thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি 25, ২৭ পৌষ ১৪৩১,  ১০ রজব 1446

বর্ধিত বেতনের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

২০১৬ জানুয়ারি ১২ ১৯:২২:১৫
বর্ধিত বেতনের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন বিএন স্কুল এ্যান্ড কলেজের বর্ধিত বেতন, সেশন ফি, উন্নয়ন ফি এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে বৈষম্যমূলক ভর্তি ফি আদায়ের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন হাজার হাজার অভিভাবক।

নগরীর বিমানবন্দর সড়কের বিএন স্কুলের সামনে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবরোধ দিয়ে বিক্ষোভ করেন অভিভাবকরা। এ সময় অন্তত দুই ঘণ্টা নগরীর ভিআইপি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে ইপিজেড থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ লাঠিচার্জ করে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন আমেনা বেগম, ইসমাঈল ও ববি বড়ুয়া।

সড়ক অবরোধ চলাকালে লাঠিচার্জের ছবি ধারণ করার সময় বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলতাফের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় পুলিশ। এ সময় তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং শারীরিকভাবে নাজেহাল করে পুলিশ।

পরে ইপিজেড থানার ওসি আবুল কালাম, সিএমপি বন্দর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে স্কুলের অধ্যক্ষ এম এ হাবিব ঘোষণা দেন, ১০-১৫ দিনের মধ্যে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বর্ধিত বেতন, সেশন ফি, অবৈধ উন্নয়ন ফি এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে বৈষম্যমূলক ভর্তি ফি আদায় করার বন্ধ রাখা হবে। তার এই ঘোষণার পরই ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন এবং আন্দোলন স্থগিত করেন।

অভিভাবকদের অভিযোগ, চলতি বছরের শুরুতেই নৌবাহিনী পরিচালিত বিএন স্কুল এ্যান্ড কলেজে তিনগুণ বেতন বৃদ্ধি করেছে। এ ছাড়া উন্নয়ন ফি, সেশন ফি’র নামে আদায় করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ।

অভিভাবক আমেনা বেগম দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘আমার দুই সন্তান বিএন স্কুলে বেশ কয়েক বছর ধরে পড়াশোনা করে আসছে। পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হলেও অনৈতিকভাবে বেতন, সেশন ফি, অবৈধ উন্নয়ন ফি, বৈষম্যমূলক ভর্তি ফি জমা দেওয়ার নোটিশ দিয়েছে।’

আমেনার অভিযোগ, ‘অধ্যক্ষ আমাদের অভিযোগের কোনো সন্তোষজনক উত্তর না দিয়ে আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং গামের্ন্টস শ্রমিকদের নিয়ে কটূক্তি করেন। তিনি আমাদের শিশুদের অন্য স্কুলে নিয়ে যেতে বলেছেন। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।’

এ ছাড়াও অভিভাবকদের গণস্বাক্ষরযুক্ত একটি লিখিত অভিযোগ ডিসি (শিক্ষা) বরাবরে দেওয়া হলেও এর কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা।

অভিভাবকদের অভিযোগের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এম এ হাবিব দ্য রিপোর্টকে জানান, ‘বিএন স্কুল এ্যান্ড কলেজ নৌবাহিনীর আইনকানুন মতো চলে। এখানে চাইলেও আমার করার কিছু নাই। এটি মূলত নৌ-কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য প্রতিষ্ঠান। তারপরও আমরা স্থানীয়দের পড়ার সুযোগ দিচ্ছি।’

ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘কিছু অভিভাবক তাদের দাবি নিয়ে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছিল, এতে যানজট লেগে যায়। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে।’

ফটোসাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের ভুল বোঝাবোঝি হয়েছিল। তা সমাধান হয়ে গেছে।’

তবে সাংবাদিকের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রামের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন।

(দ্য রিপোর্ট/জেএস/এপি/এম/জানুয়ারি ১২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর