thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

ট্রাইব্যুনাল গঠনের বৈধতানিয়ে প্রশ্ন!

২০১৪ জানুয়ারি ১৯ ২২:৫৯:১৪
ট্রাইব্যুনাল গঠনের বৈধতানিয়ে প্রশ্ন!

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নতুন নয়; ক্রিকেটের মহাব্যাধি স্পট ও ম্যাচ ফিক্সিং। দশম দেশ হিসেবে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া বাংলাদেশ ছিল না সেখানে। কিন্তু থলের বিড়াল বেরুতেই জানা গেল, ফিক্সিং বাংলাদেশে কোনো নতুন পরিভাষা নয়; অনেক পুরনো। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় আসরে ঘটেছে স্পট ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা। এখন তা নিয়ে শুরু হয়েছে চুড়ান্ত পর্বের বিচারিক কার্যক্রম। কিন্তু রবিবার সুপ্রিমকোর্টের সাবেক বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন গুলশানের অস্থায়ী ট্রাইব্যুনালে রুদ্ধদ্বার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে অভিযুক্তদের পক্ষে ট্রাইব্যুনাল গঠনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

২০১৩ সালের নভেম্বরে বিসিবির দুর্নীতি বিরোধী ট্রাইব্যুনাল বিপিএল’র স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। অভিযুক্তদের আইনজীবী ব্যারিস্টার নওরোজ এমআর চৌধুরী ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অ্যাখা দিয়ে উল্টো তীর ছুড়েছেন আইসিসির দিকে। তিনি বলেছেন, আইসিসির অভিযোগেই অসঙ্গতি রয়েছে। পাশাপাশি ট্রাইব্যুনাল গঠনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তার দাবি, একটি কুচক্রীমহল জনপ্রিয় হয়ে ওঠা বিপিএল বন্ধ করতেই এমন অভিযোগ তুলেছে। এ ব্যাপারে বরাবরের মতো বিসিবি ট্রাইবুন্যালের বিচারকরা সাংবাদিকের এড়িয়ে গেছেন।

প্রথম দফার মতোই কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে ফিক্সিং কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় দফায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার। ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত ৯ জনের মধ্যে মোহাম্মদ রফিক ছাড়া বাকি সবার আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। চূড়ান্ত পর্বের শুনানিতে অংশ নিতে অভিযুক্ত বিদেশি ক্রিকেটার ও কর্মকর্তারা শনিবার রাতে ঢাকায় এসেছেন।

২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে আইসিসি ও বিসিবি সংবাদ সম্মেলন করে কেলেঙ্কারিতে জড়িত ৯ জন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তার নাম ফাঁস করেছে। স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের মোহাম্মদ আশরাফুল, পেসার মাহবুব আলম রবিন, স্পিনার মোশাররফ রুবেল ও বোলিং কোচ মোহাম্মদ রফিকের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগ মেনে নিয়েই যত-বিপত্তি ডেকে এনেছেন আশরাফুল। আকসু তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পরই অভিযোগের বিচার করতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিসিবি। আশরাফুল অভিযোগ স্বীকার করায় বিসিবি তাকে সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করেছে। অবশ্য রুবেল ও রবিনও নিষিদ্ধ। তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। আর বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে অভিযুক্ত হয়েছেন লোকুয়ারাচ্চি ও ড্যারেন স্টিভেনস। এ ছাড়া ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী গৌরব রাওয়াতকেও স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল শেষে ব্যারিস্টার নওরোজ জানিয়েছেন, ‘আজ (বরিবার) ট্রাইব্যুনাল গঠনের বৈধতা নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা বলেছি, বিসিবি যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে তার কোনো বৈধতা নেই। ট্রাইব্যনাল গঠন নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) মধ্যে ট্রাইব্যুনাল নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে তা অবৈধ। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলেছি।’ তিনি আরো জানিয়েছেন, আইসিসি বিসিবিকে অনেকটা ভিক্টিম করে সারকামস্টেন্স বেনিফিশিয়ারি হচ্ছে। ফিক্সিংয়ের ঘটনা বিপিএল বন্ধেরই একটা পাঁয়তারা। ১৬ কোটি মানুষের যে মার্কেট এ ধরনের টোয়েন্টি২০ ক্রিকেট তো একটা পণ্য। সেই বাজার নষ্টের পায়তারা করা হচ্ছে।’

(দ্য রিপোর্ট/এএস/এসকে/জানুয়ারি ১৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

খেলা এর সর্বশেষ খবর

খেলা - এর সব খবর