thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউল আউয়াল 1446

জামায়াত-শিবিরের একাধিক তালিকা তৈরি হচ্ছে

যেখানে প্রয়োজন সেখানেই অভিযান

২০১৪ জানুয়ারি ৩১ ১২:২২:১০
যেখানে প্রয়োজন সেখানেই অভিযান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে চলমান যৌথ অভিযান সহসা শেষ হচ্ছে না। যেখানে প্রয়োজন সেখানেই অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযান আরও কঠোরভাবে পরিচালনা করতে বিভিন্ন নাশকতায় জড়িত ও ইন্ধনদাতা হিসেবে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের একাধিক তালিকা তৈরি করছে গোয়েন্দা সংস্থা।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতায় ইন্ধনদাতা হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কিছু নেতাকে চিহ্নিত করা হয়। তারা যে সব এলাকায় অবস্থান করছে, ওই সব এলাকায় অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে দেশের বিভিন্ন জেলায় সহিংসতার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় জামায়াত ও শিবিরের আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অতিদ্রুত তাদের গ্রেফতার ও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফুজ্জামান দ্য রিপোর্টকে বলেন, সম্প্রতি জামায়াত ও শিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে অনেক মামলার তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। অতিদ্রুত তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হবে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নামে তালিকা তৈরি করা হয়। তালিকায় জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর নাম প্রথম স্থানে রয়েছে। তার অবস্থান সম্পর্কে বলা হয়েছে- যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কারাবন্দি রয়েছেন। এ ছাড়াও সারাদেশের জেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ৭টি মহানগর কমিটি এবং মহানগর ওয়ার্ড কমিটির সদস্যদের তালিকা করা হয়েছে। একইভাবে ইসলামী ছাত্র শিবির কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সারাদেশের কমিটির নাম তালিকাভুক্ত করেছে। এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ কমিটির নামে তালিকা করা হয়।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত বছরের আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়। সহিংসতা প্রতিরোধে গত সরকারের পক্ষ থেকে একটি কঠিন নির্দেশনা আসে। তার প্রেক্ষিতে একটি তালিকা তৈরি করা হয়। ওই তালিকা ধরে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযান শুরু হয়। অভিযান চলাকালে প্রতিরাতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন দেড় থেকে দুইশ’ ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এ অভিযান পরিচালনা করা হয় ৪ জানুয়ারি ভোররাত পর্যন্ত।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে করা তালিকায় চলমান অভিযান পরিচালনা শেষ হচ্ছে না। বরং ওই তালিকায় কারা জেলহাজতে আছেন এবং সহিংসতায় নিহত হয়েছেন সে খবর নিচ্ছে গোয়েন্দারা। এ ছাড়া সহিংসতায় ইন্ধনদাতা হিসেবে চিহ্নিত জামায়াত নেতারা কোথায় আছেন- সে সব খবর যাচাই-বাছাই করে পৃথক এ তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে।

এ বিষয়ে পুলিশ মহাপরির্দশক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার দ্য রিপোর্টকে বলেন, যে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করা পুলিশের পেশাদারিত্বের আওতায় পড়ে। বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারা ইন্ধন দেয় ও সহিংসতা করে তাদের একাধিক তালিকা তৈরির প্রস্তুতি চলছে।

চলমান যৌথবাহিনীর অভিযান সম্পর্কে আইজিপি বলেন, যেখানে প্রয়োজন হবে সেখানেই যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করবে। অভিযানের প্রধান লক্ষ্য দেশের সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধ করা। যারা সহিংসতা করবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করবে।

(দ্য রিপোর্ট/কেজেএন/সা/ এমডি/এএল/জানুয়ারি ৩১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

বিশেষ সংবাদ এর সর্বশেষ খবর

বিশেষ সংবাদ - এর সব খবর