তাওফীক আল্-হাকীমের উপন্যাস
লায়লাতুয্ যিফাফ্

তরজমা : ড. এম. এ মোত্তালিব (পূর্ব প্রকাশের পর)
(দুই)
দিনের পর দিন অতিবাহিত হতে থাকে। বর সুদক্ষ নায়কের ন্যায় তার প্রতিশ্রুত অভিনয়কর্ম যথাযথভাবে চালিয়ে যায়। দুর্ব্যবহারের মাধ্যমে শাশুড়িকেও সূক্ষ্মভাবে বুঝাতে চেষ্টা করে- এ যাবত তার একমাত্র ললনা-দুলালীর জন্যে যেমন স্বামী কামনা করতেন- এ সে ধরনের নয়। কিন্তু সমস্যা একটাই। ঐ সমস্যাটাই তার কাছে প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা হল- একই ঘরে ভাগাভাগি করে অবস্থান করার প্রশ্ন। এ রকম অকল্পনীয় ও অবিশ্বাস্যভাবে নকল স্বামী-স্ত্রীর অভিনয় করে আর কয় দিন টিকা যায়। একটা ভরা যৌবনা নারীর সাথে একই ঘরে রাত কাটানো তার পক্ষে আর সম্ভব হয়ে ওঠছে না। এক ঘরে অবস্থান করেও তারা উভয়ে যেন একেবারেই অচেনা। ভরা যৌবনের উম্মাদনা সদ্য বিবাহিত নব দম্পতিকে সারাক্ষণ নাড়া দিতে থাকে। প্রতি মুহূর্তে জৈবিক বাসনা পূরণে উচ্ছ্বসিত কামনা তাড়িত করে। বর অনুভব করে আলাদা বিছানায় থাকা সত্ত্বেও কনের শ্বাস-প্রশ্বাসের গরম বাতাস যেন তার মুখমণ্ডলকে ঝলসে দিচ্ছে। টগবগে যৌবনে ভরা এ রমণীর প্রতিটি নড়াচড়া যেন বরের চোখের সামান্যতম তন্দ্রাকেও কেড়ে নিতে থাকে।
কনে যখন কাশি দেয়, বর তখন নড়েচড়ে পাতলা কম্বলের নীচে মাথা গুঁজে নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করে। জানালা দিয়ে পূর্ণিমা চাঁদের মিষ্টিআলো কনের মুখে পড়ে। আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে বর ভাবতে থাকে চাঁদের আলোয় কনের চেহারার প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গ অপরূপ শোভায় কি-না চমৎকার লাগছে! চাঁদের আলোও যাতে কনের ঘুমে কোনো ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে সে জন্য জানালায় ঝুলিয়ে দেয় একটা পর্দা। কালেমা পড়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েও অপরিচিতা নারীটি যখন এপাশ থেকে ওপাশ হয় বরও তার পাশ বদলিয়ে অন্য কাত হয়। গভীর রাতে কনে যখন প্রয়োজন সারতে জেগে ওঠে বর তখন গভীর ঘুমের ভান করে। অস্থিরতার ভারী শ্বাস-প্রশ্বাসকে কঠিনভাবে চেপে রাখে। কনে বুঝতেই পারে না- সে জেগে আছে। খাটের ওপর এ যেন এক শান্ত-ঘুমন্ত অবিচ্ছেদ্য আপদ। ওদিকে কনেও পুরোপুরিই জাগ্রত। তার চোখেও বিন্দু মাত্র ঘুম নেই। কনের তন্দ্রাহীন চোখের চাহনি বরের বিছানার সবকিছুকে যেন জড়োসড়ো করে ফেলে। শিথিল হয়ে আসে তার সকল শিরা-উপশিরা। চুর্ণ-বিচুর্ণ হতে থাকে তার সকল আশা-আকাঙ্ক্ষা। বিছানায় সে অস্থির হয়ে কাতরাতে থাকে। নিজেকে মনে হয় একেবারে তুচ্ছ কোনো খড়-কুটো।
সম্পূর্ণ ভিন্ন বিছানায় থাকা সত্ত্বেও নাকে ভেসে আসতে থাকে কনের শরীরের মেয়েলী ঘ্রাণ। অনুভব করে ঘুমের মাঝে কনের ছন্দ মিলানো শ্বাস-প্রশ্বাসের কোমল পরশ। মৃদু-অস্পষ্ট ও থেমে থেমে আসা কনের নাকের ডাক বরের কাছে বাদ্যযন্ত্রের নীরবচ্ছিন্ন ঝংকার বলে মনে হয়। তার ঘুমোনোর বিশেষ ভঙ্গি বরকে আরও বেশী আকৃষ্ট করে। মুখের ওপর ভর দিয়ে উপুর হয়ে শোয়া। কাজল-কালো কেশগুলো এলোমেলো। বুকের উপরিভাগ উন্মুক্ত। আর যে বালিশের উপর ঠেস দিয়ে শুয়ে আছে সেটিকে এক অকল্পনীয় ভঙ্গিতে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরেছে। রাতের এ দৃশ্য সত্যিই অসহ্য। রক্তে-মাংসে গড়া কোনো মানুষের পক্ষে এ আযাব সহ্য করা সম্ভব নয়। হৃদয়কে পাষাণ করে সহ্য করে চলে একরাত, দুইরাত- তিনরাত- চাররাত। এভাবে প্রায় সপ্তাহ গড়িয়ে যায়। কিন্তু ঐভাবে রাত কাটানো তার ধৈর্য ও সহ্যের বাইরে চলে যেতে থাকে। ভাবতে থাকে- কীভাবে কী করা যায় ?
আর বাড়িটা এমন যেখানে পাঠকক্ষ, ডাইনিং স্পেস কিংবা তাদের বাসর ঘরের বেলকনি ছাড়া অন্য কোনো বেডরুম নেই। অন্য যে কক্ষটি শোবার মতো আছে সেখানে তার শাশুড়ি গভীর ঘুমে অচেতন। বর ভাবতে থাকে তবে কি সে ডাইনিং স্পেসে গিয়ে রাতগুলো কাটিয়ে দিবে? সদ্য বিবাহিত বরের এ আচরণে বাড়ির কাজের লোক কিংবা শাশুড়িই বা কী ভাববে? আর শাশুড়ি তো নতুন মেয়ে-জামাইয়ের এমন আলাদা থাকাকে কখনই বরদাস্ত করবেন না। উপরন্তু কলিজার টুকরা এ মেয়েটিই তাঁর একমাত্র ভরসা। বর ভেবে দেখে এক্ষেত্রে কঠিন ধৈর্যধারণ ছাড়া আর কোনো পথ নেই। অতিসত্ত্বর বিষয়টির একটা চূড়ান্ত সমাধান হওয়া উচিত।
দিনের পর দিন তাই সে তার দুর্ব্যবহারের মাত্রা বাড়াতে থাকে। কিন্তু শাশুড়ি তাঁর মেয়ের মধুর দাম্পত্য সম্পর্কের আশায় বিষয়টিকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে। তার মেয়েও বরের শিখানো অভিনয়ে তেমন পারদর্শী নয়। তাই বরও অনেক সময় তার কাল্পনিক স্ত্রীর উপর রাগ-ধমক ও ক্রদ্ধ প্রকাশ করতে থাকে। তবে কনে ভালো করেই জানে- রাতে বর যখন তার সাথে নির্জন কক্ষে মিলিত হবে তখন সারা দিনের দুর্ব্যবহারের কারণ সে এমনভাবে পেশ করবে- তার অন্তরাত্মা পর্যন্ত হিম হয়ে যাবে। রকমারি অভিনয়ের কারিশমায় কষ্টদায়ক বিষয়কেও আনন্দময় করে তুলবে। কনেকে তখন একটা কচি খুকীর ন্যায় মনে হবে। সে রাগের পরিবর্তে হাঁসতে শুরু করবে। বর তাকে চোখের ঈশারায় মনের ভাষা বুঝাবে। কনেকেও তার অব্যক্ত কথা ইশারায় প্রকাশ করতে উৎসাহিত করবে।
কিন্তু তবুও অনেক সময় তার ভুল হয়ে যায়। সে তার মায়ের সামনেই বরের অভিনয়মূলক আচরণের প্রতিবাদ করে বসে। কিংবা উপস্থিত দর্শকদের সামনে কোনো সমালোচনা করলে তাও প্রতিহত করে। কিন্তু রাতে কৃত অভিনয়ের অঙ্গীকারের কথা স্মরণ হওয়া মাত্র থুক্কু কেটে তার দু'ঠোটের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আসে- ‘হায় আল্লাহ এ কোন জ্বালা’!
সময় তার আপন গতিতে গড়িয়ে চলে। একদিন অভিনয়ের পরিকল্পনাকারী স্বামীর মাথায় একটা নতুন প্লান আসে। অসহ্য মনোকষ্ট নিয়ে রাত্রিযাপন থেকে মুক্তির একটা পথ সে পেয়ে যায়। প্লান করে- প্রতিদিন সে তার পূর্ব পরিচিত এক ব্যাচেলর বন্ধুর বাড়ি গিয়ে সময় কাটাবে। তার সাথেই চুটিয়ে আড্ডা দিবে। এমনকি আসরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানেই ঘুমিয়ে কাটাবে। ওদিকে স্ত্রী ও শাশুড়িকে খবর দিবে নানা কাজের ব্যস্ততাই তার এ অনুপস্থিতির কারণ। রাত দশটার আগে ফেরা হবে কি না বলতে পারছে না। কোনো কোনো দিন মাঝ রাতও হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া তার কোনো উপায় নেই। অভিনয় তালিকার সাথে দুর্বিষহ ও অপছন্দনীয় এ অধ্যায়টি এভাবেই সংযোজন করা সম্ভব হতে পারে।
দ্বিতীয় আর এক রাতে বর একেবারে ভোর রাতে বাড়ি ফিরে। বন্ধুর জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে দাওয়াত ছিল। আনন্দমূখর সে রাতটিতে গান-বাজনা, হাসি-তামাসা, আনন্দ-ফূর্তি আরও কত কি। ফিরে এসে দেখেই তো চোখ চরক গাছ! এ কি। স্ত্রী সারা রাত জেগে খাটের ওপর বসে আছে। তার আগমনে ভ্রূকুঞ্চিত করে ক্রুদ্ধের দৃষ্টিতে তাকায়। না! এ চাহনি তো অভিনয়ের নয় । বরং সত্যি সত্যিই সে রাগে চোখ-মুখ কালো করে বসে আছে। বর তার বিলম্বের জন্য অজুহাত পেশ করে। ব্যাখ্যা করতে থাকে বিলম্বের প্রকৃত কারণ। কনে খুশী কিংবা রাগ কিছুই প্রকাশ না করে চুপ-চাপ বসে থাকে।
এভাবে কয়েক সপ্তাহ পার হয়ে যায়। কনে একদিন স্বামীর কাছে বায়না ধরে, তাকে নিয়ে সিনেমায় যেতে হবে। শাশুড়িও তার এ আবদারে সমর্থন দিয়ে বলে :
- হাঁ ! জামাই বাবাজী যাও না। সব স্বামী-স্ত্রী যেভাবে বাইরে বেরোয়, সেভাবে তুমিও স্ত্রীকে নিয়ে একটু ঘুরে-ফিরে এসো না বাবা। বর ভাবে শাশুড়ির আদেশের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন একান্ত প্রয়োজন, নইলে আদবের বরখেলাপ হয় সে বলে :
- আমার যেতে কোনো আপত্তি নেই তবে অসুবিধা তো একটাই : আমি আপনার মেয়েকে নিয়ে সিনেমা দেখতে যাব ?!
- কেন বাবা, বাধা কীসে ? সে চালাক-চতুর কিংবা রূপে-গুণে কম নাকি? সে তোমার মতো স্বামীর সাথে বেশ মানিয়ে চলতে পারবে।
- এটা তো আপনার একার নিজস্ব মত।
- জামাই বেটা! দোষের কিছু।
- যখন-তখন আপনার মেয়েকে নিয়ে ফূর্তি করার সময় আমার নেই।
পাশেই রাগে স্ত্রীর চেহারা লাল হয়ে যায়। সে বলে :
হাঁ! গভীর রাত পর্যন্ত ঘুরে-ফিরে মাঝ রাতে যখন বাড়ি ফিরেন তখন আপনার সময় হয়। তখন আর সময় নষ্ট হয় না?! তাই না।
- দেখ সোনিয়া সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
- আচ্ছা ঠিক আছে, আপনি না গেলেন। আমি আর জীবনে কখনও কোনো দিনও আপনার সাথে বাইরে বের হব না।
এই বলে সে ক্রদ্ধভরে দ্রুত তার শোবার ঘরে চলে যায়। মনক্ষুণ্ন ও মনকষ্ট নিয়ে শাশুড়িও নির্বাক-নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে। বরও প্রতিদিনের ন্যায় তার কর্মের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। বাড়িতে যা কিছু ঘটলো তার কিছুই সে মনের সাথে জড়ায় না। নাট্যাভিনেতা যেমন ভয়ংকর ও দুর্দান্ত পাঠ শেষে একেবারেই স্বাভাবিক থাকে। সব দোষ সে তার স্ত্রীর ওপরই চাপায়। তাকেই দোষারোপ করে এবং কথায় কথায় আহত করে ছাড়ে। সন্ধ্যায় ফিরে দেখে স্ত্রী খাটের ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। মাথা গুজিয়ে রেখেছে বালিশের মাঝে। বালিশ তার চোখের পানিতে ভিজে একেবারে স্যাঁতসেঁতে। বর ঘরে প্রবেশ করলেও বিন্দুমাত্র নড়াচড়া তার মাঝে দেখা গেল না। চাপা কান্নার ফোঁপানী এবং নিঃশব্দ গুনগুনানী যদি না শোনা যেত তবে বর মনে করত সে গভীর ঘুমে অচেতন। ধীর পদক্ষেপে বর কাছে গিয়ে বলে :
- সোনিয়া! তোমার কী হয়েছে? তোমার কি কিছু হয়েছে?
কনে বালিশ থেকে মাথা তুলে। বরের দিকে এক পলক তাকায় কিন্তু কোনো উত্তর করে না। তখনও তার মসৃণ গালে অশ্রুর রেখা স্পষ্ট হয়ে আছে। সহানুভূতির সূরে বর বলে :
- আমি তো অনেক দিন যাবত তোমাকে এভাবে কাঁদতে দেখি না। তাঁর কি কিছু হয়েছে?
- কার কথা বলছেন?
- সামরিক অফিসার।
- কোথাকার কোন সামরিক অফিসার? অ্যা-
তার কথার প্রতিটি শব্দ প্রতিবাদী কণ্ঠেই উচ্চারিত হয়। তারপর সে মৃদু-ভর্ৎসনার সূরে চিৎকার দিয়ে ওঠে। দ্রুততার সাথে বলে :
- না, আর না। আপনি আর আপনার দুর্ব্যবহারের অপরাধকে এড়িয়ে যেতে পারবেন না। বরং বারবার আপনার দুর্ব্যবহারের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এ যাবত অনেক সহ্য করেছি। আর নয়। আমি আর আপনার একটি দুর্ব্যবহারও সহ্য করতে পারব না। আমার ওপর যথেষ্ট হয়েছে। পুরুষের এ ধরনের দুর্ব্যবহার সহ্য করতে পারে পৃথিবীতে এমন কোন নারী নেই!
- এই যে... আত্মভোলা নারী! এ সব তুমি কী বলছ?
- আপনি কি অস্বীকার করতে পারবেন- আজ আমাকে কতটা কষ্ট দিয়েছেন?
- এ তো স্বাভাবিক অভিনয় মাত্র।
এটা আপনার খোঁড়া যুক্তি। অভিনয়ের আড়ালে আমার প্রতি আপনার অপছন্দের ভাবটাই গোপন করার চেষ্টা করছেন।
- সুব্হানাল্লাহ।
- প্রায়ই আপনি নিজেকে পারতপক্ষে দীর্ঘক্ষণ আমার চোখের সামনে থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছেন, আপনি কি এটা অস্বীকার করতে পারবেন? কাকডাকা ভোরে আমি ঘুমিয়ে থাকতেই আপনি সাত-সকালে বেরিয়ে পড়েন। লাঞ্চের আগে আর আপনার কোনো ছায়া পাওয়া যায় না। তড়িঘড়ি দুপুরের খাবারটুকু সেরে আবার বেরিয়ে পড়েন, রাত দশটা-এগারটা কিংবা রাত দুপুরের আগে আর আপনার কোনো পাত্তা থাকে না। এগুলো কি আমার চোখে পড়ে না? আজ আমি আপনাকে এবং আমার বিবেককে জিজ্ঞেস করতে চাই- আমার চেহারায় এমন কী দেখা দিল, যা আপনাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। আমার স্বভাব-চরিত্রেই বা এমন কী দোষ প্রকাশ পেল, যা আপনাকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে?
- এটা কি অজানা কিছু ?
- আপনি কি কসম করে বলতে পারবেন- আপনি আমাকে এড়িয়ে চলছেন না?
- হাঁ-হাঁ আমি হলফ করেই বলছি- কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে আমি এমনটি করছি না।
- আমাদের যখন প্রথম সাক্ষাৎ হয় তখন আপনি কত রসিক এবং মিশুক ছিলেন। আমার সাথে কী মজার ভালো ব্যবহার করতেন। কত মমতা দেখাতেন। সহানুভূতি প্রকাশ করতেন। কিন্তু এখন ...
- আমি যেমন ছিলাম তেমনই আছি। একটুও বদলাই নি।
- হাঁ তা ঠিক আছে। এ ঘরে যতক্ষণ শুধু আপনি আর আমি থাকি, ততক্ষণ তো আপনি ঠিকই আন্তরিকতাপূর্ণ মধুর ব্যবহার করেন। কিন্তু মানুষের সামনে...।
- কেন ? এটাই তো স্বাভাবিক। লোকজনের সামনে তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করাই দরকার। এটা তো আমাদের পরিকল্পনারই একটা অংশ।
- রাখেন আপনার প্লান-ফ্লান। কীসের পরিকল্পনা! আপনি কি জানেন আপনার এ পরিকল্পনা কত বড় ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে?!
- জানি... কিন্তু... এ ছাড়া আর উপায় কী বল!
- প্রথম প্রথম আপনার অভিনয় আমার কাছে ভালোই লাগত। কিন্তু এখন দেখছি আপনি বিষয়টিকে একেবারে সিরিয়াস হিসেবে নিয়েছেন। আচার-আচরণেও সেটাই প্রকাশ করছেন। মনে হচ্ছে সত্যিই আপনার-আমার মাঝে কোনো সম্পর্ক নেই।
- হাঁ! ঠিকই তো। বেশী-বেশী অনুশীলন দক্ষতা বাড়ায়।
- এ ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন না করায় ভালো ছিল। তাহলে আর আমাকে সন্দেহের আগুনে জ্বলে-পুড়ে মরতে হতো না। আপনার প্রতিটি কথাই এখন আমার গায়ে কাঁটার মতো হানছে। অন্তরাত্মা পর্যন্ত ক্ষত-বিক্ষত করে দিচ্ছে। আর পারছি না। এখনি আপনার একটু সতর্ক হওয়া উচিত। আপনার চলাফেরা মোটেও আমার কাছে অভিনয় বলে মনে হচ্ছে না। প্রত্যেকটা কথার মধ্যেই আপনি সূক্ষ্ম কিছু রহস্য গোপন করার চেষ্টা করছেন। আমার মনকে দোলা দিতে পারে, এমন অভিনয় করে কি আপনার অভিজ্ঞতা বাড়ানো যেত না? আগে আমার মায়ের সামনে আদর করে কখনও সোনা, আবার কখনও লক্ষ্মী সোনা বলে কি না মজার সুরে ডাকতেন। কিন্তু... এখন, এখন তো আর সে ডাক আমি শুনতে পাই না। কি ঘটেছে? আজকাল কেন আমি আর আপনার মুখ থেকে সে মধুর ডাক শুনতে পাচ্ছি না? বলুন, আমার কথার জবাব দিন।
- আমাদের উদ্দেশ্য সফল করতেই তো পরিকল্পনায় এ পরিবর্তন। দেখছ না সময় একেবারেই ঘনিয়ে আসছে।
- সময় ঘনিয়ে আসছে মানে...?
- কি আশ্চর্য! তুমি জানো না নাকি?
- আমরা সপ্তম সপ্তাহের এক্কেবারে শেষ পর্যায়ে। আমাদের সামনে আর মাত্র ক’টা দিন বাকী। তারপরই আমাদের ছাড়াছাড়িটা চূড়ান্ত হবে।
- ও… তাড়াহুড়ো কি এ জন্যই? আপনি কি নিশ্চিত- আপনি কোনো ভুল করছেন না ?
- হাঁ! আমি এক্কেবারে নিশ্চিত। আমি হিসাবে কখনও ভুল করি না। একটা একটা করে দিন পার হচ্ছে। আর আমিও ওর প্রতিটা ক্ষণ গুনে গুনে হিসাব করে রাখছি।
- ও কাঁধ থেকে বোঝাটা নামানোর জন্যই তাহলে খুঁটে খুঁটে দিন গণনা করা হচ্ছে!
- কি আমি? আমি বোঝা নামানোর জন্য দিন গুনছি?
- আমাদের ছাড়াছাড়ি হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকী! বাহ! কী আনন্দ আপনার! আচ্ছা আমাকে বলুন তো, ছাড়াছাড়ির পর আপনার কী করার প্লান আছে? আর থাকবেনই বা কোথায়?
- এ সব আমি কিছুই জানি না। ভবিষ্যৎ জীবনের কার্যসূচী তৈরী করে আর কিছু খোয়াতে চাই না।
- আমার কত আশা, আপনার ভবিষ্যৎ জীবন সুখময় হোক। আপনার সাথে আমার যে ক’টা দিন কেটে গেল- তা কি ভালো গেল না মন্দ, বলতে পারেন?
- বেশ! ভালোই গেল তো...।
- আমার আচার-আচরণ আপনার চির বন্ধু হয়ে থাকবে তো !
- হাঁ! অবশ্যই-চিরদিন অম্লান থাকবে।
- যাক, আপনাকে ধন্যবাদ।
- নাও, এবার নিশ্চিন্ত মনে ঘুমাও। তোমার ঘুমানোর অনেক দেরী হয়ে গেছে। বর পাতলা কাঁথা টেনে দেয় তার গায়ে। শরীরটাকে ভালো করে ঢেকে দেয়। ক্ষমা ও মার্জনার ভঙ্গিতে তার কোমল মসৃণ মুখে নিজের হাতের পরশ লাগায়। কোমল তুল তুলে গাল তার হাতের মাঝে মোলায়েম হয়ে আসে। মনে হয় সে যেন একটা পোষা বিড়াল। আর বিড়ালের মালিক উহার নরম গায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। বর তার কোমল মসৃণ গালে শিহরণী উষ্ণতা অনুভব করে। তাই আস্তে করে সে তার হাতটা সরিয়ে নেয়। চুপিচুপি নিভিয়ে দেয় ঘরের বাতি। তারপর নীরবে গিয়ে শুয়ে পড়ে নিজের বিছানায়। (চলবে)
পাঠকের মতামত:

- মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ, অপরিবর্তিত নীতিতে নজর শুধু মূল্যস্ফীতি
- সাত জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- পুঁজিবাজারে সালমান আজীবন নিষিদ্ধ-১০০ কোটি টাকা জরিমানা
- একমত হওয়া বিষয়গুলোকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে: আখতার হোসেন
- হার্টে ব্লক: বিদেশে সার্জারির সিদ্ধান্ত নাকচ করলেন জামায়াত আমির
- হাসিনার দেশত্যাগের এক বছর পরও মানবাধিকার সংকট প্রকট
- গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- ‘অন্তর্বর্তী সরকার, জুলাই সনদ দরকার’ – স্লোগান দিয়ে শাহবাগ অবরোধ
- আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী, জবানবন্দিতে সাবেক আইজিপি
- প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : শেখ হাসিনার বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
- ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা শুরু
- সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
- গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউর রায় ৬ আগস্ট
- ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর
- বৃহস্পতিবার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা
- নেতানিয়াহুর দাবি গাজায় কেউ না খেয়ে নেই, ট্রাম্পের ভিন্নমত
- বিচার সংস্কার নির্বাচন সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিতে হবে: জামায়াত আমির
- ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের সময় অগ্নিকাণ্ডের প্রমাণ মেলেনি
- অভ্যুত্থানের শক্তি সক্রিয় থাকা পর্যন্ত মুজিববাদীরা দাঁড়াতে পারবে না: নাহিদ
- জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে আপত্তি এনসিপি-জামায়াতে ইসলামীর
- টেকসই উন্নয়নের শর্ত-স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান: আমীর খসরু
- জুলাই সনদের খসড়া বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক: সালাহউদ্দিন
- দেশে গভীর পরিবর্তন না হলে স্বৈরাচার গিয়ে স্বৈরাচার আসবে: প্রধান উপদেষ্টা
- সেপ্টেম্বরে শুরু এশিয়া কাপ, এক গ্রুপেই ভারত-পাকিস্তান
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৩৭ হাজার ৭৩ কোটি টাকা
- হচ্ছে না সাময়িক যুদ্ধবিরতি, হামাসকে ধ্বংসের হুমকি ট্রাম্পের
- কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে কিন্তু উন্নয়ন পায়নি : নাহিদ ইসলাম
- রোববার খুলছে না মাইলস্টোন, কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত সোমবার
- পুরনো পদ্ধতিতে আর নির্বাচন চলবে না: মজিবুর রহমান
- নির্বাচনের আগে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- দগ্ধদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা
- গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৫
- "কয়েকদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা"
- যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি, তখনই ষড়যন্ত্র আসছে: প্রধান উপদেষ্টা
- প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- সারা বছর মৃত ভোটার বাদ দেওয়ার ক্ষমতা চান ইসি কর্মকর্তারা
- ফেনী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ১
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫৯ হাজার ৫০০ ছাড়ালো
- দাম কমলো স্বর্ণের
- দু-চারটা হলেও শীর্ষ অপরাধীর বিচার দেখতে চাই: জামায়াত আমির
- বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিসহ ১৯৮ জনকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া
- কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে আইডি কার্ড দেখাতে হবে: আইন উপদেষ্টা
- বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে চীনা মেডিকেল টিম ঢাকায়
- হাসিনার গুলি চালানোর নির্দেশ নিয়ে আল জাজিরার ‘বিস্ফোরক’ প্রতিবেদন
- টানা ৮ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
- বাংলাদেশকে ধসিয়ে ধবলধোলাই এড়াল পাকিস্তান
- ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি সই
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩০ বিলিয়ন
- নতুন বাংলাদেশ গড়ার লড়াই শেষ হয়নি: নাহিদ
- জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় আমাদের স্বার্থে হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- মানুষের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক তৈরি করেছে মব কালচার: রুহুল কবির রিজভী
- হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক কারাগারে
- দগ্ধদের জন্য রক্ত ও স্কিনের প্রয়োজন নেই : বার্নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক
- ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসে নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ
- নাটোরে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬
- পাকিস্তানকে উড়িয়ে র্যাঙ্কিংয়ে জোড়া সুখবর পেল বাংলাদেশ
- ইসলামী ব্যাংকের ক্যাশ ওয়াক্ফ অ্যাকাউন্ট: মানবতার সেবায় স্থায়ী দান
- ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হয়নি: ইসরাইলি সেনাপ্রধান
- দুদকের পক্ষে এতো দুর্নীতির শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব না : বিচারক
- মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় তদন্তের দাবি জামায়াতের নায়েবে আমিরের
- নিহতের সংখ্যা কম দেখানোর কোনো কারণ নেই: প্রেস সচিব
- ফ্যাসিস্ট শক্তি উত্থানের শঙ্কায় মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা: মির্জা ফখরুল
- শক্তিশালী পাসপোর্টের র্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
- সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিদল বার্ন ইনস্টিটিউটে
- সরকার যেতে বললে চলে যাব: শিক্ষা উপদেষ্টা
- মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১
- চোখের জলে শেষবিদায়, চিরনিদ্রায় শায়িত পাইলট তৌকির
- পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
- সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী চীন: রাষ্ট্রদূত
- ৯ ঘণ্টা আটকে থাকার পর মাইলস্টোন ছাড়লেন দুই উপদেষ্টা
- সরকার দায়িত্বশীল আচরণ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেত না: নাহিদ
- গণতন্ত্রপন্থি সহযোদ্ধাদের শান্ত-সংহত থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
- "এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান না থাকার পক্ষে নয় বিএনপি"
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে চারটি রাজনৈতিক দলের নেতারা
- হাসিনার গুলি চালানোর নির্দেশ নিয়ে আল জাজিরার ‘বিস্ফোরক’ প্রতিবেদন
- বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে চীনা মেডিকেল টিম ঢাকায়
- ফেনী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ১
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫৯ হাজার ৫০০ ছাড়ালো
- দাম কমলো স্বর্ণের
- দু-চারটা হলেও শীর্ষ অপরাধীর বিচার দেখতে চাই: জামায়াত আমির
- কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে আইডি কার্ড দেখাতে হবে: আইন উপদেষ্টা
- বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিসহ ১৯৮ জনকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া
- সারা বছর মৃত ভোটার বাদ দেওয়ার ক্ষমতা চান ইসি কর্মকর্তারা
- প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- নির্বাচনের আগে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৫
- দগ্ধদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা
- কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে কিন্তু উন্নয়ন পায়নি : নাহিদ ইসলাম
- পুরনো পদ্ধতিতে আর নির্বাচন চলবে না: মজিবুর রহমান
- হচ্ছে না সাময়িক যুদ্ধবিরতি, হামাসকে ধ্বংসের হুমকি ট্রাম্পের
- রোববার খুলছে না মাইলস্টোন, কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত সোমবার
- জুলাই সনদের খসড়া বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক: সালাহউদ্দিন
- সেপ্টেম্বরে শুরু এশিয়া কাপ, এক গ্রুপেই ভারত-পাকিস্তান
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৩৭ হাজার ৭৩ কোটি টাকা
- যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি, তখনই ষড়যন্ত্র আসছে: প্রধান উপদেষ্টা
- বিচার সংস্কার নির্বাচন সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিতে হবে: জামায়াত আমির
- টেকসই উন্নয়নের শর্ত-স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান: আমীর খসরু
- নেতানিয়াহুর দাবি গাজায় কেউ না খেয়ে নেই, ট্রাম্পের ভিন্নমত
- জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে আপত্তি এনসিপি-জামায়াতে ইসলামীর
সাহিত্য এর সর্বশেষ খবর
সাহিত্য - এর সব খবর
