thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউল আউয়াল 1446

কক্সবাজারে পর্যটনশিল্পের বিপর্যয় কাটেনি

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ০৬ ১৮:১৮:০৪
কক্সবাজারে পর্যটনশিল্পের বিপর্যয় কাটেনি

সরওয়ার আজম মানিক, কক্সবাজার : অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ঘন ঘন হরতাল, অবরোধ ও নাশকতায় কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পে যে বিপর্যয় নেমে এসেছিল তার জের শেষ হয়নি। লোকসান দিতে দিতে দেউলিয়া হওয়ার পথে এখানকার হোটেল মালিকরা। বিদায়ী ২০১৩ সালটি ছিল কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পের জন্য সবচেয়ে ক্ষতির বছর। কোটি টাকা লোকসান দেওয়ার কারণে হোটেল-মোটেলগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাঁটাই চলছে। অনেক খাবার হোটেল এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। নেই পর্যটক আর তাই খা খা করছে সৈকতের বালিগুলো। ফলে এ খাতে হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এখন হুমকির মুখে।

পর্যটনশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত বছরের শুরু থেকে কক্সবাজারে পর্যটক কমছে। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। এখন অনেকটাই ফাঁকা সৈকত পড়ে আছে। পর্যটক নেই বললেই চলে।

হোটেলগুলোতে নেই কোনো পর্যটক। হোটেল দ্য কক্স টুডের পরিচালক (অপারেশন) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের মতো উন্নতমানের হোটেলগুলোতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা। কোনো পর্যটক না থাকলেও স্টাফদের জন্য সবকিছু করতে হয়। বিদায়ী বছরে ৭-৮ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

হোটেল ওসান প্যারাডাইসের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাঈদ আলমগীর জানান, তাদের হোটেলে গত বছরে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মালিকদের পক্ষে হোটেল চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।

পর্যটন মোটেল লাবণীর ব্যবস্থাপক রাশেদুল হক খান বলেন, ভাই কোনো পর্যটক নাই অনেক দিন ধরে। এর মাঝেও পর্যটন করপোরেশনকে ঠিকই চুক্তি মতো টাকা দিতে হচ্ছে।

নবগঠিত কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, গত নভেম্বর থেকে আমাদের খুব খারাপ অবস্থা যাচ্ছে। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কিছু একটা করার চেষ্টা করছি।

কক্সবাজার রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি কাশেম আলী বলেন, আমাদের প্রায় ১০০ খাবার হোটেল এখন বন্ধ রয়েছে। যারা খোলা রেখেছে তারাও কষ্টের মধ্যে আছে।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের শুরু থেকেই বিরোধী দলের বিভিন্ন কর্মসূচি এবং চলমান সহিংসতার কারণে চলতি পর্যটন মৌসুমে বিদেশি পর্যটক একেবারেই আসছেন না। দেশীয় পর্যটকরাও কোথাও ঘুরতে যাচ্ছেন না। পর্যটকশূন্যতার প্রভাব পড়েছে এ খাতে জড়িত সকলের ওপর। বেকার হয়ে পড়ছেন প্রচুর লোকজন।

বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক (প্রকিউরমেন্ট) পারভেজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, বিদেশি পর্যটক বাদ দিলেও পর্যটন মৌসুমে দেশি পর্যটকের সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু এ বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশি পর্যটকের সংখ্যা দেড় লাখও হয়নি।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে রয়েছে সাড়ে তিনশতাধিক হোটেল-মোটেল। এখন এগুলো প্রায় সব খালি।

(দ্য রিপোর্ট/এসএএম/এইচএসএম/এজেড/এনআই/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

বিশেষ সংবাদ এর সর্বশেষ খবর

বিশেষ সংবাদ - এর সব খবর