thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

দ্বিতীয় পর্বে ১১৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৭ ফেব্রুয়ারি

২০১৪ জানুয়ারি ২৩ ১৭:১১:৫০
দ্বিতীয় পর্বে ১১৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৭ ফেব্রুয়ারি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সারাদেশে দ্বিতীয় দফায় আরও ১১৭টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত ওই সকল উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ এ ঘোষণা দেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ ও শাহ নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলো। প্রথম দফায় তফসিল ঘোষণার সময় রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ না দিয়েই তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তবে দ্বিতীয় দফায় তফসিল ঘোষণার আগেই তাদের নিয়োগ দেয় ইসি।

সারাদেশে ৪৮৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে কয়েক দফায় এই নির্বাচন শেষ করা হবে বলে জানান সিইসি।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ওই ১১৭ উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ২ ফেব্রুয়ারি

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও ১১ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ভোটগ্রহণের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

নির্বাচনের জন্য ঘোষিত উপজেলা পরিষদগুলো হল- পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাংগি ও রাণীশংকাইল, দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট, চিরিরিরবন্দর, বিরামপুর ও বীরগঞ্জ, নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ, লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম, সদর ও হাতীবান্দা, রংপুর জেলার বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী, রাজারহাট ও রাজিবপুর, গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী, জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল, কালাই ও সদর, বগুড়া জেলার কাহালু, শিবগঞ্জ, আদমদিঘী ও শাজাহানপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর।

নওগা জেলার আত্রাই, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, বদলগাছী, সদর ও সাপাহার, রাজশাহী জেলার বাঘা, নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া, গুরুদাসপুর, লালপুর ও সদর, সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ, পাবনা জেলার চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া, মেহেরপুর জেলার গাংনী ও মুজিবনগর, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী, খোকসা, ও মিরপুর, যশোর জেলার চৌগাছা, ঝিকরগাছা, বাঘারপাড়া ও শার্শা, মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর ও শালিখা, বাগেরহাট জেলার কচুয়া ও ফকিরহাট, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর।

ভোলা জেলার চরফ্যাশন ও বোরহানউদ্দিন, বরিশাল জেলার সদর, পিরোজপুর জেলার কাউখালী ও নাজিরপুর, টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর, জামালপুর জেলার ইসলামপুর, বকশিগঞ্জ ও মেলান্দহ, শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি, ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ, ভালুকা ও সদর, নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা, খালিয়াজুরী, পূর্বধলা ও বারহাট্টা।

মানিকগঞ্জ জেলার সদর ও হরিরামপুর, মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর ও সদর, ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ ও সাভার, নরসিংদি জেলার শিবপুর, ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা, বোয়ালমারী ও সালথা, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া ও সদর, মাদারীপুর জেলার রাজৈর ও শিবচর।

সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই ও সদর, সিলেট জেলার বালাগঞ্জ, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট, বাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল, কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার, মনোহরগঞ্জ ও লাকসাম, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ, মতলব (উ.), মতলব (দ.) ও সদর, ফেনী জেলার হাইমচর, পরশুরাম ও সদর, নোয়াখালী জেলার কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, চাটখিল, সদও ও সোনাইমুড়ী।

চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া ও লোহাগড়া, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, চকরিয়া ও পেকুয়া, খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি, রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই ও ননিয়ারচর, বান্দরবান জেলার থানচি, রুমা, রোয়াংছড়ি ও লামা।

কাজী রকিব উদ্দীন জানান, এই নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারি রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। তবে এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবলও ব্যবহার করা হবে।

রংপুরের ৪টি উপজেলায় নির্বাচন হবে না বলে জানিয়েছেন সিইসি। এই চার উপজেলায় সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আপত্তি জানিয়েছে।

‘প্রথম দফার নির্বাচন চলাকালে এসএসসি পরীক্ষা থাকায় এই নির্বাচন কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি করবে’ জানান সিইসি।

তিনি বলেন, এই নির্বাচনের ফলে শিক্ষার্থীরা যাতে সমস্যায় না পড়ে সে জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে উপায় নেই। তারপরেও যে সব এলাকায় পরীক্ষা নেই অথবা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা রয়েছে সে দিন নির্বাচনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ১৯ বছর পর ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি দেশের ৪৮০টি উপজেলা পরিষদের তৃতীয় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে চারটি উপজেলার ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এর আগে স্থগিত করা হয় আরও দু’টি উপজেলার নির্বাচন। এ সব উপজেলার মধ্যে পাঁচটির নির্বাচন হয় ২০০৯ সালের ৬ মার্চ। নির্বাচনের পর উপজেলা পরিষদগুলোর প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ মের মধ্যে। আইন অনুসারে প্রথম সভা অনুষ্ঠানের দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর হচ্ছে উপজেলা পরিষদের মেয়াদ। এ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। সে হিসেবে এখনই উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময়। আইন অনুসারে ১৯ ফেব্রুয়ারির আগেই এ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।

কাজী রকিব উদ্দীন জানান, বাকি উপজেলাগুলোর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সেখানে নির্বাচন করা হবে। তাড়াহুড়োর কিছু নেই। সে সব উপজেলা নির্বাচন করার সময় হাতে আছে।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। গত সংসদ নির্বাচনে যেভাবে তারা নিয়োজিত ছিল ঠিক সে অনুযায়ী এ নির্বাচনেও মোতায়েন থাকবে।

উপজেলা নির্বাচন অরাজনৈতিক হলেও নির্বাচনকালে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, দেশে যখন গণতন্ত্র থাকে তখন যে কোনো নির্বাচনেই রাজনীতি চলে আসে। কেউ রাজনীতির বাইরে না। তবে উপজেলা নির্বাচন অরাজনৈতিক। যে কারণে প্রার্থী কোনো দল করলেও ওই দলের প্রধানের ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করে প্রচার চালাতে পারবেন না।

(দ্য রিপোর্ট/এমএস/জেএম/সা/জানুয়ারি ২৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর