thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ১৮ জমাদিউল আউয়াল 1446

প্রসঙ্গ : ভিওআইপি ব্যবসা

২০১৪ জানুয়ারি ৩১ ০০:২৪:১৫

আমাদের নিউজ পোর্টালে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) উত্তরা টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অবৈধ ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) ব্যবসার সবচেয়ে নিরাপদ জোন হিসেবে গড়ে উঠেছে। একই সঙ্গে দুর্নীতিবাজ চক্রের মূল হোতারা নিজেদের আড়াল করতে এই কাজে বিদেশিদেরও ব্যবহার করছে।

পত্র-পত্রিকায় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা নিয়ে কম-বেশি লেখালেখি হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি নাগরিকরা গ্রেফতারও হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতরে মামলা হয়েছে। কিন্তু এই অবৈধ ব্যবসা এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। যার ফলে রাষ্ট্র বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি সূত্র দাবি করেছে, এই খাতের দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে মাত্র দুই বছরের রাজস্ব থেকে একটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব।

উত্তরা টেলিফোন এক্সচেঞ্জ সম্পর্কে দুর্নীতির খবর ছাপা হলেও বিটিসিএল’র বাকি ১২টি এক্সচেঞ্জে দুর্নীতি হচ্ছে এমন নয়। তবে ভিআইপি অঞ্চলে অবস্থিত এক্সচেঞ্জগুলোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বেশি। আরও অভিযোগ রয়েছে, এই দুর্নীতির সঙ্গে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কর্মচারী-কর্মকর্তারা জড়িত থাকলেও এর হোতারা কোনো না কোনোভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সঙ্গে জড়িত। ফলে প্রশাসন অনেক ক্ষেত্রেই এই সব অবৈধ ব্যবসায়ীদের গায়ে হাত দিতে অপারগ।

এদিকে এই অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যে আধুনিক আইন দরকার দীর্ঘদিন ধরে তার প্রয়োজন অনুভব হলেও আইন প্রণয়ন বিলম্বিত হচ্ছে।

তাই প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক যে, ক্ষমতাসীনরা তাদের লোকজনকে দ্রুত বিত্ত-বৈভবের মালিক বানানোর জন্যই কী এই অবৈধ ‘ভিওআইপি’ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

পাঠকের মতামত:

SMS Alert