thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

ন্যায়-নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেই আমি খুশি : খাদ্যমন্ত্রী

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ০২ ২১:১৮:০১
ন্যায়-নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেই আমি খুশি : খাদ্যমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আপনারা সততা ও ন্যায়-নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেই আমি খুশি হব। সন্তুষ্ট হব।’

খাদ্য ভবন প্রাঙ্গণের টেনিস খেলার মাঠে রবিবার বিকেলে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অথিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাংলাদেশ খাদ্য পরিদর্শক সমিতি।

এতে সভাপতিত্ব করেন খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আহমদ হোসেন খান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল আওয়াল হাওলাদার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিসিএস ক্যাডার সমিতির সভাপতি ও খাদ্য সংগ্রহ বিভাগের পরিচালক বদরুল হাসান এবং বাংলাদেশ খাদ্য কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এইএম গোলাম রব্বানী।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রহমান খান।

প্রধান অতিথি বক্তব্যের শুরুতে আয়োজকদের প্রতি নাখোশ হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা আমার সম্পর্কে যেসব কথা যেভাবে বলেছেন, প্রশংসা করেছেন- আমি এতে খুশি নই। খাদ্য বিভাগ সৃষ্টির পর থেকে এ মন্ত্রণালয়ে সোহরাওয়ার্দী, ফণিভূষণ মজুমদার, আমির হোসেন আমু ও মতিয়া চৌধুরীসহ যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, আমি তাদের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য। আপনারা আমাকে যে আন্তরিকতা ও ভালোবাসা দেখিয়েছেন তাতে আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কিন্তু আমি স্পষ্ট কথা বলতে পছন্দ করি। আজকে আপনারা এতবড় আয়োজন না করে ছোট আকারে এ অনুষ্ঠান করলে আমি খুশি হতাম। আপনারা যা করেছেন, আমাকে যেভাবে প্রজেক্টরে ফুটিয়ে তুলেছেন, তাতে আমি প্রীত নই। আমি একজন কম জ্ঞানের ও ছোটমাপের মানুষ। তবুও প্রধানমন্ত্রী আমাকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মতো বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি এ কাজে সফল হতে চাই। আপনাদের ন্যায়-নিষ্ঠা ও সততাপূর্ণ সহযোগিতা চাই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, আপনারা সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করলে আমি খুশি হব। সরকার আপনাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়া অবশ্যই বিবেচনা করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে খাদ্য ঘাটতি পেয়েছিলাম। আর ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার সময় খাদ্য উদ্বৃত্ত রেখে যাই। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে খাদ্য ঘাটতি পাই এবং বর্তমানে ৩০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য অতিরিক্ত মজুদ আছে। এ সাফল্যকে আমরা আপনাদের আন্তরিকতাপূর্ণ নিরলস সহযোগিতায় এগিয়ে নিতে চাই। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।’

‘নিরাপদ খাদ্য প্রকল্প’ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে খাদ্য বিভাগকে সম্পৃক্ত করার দাবি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘এ দায়িত্ব আপনাদের দেওয়া হবে। তবে আমি আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, খাদ্য পরিদর্শক সম্পর্কে অনেকে অনেক কথা বলেন। যদিও তা আমি বিশ্বাস করি না। আমি আশা করব ভবিষ্যতে যেন বিশ্বাস করতে না হয়।’

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অর্জন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ৮৪ সালের পর দেশে কোনো খাদ্যগুদাম হয়নি। গত সরকার আমলে ৪-৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে গুদামের ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। এবার বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৭টি সাইলো নির্মাণ করা হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আটা বিক্রির কাজে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। ঢাকায় একটি অত্যাধুনিক ময়দার কল নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি বিভাগেও একটি করে ময়দা কল নির্মাণ করা হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/এম/এনডিএস/জামান/ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর