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পুনরায় যোগদানের কথা বিবেচনা করবেন ট্রাম্প
- ভারতে দিনে ১০০ নারী ধর্ষণ, শিকার এবার বাংলাদেশি
- শিশু আয়ান : দুই চিকিৎসক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ
- বাংলাদেশে সেনাশাসন আসার কোনো প্রেক্ষিত নেই: মাহফুজ
- "সমৃদ্ধ রাজস্ব ভাণ্ডার গঠনে কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে"
- নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক শক্তিশালী করবে ফ্যাসিস্টদের: তারেক রহমান
- ফেব্রুয়ারি থেকে শহিদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা: তথ্য উপদেষ্টা
- এআইবি পিএলসির ব্যবসা উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- ওয়ালটন ক্যাবলসের ‘বিজনেস পার্টনার্স মিট-২০২৫’ অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- ওয়ালটন স্মল অ্যাপ্লায়েন্স নেটওয়ার্কের পার্টনার্স সামিট অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- এফবিসিসিআই’র উদ্যোগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সেমিনার
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ২৯০ কোটি টাকা
- ন্যূনতম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়: মাহফুজ
- আপাতত চীনের ওপর শুল্ক আরোপ করতে চাই না: ট্রাম্প
- অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন রানি কিস
- চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিরাপত্তায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান
- জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা আরো দুটি জিনিস পাবে: শফিকুর রহমান
- শিক্ষার গুণগত মানের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে : ডিএমপি কমিশনার
- ফেব্রুয়ারিতে ওমানে বৈঠকে বসতে পারেন তৌহিদ-জয়শঙ্কর
- দেশের সংস্কারের ৯০ ভাগ করেছে বিএনপি: আমীর খসরু
- বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্য ঘোষিত তালিকা স্থগিত
- অবশেষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের কর্মবিরতি স্থগিত
- গাড়ির সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় কাজ করবে প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার
- ওয়ালটন ক্যাবলসের ‘বিজনেস পার্টনার্স মিট-২০২৫’ অনুষ্ঠিত
- বাংলাদেশে সেনাশাসন আসার কোনো প্রেক্ষিত নেই: মাহফুজ
- নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক শক্তিশালী করবে ফ্যাসিস্টদের: তারেক রহমান
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- রোববার গুলশান-২ এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ
- এফবিসিসিআই’র উদ্যোগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সেমিনার
- মঙ্গলবার থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধের হুমকি
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পরীমণি
- আবারও শাহবাগে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা
- আশা ভোঁসলের নাতনির সঙ্গে প্রেম, যা বললেন সিরাজ
- ফেব্রুয়ারি থেকে শহিদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা: তথ্য উপদেষ্টা
- দ্রুত দেশে ফিরতে চান খালেদা জিয়া: ডা. জাহিদ
- ফেব্রুয়ারিতে ওমানে বৈঠকে বসতে পারেন তৌহিদ-জয়শঙ্কর
- জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা আরো দুটি জিনিস পাবে: শফিকুর রহমান
- ক্রিকেটারদের ‘শঙ্কিত’ না হওয়ার বার্তা বিসিবির, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমাধানের আশ্বাস
- ১১৫ বারের মতো পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
- ঢাবি প্রো-ভিসির পদত্যাগে ৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের
- ন্যূনতম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়: মাহফুজ
- চরমোনাই পিরের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
- ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- ট্রাম্পের দাবি মেনে নিল কলম্বিয়া
- ভারতে দিনে ১০০ নারী ধর্ষণ, শিকার এবার বাংলাদেশি
- বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্য ঘোষিত তালিকা স্থগিত