thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি 25, ৩০ পৌষ ১৪৩১,  ১৩ রজব 1446

থাইল্যান্ডে নির্বাচন স্থগিতের বৈধতা দিয়ে আদালতের রুল

২০১৪ জানুয়ারি ২৫ ১১:১৪:১১
থাইল্যান্ডে নির্বাচন স্থগিতের বৈধতা দিয়ে আদালতের রুল

দ্য ‍রিপোর্ট ডেস্ক : থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন স্থগিত বৈধ বলে রুল জারি করেছে। দেশটিতে বিরোধী দল এই নির্বাচন স্থগিতের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।

তবে এই নির্বাচন স্থগিতের ক্ষমতা শুধু প্রধানমন্ত্রীরই রয়েছে। তিনি নির্বাচন কমিশন প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে আদালত জানিয়েছে।

আদালত আরও জানায়, জনদুর্ভোগ ও জাতির যে ক্ষতি হচ্ছে, তা প্রতিরোধের জন্য দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় নির্বাচন স্থগিত সমর্থন করেছে আদালত।

দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশন আদালতের কাছে নির্বাচন স্থগিতের ব্যাপারে রুলের আবেদন জানিয়েছিল।

তবে নির্বাচন স্থগিত করার ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা কোনো মন্তব্য করেননি।

এদিকে, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দেশের এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন স্থগিত করা উচিত।

ডিক্রির মাধ্যমে ইংলাক সরকার নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করায় এটা পরিবর্তন করা যাবে না।

গত বছর একটি বিতর্কিত অ্যামনেস্টি বিল নিয়ে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই অ্যামনেস্টি বিল অনুয়ায়ী দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে দেশে ফিরে দুর্নীতির মামলায় সাজা ভোগ করতে হবে না।

ওই বিলটি থাই সিনেটে পাস না হলেও প্রস্তাবিত বিলটি নিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা ইংলাকের পদত্যাগের দাবি জানান। চাপের মুখে ইংলাক সংসদ ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন।

তারপরও বিক্ষোভকারীরা ইংলাকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে গত বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলনে এ পর্যন্ত আটজন নিহত ও ৪৫০ জন আহত হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে থাকসিন সিনাওয়াত্রার ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশটির রাজনীতিতে বিভাজন দেখা দিয়েছে। ২০০৮ সালে থাকসিনের বিরোধীরা ব্যাংকক বিমানবন্দরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ২০১০ সালে তার সমর্থকরা দুই মাসব্যাপী বিক্ষোভ করে পুরো ব্যাংকক শহর অচল করে দেয়।

সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এই বিক্ষোভ শেষ হয়। দুই মাসের ওই অবস্থান বিক্ষোভে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।

থাকসিনের বোন ইংলাক ক্ষমতায় আসার পর দেশটির রাজনীতিতে স্থিরতা আসে। তবে বিরোধী দলের অভিযোগ ইংলাক তার ভাইয়ের পুতুল হয়ে দেশ চালাচ্ছেন। (সূত্র : আল জাজিরা, বিবিসি)

(দ্য রিপোর্ট/কেএন/এমডি/শাহ/জানুয়ারি ২৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর