thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে 24, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১১ জিলকদ  1445

শেষ বেলায় ৪৪ বিদ্রোহীকে নিষ্ক্রিয় থাকার নির্দেশ

২০১৪ জানুয়ারি ০৪ ২৩:৩৭:২৬
শেষ বেলায় ৪৪ বিদ্রোহীকে নিষ্ক্রিয় থাকার নির্দেশ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিদ্রোহী ৪৪ প্রার্থী নিয়ে চিন্তিত আওয়ামী লীগ। এই ৪৪ জনের মধ্যে ১০ হেভিওয়েট প্রার্থী নিয়ে বেশি চিন্তিত দলটির নীতি-নির্ধারণী মহল। তাদের কাছে খবর আছে, নিষ্প্রাণ ভোটের মাঠে বিদ্রোহীরা বিজয় ছিনিয়ে নিতে পারে। ভরাডুবি হতে পারে দল মনোনীত প্রার্থীদের। এ জন্য ভোটের আগে শেষ মুহূর্তে এ সব প্রার্থীদের ভোটের দিন নিষ্ক্রিয় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে।

জানা গেছে, ভোটের আগের দিন শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বসে কমবেশি ২১ জেলার প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের। তিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তও। বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে তিনি জেলা পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্রোহীদের এই মুহূর্তে দলের জন্যে বিষফোঁড়া মনে করছে আওয়ামী লীগ। ১৪৭টি সংসদীয় আসনে রবিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আওয়ামী লীগের একটি নিজস্ব অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ৪৪ বিদ্রোহী প্রার্থীর এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের বিভক্তি। তাতে দলীয় মনোনীতদের পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতা এই প্রতিবেদককে বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়টি এতদিন কেন্দ্রীয় নেতারা এড়িয়ে গেলেও এখন সমস্যা বলেই মনে করছেন। তাই শেষ বেলায় চেষ্টা চলছে তাদের ভোটের মাঠে নিষ্ক্রিয় রাখার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা বলেন, ‘তবে চেষ্টা ব্যর্থই হচ্ছে।’

জানা গেছে, বিদ্রোহী প্রার্থীদের বসিয়ে দিতে কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের নানা প্রলোভন দেখাচ্ছেন। তাতে কাজ না হওয়ায় বেশ শাসিয়েছেন। কিন্তু তাতে উল্টো ফল ঘটছে। মাঠের নেতারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গছে, মাঠের নেতাদের বসিয়ে দিতে ওবায়দুল কাদের লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় মোবাইল ফোনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে জেলা নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওবায়দুল কাদের মোবাইল ফোন থেকে লক্ষ্মীপুরের পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের সঙ্গে কথা বলেন। এখনো বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন, তা জানতে চান তিনি।

এতে অনেক তৃণমূল নেতারাই পাল্টা ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবু তাহের ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছে স্বীকার করেন। এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘তিনি আমাকে লক্ষ্মীপুর-১ ও ৪ আসনের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ভোটের দিন নিষ্ক্রিয় রাখতে উদ্যোগ নিতে বলেছেন। আমি পারব না বলেছি। কারণ আমি দলের কোনো দায়িত্বে নেই।’

ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী স্বীকার করেন ওবায়দুল কাদেরের ফোন দেওয়ার কথা। তিনি বলেন, কাদের ভাই আমার নেতা ফোন করে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। ফেনী-৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী একজন প্রার্থী রহিমউল্যাহ। ওবায়দুল কাদের ফোন করেছেন চট্টগ্রামের নেতা আ জ ম নাসিরকেও।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরুত্তাপ। ইতোমধ্যে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বাকি ১৪৭টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে রবিবার। এর মধ্যে ৪৪টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই হচ্ছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের। এ লড়াইয়ে বিপাকে পড়েছেন দলটির হেভিওয়েট নেতারাও। হেভিওয়েটদের মধ্যে অন্যতম দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরউল্যাহ ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু।

নির্বাচনে যে ৪৪টি আসনে সবার নজর :

শেরপুর-২ আসনে বর্তমান এমপি ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর বিপক্ষে আনারস মার্কা নিয়ে লড়ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বদিউজ্জামান বাদশা। ভোটারদের সঙ্গে ব্যাপক গণসংযোগ করে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছেন বদিউজ্জামান বাদশা। তিনি রীতিমতো চষে বেড়াচ্ছেন নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলার গ্রাম থেকে গ্রামে। বাদশা এলাকায় নির্বাচন জমিয়ে তোলায় নির্বাচনী প্রচারণায় বেশ বেকায়দায় আছেন আওয়ামী লীগের এ প্রভাবশালী নেত্রী মতিয়া চৌধুরী।

ফরিদপুর-৪ আসনে কাজী জাফরউল্লাহর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ লিটন চৌধুরীর ছোট ভাই মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী। নিক্সন চৌধুরীও যথারীতি নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন বলে জানা গেছে। কাজী জাফরউল্লাহর পাশাপাশি সমানতালে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান। বেশ চাপে থাকা কাজী জাফরউল্লাহর পক্ষে ভোট চাইতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই ছুটে গিয়েছেন কাজী জাফরউল্লাহর নির্বাচনী এলাকায়।

হবিগঞ্জ-১ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়ী হওয়ায় নির্বাচন হচ্ছে বাকি তিন আসনে। এ সব আসনে মোট আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে হবিগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পাশাপাশি লড়াই করছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীও।

অন্যান্য স্থানের তুলনায় পাবনায় নির্বাচনী হাওয়া এখন তুঙ্গে। পাবনা-১ আসনে মোট চারজন প্রার্থী নির্বাচনে নামলেও লড়াইটা হবে মূলত আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ও আরেক আওয়ামী লীগ নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইদের মধ্যে। এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির নজরুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির ইয়াছিন আরাফাত।

চৌগাছা-ঝিকরগাছা নিয়ে গঠিত যশোর-২ আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী লড়াই। উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম। এ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম, তার প্রতীক কলস। ঝুঁকিপূর্ণ এ আসনে এরই মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন তিনজন।

যশোর-৪ আসনে দলীয় প্রার্থী রণজিৎ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে সংসদের বর্তমান হুইপ শেখ আবদুল ওহাব স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। যশোর-৫ আসনে এমপি খান টিপু সুলতানের প্রতিপক্ষ নিজ দলের স্বপন ভট্টাচার্য।

নির্বাচনী লড়াইয়ে মাগুরা-১ আসনে এম এস আকবরের প্রতিপক্ষ শ্রীপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি কুতুবুল্লাহ হোসেন ও বর্তমান এমপি অধ্যাপক ডা. মিয়া ও মাগুরা-২ আসনে এমপি বীরেন শিকদারের প্রতিপক্ষ মোহাম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান।

বাগেরহাট-৪ আসনে মো. মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন নিজ দলের দুজন মনিরুল হক ও আবদুর রহিম খান। মনিরুল হক মোরেলগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক। আর আবদুর রহিম খান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

সাতক্ষীরা-২ আসনে মীর মোস্তাক হোসেনের বিরুদ্ধে ছাইফুল করিম, টাঙ্গাইল-৬ আসনে খন্দকার আবদুল বাতেনের বিরুদ্ধে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আনিসুর রহমান, জামালপুর-২ আসনে ফরিদুল হক খানের বিরুদ্ধে আতিকুর রহমান লুইস শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী।

নেত্রকোনা-১ আসনে মনোনয়ন পাননি বর্তমান এমপি মোস্তাক আহমেদ রুহী। এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ছবি বিশ্বাসকে। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মোস্তাক আহমেদ এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য জালাল উদ্দিন তালুকদারের ছেলে শাহ কুতুবউদ্দিন তালুকদার। এখানেও লড়াই হবে ছবি বিশ্বাস ও এমপি রুহীর মধ্যে।

নেত্রকোনা-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ খান জয়। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা নূর খান।

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনের মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে কেবল চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে। এখানে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে মূলত আওয়ামী লীগের গোলাম মোস্তফা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খুরশিদ আলম বাচ্চুর।

ঢাকায় নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে ঢাকা-৭ আসনে। এ এলাকায় বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন লড়ছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মো. সেলিম লড়ছেন হাতি মার্কা নিয়ে। দুজনই চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। জনসমর্থনেও সমানে সমান।

এছাড়া ঢাকা-১৬ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। আওয়ামী লীগের আরেক স্থানীয় নেতা এবং তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি। তার প্রতীক আনারস।

ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদারের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ঢাকা-১৬ আসনের এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার বড় ভাই এখলাসউদ্দিন মোল্লা। এ আসনে দুজন প্রার্থীর প্রচারই চোখে পড়ার মতো।

ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। তাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বিশেষ সহকারী ড. আওলাদ হোসেন। ড. আওলাদ হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী এলাকার শ্যামপুর-কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নীরব সমর্থন আছে বলে জানা গেছে। এ আসনেও বেশ জোরেশোরেই বইছে নির্বাচনী হাওয়া।

ময়মনসিংহ-৩ আসনে সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মজিবুর রহমান ফকিরের পথের কাঁটা হয়ে আছেন নিজ দলের নাজনীন আলম। নাজনীন আলম এখন নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে নির্বাচন জমিয়ে তুলছেন ময়মনসিংহ-১১ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা সাহাদাত উল্লাহ চৌধুরী। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আমান উল্লাহ।

গাইবান্ধা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা খুরশীদ জাহান। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলামের সঙ্গে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গাইবান্ধা-২ আসনে বর্তমান এমপি মাহবুব আরা গিনির বিরুদ্ধে লড়ছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মকদুবুর রহমান। গাইবান্ধা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। এখানে তুমুল লড়াই হবে বলে জানা গেছে।

সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন আবদুল মজিদ মণ্ডল। তার বিরুদ্ধে লড়ছেন বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।

ঝিনাইদহ-১ আসনে সাবেক মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আবদুল হাইয়ের বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক নায়েব আলী জোয়ারদার। ঝিনাইদহ-২ আসনে শফিকুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূর এ আলম সিদ্দিকীর ছেলে তানজীব আলম সিদ্দিকী। ঝিনাইদহ-৩ আসনের বর্তমান এমপি শফিকুল আজম খান মনোনয়ন পাননি। তিনি দলীয় প্রার্থী নবী নওয়াজের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

নওগাঁ-৩ আসনে আকরাম হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছলিম উদ্দিন ও নওগাঁ-৫ আসনে আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম দাঁড়িয়েছেন। আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সভাপতি ও বর্তমান এমপি মেরাজউদ্দিন মোল্লা এবার রাজশাহী-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন দলের মনোনীত প্রার্থী আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধে। রাজশাহী-৬ আসনে শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন দলের সাবেক সংসদ সদস্য রায়হানুল হক (রায়হান)।

মেহেরপুর-১ আসনে দলীয় প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়ারুল ইসলাম, মেহেরপুর-২ আসনে আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, কুষ্টিয়া-১ আসনে আফাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৪ আসনে আবদুর রউফের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান সদরউদ্দিন খান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

সুনামগঞ্জ-২ আসনে মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ রফিকুল হক। আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আবদুস সামাদ আজাদের ছেলে আজিজুস সামাদ দলের মনোনয়ন পাননি। তিনি সুনামগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন দল মনোনীত প্রার্থী এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে।

কুমিল্লা-১ আসনে বর্তমান এমপি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলীর ভূঁইয়ার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা হাসান জামিল সাত্তারের ছেলে নাইম হাসান। কুমিল্লা-৬ আসনে এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিনের বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন দলে তার দীর্ঘদিনের প্রতিপক্ষ আফজল খানের ছেলে কুমিল্লা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ খান। নোয়াখালী-৬ আসনে আয়েশা ফেরদৌসের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন আমিরুল ইসলাম।

(দ্য রিপোর্ট/আইজেকেএল/জেএম/শাহ/জানুয়ারি ৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

বিশেষ আয়োজন এর সর্বশেষ খবর

বিশেষ আয়োজন - এর সব খবর