একেএম মহিউদ্দীন
মাতৃভাষায় ইসলাম চর্চা : প্রয়োজন সুগভীর অনুরাগ

বিশ্ববিখ্যাত আলেমে দ্বীন সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নাদভী (র.) একবার বাংলাদেশে এসে আলেমদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “আমার কথা মনে রাখবেন, বাংলাভাষা ও সাহিত্যের নেতৃত্ব নিজেদের হাতে নিতে হবে। দু’টি শক্তির হাত থেকে নেতৃত্ব ছিনিয়ে আনতে হবে।
অমুসলিম শক্তির হাত থেকে এবং অনৈসলামী শক্তির হাত থেকে। অনৈসলামী শক্তি বলতে সেই সব নামধারী মুসলিম লেখক সাহিত্যিকদের কথা আমি বোঝাতে চাচ্ছি যাদের মন-মগজ এবং চিন্তা ও কর্ম ইসলামী নয়। মোটকথা, এ উভয় শক্তির হাত থেকেই বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের নেতৃত্ব গড়ে তুলুন যেন অন্যদিকে কেউ আর ফিরেও না তাকায়। আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের হিন্দুস্তানী আলেমগণ প্রথম থেকেই এ দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছিলেন। ফলে, সাহিত্য, কাব্য, সমালোচনা ও ইতিহাসসহ সর্বত্র আজ আলেম সমাজের দৃপ্ত পদচারণা পরিলক্ষিত হচ্ছে। হিন্দুস্তানে উর্দু সাহিত্যকে আমরা অন্যের নিয়ন্ত্রণে যেতে দেইনি। ফলে আল্লাহ্র রহমতে সেখানে এ কথা কেউ বলতে পারবে না যে, মাওলানারা উর্দু জানে না কিংবা টাকশালী উর্দুতে তাদের হাত নেই। এখনও হিন্দুস্তানী আলেমদের মধ্যে এমন লেখক, সাহিত্যিক ও অনলবর্ষী বক্তা রয়েছেন, যাদের সামনে দাঁড়াতেও অন্যদের সংকোচ বোধ হবে। বাংলাদেশে আপনাদের তাই করা উচিৎ। আমার কথা আপনারা লিখে রাখুন, দীর্ঘ জীবনের লব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি উদাসীনতা প্রদর্শন কিংবা বিমাতাসুলভ আচরণ এ দেশের আলেম সমাজের জন্য জাতি হত্যারই নামান্তর।”
আবুল হাসান আলী নাদভী ভারতের লখনৌতে অবস্থিত বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ‘দারুন নাদওয়াতুল উলামা’র যে সময় রেক্টর ছিলেন, সে সময় বর্তমান লেখকের চাচাতো ভাই সেখানে অধ্যয়ন করতেন। ওই সময় একদিন অধ্যয়নরত বাংলাদেশের ছাত্ররা, তারা একটি ‘আরবী সাহিত্য পরিষদ’ নামে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে মাওলানাকে দাওয়াত দেন। সংগঠনটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আলী নাদভী তাদের নিরুৎসাহিত করে বলেন, তোমাদের এ জাতীয় সংগঠন না তৈরি করে, বরঞ্চ তৈরি করা উচিৎ বাংলা সাহিত্য পরিষদ নামে সংগঠনের। তিনি আরও বলেন, তোমাদের দেশে ফিরে গিয়ে বাংলাতে ব্যাপকভাবে লেখা-লেখি করা উচিৎ। আজই তোমরা সংগঠনটির নাম বদলে ফেল।
পাঠকের সামনে মাওলানাকে উদ্ধৃত করার অর্থ হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীন তিনি। তাঁর কথার গুরুত্ব রয়েছে সবমহলে। সুতরাং উচিৎ হবে বিষয়টির যথাযথ গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে আলেম সমাজকে এগিয়ে আসা। পাশাপাশি ইসলামপ্রিয় মানুষদের কাছে মিনতি রাখব, তাদেরও একইভাবে এই পথে যাত্রা শুরু করা কর্তব্য।
এ কথা মনে রাখতে হবে, এ পৃথিবীতে ১ লাখ বা ২ লাখ ২৪ হাজার পয়গম্বর বা নবী রাসূল এসেছেন। তাঁরা স্বজাতির মাতৃভাষায় কথা বলতেন। তাদের প্রতি নাজিলকৃত আসমানী কিতাব ও ছহিফাগুলো স্বীয় মাতৃভাষায় প্রচার করতেন। আল্লাহপাক কুরআনে উল্লেখ করেছেন, আমি সব পয়গম্বরকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই পাঠিয়েছি যাতে তাদের পরিষ্কার করে বুঝাতে পারে। (সূরা ইব্রাহিম, আয়াত : ৪)। হাদিস শরীফ থেকে প্রমাণিত হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহপাক পয়গম্বরের প্রতি যত কিতাব নাজিল করেছেন সেগুলোর আসল ভাষা ছিল আরবী। জিব্রাঈল (আ.) পয়গম্বরের নিজ নিজ জাতীয় ভাষায় অনুবাদ করে নবী-রাসূলগণের কাছে পৌঁছাতেন। যেমন তাওরাত, জাবুর, ইঞ্জিল প্রভৃতি কিতাব কোনোটা ইব্রানী, কোনোটা হিব্রু, কোনোটা সুরিয়ানী বা ইউনানী ভাষায় রূপান্তরিত বাণী নবী-রাসূলগণ তাদের মাতৃভাষায় বা স্বজাতীয় ভাষায় বোঝাতেন। এতে বোঝা গেল যে, প্রত্যেক নবী-রাসূলই আপন জাতির মাতৃভাষায় আসমানী গ্রন্থাবলীর নির্দেশিকা প্রচার করতেন। মূলত পয়গম্বরদের ইসলাম প্রচারের মাধ্যম ছিল মাতৃভাষা।
ভূ-পৃষ্ঠে মানবজাতির আগমনের সঙ্গে সঙ্গে মাতৃভাষার উৎপত্তি হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ বা সৃষ্টির সেরা জীবরূপে মানুষ সৃষ্টি করে তাদের মনের ভাব প্রকাশের জন্য মাতৃভাষা শিক্ষা দিয়েছেন। একজন মানব সন্তান যে জনপদে জন্মগ্রহণ করে, যে পরিবেশ-প্রকৃতিতে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়, যে মায়ের কোলে সে লালিত-পালিত হয়, সেই জনপদে লোকালয়ের মানুষের ভাষা, সেই পরিবেশের ভাষা, সেই মায়ের ভাষা তার আপন ভাষায় পরিণত হয়। জন্মগতভাবেই মানুষ তার মাতৃভাষাতে মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। পারস্পরিক মনোভাব প্রকাশে মানুষ যা বলে তাই ভাষা। কারণ, আল্লাহ পাক মানুষের জন্মের পর তাকে মাতৃভাষায় কথা বলতে শিখিয়েছেন। জগতে বিচিত্র ধরনের অসংখ্য মাতৃভাষা রয়েছে। জগৎজুড়ে ভাষাবৈচিত্র্যের এই যে অপরূপ সমাহার, সেটা আল্লাহর মহান কুদরত।
আল্লাহর অপরিসীম কুদরত মাতৃভাষা ও বর্ণের অনন্য নিদর্শন সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে।’ (সূরা আর-রূম, আয়াত-২২)।
মানব শিশু দুনিয়াতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশীর কাছ থেকে যে ভাষা শোনে এবং তাদের সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলে, তা-ই তার মাতৃভাষা। পৃথিবীতে আগত আদি মানব ও সর্বপ্রথম নবী হজরত আদম (আ.) এবং বিবি হাওয়া (আ.) নিজেদের মনের ভাব প্রকাশের জন্য বেহেশত থেকে আরবী ভাষায় কথা বলা শিখে এসেছিলেন। আল্লাহ তাআলা হজরত আদম (আ.)-কে জাগতিক ও পারলৌকিক সব কিছুর নাম শিক্ষা দিয়েই ভূ-পৃষ্ঠে প্রেরণ করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তিনি (আল্লাহ) আদমকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিয়েছেন।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত-৩১)।
আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম হজরত আদম (আ.)-কে বহু বিষয়ে নানা ভাষায় শিক্ষা প্রদান করেছিলেন। ফলে তিনি আরবী, ফার্সী, ইবরানী, সুরিয়ানী, ইউনানী ইত্যাদি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তার সন্তান-সন্ততি ও বংশধরেরা যখন বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন, তখন তারা প্রত্যেকে স্বীয় ভাষাসমূহ থেকে একেকটি ভাষাকে নিজেদের কথা বলার ভাষারূপে গ্রহণ করেন। এভাবেই মাতৃভাষার মধ্যে নানা পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা ক্রমান্বয়ে তৃতীয় একটি ভাষার উদ্ভব হল। সৃষ্টিকর্তা অশেষ অনুগ্রহ করে মানুষের ভাব প্রকাশে ভাষার ব্যবস্থা করে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তিনিই মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে ভাব প্রকাশ করতে (ভাষা) শিখিয়েছেন।’ (সূরা আর-রাহমান, আয়াত : ৩-৪)
এ কথা সত্য যে, মাতৃভাষার মাধ্যমে যত সহজে মানুষকে কোনো বিষয় বোঝানো যায়, তা অন্য কোনো ভাষায় তত সহজে করা যায় না। তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রত্যেক জাতির স্বীয় মাতৃভাষাকে যথাযথ মর্যাদা প্রদান করে নিজ নিজ জাতির নিজস্ব ভাষায় আসমানী কিতাবসমূহ নাজিল করেছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা সব ভাষাভাষী মানুষের কথা শোনেন ও বোঝেন। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, প্রধান চারটি আসমানী কিতাবের মধ্যে হজরত মুসা (আ.)-এর প্রতি ‘তাওরাত’ ইবরানী বা হিব্রু ভাষায়, হজরত ঈসা (আ.)-এর প্রতি ‘ইঞ্জিল’ সুরিয়ানী বা সিরিয়ার ভাষায়, হজরত দাউদ (আ.)-এর প্রতি ‘যাবুর’ ইউনানী বা আরামাইক ভাষায় এবং বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.)-এর প্রতি ‘আল-কোরআন’ আরবী ভাষায় অবতীর্ণ হয়। যদি আল্লাহ তাআলা এভাবে নবী-রাসূলদের কাছে নিজ নিজ মাতৃভাষার মাধ্যমে আসমানী কিতাব প্রেরণ না করতেন, তবে দেশবাসী ঐশী ধর্মগ্রন্থের হেদায়েত ও সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ লাভে বঞ্চিত হতো।
মহানবী (সা.) মাতৃভাষা বিশুদ্ধভাবে শিক্ষা ও চর্চার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করতেন। তাই বলা হয়ে থাকে, ‘মাতৃভাষা শুদ্ধ করে চর্চা করা বিশেষত তা বিশুদ্ধভাবে উচ্চারণ করা নবীর অনুপম সুন্নাত।’ রাসুলুল্লাহও (সা.) নিজ মাতৃভাষা আরবীকে ভালোবাসতেন। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (সা.) বাণী প্রদান করেছেন, ‘তোমরা তিনটি কারণে আরব তথা আরবী ভাষীকে ভালোবাসবে। কেননা আমি আরবী ভাষী, কোরআনের ভাষা আরবী এবং জান্নাতবাসীর ভাষাও আরবী।’ (বায়হাকী) রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘আমি আরবদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বিশুদ্ধ ভাষার অধিকারী।’
তৎকালীন আরব সমাজে বিশুদ্ধ ভাষায় কথাবার্তা বলা আভিজাত্যের লক্ষণ ছিল। বিশুদ্ধ ভাষা শেখার জন্য অনেক পরিবারের ছেলেমেয়েদের বিশুদ্ধ ভাষাভাষী পরিবারে প্রেরণ করা হতো। বিভিন্ন ভাষার চর্চা ও অনুশীলন সাহাবায়ে কিরামগণের (রা.) মধ্যেও বিস্তৃত হয়। বিভিন্ন জাতি ও গোত্রের ভাষা বোঝা এবং তাদের কাছে নিজস্ব ভাষায় ইসলামের দাওয়াত প্রদানে মহানবী (সা.) অন্যান্য জাতির মাতৃভাষা শেখার জন্য সাহাবায়ে কিরামদের উদ্বুদ্ধ করেছেন।
নবী-রাসূলদের পরবর্তী সময়ে যুগে যুগে ইসলাম ধর্মের প্রচারকরা পৃথিবীর যে সব অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করতে গিয়েছেন, সেই অঞ্চলের মানুষের ভাষা আয়ত্ত করে সেই ভাষাতেই ইসলামের সুমহান মর্মবাণী তাদের কাছে সহজ-সাবলীলভাবে তুলে ধরেছেন। তাদের মাতৃভাষায় মুসলমানদের অনুসৃত প্রধান ধর্মগ্রন্থ ‘আল-কোরআন’ অনুবাদ করে অনুসারীদের পবিত্র কোরআন-হাদিসের জ্ঞান দান করেছেন এবং ইসলামের বিধিবিধান ও নিয়মকানুন শিক্ষা দিয়েছেন। মাতৃভাষা চর্চার ওপর ইসলাম অত্যধিক গুরুত্ব আরোপের কারণে মুসলিম-মননে মাতৃভাষাপ্রীতি দারুণভাবে সঞ্চারিত হয়েছে।
ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত, রাসূল (সা.) আরবে মাতৃভাষার মাধ্যমে ইসলামকে প্রসারিত করে কুরআনের ভাষা আরবী ভাষাকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হন। আমাদের এ ভারতীয় উপমহাদেশেও ইসলাম প্রচারক উলামায়ে কেরামগণ যারা ইসলামের বাণী প্রচার করতে এসেছিলেন, তারাও আরবী ভাষাকেই এ দেশের মাতৃভাষায় রূপান্তর করে আমাদের পূর্বপুরুষদের ইসলামে দীক্ষিত করে তুলেছিলেন। এ দেশে ইংরেজদের আগমনের আগে মুসলমানরা প্রায় ৭০০ বছর পর্যন্ত শাসন করে শিক্ষাসভ্যতা প্রবর্তন করেছিলেন।
এ উপমহাদেশে ফার্সী, উর্দু, বাংলা ভাষায় কুরআন, হাদিসের প্রচুর গবেষণা ও বই-পুস্তক রচনা করা হয়। আরবী ভাষার কুরআন ও হাদিসের বাণী এ দেশের মাতৃভাষার মাধ্যমে ব্যাপক চর্চার ফলে এখানকার মানুষের মধ্যে ইসলামের ব্যাপক প্রসার ঘটে। বাংলা ভাষায় কুরআন তাফসীর, হাদিস ও অন্যান্য বিষয়ের যে বিশাল ভাণ্ডার গড়ে উঠেছে তাতে মাতৃভাষায় যে গুরুত্ব বহন করে তা অবাক করার মতো। বাংলাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ অসংখ্য প্রকাশনা সংস্থা মাতৃভাষায় যে সব কিতাবাদি রচনা ও অনুবাদ করেছে তা সত্যিই অতুলনীয়। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, মাতৃভাষায় ইসলাম চর্চা এ দেশে এক যুগান্তকারী অধ্যায় সূচিত করেছে। সত্যিকার অর্থে বাংলা ভাষায় ইসলাম চর্চা এটা এক বিরাট অবদান।
বাংলা ভাষা তথা আমাদের মাতৃভাষা আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন এ ভাষাতে ইসলাম চর্চা আরও ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হবে। ইসলাম যেমন আরবীয় মরু অঞ্চল পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল ঠিক তেমনি বাংলা ভাষা তথা মাতৃভাষার মাধ্যমে আমরা ইসলামের চর্চাকে বিশ্বব্যাপী আরও সম্প্রসারিত করতে সক্ষম হব।
সুতরাং একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে বাংলা ভাষার স্বকীয়তা রক্ষা করা আমাদের একান্ত অপরিহার্য। এ লক্ষ্যেই আমাদের মাতৃভাষাকে জাগতিক ও পারলৌকিক কল্যাণের কাজে ব্যবহার করতে হবে। মাতৃভাষায় ইসলাম চর্চায় প্রয়োজন সুগভীর অনুরাগ।
(দ্য রিপোর্ট/একেএম/আইজেকে/এএইচ/ফেরুয়ারি ১৪, ২০১৪)
পাঠকের মতামত:

- সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
- ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা শুরু
- সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
- গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউর রায় ৬ আগস্ট
- ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর
- বৃহস্পতিবার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা
- নেতানিয়াহুর দাবি গাজায় কেউ না খেয়ে নেই, ট্রাম্পের ভিন্নমত
- বিচার সংস্কার নির্বাচন সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিতে হবে: জামায়াত আমির
- ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের সময় অগ্নিকাণ্ডের প্রমাণ মেলেনি
- অভ্যুত্থানের শক্তি সক্রিয় থাকা পর্যন্ত মুজিববাদীরা দাঁড়াতে পারবে না: নাহিদ
- জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে আপত্তি এনসিপি-জামায়াতে ইসলামীর
- টেকসই উন্নয়নের শর্ত-স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান: আমীর খসরু
- জুলাই সনদের খসড়া বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক: সালাহউদ্দিন
- দেশে গভীর পরিবর্তন না হলে স্বৈরাচার গিয়ে স্বৈরাচার আসবে: প্রধান উপদেষ্টা
- সেপ্টেম্বরে শুরু এশিয়া কাপ, এক গ্রুপেই ভারত-পাকিস্তান
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৩৭ হাজার ৭৩ কোটি টাকা
- হচ্ছে না সাময়িক যুদ্ধবিরতি, হামাসকে ধ্বংসের হুমকি ট্রাম্পের
- কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে কিন্তু উন্নয়ন পায়নি : নাহিদ ইসলাম
- রোববার খুলছে না মাইলস্টোন, কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত সোমবার
- পুরনো পদ্ধতিতে আর নির্বাচন চলবে না: মজিবুর রহমান
- নির্বাচনের আগে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- দগ্ধদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা
- গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৫
- "কয়েকদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা"
- যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি, তখনই ষড়যন্ত্র আসছে: প্রধান উপদেষ্টা
- প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- সারা বছর মৃত ভোটার বাদ দেওয়ার ক্ষমতা চান ইসি কর্মকর্তারা
- ফেনী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ১
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫৯ হাজার ৫০০ ছাড়ালো
- দাম কমলো স্বর্ণের
- দু-চারটা হলেও শীর্ষ অপরাধীর বিচার দেখতে চাই: জামায়াত আমির
- বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিসহ ১৯৮ জনকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া
- কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে আইডি কার্ড দেখাতে হবে: আইন উপদেষ্টা
- বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে চীনা মেডিকেল টিম ঢাকায়
- হাসিনার গুলি চালানোর নির্দেশ নিয়ে আল জাজিরার ‘বিস্ফোরক’ প্রতিবেদন
- টানা ৮ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
- বাংলাদেশকে ধসিয়ে ধবলধোলাই এড়াল পাকিস্তান
- ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি সই
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩০ বিলিয়ন
- নতুন বাংলাদেশ গড়ার লড়াই শেষ হয়নি: নাহিদ
- জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় আমাদের স্বার্থে হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- মানুষের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক তৈরি করেছে মব কালচার: রুহুল কবির রিজভী
- হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক কারাগারে
- দগ্ধদের জন্য রক্ত ও স্কিনের প্রয়োজন নেই : বার্নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক
- ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসে নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ
- নাটোরে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬
- পাকিস্তানকে উড়িয়ে র্যাঙ্কিংয়ে জোড়া সুখবর পেল বাংলাদেশ
- ইসলামী ব্যাংকের ক্যাশ ওয়াক্ফ অ্যাকাউন্ট: মানবতার সেবায় স্থায়ী দান
- ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হয়নি: ইসরাইলি সেনাপ্রধান
- দুদকের পক্ষে এতো দুর্নীতির শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব না : বিচারক
- মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় তদন্তের দাবি জামায়াতের নায়েবে আমিরের
- নিহতের সংখ্যা কম দেখানোর কোনো কারণ নেই: প্রেস সচিব
- ফ্যাসিস্ট শক্তি উত্থানের শঙ্কায় মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা: মির্জা ফখরুল
- শক্তিশালী পাসপোর্টের র্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
- সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিদল বার্ন ইনস্টিটিউটে
- সরকার যেতে বললে চলে যাব: শিক্ষা উপদেষ্টা
- মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১
- চোখের জলে শেষবিদায়, চিরনিদ্রায় শায়িত পাইলট তৌকির
- পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
- সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী চীন: রাষ্ট্রদূত
- ৯ ঘণ্টা আটকে থাকার পর মাইলস্টোন ছাড়লেন দুই উপদেষ্টা
- সরকার দায়িত্বশীল আচরণ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেত না: নাহিদ
- গণতন্ত্রপন্থি সহযোদ্ধাদের শান্ত-সংহত থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
- "এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান না থাকার পক্ষে নয় বিএনপি"
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে চারটি রাজনৈতিক দলের নেতারা
- সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে দলগুলো: আসিফ নজরুল
- মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় ইআবি ভিসির শোক
- উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ২০, চিকিৎসাধীন ১৭১
- ৭ শিশু এতটাই পুড়েছে যে শনাক্তই করা যায়নি
- মরদেহের পরিচয় শনাক্তে লাগবে ডিএনএ পরীক্ষা
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উত্তরার বিমান দুর্ঘটনার খবর
- মাইলস্টোনে হতাহত পরিবারের পাশে থাকার আহ্বান বেগম খালেদা জিয়ার
- তাদের মা-বাবাদের কী জবাব দেব: প্রধান উপদেষ্টা
- উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: শেষ হলো উদ্ধার অভিযান
- প্রথম কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান
- বাংলাদেশকে ধসিয়ে ধবলধোলাই এড়াল পাকিস্তান
- নতুন বাংলাদেশ গড়ার লড়াই শেষ হয়নি: নাহিদ
- জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় আমাদের স্বার্থে হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- হাসিনার গুলি চালানোর নির্দেশ নিয়ে আল জাজিরার ‘বিস্ফোরক’ প্রতিবেদন
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩০ বিলিয়ন
- ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি সই
- ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসে নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ
- মানুষের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক তৈরি করেছে মব কালচার: রুহুল কবির রিজভী
- ফেনী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ১
- হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক কারাগারে
- বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে চীনা মেডিকেল টিম ঢাকায়
- কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে আইডি কার্ড দেখাতে হবে: আইন উপদেষ্টা
- সারা বছর মৃত ভোটার বাদ দেওয়ার ক্ষমতা চান ইসি কর্মকর্তারা
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫৯ হাজার ৫০০ ছাড়ালো
- দু-চারটা হলেও শীর্ষ অপরাধীর বিচার দেখতে চাই: জামায়াত আমির
- দগ্ধদের জন্য রক্ত ও স্কিনের প্রয়োজন নেই : বার্নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক
- দাম কমলো স্বর্ণের
- টানা ৮ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
- বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিসহ ১৯৮ জনকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া
- প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- নির্বাচনের আগে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৫
- দগ্ধদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা
- কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে কিন্তু উন্নয়ন পায়নি : নাহিদ ইসলাম
- পুরনো পদ্ধতিতে আর নির্বাচন চলবে না: মজিবুর রহমান
ধর্ম এর সর্বশেষ খবর
ধর্ম - এর সব খবর
