thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় পাঠ শুরু

২০১৪ জানুয়ারি ৩০ ১২:২৮:৩৩
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় পাঠ শুরু

মহসীন কাজী, চট্টগ্রাম অফিস : বহুল আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় পাঠ শুরু করেছেন বিচারক। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে রায় পাঠ শুরু করেন চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এসএম মুজিবুর রহমান।

এর আগে এ মামলায় আটক থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সকল আসামিকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল এগারটা দশ মিনিটে তাদের আদালতে উপস্থিত করা হয়।

সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিচারক এসএম মুজিবুর আদালতে প্রবেশ করেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট কামালউদ্দিন আদালতে আসেন ১০টা ২০ মিনিটে। এ মামলার সংশ্লিষ্ট আসামিদের সকাল ১১টা ১০ মিনিটে কাঠগড়ায় আনা হয়।

এ রায়কে ঘিরে আদালতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আদালত এলাকায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

র‌্যাব, পুলিশ ও আর্মড পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালতের প্রতিটি প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। মিডিয়া কর্মী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া কাউকে আদালত এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

দশ বছর আগে সিএমপির কর্ণফুলী থানায় দায়ের করা মামলার সার্বিক কার্যক্রম শেষে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রায় ঘোষণার সময় নির্ধারণ করা হয়।

দেশের ইতিহাসে আটক করা সবচেয়ে বড় এই অস্ত্র চালানের মামলার রায় ঘোষণা নিয়ে চট্টগ্রাম আদালতসহ নগরজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

চাঞ্চল্যকর মামলা দুটির আসামির সংখ্যা ৫৪। আসামির তালিকায় আছেন- জামায়াতে ইসলামীর আমির ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (৮২), বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর (৫৩), এনএসআইয়ের সাবেক দুই প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী (৬০) ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম (৬১), সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমেদ (৫৩), সাবেক উপ-পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন (৪৩), সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন (৪৭), সিইউএফএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার (৬২) এবং সংস্থাটির সাবেক জিএম (প্রশাসন) একেএম এনামুল হক (৬১)। তাদের প্রত্যেকেই এখন হাজতে আছেন।

আসামিদের মধ্যে চোরাচালান মামলায় ১১ জন হাজতে, ২৮ জন জামিনে এবং ১৩ জন পলাতক আছেন। অস্ত্র আটক মামলায় আসামি হিসেবে থাকা সবাই চোরাচালান মামলায়ও আসামি হিসেবে আছেন। অতিরিক্ত দুই আসামি হলেন- পলাতক আবুল হোসেন ও জামিনে থাকা সফিকুর ওরফে সফিউর রহমান।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মধ্য রাতে চট্টগ্রামের সিইউএফএল (চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লি.) জেটিতে দুটি উডেন বডির মাছ ধরার নৌকা এমভি খাজার দান ও এমভি শাহ আমানত থেকে খালাসের সময় এই অস্ত্রের চালান ধরা পড়ে। ২ এপ্রিল দুপুরে দশটি ট্রাক ভর্তি করে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে তা রাখা হয়। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে কাঠের বাক্সভর্তি ব্রান্ড নিউ অস্ত্র ও গোলাবারুদ বেরিয়ে আসতে থাকে।

পুলিশের জব্দ তালিকা অনুযায়ী আটক অস্ত্রের মধ্যে ছিল ৬৯০টি এসএমজি (৫৬-১) ও ২৭৯২টি ম্যাগাজিন, ৬০০টি এসএমজি (৫৬-১) ও ৪০০টি ম্যাগাজিন, ১৫০টি রকেট লাঞ্চার, ৪০০টি নাইন এমএম সেমি অটোমেটিক স্পার্টিং রাইফেল ও ৮০০টি ম্যাগাজিন, ১০০টি টমিগান ও ৪০০ ম্যাগাজিন, ২০০০ লাঞ্চিং গ্রেনেড টিউব, ১৫০টি সাইড ফর রকেট লাঞ্চার, ৫১২টি ৭.৬২ বোরের এসএমজি ও ৩৯ হাজার ৬৮০ রাউণ্ড গুলি, ১৭৬টি ৭.৬২ বোরের পিস্তল ও ৪ লাখ টমিগানের গুলি, ২৪ হাজার ৯৯৬টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৮৪০টি ৪০ এম এম রকেট, এলিনকো ওয়াকিটকি সেট এবং অস্ত্র সংরক্ষণের বিভিন্ন সরঞ্জাম।

ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে নেওয়া হয় পাঁচটি ট্রাক, এমভি খাজার দান ও এমভি শাহ আমানত নামের মাছ ধরার নৌকা, ২০ কেজি ওজনের ৮৭টি লবণের বস্তা, ৩০টি ধানের তুষের বস্তা, ২০টি ১০ কেজি ওজনের চাউলের বস্তা।

অস্ত্র আটকের পর কর্ণফুলী থানার তৎকালীন ওসি আহাদুর রহমান বাদী হয়ে অস্ত্র আইনের ১৯ (ক) ধারায় ৪৩ জনকে এবং চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (বি) ধারায় ৪৫ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। প্রথম অবস্থায় এ মামলার তদন্ত চলে রহস্যজনকভাবে। মামলা থেকে বাদ পড়ে যান রাঘব বোয়ালরা।

মামলার বাদী ওসি নিজেই মামলার তদন্ত করেন।

আহাদুর রহমানের তদন্তকালে মামলায় আসামি করা হয় শুধু ট্রলার মালিক, ঘাট শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, ট্রলারের সারেং, স্থানীয় ইউপি সদস্য, এলাকার সাধারণ মানুষকে। পরে মামলা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে ২০০৪ সালের ২৬ এপ্রিল মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান এএসপি কবির উদ্দিন।

মাত্র দুই মাস তদন্ত করে এএসপি কবির উদ্দিন ২০০৪ সালের ১১ জুন অস্ত্র আটক মামলায় ৪৩ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। একই বছরের ৯ নভেম্বর সিআইডির এএসপি নওশের আলী খান চোরচালান মামলায় ৪৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন।

তৎকালীন মহানগর পিপি ও বিএনপি নেতা আব্দুস সাত্তার অস্ত্র আটক মামলার অভিযোগপত্রের ওপর নারাজি দেন। নারাজি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডির এএসপি নওশের আলী খান পুনঃতদন্ত করে অস্ত্র আটক মামলায় ২০০৪ সালের ২৫ আগস্ট আরও এক দফা অভিযোগপত্র দেন। দ্বিতীয় দফা তদন্তও ছিল অসাড়। এ অভিযোগপত্রে ট্রাকের মালিক প্রতিষ্ঠান গ্রিনওয়েজ ট্রান্সপোর্টের মালিক হাবিবুর রহমানকে সাক্ষী করা হয়। এরপর ২০০৫ সালের ২৩ এপ্রিল অস্ত্র আটক মামলায় এবং ২০০৪ সালের ৩০ নভেম্বর চোরাচালান মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

২০০৫ সালের ৬ জুলাই দুই মামলার বাদী আহাদুর রহমান প্রথম সাক্ষ্য দেন। ২০০৭ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। তখন পর্যন্ত অস্ত্র আটক মামলায় ৩১ জন এবং চোরাচালান মামলায় ২৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।

এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ২০ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের তৎকালীন কৌঁসুলি ও অতিরিক্ত মহানগর পিপি হুমায়ন কবির রাসেল মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অস্ত্রের উৎস, গন্তব্য, অস্ত্রের ধরন, চালান থেকে অস্ত্র খোয়া গিয়েছিল কিনা, কাদের জন্য অস্ত্র আনা হয়েছিল, কোন জলযানে অস্ত্র ঢুকেছিল- এ ধরনের সাতটি পর্যবেক্ষণসহ অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন।

সিআইডির এএসপি ইসমাইল হোসেন প্র্রথম দফা অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পেলেও তিনি তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নেন। পরে সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিনিয়র এএসপি মনিরুজ্জামান চৌধুরী ২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি তদন্তের দায়িত্ব পান। এ দফায় তদন্তে বেরিয়ে আসতে থাকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাঘববোয়ালদের নাম, উলফার প্রসঙ্গ, একের পর এক স্পর্শকাতর ও চাঞ্চল্যকর তথ্য।

অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২৬ জুন দুটি মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মনিরুজ্জামান। এ মামলায় নতুনভাবে ১১ জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের পর নতুন ১১ জনসহ অস্ত্র আইনের মামলায় আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৪ জনে এবং চোরাচালান মামলায় আসামি হয় ৫২ জন। কিন্তু উভয় মামলায় আসামি হিসেবে থাকা চারজনের ইতোমধ্যে মৃত্যু হয়। তারা হলেন- ইয়াকুব আলী, মুনির আহমেদ, আতাউর রহমান ও আবুল কাশেম মধু।

মামলায় জামায়াত-বিএনপির শীর্ষ নেতা, গোয়েন্দা প্রধান, সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও আসামি রয়েছেন চোরাচালানি হাফিজুর রহমান হাফিজ (৪৮) ও অস্ত্র খালাসের জন্য শ্রমিক সরবরাহকারী দীন মোহাম্মদ (৪৫)। এ দুজনও হাজতে আছেন।

এ মামলায় জামিনে থাকা আসামিরা হলেন- হাজী মো. আব্দুস সোবহান (৬০), সানোয়ার হোসেন চৌধুরী (৫০), দিলদার হোসেন চৌধুরী (৪৭), মরিয়ম বেগম ওরফে বদনি মেম্বার (৪৩), জসীম উদ্দিন ওরফে জসীম (৩৫), আব্দুল আজিজ (৪৯), মো. আকতার (৪৬), মো. জাহাঙ্গীর (৪৩), নূরুল আবছার ওরফে আবছার মেম্বার (৪৫), আরজু মিয়া প্রকাশ পাগলা (৫৮), এজাহার মিয়া (৫৫), মুজিবুর রহমান ভুলু (৫৭), শেখ মোহাম্মদ (৪৭), ফজল আহাম্মদ চৌধুরী (৪৩), আকবর আলী (৪৬), বাদশাহ মিয়া (২৪), ওসমান মিস্ত্রি (৩৬), আব্দুল মান্নান (৩২), কবির আহাম্মদ (৩৪), মো. রফিক (৩০), মনির আহাম্মদ (৩২), আব্দুল মালেক (৩৫), মঞ্জুরুল আলম (২৮), সালেহ জহুর প্রকাশ গুরা মিয়া (৩০), ফিরোজ আহম্মদ (৩২), সাইফুদ্দিন (৫০) এবং কামাল মিয়া (৩৮)।

পলাতক আসামিরা হলেন- উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া (৫৪), সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব নুরুল আমিন (৫৮), প্রদীপ কুমার দাশ প্রকাশ ব্রজগোপাল (৩৮), নূরনবী (৩৬), সিরাজুল ইসলাম (৩৩), হেলাল উদ্দিন (৩০), বাবুল মিয়া (৩৪), আব্দুর রহিম মাঝি (৩৫), আব্দুস সবুর (৩২), মো. শাহ আলম (৩৪), মো. সোবহান (৩৩) ও শাহজাহান (৩৮)।

দুটি মামলায় ২০১১ সালের ১৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এসএম মুজিবুর রহমান। ২৯ নভেম্বর থেকে দুই মামলায় একযোগে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

অস্ত্র মামলায় ৫৬ জন এবং চোরচালান মামলায় ৫৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের জেরার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। দুই মামলায় পাঁচজন দুই দফা সাক্ষ্য দেন। উভয় অভিযোগপত্রে পৃথকভাবে ২৬৫ জন সাক্ষী হিসেবে ছিলেন।

মামলার সাক্ষীরা হলেন- মামলার বাদী আহাদুর রহমান, হাবিলদার গোলাম রসুল, নূর আলম সওদাগর, সার্জেন্ট মিজানুর রহমান, সুনিল কুমার সেন, কনস্টেবল ইউসুফ আলী, কনস্টেবল মোজাম্মেল হক, জয়নাল আবেদিন, সার্জেন্ট আলাউদ্দিন ও হেলাল উদ্দিন, সিইউএফএলের সাবেক প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোবিন হোসেন খান ও সাবেক এমডি মহসিন উদ্দিন তালুকদার (বর্তমানে আসামি), চৌকিদার আহমেদ নূর, গোলাম মোরশেদ খান, ওমর ফারুক, নাজিমউদ্দিন, আব্দুল গফুর, মুরাদুজ্জামান, মো. সেকান্দর, আনসার সদস্য কাজী আবু তৈয়ব, মনসুর আলী ও কাইয়ূম বাদশা, সোলাইমান, শাহজাহান, ইসমাইল, আব্দুল কুদ্দুস, এনামুল হক, মো. লোকমান, আব্দুল মতিন মিয়া, মাশরুকুর রহমান, তছলিম উদ্দিন, শেখ আহাম্মদ, সাবেক পুলিশ সুপার মাহমুদুর রহমান, সাবেক শিল্প সচিব ড. শোয়েব আহমেদ, বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ইমামুজ্জামান বীরবিক্রম, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সাদিক হাসান রুমি, এনএসআইয়ের সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এনামুর রহমান চৌধুরী, ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিটাচমেন্ট কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল একেএম রেজাউর রহমান, এনএসআইয়ের সাবেক সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী, সিএমপির বন্দর জোনের তৎকালীন উপ-পুলিশ কমিশনার আবদুল্লাহ হেল বাকী, সাবেক পুলিশ কমিশনার এসএম সাব্বির আলী, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব ওমর ফারুক, সাবেক ডিআইজি (এসবি) শামসুল ইসলাম, সাবেক ডিআইজি (সিআইডি) ফররুখ আহমেদ, গ্রিনওয়েজ ট্রান্সপোর্টের মালিক হাবিবুর রহমান, সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ, আবু হান্নান, ওসমান গণি, কিরণ চন্দ্র রায়, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, মো. গোলাম মোস্তফা, একেএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুস সালাম খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান মাহমুদ তাইয়েবুর রহমান ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান।

(দ্য রিপোর্ট/এমকে/এমএআর/এমডি/শাহ/জানুয়ারি ৩০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর