সালাহ উদ্দিন শুভ্র
আম আদমি কি দয়া
ঝাড়ুর মালিকানা
আম আদমি পার্টির নির্বাচনী প্রতীক ছিল ঝাড়ু। ভারতের ‘সর্বপুরুষ’ মাহাত্মা গান্ধী ঝাড়ুকে তুলনা করেছিলেন মনে মনে তওবা করার সঙ্গে। তওবা করে মনের সব ময়লা মুছে ফেলা যায়। সহজ ভাষায় সমালোচনা নিজের মনে ঝাড়ুর কাজ করে। ঝাড়ু গার্হস্থ্য আবর্জনা কেবল নয়, নানা রকম ঝাড়ু নানা রকম ময়লা সাফ করতে সক্ষম। ঝাড়ুদার মাত্রে ঝাড়ুর মালিক হন না- এ বিষয়টা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আম আদমি পার্টিকে বুঝতে এই সব প্রশ্ন আমাদের কিছু উপকারে আসবে। ভারতীয় সংস্কৃতিতে ঝাড়ু হচ্ছে অপয়া বিতাড়নকারীর প্রতীক। বাড়ির দরজায়, মেহমানের সামনে অথবা গৃহীর গৃহত্যাগের কালেও ঝাড়ু সামনে আনতে হয় না। সময় ও সুযোগ মতো ঝাড়ুর ব্যবহারে ময়লা দূর করা হয় এবং অপয়া ব্যক্তির মুখেও ‘ঝাঁটা মারা’র অনুমোদন ভারতীয় সমাজে বলবৎ আছে। আম আদমি পার্টি সমাজের ময়লা বলতে যে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনাকে চিহ্নিত করেছে তা ঝাড়ু দেওয়ার মাধ্যমে তারা সাফ করে ফেলবে- নেতার প্রতি এই তাদের আশ্বাস। ঘরদোর সাফ থাকলে লক্ষ্মী আসেন, সরস্বতী আসেন। নোংরা ঘরে যারা আসেন তারা দুর্ভোগ আনেন। ময়লা বিতাড়নকারী আম আদমি পার্টির এমন ইশতেহার জনকল্যাণমুখী ও মঙ্গলকজনক বলে ভাবতে সমস্যা হয় না। এখানে আম আদমি পার্টির বা দিল্লি সরকারের বর্তমান প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঝাড়ুদারদের সরদার। রাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তার নির্দেশে ভারত মাতার সকল জঞ্জাল সাফ করবে। এখানে জঞ্জালেরও সর্বজনীন কোনো অর্থ নেই। লুটপাট, অনিয়ম, ইত্যাদি ইত্যাদি হলো জঞ্জাল। আর তাকে সাফ করার মধ্য দিয়ে ঝকঝকে-তকতকে এক ভারত বানাবে আম আদমি। ঈশ্বরও তাদের সঙ্গে আছেন। তিনি ঝাড়ুর প্রকৃত মালিক। আমাদের সন্ধান তার নিমিত্তে।
ভারতের আম আদমি পার্টি তার ইশতেহারে যে সব ক্ষেত্রকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে তা আমলে নিতে হবে। ইশতেহারের উদ্দেশ্য বলতে গেলে বিদ্যমান পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে তারা জনকল্যাণমুখী করবেন। রাষ্ট্র ও সমাজের মানুষের নানা রকম সমস্যা তদারকির জন্য মধ্যস্থতাকারী সংস্থা থাকবে। এরা একেক নামে একেক রকমভাবে জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত থাকবে। কেউ জল বিলাবে, কেউ মিটার চেক করবে ইলেকট্রিসিটি কনজিউম বিষয়ক, শিক্ষা, নারীর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য, বস্তিগুলোর হাল-হকিকত দেখভালের দায়িত্বেও থাকবে নানা সরকার অনুমোদিত, সরকারের সহযোগী সংস্থা। দুর্নীতির মাধ্যমে যে দেশীয় সম্পদের অপচয় ঘটে, জনগণের হয়রানি হয়, কাজের নামে অকাজ হয় তা তারা দূর করে আলো ঝলমল এক দিল্লি অথবা ভারত গড়ে তুলবে। সে জন্য জনগণের মাঝে প্রথমে পানি বিতরণ তারপর আগের তুলনায় অর্ধেক দামে বিদ্যুৎ বিক্রির ব্যবস্থা তারা পাকা করে ফেলেছেন। ভারতের মতো রাষ্ট্রে জল হোক অথবা বিদ্যুৎ তার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট করপোরেশনের। আম আদমি বলছে, এ সব করপোরেশন দুর্নীতিগ্রস্ত এবং এ সব কারণে জনগণ বিশুদ্ধ জল বঞ্চিত হচ্ছে। তার মানে উন্নয়ন, জলাশয় ভরাট করে ভবন নির্মাণ, জনসংখ্যার ঘনত্ব ইত্যাদি কোনো ব্যাপার না। সরিষায় ওই একটা ভূতের বাস তা হলো দুর্নীতি। তার বশে থাকা এক দল অলস ও অকর্মণ্য ব্যক্তি দিল্লির মানুষকে কষ্টে রেখেছে। জলের অভাবে ধুঁকছে জনতা। অতএব তাকে জল দাও। আম আদমির কেরামতি এমন যে দুই দিনে জলের ব্যবস্থা হয়ে গেল। পরের দিন বিদ্যুতের দাম কমিয়ে দাও শতকরা পঞ্চাশ ভাগ। এই তেলেসমাতি কাজ কিসের ভিত্তিতে হলো? তার জবাব নাই। বিদ্যুতের বিল কমানো বিষয়ে ডিসেম্বর থেকেই আলোচনা চলছিল এ কাজ কতটা স্বস্তিদায়ক হবে সরকারের জন্য। কারণ বিদ্যুতের দাম এই পরিমাণে কমিয়ে আনার যে ক্ষতি তা পূরণ হবে কী দিয়ে! সরকার কী এ কাজে ভর্তুকি দিয়ে যাবে, নাকি ট্যাক্স বাড়াবে অথবা অন্য কোনো উপায়ে আম আদমি তার বিদ্যুত খাতের এই ঘাটতি পূরণ করবে তা বোধগম্য নয় দিল্লির বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের কাছে। দিল্লির ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন বলেছে, সরকার একার দায়িত্বে বিদ্যুতের দাম কমাতে পারে না। কমিশনের প্রস্তাব তারা পাস অথবা বাতিল করতে পারে। কমিশনের সঙ্গে আলাপ সাপেক্ষে কোনো একটা দাম নির্ধারণ করতে পারে। তবে আম আদমি পার্টি তো নির্বাচনী জিকিরে এ সব সুবিধার কথা বলে আসছে। করপোরেশনের সঙ্গে আলাপ না করে প্রচারণায় নেমেছে। এখন সবার প্রশ্ন বিদ্যুতের এমন দাম কতদিন বহাল রাখা সম্ভব?
ভারতীয় চিন্তক, লেখক অরুন্ধতি রায় জানিয়েছিলেন, আম আদমি পার্টির তিন নেতা ম্যাগসাইসাই পুরস্কার জেতা এবং খোদ কেজরিওয়ালেরই রয়েছে এনজিও। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বিশ্বজুড়ে যে দুর্নীতি বিরোধী ছয় শ’ প্রকল্প আছে তার মতো একটা প্রকল্প এই আম আদমি পার্টি। অরুন্ধতি আরও আপত্তি জানিয়েছিলেন, এই পার্টি ফোর্ড ফাউন্ডেশন থেকে টাকা নিয়েছে অন্তত চল্লিশ লাখ ডলার। অনুদানের আরও টাকা পাইপ লাইনে অপেক্ষায় আছে। এই পার্টি তার নির্বাচনী খরচের বিশ কোটি রুপি জোগাড় করেছিল চাঁদা সংগ্রহের মাধ্যমে। ভারতে বসবাসরত ভারতীয় এবং বিদেশে বসবাসরত ভারতীয়রা তাদের এই পরিমাণ অর্থের সংস্থান দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় নিয়ম ভেঙ্গে পোস্টারিং-এর অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দুর্নীতির ভিডিও প্রচারের সঙ্গেও যুক্ত এই পার্টি। অরুন্ধতি রায় বলেছেন, দুর্নীতিবিরোধী নেতা আন্না হাজারের গর্ভজাত এই পার্টি। যাদের রয়েছে বিশ্ব ব্যাংকের যোগাযোগ। যারা দুর্নীতি প্রতিরোধের নামে করপোরেট পুঁজিকে আরও শক্তিশালী করতে চায়। অর্থাৎ সরকারি কিংবা লুম্পেন দুর্নীতি হটিয়ে তারা করপোরেট নীতি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এনজিও কায়দায় দেশ চালাতে চায়। এনজিওপনাকে আরও শক্তিশালী করতে চায়। বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে চায় এবং বেসরকারি এ সব সংস্থার মধ্য দিয়ে তারা ভারতকে সর্বাধুনিক করপোরেট রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। টাকার উৎসের অভাব যেহেতু নাই। প্রয়োজনে প্রতিবেশী দেশগুলোর সহায়তাও নেওয়া যাবে। বাংলাদেশের সুন্দরবনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসানো যাবে। এমন কাজ নেপালে করতে হলেও চাই সাম্রাজ্যবাদীদের সহযোগিতা। করপোরেটের হাত ধরে সে সব সুবিধা পেতে আর কতক্ষণ! ফলে বলা যায়, আম আমি পার্টি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে। কংগ্রেস তাদের এখনকার মিত্র, বিজেপিও মিত্র হয়ে উঠতে বেশি দিন সময় নেবে না। যদি আম আদমি না-ও টিকতে পারে তাহলে কংগ্রেস এ সব বাস্তবায়ন করবে ধীরে ধীরে। একটা বিষয় বুঝতে হবে যে কংগ্রেসের সহযোগিতা কিন্তু আম আদমিকে সরকার গঠনে সহায়তা করেছে। বিজেপিকেও এ বিষয়ে খুব আপত্তি করতে দেখা যায় নাই। শুরুটা দিল্লি দিয়েই হল কিন্তু। দিল্লি থেকে ঢাকায় এমন কোনো আম আদমির উত্থান ঘটানো কঠিন কিছু নয়। সময় তার হাতে খেলার দান লুকিয়ে রাখে বলেই সমস্যা। নইলে কে বলতে পারে ঢাকার ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ এমন একটা পাতানো বীজ নয়।
ফলে ঝাড়ুর মালিকানা ঝাড়ুর চরিত্র নির্ধারণ করে। ঝাড়ুকে ময়লা-আবর্জনা চিনতে শেখায়। আম আদমির প্রতীক ঝাড়ুর মালিককে না চিনলে মুশকিলে পড়তে হবে সামনে। জনগণ যদিও ভোট দিয়েছে সব জেনে-শুনেই। কিন্তু ভোটের গণতন্ত্র শেষ ফয়সালা হিসেবে টিকে থাকবে কিনা, গণতন্ত্রের সুবিধা জনস্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে কিনা এ সব প্রশ্ন আম আদমিকে মোকাবেলা করতে হবে অচিরেই। জলের দামে ভারতীয়রা তাদের সার্বভৌমত্ব কতদূর পর্যন্ত বিকাতে রাজি থাকবেন মূল রাজনৈতিক সংঘাত আসলে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
রাজনৈতিক দলের দাতব্য ভূমিকা
রাজনৈতিক দলের এমন কোনো দাতব্য ভূমিকা থাকা নেসেসারি নয়। জনগণের সঙ্গে তার নানা কিসিমের কায়কারবার চলে। জনতার ওঠা এবং বসায় রাজনৈতিক দল সঙ্গী থাকে। রুশ বিপ্লবের নেতা লেনিন বলেছিলেন, রাজনৈতিক দল একটি জীবন্ত প্রক্রিয়া। এর প্রত্যেকটা অঙ্গ অপরাঙ্গের সঙ্গে যুক্ত। সেক্টরিয়ান পলিটিক্স অথবা কায়েমী স্বার্থবাদী রাজনীতির সঙ্গে তাই অন্য জনসমষ্টির সংঘাত অপরিহার্য হয়ে ওঠে অনেক সময়। এখনকার পুঁজিবাদ যেমন সর্বময় হয়ে উঠতে চায় তাতে ঘর-বাড়ি-গাছ-জল-মাছ কোনো কিছু তার আওতার বাইরে থাকে না। প্রাকৃতিক জলাধার, ফলাধার যাই থাক না কেন সে নিয়ন্ত্রণ তৈরি করতে চায়। দখল নিয়ে নিতে চায়। ফলে আপাত যে সুবিধা দিল্লির জনগণ ভোগ করছে তার প্রতিদান বিষয়ে তাদের সতর্কতা জরুরি। হিন্দী ‘নায়ক’ সিনেমায় একদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়ে অনিল কাপুর যা যা করে ফেললেন তার প্রতি জনগণের আগ্রহ থাকতেই পারে। এমন কোনো নায়ককে যে তারা মনে মনে কামনা করেন সেই সিনেমার জনপ্রিয়তা তার প্রমাণ রাখে। আম আদমি তেমন কোনো পর্দার নায়ক পাওয়ার জনআকাঙ্ক্ষাকে পুঁজি করে রাতারাতি বেড়ে উঠেছে। এটা বলা যায়, অনেকে বলছেনও। কিন্তু রাজনৈতিক গোমরটাকে তারা লুকিয়েছে। দিল্লির জনতা কিন্তু কংগ্রেস এবং বিজেপিকেও ভোট দিয়েছে, আম আদমির প্রলোভনে সবার সাড়া সমান নয়। কংগ্রেসের সহযোগিতায় নানা রকম গিমিক তারা তৈরি করতে পেরেছে বটে। তবে তাতে কারসাজি আছে অনেক এমনটা ভাবা অমূলক হবে না। দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকে যে অর্থে ‘ম্যাস মুভমেন্ট’ বলা হচ্ছে তার কিছু চিত্র ভারতীয় গণমাধ্যম মারফত আমাদের দেশেও পৌঁছেছে। আন্না হাজারের যে আন্দোলন তাতে শামিল ছিল অনেক এনজিও কর্মী, শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত জনতা। সকল অংশের জনতা সেখানে হাজির ছিলেন না। তারা রাজনৈতিকভাবে একে গ্রহণ করতে পারেন নাই বলে দূর থেকে অনুমানে আসে। অন্তত আন্না হাজারের অনশন থেকে শুরু করে আম আদমির নানা রাজনৈতিক জমায়েত খেয়াল করলে এ সব বিষয়ে ধারণা তৈরি করা যায়। তাদের মিডিয়া প্রচারও হয়েছিল অনেক। হাজারে একাই এমন একটা ভান সেখানে ছিল। বস্তুত তার পেছনের কারবারিরা আড়ালে ছিলেন আবার একেবারে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে লুকিয়েও থাকেন নাই। তারা ‘স্বচ্ছ’ থাকতে চেয়েছেন। ভারত সরকার অপরাপর জনদাবি যেভাবে দমিয়ে দিয়েছে এ বিষয়ে তাদের ছিল নরম সুর। বিষয়টাকে ফেনিয়ে তোলা হয়েছে অনেক দিন ধরেই। বেশ চতুর পরিকল্পনা করেই আম আদমি দিল্লির মসনদে বসতে পেরেছে বলা চলে। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা যাদের খুব একটা নেই-ও। জনসংযোগ আর গণমাধ্যম এই দুই কৌশল কাজে লাগিয়ে তারা পরিচিতি পেয়েছে সর্বত্র।
মধ্যবিত্ত জনতার যে সমস্ত সংকট তাকে মূলধন করে আম আদমি জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছে। রাষ্ট্রের নাগরিকগণ রাষ্ট্রীয় সম্পদ, বণ্টন, ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন ইত্যাদির নিরিখেই সুবিধাদি ভোগ করবেন। আম আদমির হিসাব ভিন্ন। অনেকটা রামকৃষ্ণ মিশনের মতো। জনতা আসবে আর তারা বিলাবেন। দাতা এবং গ্রহীতার সমাজ। আম আদমি মধ্যবিত্তকে নাই করে দিতে চায়। রাষ্ট্রে কেবল দাতা এবং গ্রহীতা থাকবে। বিদ্যুত কনজিউমের ক্ষমতা একজন মধ্যবিত্তের যতটা খেয়াল রাখতে হবে একজন শিল্পপতির তারও অধিক। ফলে দাম কমিয়ে দিলে সুবিধা বেশি পাবেন বড়লোকেরা। গরিবের সুবিধা তেমন নাই বললে চলে। তার দিন আনি দিন খাই অবস্থার নিরসন ঘটবে কীভাবে। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তার নিরাপত্তা, জীবনমানের নিশ্চয়তা ইত্যাদির অধিকার গুরুত্বপূর্ণ। সে সব বিষয়ে আম আদমির বলার কথা তেমন নাই। শ্রমশোষণের বিষয়ে কি হবে, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কী বিচার হবে, রাষ্ট্র মানে যে এক বিশাল যজ্ঞ তার সংজ্ঞাই কেমন পাল্টে দিতে চায় এই আম আদমি! অনেক বিষয়ে কিন্তু তাদের বক্তব্য খুঁজে পাওয়া যায় না। বরং জনকল্যাণের মতো কিছু দাতব্য কাজ তারা করতে চায়। এটা তাদের চরিত্রকে চিহ্নিত করার একটা উপায়, সহজে এ কথা বলা যায়। দিল্লির মসনদে তারা অন্তত কয়েক বছর টিকে থাকবেন ভালো মতো। কিন্তু দিল্লি বলতে যে বিদ্যুৎ আর পানি কিংবা নোংরা বস্তি বোঝায় না তা টের পেতে খুব বেশি রাজনীতি সচেতনতার দরকার হয় না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়ার অন টেরর’ পরবর্তী সময়ে বিশ্ব রাজনীতির বাঁক বদলের কৌশলগুলোও এ ক্ষেত্রে নজরে রাখা জরুরি। যুক্তরাষ্ট্র এখন আর দখল অথবা যুদ্ধ করে নয় আইডিয়া দিয়ে রাষ্ট্র কব্জা করতে চায়। সেটা অধিক নিরাপদ। করপোরেট রাষ্ট্র তাদের এ সব কাজের জন্য সুবিধা। তাতে সার্ভিল্যান্স থাকবে বাধাহীন। খানা-খাদ্য থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, সব কায়দা করে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারলে তাদের হুমকি কমে। নুতন মার্কিন রাজনীতির নতুন ঘুঁটি আম আদমি, এমন একটা হুঁশিয়ারি নিয়ে রাজনৈতিক কাজ করে যাওয়ার কতর্ব্য বর্তাচ্ছে অন্তত দক্ষিণ এশিয়ার মানুষজনের।
সালাহ উদ্দিন শুভ্র : লেখক ও সাংবাদিক
পাঠকের মতামত:
- পুঁজিবাজার সংস্কারে রূপরেখা তৈরির কাজ চলছে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
- বৃথা গেল রাদারফোর্ড-মোতির লড়াই, সিরিজ শ্রীলঙ্কার
- হালান্ডের নজরকাড়া গোলের রাতে সিটির রেকর্ড, লিভারপুলের তিনে তিন
- গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, নিহত আরও ৭৪ ফিলিস্তিনি
- পায়রা থেকে ৪৭৫ কিমি দূরে ‘দানা’, অতিভারী বর্ষণের আভাস
- সাবেক আইজিপি শহীদুল-বেনজীরের বিরুদ্ধে মানবপাচারের মামলা
- আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল
- ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় ছাত্ররাজনীতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে: ছাত্রদল
- গণঅভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি ও সংবিধান অকার্যকর: নাহিদ ইসলাম
- রাষ্ট্রপতির অপসারণ চেয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক
- সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ আটক
- হত্যা-ধর্ষণ-নিপীড়নের দায়ে নিষিদ্ধ হলো ছাত্রলীগ
- 'লাল কার্ড' তো খেলারই অংশ!
- পশ্চিমবঙ্গে ‘ডানা’ আতঙ্ক
- সেন্টমার্টিনে নভেম্বরে রাত্রিযাপন ও ফেব্রুয়ারিতে গমন নিষিদ্ধ
- আগামী ৩০ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে হজ প্যাকেজ
- চুয়াডাঙ্গায় তেলবাহী ট্রেনের ট্যাঙ্কার লাইনচ্যুত, যোগাযোগ বন্ধ
- প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব হলেন মোজাম্মেল হক
- বঙ্গভবন এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি, সতর্ক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
- ড. ইউনূসের মেডিকেল টিম নিয়ে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের পরোয়ানা আইজিপির কাছে : চিফ প্রসিকিউটর
- নতুন রাষ্ট্রপতি আনতে দুই দিনের সময় নিলেন সারজিস-হাসনাত
- বঙ্গভবনের সামনে এক শিক্ষার্থীসহ ২ জন গুলিবিদ্ধ
- গণহত্যার দায়ে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করুন : হেফাজতে ইসলাম
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে সহস্রাধিক
- ১০১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ, চোখ রাঙাচ্ছে প্রোটিয়ারা
- সূচকের উত্থান, বেড়েছে লেনদেন
- "রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের সঙ্গে সরকার একমত"
- জনগণ যেন কুয়াশার মধ্যে আছে: রিজভী
- পুলিশ সদর দপ্তরে শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
- রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ পাঁচ দফা দাবি
- বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের
- প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দুই উপদেষ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
- এবার রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের সড়কে আগুন
- কুষ্টিয়ার মিরপুরের হালসা বাজারে মিনিস্টার-এর নতুন শো-রুমের শুভ উদ্বোধন
- অতীতের ভুলে পুঁজিবাজার আজ দুর্বল অবস্থানে: ডিএসই চেয়ারম্যান
- ‘সবার স্বপ্ন, পুঁজিবাজার হবে দেশের অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু’
- ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু ৪ জানুয়ারি, আবেদন ৪ নভেম্বর থেকে
- হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করেছেন: আসিফ নজরুল
- লেবানন থেকে ফিরলেন নারী শিশুসহ ৫৪ বাংলাদেশি
- পাঁচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ
- ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের’ সম্পাদক সারজিস, প্রধান নির্বাহী স্নিগ্ধ
- মধ্যরাতে গ্রেপ্তার ব্যারিস্টার সুমন
- বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন : রাষ্ট্রপতিকে হাসনাত
- দ.আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ অলআউট ১০৬
- নীলক্ষেত-সায়েন্সল্যাব মোড়ে ৭ কলেজের ছাত্রদের অবস্থান, তীব্র যানজট
- উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলি করে একই পরিবারের ৩ জনকে হত্যা
- সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ
- মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের কোনো ভূমিকা ছিল না : মাহমুদুর রহমান
- ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা
- মুল্ডারের আঘাতে শুরুতেই চাপে বাংলাদেশ
- আন্দোলনে হামলায় জড়িত ৪০০ ছাত্রলীগ নেতার নামে মামলার প্রস্তুতি
- মোহাম্মদপুরে অস্ত্র ঠেকিয়ে ১১ লাখ টাকা ছিনতাই
- গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪২,৬০০ ছাড়াল
- সাবেক প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ গ্রেপ্তার
- ৩৫ প্রত্যাশীদের অবস্থান, ৭ কলেজের বিক্ষোভ আজ
- হজের টাকা ফেরতের নামে প্রতারণা, সতর্ক থাকতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ
- অর্থ আত্মসাৎ মামলা: আপিলের অনুমতি পেলেন ড. ইউনূস
- এখনই স্বাভাবিক হচ্ছে না ভারতের পর্যটক ভিসা
- সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ যেসব উপকূলে আঘাত হানতে পারে
- ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি নিয়ে বিএসইসির নতুন নির্দেশনা
- ১৫ মার্চেন্ট ব্যাংক-বিএসইসির বৈঠক বুধবার
- চাল আমদানিতে শুল্ক-কর কমল
- বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঋণ শোধের সময় বাড়ল ৩ মাস
- আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষে বিদেশি চক্র জড়িত ছিল
- ডিবি হারুন ও তাঁর পরিবারের ব্যাংক হিসাব তলব
- এবি সিদ্দিকের মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
- "গণঅভ্যুত্থানে পুলিশ মারা যাওয়ার দায় শেখ হাসিনার"
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে : গভর্নর
- ওয়ালটন-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসব-২০২৪ শুরু সোমবার
- হিরু সিন্ডিকেটের শেয়ার কারসাজির তথ্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা
- বিসিবির সঙ্গে আলাপ হচ্ছে: সালাউদ্দিন
- সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির শঙ্কা, আগামী ৩ দিন আবহাওয়া যেমন থাকবে
- হামাসের পরবর্তী প্রধান হচ্ছেন কে?
- রামপুরা থেকে কন্ঠশিল্পী মনি কিশোরের লাশ উদ্ধার
- হামাসের পরবর্তী প্রধান হচ্ছেন কে?
- আমরাও চাচ্ছি, দ্রুত নির্বাচন হোক: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা
- স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী সুজয় শ্যাম আর নেই
- প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা, রোববার স্মারকলিপি দেবেন বিনিয়োগকারীরা
- সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার গ্রেপ্তার
- নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন, হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ
- চতুর্থ দফা সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা
- ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে: আসিফ নজরুল
- রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুতের ৬ কর্মকর্তা রিমান্ডে
- ত্রিপুরায় ফ্যাসিবাদের দোসররা একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করছে: হাসনাত
- জুলাই হত্যাকাণ্ড: স্মৃতিস্তম্ভ-লাইব্রেরি স্থাপনের নির্দেশ
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ২৩ প্রস্তাব এলডিপির
- ঢাকায় আহত পথশিশুদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
- কাজ না করলে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করবো না: আসিফ মাহমুদ
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে : গভর্নর
- স্বর্ণের দামে ফের রেকর্ড, প্রতি ভরি ১৪০০৬১ টাকা
- বিসিবির সঙ্গে আলাপ হচ্ছে: সালাউদ্দিন
- ‘শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ওয়ালটন বিশেষভাবে সম্পৃক্ত’
- আন্দোলনে হামলায় জড়িত ৪০০ ছাত্রলীগ নেতার নামে মামলার প্রস্তুতি
- মধ্যরাতে গ্রেপ্তার ব্যারিস্টার সুমন
- বৈশ্বিক ক্রেতাদের নজর কাড়ছে ওয়ালটনের এআই, আইওটি বেজড স্মার্ট পণ্য
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও স্টার টেক লিঃ এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
- স্বাধীন সাংবাদিকতা ছাড়া গণতন্ত্র সুরক্ষা পাবে না: কাদের গনি
- হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করেছেন: আসিফ নজরুল
- ‘সিনওয়ার হত্যা’র দাবির মধ্যে ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ ইসরায়েলের