সাক্ষাৎকারে খালেকুজ্জামান
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলন করলে আমাদের পাবে
.jpg)
কমরেড খালেকুজ্জামান। জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে। পিতা মৃত নুরুজ্জামান। ছাত্রাবস্থায়ই ১৯৬২ সালে ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি নেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে একনায়কতন্ত্র ও সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন খালেকুজ্জামান। ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। রাজধানীর তোপখানা রোডের বাসদ কার্যালয়ে চিরকুমার এ রাজনীতিক সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে একান্তে কথা বলেন দ্য রিপোর্টের সঙ্গে। আলাপচারিতায় ছিলেন দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক সাগর আনোয়ার
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি কে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটা সাধারণ দিক যেমন থাকে তেমনি তা বহুমাত্রিক পর্যালোচনারও দাবি রাখে। শাসকশ্রেণীভুক্ত প্রধান দলসমূহের অবস্থা, ক্ষমতাসীন দলের শাসনকার্য পরিচালনার ধরন, পার্লামেন্টের কার্যকারিতা, ক্ষমতাসীন দল ও জোট শরিকদের আন্তঃসম্পর্ক, ক্ষমতাসীন দলের অতীত শাসন এবং বর্তমান শাসনের তারতম্য, প্রধান বিরোধী দল ও তাদের জোটের নীতি-কৌশলের কার্যকারিতা, শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত দলের প্রতি প্রতিপক্ষ শক্তির সহযোগিতা ও বিরোধিতার মাত্রা, দেশ-বিদেশে শাসকদের গ্রহণযোগ্যতার পরিধি, জনপ্রত্যাশা পূরণে জনগণ কতটা আশাবাদী, গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ এবং বিকাশের পরিবেশ ও সম্ভাবনা কতটা অনুকূল, ধনী-দরিদ্রের মাঝে ধনবৈষ্যম্যের গতিপ্রকৃতি কী, দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন দলীয়করণের প্রভাবমুক্ত হয়ে শাসন-প্রশাসন কতটা ক্রিয়াশীল, গণতন্ত্র মানে জনগণের শাসন ও তাদের অধিকার তাদের কাছে কতটা দৃশ্যমান ইত্যাদি বহু বিষয় সংশ্লিষ্ট হয়ে আসে। প্রতিটি বিষয়ে সবিস্তারে কিংবা স্বল্প পরিসরে যেভাবেই আলোচনা করা হোক না কেন শেষ পর্যন্ত নেতিবাচক দিকটাই প্রধান এবং প্রকট হয়ে বেরিয়ে আসবে। সে জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতির চেহারা এককথায় বলতে গেলে মুমূর্ষু রোগীর মুখে আনন্দের হাসির চিত্রই দেখা যাচ্ছে বলতে হবে।
বর্তমানে দেশের রাজনীতিতে যে সংকট চলছে তা থেকে উত্তরণের উপায় কী?
বর্তমান রাজনৈতিক সংকট স্বাধীনতাউত্তর কালের বুর্জোয়া শাসনের সংকট। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের কাল পর্যন্ত বাঙালি উঠতি ধনিক শ্রেণী শোষিত জনগণের সঙ্গে তাল ও সুর মিলিয়ে স্বাধীন দেশের শাসনক্ষমতা কব্জা করে। কিন্তু ১৯৭২ সাল থেকে গত ৪২ বছর তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা, চেতনা ও স্বার্থের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দেশ শাসন করতে গিয়ে এ সংকটের জন্ম দিয়েছে এবং দিনে দিনে তা ভারি ও দুঃসহ করে তুলেছে। এটা করতে গিয়ে ক্ষমতাকেন্দ্রিক হানাহানিতে তারা দুই রাষ্ট্রপতি খুন, দুইবার সামরিক শাসন জারি ও সামরিক শাসনের গায়ে গণতন্ত্রের পোশাক পরিয়ে তার বৈধতা দান, পাঁচবার জরুরি অবস্থা জারি, ৩০/৪০ হাজার রাজনৈতিক কর্মী হত্যা, জেল হত্যা, সিপাহী হত্যা, ৩ মাস মেয়াদি তদারকি সরকারের মেয়াদ দুইবছর দীর্ঘস্থায়ী করা, পার্লামেন্টকে একপায়ে দাঁড় করিয়ে রাখা ও ব্যবসায়ীদের ক্লাবে পরিণত করা, দ্বি-দলীয় লুটপাটতন্ত্র ও পরিবারতন্ত্রকে খাড়া করে জনগণকে জিম্মি রাখা- সবই করেছে। এখন পরিস্থিতি এমন জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে যে গণতান্ত্রিক শাসনের ঠাট-বাট তো দূরের কথা সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াকেও তারা অচল করে তুলেছে। দশম জাতীয় সংসদে ১৫৩ সাংসদ ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়ে গেছেন। বাকি ১৪৭ জন কায়া ভোট ও ছায়া ভোট মিলে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা মোতাবেক ৪০ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচনের সিঁড়ি ডিঙ্গিয়েছেন। সরকার এবং বিরোধী দল এক দেহে এক প্রাণে লীন হয়ে সমর্থন ও বিরোধিতার নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন। নীতি-আদর্শ বর্জিত সুবিধাবাদের রাজনীতি অধঃপতনের কত ধাপ নিচে নামতে পারে তার একটা পরিমাপ এখান থেকেও করা যেতে পারে। এ সংকট উত্তরণের উপায় দুর্নীতিগ্রস্ত, দুর্বৃত্তায়িত দ্বি-দলীয় রাজনীতির বিপরীতে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ও গণআকাঙ্ক্ষার স্বীকৃতি ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলা। তাদের নেতৃত্বে ধ্বংসের মুখে পড়া গণতান্ত্রিক বিধিবিধান, আইন, প্রথা-প্রতিষ্ঠান, সংস্কার, জনগণের গণতান্ত্রিক দাবি পূরণের লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন পরিচালনা করা, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে আদর্শবাদী ধারা প্রতিষ্ঠিত করা। কারণ রাজনৈতিক সমস্যা-সংকট রাজনৈতিক শক্তি দিয়ে রাজনৈতিক সংগ্রামের পথেই মীমাংসা করতে হয়। অন্যথায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে এবং রাজনীতি-রাজনৈতিক প্রক্রিয়া যা সমাজ সভ্যতা বিকাশের নিয়ামক পরিচালিকা শক্তি তা বিপর্যস্ত হয়।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নেওয়াকে আপনারা কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?
বাসদ-সিপিবি (বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি) ও কতিপয় দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। বাসদ-সিপিবি নির্বাচনে অংশ নেয়নি কারণ এ নির্বাচন জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে আঘাত করেছে এবং জনমতকে গুরুত্বহীন করে দিয়েছে। এ নির্বাচন জনগণের ক্ষমতায়নের বদলে দুই প্রধান বুর্জোয়া দলের ও তাদের নেতৃত্বাধীন জোটের গদি দখলের লড়াইয়ে পর্যবসিত হয়েছিল। একদিকে ক্ষমতাসীনরা চালিয়েছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আর প্রতিপক্ষরা চালিয়েছে সহিংস দলীয় সন্ত্রাস। একদিকে রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদী অন্যদিকে ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী তৎপরতা। নির্বাচন হলেই গণতন্ত্র হয় না। যদিও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচন তার অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে ওঠে। নির্বাচনকে যদি গণতান্ত্রিক নীতি ও পদ্ধতির প্রক্রিয়াতে পরিচালিত করতে হয় তাহলে প্রথমেই শাসকদলের পক্ষ থেকে তাদের বিগত দিনের শাসনের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য জবাবদিহিতা করতে হয়। তা ছিল না। একতরফা কথিত সুকীর্তির বর্ণনাকে জবাবদিহিতা বলা চলে না। তারপর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হলে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক সংস্থাসমূহকে যে গণতান্ত্রিক শক্তি সামর্থে্যর স্বাধীন সত্তায় ক্রিয়াশীল থাকতে হয় তা ছিল না। তার জন্য প্রতিষ্ঠানসমূহের গণতান্ত্রিক সংস্কার যেমন প্রয়োজন ছিল তেমনি ছিল শাসক দলের সীমালঙ্ঘনের নিয়ন্ত্রণ। দুটোই ছিল অনুপস্থিত। জনমতকে বিভ্রান্ত-উপেক্ষা-বাধাগ্রস্ত করার মত অর্থশক্তি, পেশিশক্তি, আঞ্চলিকতা-সাম্প্রদায়িকতার দূষিত আবহাওয়া ইত্যাদি দূর করা এবং নিয়ন্ত্রণে আনার বদলে তার পৃষ্ঠপোষকতাও লক্ষ্য করা গেছে। তাছাড়া একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন আয়োজনের মহড়া, দলভারি করার কেনাবেচা, স্বার্থ-সুবিধা বণ্টনের কুৎসিত হিসাব-নিকাশ তৎপরতা মানুষের বিবেককে পীড়িত করেছে। যদিও এর মধ্যে জাতীয় পার্টি ও তাদের প্রধান নেতার অভিনয় দৃশ্যাবলী মানুষের বিনোদনের খোরাক যুগিয়েছে। সবকিছু মিলে এ ধরনের পরিস্থিতিতে সহজলভ্য মন্ত্রী-এমপি হওয়ার ইলেকশন নামধারী সিলেকশনে শরিক হওয়া রাজনীতিকে বলি করার শামিল। বাম প্রগতিশীল শক্তি হিসেবে বাসদ-সিপিবি নৈতিক কারণেই এ ধরনের কাজে অংশ নিতে পারেনি।
দেশে কি মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা আছে?
একই পরিবেশ পরিস্থিতি বহালে মধ্যবর্তী হোক্ বা কূলবর্তী হোক কোনো নির্বাচনই গণতন্ত্রের নির্বাসন দশা দূর করতে পারবে না। আমরা তাই নির্বাচন পদ্ধতিসহ সামগ্রিক সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি এবং বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার সংগ্রামের সঙ্গে সকলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিও করেছি।
জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধে আপনারা কী কোনো আন্দোলনে যাবেন?
সরকার তালবাহানা না করলে যে কোনো সময় যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করতে পারে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত অন্যতম চেতনা ও ধর্মনিরপেক্ষ সাংবিধানিক অঙ্গীকারকে সরকারের সদিচ্ছা থাকলে পুনরুদ্ধার করার ক্ষেত্রেও বাধা দেখি না। কারণ বিকৃত গোঁজামিল দশা থেকে মুক্ত করে সংবিধানের সংশোধনী আনার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদের রয়েছে।
জামায়াতকে ত্যাগ করলে বিএনপির নেতৃত্বে সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে শরিক হবেন কী?
বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে অন্য সকল দলের মতোই জনমত যাচাইয়ের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। কোনো দলেরই নির্বাচনে অংশগ্রহণে প্রত্যক্ষ পরোক্ষ, দৃশ্য-অদৃশ্য বাধাপ্রদান অগণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাচারী আচরণ হিসেবে গণ্য হতে বাধ্য। বিএনপির নির্বাচনে আসা না আসাটা আমাদের অংশগ্রহণের শর্ত হতে পারে না। মূলকথা হলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও বিধিবিধান কার্যকর রয়েছে কিনা। সঠিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও নির্বাচনের ফলাফল কোনো দল বা গোষ্ঠীর পক্ষে তাদের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে এমন ব্যবস্থা রহিত করার জন্য আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করব। গদি দখলের লড়াইয়ে বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে আন্দোলন করতে গিয়ে জামায়াতের এজেন্ডামাফিক জনবর্জিত সহিংস পথে হেঁটে সাময়িক হলেও বিএনপি পরাজয় ডেকে এনেছে। তা থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ও কর্মপন্থা নির্ধারণ তাদের বিষয়, সেটা যেমন আমরা ঠিক করে দিতে না পারি, তেমনি গদি রক্ষা কিংবা গদি দখলের লড়াইয়ে এক কাতারভুক্তও আমরা হতে পারি না। তবে বিএনপি প্রকৃত গণতান্ত্রিক আন্দোলন করলে আমাদের পাবে।
গণজাগরণমঞ্চের ১ বছর পূর্তিহল- এ আন্দোলনের সফলতা কতটুকু?
গণজাগরণ মঞ্চ ছিল মুক্তিযুদ্ধের অপূরিত চেতনা ও গণআকাঙ্ক্ষা পূরণে তারুণ্যের এক অভাবিত বিস্ফোরিত জাগরণ। এ জাগরণ আন্দোলন বাংলাদেশের ভাবমানসে যে ঝড় তুলেছে তার সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য রয়েছে। এক বছরের মধ্যে তাকে অনেক চড়াই-উৎরাই অতিক্রম করতে হয়েছে, অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে, অনেক বাধাবিপত্তি মোকাবেলা করে চলতে হয়েছে। এ জাগরণ শক্তিকে কেউ জাতীয় ব্যাগে পুরতে চেয়েছে, কেউ ধর্মীয় বাণ নিক্ষেপ করে ধরাশয়ী করতে চেয়েছে, কেউ একে শক্তিহীন করে স্বার্থ উদ্ধারের পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার বাস্তবায়ন ও যুদ্ধাপরাধের বিচারের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের ন্যায্যতা ও যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যতদিন এটা অবিচল থাকবে ততদিন তার শক্তিও থাকবে অপ্রতিরোধ্য। বাম-প্রগতিশীল শক্তি এর নির্ভরযোগ্য মিত্র।
সিপিবির সঙ্গে আপনাদের ধারাবাহিক আন্দোলনকে অনেকেই আওয়ামীলীগের বিভিন্ন উদ্দেশ্য হাসিলের হাতিয়ার বলছে। এ বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য কী?
এ সময়কালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকেন্দ্রিক পদক্ষেপ আর বাসদ-সিপিবির জনস্বার্থে অবস্থান গ্রহণ ও আন্দোলন অনেক ঘোলাটে চিন্তাকে পরিচ্ছন্ন করেছে এবং বেশ কিছু উদ্দেশ্যমূলক প্রচারের অসারতাও তুলে ধরেছে।
সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য নতুন কোনো কর্মসূচি দেবেন কিনা?
সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, নির্বাচনকে গ্রহযোগ্য করার জন্য আমরা নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার তথা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিসহ প্রথা-প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক সংস্কারের কথা সুনির্দিষ্টভাবে বলেছি। আমরা অনুপার্জিত অবৈধ সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ও শাস্তিবিধানের আইনের কথা বলেছি। আমরা জনজীবনে অর্থাৎ শ্রমজীবী মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিও তুলেছি। সবকিছু নিয়েই আমাদের অন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
দেশের বামদলগুলোর মধ্যে বারবার ভাঙনের কারণ কী? বামদলগুলোর ভবিষ্যৎ কী?
ভাঙনের উপাদান না থাকলে ভাঙন আসে না। তবে ভাঙনের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণে দেখা যায় বিকাশের প্রয়োজনে অগ্রসর এবং পশ্চাৎপদ অবস্থানের দ্বন্দ্বে একটা ভাঙন আসে যা বিকাশকে ত্বরান্বিত করে। আরেক ধরনের বিনাশী ভাঙন আসে যা উভয় অংশকেই বিলুপ্তির পথে ঠেলে দেয়। বামপন্থা তথা সাম্যবাদ সমাজতন্ত্রের রাজনীতি সমাজের ঐতিহাসিক বিকাশের অনিবার্যতা থেকে উদ্ভূত। ফলে বহু দলের বহু রকম ভাঙ্গা-গড়া চলতে পারে। কিন্তু তাতে শোষণমুক্ত মানবসমাজ-সভ্যতা নির্মাণের ভবিষ্যৎ অতীত গর্ভে বিলীন বা বর্তমান অমানিশায় হারিয়ে যেতে পারে না।
(দ্য রিপোর্ট/ মসাআ/ এইচএসএম/ এনআই/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪)
পাঠকের মতামত:

- যে শর্তে মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতি দিল হামাস
- ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ৩.৭১ শতাংশ
- সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ, বলছেন রহমত মিয়া
- শেখ হাসিনার বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে: প্রসিকিউটর
- জামায়াতকে নয়, ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে চাই: শফিকুর রহমান
- দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
- করিডোর ইস্যুতে সরকারের অবস্থান জানতে চাইল বিএনপি
- নির্বাচন নিয়ে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করা যাবে না: মির্জা আব্বাস
- বিএনপিকে যমুনায় ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
- এবারের বাজেটে নতুন কোনো চমক থাকছে না: দেবপ্রিয়
- আইসিসির হস্তক্ষেপের আশায় আছেন ফারুক
- নতুন কাউন্সিলর বুলবুল, অনুমোদন দিল বিসিবি
- ইসরাইলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে গাজায় যাচ্ছেন গ্রেটা থুনবার্গ
- ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ
- জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ৬ সমঝোতা স্মারক সই
- দুর্বল হয়েছে গভীর নিম্নচাপ
- জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ফুলেল শ্রদ্ধা
- জিয়াউর রহমানের আজ ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী
- নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই করতে হবে: মির্জা আব্বাস
- দাম বেড়েছে সবজির, মুরগিতে স্বস্তি
- বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হবে: ড. আনিসুজ্জামান
- সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
- সিনহা হত্যা: হাইকোর্টের রায় ২ জুন
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা ও তেল আমদানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
- উপকূলীয় ১৬ জেলায় ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
- ইশরাকের বিষয়ে আদালতের রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
- ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন হওয়া সম্ভব : তারেক রহমান
- "খুব শিগগিরই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত দেখতে পাব, এই হোক অঙ্গীকার"
- বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ড. আনিসুজ্জামানের বৈঠক আজ
- সচিবালয়ে সপ্তাহে দুই দিন দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
- ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
- এই সরকার স্টারলিংক এনেছেন আরাকান আর্মির জন্য: মির্জা আব্বাস
- চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র
- আবারো বিসিবি সভাপতি বদলের জোর গুঞ্জন
- অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান
- বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
- সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
- ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি, চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের শঙ্কা
- দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করার আগে নিয়ন্ত্রণে নেবে সরকার: গভর্নর
- এবার ঢাবিতে মশাল মিছিলে উত্তেজনা, শিক্ষার্থীদের ‘ভুয়া ভুয়া’ দুয়োধ্বনি
- গভীর রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ঢাকা
- শিবির ছাত্ররাজনীতির পরিবেশকে ‘বিষাক্ত’ করে তুলেছে: উমামা ফাতেমা
- জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
- নির্বাচনের রোডম্যাপ না পেয়ে ‘হতাশ’ বিএনপি
- পুতিন ‘আগুন’ নিয়ে খেলছেন: ট্রাম্প
- সচিবালয়ে নিরাপত্তা জোরদার, বিজিবি মোতায়েন
- সৌদি পৌঁছেছেন ৬৫ হাজার ৯৪৩ হজযাত্রী
- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা, বিকেলে সংবাদ সম্মেলন
- ইশরাকের শপথ: সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় স্থানীয় সরকার বিভাগ
- ঈদযাত্রার শেষ দিনের টিকিট বিক্রি আজ
- রাতে জাপান যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
- আপিল মঞ্জুর, জামায়াত নেতা আজহার খালাস
- বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ: সাইবার হামলার ধাক্কা সামলে অনলাইনে ফিরছে টিকিট বিক্রি
- ইউক্রেনের বিপদ বাড়ান জেলেনস্কি, দাবি ট্রাম্পের
- সচিবালয়ে মঙ্গলবার দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ
- আগামী জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরি হবে: আলী রীয়াজ
- অধ্যাদেশ নিয়ে আলোচনা করে সমস্যাটা সমাধান করে নেবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- "সরকার বিনিয়োগ শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিচ্ছে"
- ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কলম বিরতি শুরু মঙ্গলবার
- সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েন নেই, জানাল সেনাবাহিনী
- গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে: তারেক রহমান
- সরকার প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা
- টানা ৩ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে পতন, বেড়েছে লেনদেন
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন জয়া আহসান
- রানার অটোমোবাইলস নিয়ে এলো ‘ইয়াদিয়া’র ইলেকট্রিক স্কুটার
- ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে দেয়া যাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের কিস্তি
- ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা
- বাংলাদেশ- ইউএই ক্রিকেট সিরিজের টাইটেল স্পন্সর ওয়ালটন
- বাংলাদেশ- ইউএই ক্রিকেট সিরিজের টাইটেল স্পন্সর ওয়ালটন
- বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মাননা পেলেন আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের নারী উদ্যোক্তা
- কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দিলো সরকার
- আগামী বছরের ৩০ জুনের পর দায়িত্বে থাকবেন না ড. ইউনূস : প্রেস সচিব
- সর্বোচ্চ ছক্কা হজমে রশিদের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড
- পাকিস্তানে ভারত-সমর্থিত ৯ সন্ত্রাসী নিহত
- দাবির সঙ্গে একমত সরকার, এনবিআরে কর্মবিরতি স্থগিত
- সচিবালয়ে মঙ্গলবার দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ
- গভীর রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ঢাকা
- ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি, চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের শঙ্কা
- ইউক্রেনের বিপদ বাড়ান জেলেনস্কি, দাবি ট্রাম্পের
- আপিল মঞ্জুর, জামায়াত নেতা আজহার খালাস
- গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে: তারেক রহমান
- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা, বিকেলে সংবাদ সম্মেলন
- সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েন নেই, জানাল সেনাবাহিনী
- সচিবালয়ে নিরাপত্তা জোরদার, বিজিবি মোতায়েন
- জিয়াউর রহমানের আজ ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী
- এবার ঢাবিতে মশাল মিছিলে উত্তেজনা, শিক্ষার্থীদের ‘ভুয়া ভুয়া’ দুয়োধ্বনি
- শিবির ছাত্ররাজনীতির পরিবেশকে ‘বিষাক্ত’ করে তুলেছে: উমামা ফাতেমা
- জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
- দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করার আগে নিয়ন্ত্রণে নেবে সরকার: গভর্নর
- রাতে জাপান যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
- নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই করতে হবে: মির্জা আব্বাস
- ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন হওয়া সম্ভব : তারেক রহমান
- ঈদযাত্রার শেষ দিনের টিকিট বিক্রি আজ
- ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কলম বিরতি শুরু মঙ্গলবার
- সরকার প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা
- টানা ৩ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে পতন, বেড়েছে লেনদেন
- অধ্যাদেশ নিয়ে আলোচনা করে সমস্যাটা সমাধান করে নেবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আগামী জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরি হবে: আলী রীয়াজ
- এই সরকার স্টারলিংক এনেছেন আরাকান আর্মির জন্য: মির্জা আব্বাস
- বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
বিশেষ সংবাদ এর সর্বশেষ খবর
বিশেষ সংবাদ - এর সব খবর
