thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ১৩ মে 24, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১,  ৫ জিলকদ  1445

৯/১১’র চূড়ান্ত রহস্য উদ্ঘাটন

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ০২ ১২:৫৫:৪৭
৯/১১’র চূড়ান্ত রহস্য উদ্ঘাটন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ৯/১১’এর চূড়ান্ত রহস্য শিগগিরই উদ্ঘটিত হতে যাচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের তৃতীয় ভবনটির ধসে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা এ কথা জানিয়েছেন।

ওয়াশিংটন ডিসির কাছে অবস্থিত দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি নামক একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে এই তদন্ত চলছে। চলতি মাসেই প্রতিষ্ঠানটি তাদের তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করবে।

টাওয়ার সেভেন নামের ৪৭ তলা ওই ভবনটি টুইন টাওয়ার ধসে পড়ার ৭ ঘণ্টা পর ধসে পড়ে। এটি বিশ্বের স্টিল নির্মিত প্রথম ও একমাত্র ভবন, যেটি আগুনে ধসে পড়ে।

ধারণা করা হচ্ছে, তদন্তকারীরা কয়েকটি ফ্লোরে আগুন লাগার ঘটনাকেই ভবনটি ধসে পড়ার একমাত্র কারণ হিসেবে শনাক্ত করবেন। ভবনটি স্টিলের তৈরি ছিল বলেই আগুন লেগে গলে সেটি ধসে পড়ে।

তবে ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকরা দাবি করেন, তৃতীয় ভবনটি পরিকল্পিতভাবেই ধ্বংস করা হয়েছে। আর এই তৃতীয় ভবনটিতে টুইন টাওয়ারের মতো কোনো বিমান এসে আঘাত করেনি।

তদন্তকারী প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ড. শ্যাম সুন্দর বলেন, ‘অনুসন্ধান থেকে আমাদের এ ধারণাই হচ্ছে যে, ভবনটির কয়েকটি ফ্লোর আগুনে গলে যাওয়ার কারণেই সেটি ধসে পড়ে।’

কিন্তু স্থপতি, প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানীদের একটি দল দাবি করেছে, আগুন লেগে ওই ভবনটি ধসে পড়া অসম্ভব। দলটির প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড গেগ বলেন, ভবনটি নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ায় বিস্ফোরক ব্যবহার করেই ধ্বংস করা হয়েছে।

রিচার্ডের মতে, ভবনটি যদি আপনা আপনিই ধ্বংস হতো, তাহলে এত নিখুঁতভাবে সোজা নিচের দিকে ধসে পড়ত না। এর ধ্বংসাবশেষ এদিক-ওদিক ছড়িয়ে পড়ত।

ওই ভবনটির ধসে পড়ার বিষয়ে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব তৈরি হওয়ার পেছনে প্রধান কারণগুলো হলো, ভবনটি গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ, প্রতিরক্ষা বিভাগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা দপ্তরের দখলে ছিল। প্রতিষ্ঠানগুলো যে কোনো ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ও সন্ত্রাসী হামলার পর পরস্থিতি মোকাবেলার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। ৯/১১’র কমিশন রিপোর্টে কখনই তৃতীয় ভবনটির ধ্বংসের কথা উল্লেখ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি সর্বপ্রথম টাওয়ার সেভেনে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসন্ধান চালায়। কিন্তু সে সময় ঠিক কী কারণে ভবনটি ধসে পড়েছিল, তা উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয় তারা।



২০০২ সালের মে মাসে সংস্থাটি জানায়, ভবনটি মূলত কয়েক ঘণ্টা ধরে আগুনে পুড়ে গলে গিয়ে ধসে পড়ে থাকতে পারে। তারা আরো জানান, ভবনটিতে কয়েক হাজার গ্যালন ডিজেল স্টোর করা ছিল। আর এতেই আগুন এত ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। কিন্তু তারা এও বলেন যে, ভবনটি ধসে পড়ার এটিই একমাত্র কারণ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এ বিষয়ে আরো ব্যাপক তদন্ত দরকার রয়েছে।

অবশেষে ৯/১১’র সাত বছর পর এবার ভবনটি ধসে পড়ার একটি পূর্ণ দাপ্তরিক ব্যাখ্যা প্রকাশ করা হচ্ছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি গত দুই বছর ধরে তদন্ত করে এই ব্যাখ্যা হাজির করতে যাচ্ছে।

টাওয়ার সেভেন থেকে স্টিলের কোনো ধ্বংসাবশেষ না পাওয়া যাওয়ায় তদন্তকারীরা বরং চারটি খুবই জটিল কম্পিউটার মডেল তৈরি করে ভবনটি ধসে পড়ার ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন। তদন্তকারীরা এখন এ ব্যাপারে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী যে, তাদের গবেষণা থেকে সব উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে।

তদন্তে দেখা গেছে, টাওয়ার সেভেন একটি অস্বাভাবিক ডিজাইনে তৈরি। ভবনটি একটি বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন এবং সাবওয়ের উপর নির্মিত হয়েছিল। ফলে বিভিন্ন দিক থেকে ভবনটিতে আগুন লাগে। অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা প্রাণ বাঁচাতেই বেশি ব্যস্ত থাকায় আগুন নেভানোর দিকে মনোযোগ দিতে পারেননি। এ ছাড়া আগুন নেভানোর মতো পর্যাপ্ত পানিও ছিল না তাদের কাছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/এমডি/জামান/ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর