thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

উপজেলা নির্বাচনে সহস্রাধিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ০২ ১৯:০০:৩৬
উপজেলা নির্বাচনে সহস্রাধিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দুই ধাপে উপজেলা নির্বাচনে ১০৭৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৯৮ উপজেলা নির্বাচনে ৩৯২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯৮ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। দ্বিতীয় ধাপে ১১৭ উপজেলা নির্বাচনে ৪৬৮ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১১৭ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। এ জন্য সম্প্রতি আইন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত ২৮ জানুয়ারি ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্যায়ে ৯৮ উপজেলা নির্বাচনের জন্য ৩৯২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯৮ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে চিঠি দেয় ইসি। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জণপ্রশাসন থেকে এ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি এ সব উপজেলায় ভোট হবে। দ্বিতীয় ধাপের ১১৭ উপজেলার জন্য ৪৬৮ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১১৭ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ করা হয়েছে।

এ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের তদারকি করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এবং নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম তদন্তে কাজ করবে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা।

আইন শাখার কর্মকর্তারা আরও জানান, গণ-প্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৮৯ (এ) অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ হয় এবং বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের ৯১(এ) ধারা অনুযায়ী নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত করা হয়।

নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার পর্যায়ের সব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে কিনা তা তদারকি করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। এ সব কর্মকর্তা নির্বাচনী এলাকায় মোবাইল টিম হিসেবে টহল দেন। তাদের সম্মুখে কিংবা উপস্থিতিতে কোনো প্রার্থী কিংবা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি বিধি ভঙ্গ করলে এবং দায় স্বীকার করা মাত্রই শাস্তি দিতে পারেন তারা।

মোবাইল টিমের দায়িত্বে থাকা এ সব ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারেন।

অপরদিকে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম তদন্তে সামারি ট্রায়ালের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক সাজা ও অর্থদণ্ড দিতে পারবেন। এ সব কর্মকর্তা নির্বাচনী এলাকায় নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন কিংবা গুরুতর অপরাধ করলে ক্ষুব্ধ ব্যক্তি তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ডেকে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি করে অভিযোগের সত্যতা মিললে ট্রাইব্যুনাল সর্বোচ্চ ৭ বছর সাজা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড দিতে পারবেন।

চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ থেকে ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত প্রতিটি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ভোটগ্রহণের দুইদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পর দিন পর্যন্ত প্রতিটিতে তিনজন নির্বাহী ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএস/এনডিএস/সা/ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর