thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউস সানি 1446

পিলখানা হত্যা মামলার রায় আজ

২০১৩ নভেম্বর ০৫ ০৮:৩৫:৫১
পিলখানা হত্যা মামলার রায় আজ

দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : পিলখানায় বিডিআর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ মঙ্গলবার। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সংগঠিত ওই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান।

গত ২০ অক্টোবর পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসার পাশে কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে ঢাকার জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে আসামি পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক ড. আখতারুজ্জামান মামলার রায়ের তারিখ ধার্য করেন ৩০ অক্টোবর।

এই বিদ্রোহের ঘটনার বিচার সীমান্তরক্ষা বাহিনীর নিজস্ব আইনে সম্পন্ন হচ্ছে। আর হত্যা, লুঠসহ অন্যান্য অভিযোগের বিচার হচ্ছে প্রচলিত আইনে।

এই মামলায় বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন ৮৫০ বিডিআর জওয়ান। আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হত্যা মামলা। এক হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মী ঘিরে থাকবেন আদালতের চারপাশ।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল সুসজ্জিত দরবার হল থেকে। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক শাকিল আহমেদের বক্তব্যের সময় দুজন সিপাহী অতর্কিতে মঞ্চে প্রবেশ করেন। এরপর জওয়ানেরা দুদিন ধরে বিডিআর মহাপরিচালকসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। কর্মকর্তাদের বাড়িঘরে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। সরকারি নথিপত্রেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিদ্রোহ শুরুর ৩৩ ঘণ্টা পর শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান হয়।

এ ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবোজ্যোতি খীসা একটি হত্যা মামলা করেন। সিআইডির বিশেষ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ মামলাটি তদন্ত করেন। তাকে সহযোগিতা করেন ২০০ কর্মকর্তা। ৫০০ দিন তদন্তের পর ২০১০ সালের ১২ জুলাই এ আদালতে হত্যা এবং অস্ত্র-বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। এতে ৮২৪ জনকে আসামি করা হয়। পরে অধিকতর তদন্তে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে বর্ধিত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সব মিলে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৫০।

এই মামলায় নথির সংখ্যা ৮৭ হাজার পৃষ্ঠা। আসামিদের মধ্যে বিডিআর জওয়ান আছেন ৭৮২, বেসামরিক সদস্য ২৩ জন। এর মধ্যে ২০ জন এখনো পলাতক। বিচার চলার সময় চারজন মারা গেছেন, জামিনে আছেন ১৩ জন। পিলখানা হত্যা মামলায় সাবেক সাংসদ নাসির উদ্দিন পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা তোরাব আলীও আসামি।

২০১১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মামলার বিচার শুরু হয়। চার বছর আট মাসে মামলাটি ২৩২ কার্যদিবস অতিক্রম করে। আজ রায় ঘোষণার মধ্যে শেষ হবে এ মামলার সব কার্যক্রম।

(দিরিপোর্ট২৪/ওএস/জেএম/নভেম্বর ০৫, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর