একেএম মহিউদ্দীন
মাতৃভাষায় ইসলাম চর্চা : প্রয়োজন সুগভীর অনুরাগ
বিশ্ববিখ্যাত আলেমে দ্বীন সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নাদভী (র.) একবার বাংলাদেশে এসে আলেমদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “আমার কথা মনে রাখবেন, বাংলাভাষা ও সাহিত্যের নেতৃত্ব নিজেদের হাতে নিতে হবে। দু’টি শক্তির হাত থেকে নেতৃত্ব ছিনিয়ে আনতে হবে।
অমুসলিম শক্তির হাত থেকে এবং অনৈসলামী শক্তির হাত থেকে। অনৈসলামী শক্তি বলতে সেই সব নামধারী মুসলিম লেখক সাহিত্যিকদের কথা আমি বোঝাতে চাচ্ছি যাদের মন-মগজ এবং চিন্তা ও কর্ম ইসলামী নয়। মোটকথা, এ উভয় শক্তির হাত থেকেই বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের নেতৃত্ব গড়ে তুলুন যেন অন্যদিকে কেউ আর ফিরেও না তাকায়। আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের হিন্দুস্তানী আলেমগণ প্রথম থেকেই এ দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছিলেন। ফলে, সাহিত্য, কাব্য, সমালোচনা ও ইতিহাসসহ সর্বত্র আজ আলেম সমাজের দৃপ্ত পদচারণা পরিলক্ষিত হচ্ছে। হিন্দুস্তানে উর্দু সাহিত্যকে আমরা অন্যের নিয়ন্ত্রণে যেতে দেইনি। ফলে আল্লাহ্র রহমতে সেখানে এ কথা কেউ বলতে পারবে না যে, মাওলানারা উর্দু জানে না কিংবা টাকশালী উর্দুতে তাদের হাত নেই। এখনও হিন্দুস্তানী আলেমদের মধ্যে এমন লেখক, সাহিত্যিক ও অনলবর্ষী বক্তা রয়েছেন, যাদের সামনে দাঁড়াতেও অন্যদের সংকোচ বোধ হবে। বাংলাদেশে আপনাদের তাই করা উচিৎ। আমার কথা আপনারা লিখে রাখুন, দীর্ঘ জীবনের লব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি উদাসীনতা প্রদর্শন কিংবা বিমাতাসুলভ আচরণ এ দেশের আলেম সমাজের জন্য জাতি হত্যারই নামান্তর।”
আবুল হাসান আলী নাদভী ভারতের লখনৌতে অবস্থিত বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ‘দারুন নাদওয়াতুল উলামা’র যে সময় রেক্টর ছিলেন, সে সময় বর্তমান লেখকের চাচাতো ভাই সেখানে অধ্যয়ন করতেন। ওই সময় একদিন অধ্যয়নরত বাংলাদেশের ছাত্ররা, তারা একটি ‘আরবী সাহিত্য পরিষদ’ নামে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে মাওলানাকে দাওয়াত দেন। সংগঠনটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আলী নাদভী তাদের নিরুৎসাহিত করে বলেন, তোমাদের এ জাতীয় সংগঠন না তৈরি করে, বরঞ্চ তৈরি করা উচিৎ বাংলা সাহিত্য পরিষদ নামে সংগঠনের। তিনি আরও বলেন, তোমাদের দেশে ফিরে গিয়ে বাংলাতে ব্যাপকভাবে লেখা-লেখি করা উচিৎ। আজই তোমরা সংগঠনটির নাম বদলে ফেল।
পাঠকের সামনে মাওলানাকে উদ্ধৃত করার অর্থ হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীন তিনি। তাঁর কথার গুরুত্ব রয়েছে সবমহলে। সুতরাং উচিৎ হবে বিষয়টির যথাযথ গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে আলেম সমাজকে এগিয়ে আসা। পাশাপাশি ইসলামপ্রিয় মানুষদের কাছে মিনতি রাখব, তাদেরও একইভাবে এই পথে যাত্রা শুরু করা কর্তব্য।
এ কথা মনে রাখতে হবে, এ পৃথিবীতে ১ লাখ বা ২ লাখ ২৪ হাজার পয়গম্বর বা নবী রাসূল এসেছেন। তাঁরা স্বজাতির মাতৃভাষায় কথা বলতেন। তাদের প্রতি নাজিলকৃত আসমানী কিতাব ও ছহিফাগুলো স্বীয় মাতৃভাষায় প্রচার করতেন। আল্লাহপাক কুরআনে উল্লেখ করেছেন, আমি সব পয়গম্বরকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই পাঠিয়েছি যাতে তাদের পরিষ্কার করে বুঝাতে পারে। (সূরা ইব্রাহিম, আয়াত : ৪)। হাদিস শরীফ থেকে প্রমাণিত হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহপাক পয়গম্বরের প্রতি যত কিতাব নাজিল করেছেন সেগুলোর আসল ভাষা ছিল আরবী। জিব্রাঈল (আ.) পয়গম্বরের নিজ নিজ জাতীয় ভাষায় অনুবাদ করে নবী-রাসূলগণের কাছে পৌঁছাতেন। যেমন তাওরাত, জাবুর, ইঞ্জিল প্রভৃতি কিতাব কোনোটা ইব্রানী, কোনোটা হিব্রু, কোনোটা সুরিয়ানী বা ইউনানী ভাষায় রূপান্তরিত বাণী নবী-রাসূলগণ তাদের মাতৃভাষায় বা স্বজাতীয় ভাষায় বোঝাতেন। এতে বোঝা গেল যে, প্রত্যেক নবী-রাসূলই আপন জাতির মাতৃভাষায় আসমানী গ্রন্থাবলীর নির্দেশিকা প্রচার করতেন। মূলত পয়গম্বরদের ইসলাম প্রচারের মাধ্যম ছিল মাতৃভাষা।
ভূ-পৃষ্ঠে মানবজাতির আগমনের সঙ্গে সঙ্গে মাতৃভাষার উৎপত্তি হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ বা সৃষ্টির সেরা জীবরূপে মানুষ সৃষ্টি করে তাদের মনের ভাব প্রকাশের জন্য মাতৃভাষা শিক্ষা দিয়েছেন। একজন মানব সন্তান যে জনপদে জন্মগ্রহণ করে, যে পরিবেশ-প্রকৃতিতে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়, যে মায়ের কোলে সে লালিত-পালিত হয়, সেই জনপদে লোকালয়ের মানুষের ভাষা, সেই পরিবেশের ভাষা, সেই মায়ের ভাষা তার আপন ভাষায় পরিণত হয়। জন্মগতভাবেই মানুষ তার মাতৃভাষাতে মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। পারস্পরিক মনোভাব প্রকাশে মানুষ যা বলে তাই ভাষা। কারণ, আল্লাহ পাক মানুষের জন্মের পর তাকে মাতৃভাষায় কথা বলতে শিখিয়েছেন। জগতে বিচিত্র ধরনের অসংখ্য মাতৃভাষা রয়েছে। জগৎজুড়ে ভাষাবৈচিত্র্যের এই যে অপরূপ সমাহার, সেটা আল্লাহর মহান কুদরত।
আল্লাহর অপরিসীম কুদরত মাতৃভাষা ও বর্ণের অনন্য নিদর্শন সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে।’ (সূরা আর-রূম, আয়াত-২২)।
মানব শিশু দুনিয়াতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশীর কাছ থেকে যে ভাষা শোনে এবং তাদের সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলে, তা-ই তার মাতৃভাষা। পৃথিবীতে আগত আদি মানব ও সর্বপ্রথম নবী হজরত আদম (আ.) এবং বিবি হাওয়া (আ.) নিজেদের মনের ভাব প্রকাশের জন্য বেহেশত থেকে আরবী ভাষায় কথা বলা শিখে এসেছিলেন। আল্লাহ তাআলা হজরত আদম (আ.)-কে জাগতিক ও পারলৌকিক সব কিছুর নাম শিক্ষা দিয়েই ভূ-পৃষ্ঠে প্রেরণ করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তিনি (আল্লাহ) আদমকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিয়েছেন।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত-৩১)।
আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম হজরত আদম (আ.)-কে বহু বিষয়ে নানা ভাষায় শিক্ষা প্রদান করেছিলেন। ফলে তিনি আরবী, ফার্সী, ইবরানী, সুরিয়ানী, ইউনানী ইত্যাদি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তার সন্তান-সন্ততি ও বংশধরেরা যখন বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন, তখন তারা প্রত্যেকে স্বীয় ভাষাসমূহ থেকে একেকটি ভাষাকে নিজেদের কথা বলার ভাষারূপে গ্রহণ করেন। এভাবেই মাতৃভাষার মধ্যে নানা পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা ক্রমান্বয়ে তৃতীয় একটি ভাষার উদ্ভব হল। সৃষ্টিকর্তা অশেষ অনুগ্রহ করে মানুষের ভাব প্রকাশে ভাষার ব্যবস্থা করে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তিনিই মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে ভাব প্রকাশ করতে (ভাষা) শিখিয়েছেন।’ (সূরা আর-রাহমান, আয়াত : ৩-৪)
এ কথা সত্য যে, মাতৃভাষার মাধ্যমে যত সহজে মানুষকে কোনো বিষয় বোঝানো যায়, তা অন্য কোনো ভাষায় তত সহজে করা যায় না। তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রত্যেক জাতির স্বীয় মাতৃভাষাকে যথাযথ মর্যাদা প্রদান করে নিজ নিজ জাতির নিজস্ব ভাষায় আসমানী কিতাবসমূহ নাজিল করেছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা সব ভাষাভাষী মানুষের কথা শোনেন ও বোঝেন। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, প্রধান চারটি আসমানী কিতাবের মধ্যে হজরত মুসা (আ.)-এর প্রতি ‘তাওরাত’ ইবরানী বা হিব্রু ভাষায়, হজরত ঈসা (আ.)-এর প্রতি ‘ইঞ্জিল’ সুরিয়ানী বা সিরিয়ার ভাষায়, হজরত দাউদ (আ.)-এর প্রতি ‘যাবুর’ ইউনানী বা আরামাইক ভাষায় এবং বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.)-এর প্রতি ‘আল-কোরআন’ আরবী ভাষায় অবতীর্ণ হয়। যদি আল্লাহ তাআলা এভাবে নবী-রাসূলদের কাছে নিজ নিজ মাতৃভাষার মাধ্যমে আসমানী কিতাব প্রেরণ না করতেন, তবে দেশবাসী ঐশী ধর্মগ্রন্থের হেদায়েত ও সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ লাভে বঞ্চিত হতো।
মহানবী (সা.) মাতৃভাষা বিশুদ্ধভাবে শিক্ষা ও চর্চার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করতেন। তাই বলা হয়ে থাকে, ‘মাতৃভাষা শুদ্ধ করে চর্চা করা বিশেষত তা বিশুদ্ধভাবে উচ্চারণ করা নবীর অনুপম সুন্নাত।’ রাসুলুল্লাহও (সা.) নিজ মাতৃভাষা আরবীকে ভালোবাসতেন। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (সা.) বাণী প্রদান করেছেন, ‘তোমরা তিনটি কারণে আরব তথা আরবী ভাষীকে ভালোবাসবে। কেননা আমি আরবী ভাষী, কোরআনের ভাষা আরবী এবং জান্নাতবাসীর ভাষাও আরবী।’ (বায়হাকী) রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘আমি আরবদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বিশুদ্ধ ভাষার অধিকারী।’
তৎকালীন আরব সমাজে বিশুদ্ধ ভাষায় কথাবার্তা বলা আভিজাত্যের লক্ষণ ছিল। বিশুদ্ধ ভাষা শেখার জন্য অনেক পরিবারের ছেলেমেয়েদের বিশুদ্ধ ভাষাভাষী পরিবারে প্রেরণ করা হতো। বিভিন্ন ভাষার চর্চা ও অনুশীলন সাহাবায়ে কিরামগণের (রা.) মধ্যেও বিস্তৃত হয়। বিভিন্ন জাতি ও গোত্রের ভাষা বোঝা এবং তাদের কাছে নিজস্ব ভাষায় ইসলামের দাওয়াত প্রদানে মহানবী (সা.) অন্যান্য জাতির মাতৃভাষা শেখার জন্য সাহাবায়ে কিরামদের উদ্বুদ্ধ করেছেন।
নবী-রাসূলদের পরবর্তী সময়ে যুগে যুগে ইসলাম ধর্মের প্রচারকরা পৃথিবীর যে সব অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করতে গিয়েছেন, সেই অঞ্চলের মানুষের ভাষা আয়ত্ত করে সেই ভাষাতেই ইসলামের সুমহান মর্মবাণী তাদের কাছে সহজ-সাবলীলভাবে তুলে ধরেছেন। তাদের মাতৃভাষায় মুসলমানদের অনুসৃত প্রধান ধর্মগ্রন্থ ‘আল-কোরআন’ অনুবাদ করে অনুসারীদের পবিত্র কোরআন-হাদিসের জ্ঞান দান করেছেন এবং ইসলামের বিধিবিধান ও নিয়মকানুন শিক্ষা দিয়েছেন। মাতৃভাষা চর্চার ওপর ইসলাম অত্যধিক গুরুত্ব আরোপের কারণে মুসলিম-মননে মাতৃভাষাপ্রীতি দারুণভাবে সঞ্চারিত হয়েছে।
ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত, রাসূল (সা.) আরবে মাতৃভাষার মাধ্যমে ইসলামকে প্রসারিত করে কুরআনের ভাষা আরবী ভাষাকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হন। আমাদের এ ভারতীয় উপমহাদেশেও ইসলাম প্রচারক উলামায়ে কেরামগণ যারা ইসলামের বাণী প্রচার করতে এসেছিলেন, তারাও আরবী ভাষাকেই এ দেশের মাতৃভাষায় রূপান্তর করে আমাদের পূর্বপুরুষদের ইসলামে দীক্ষিত করে তুলেছিলেন। এ দেশে ইংরেজদের আগমনের আগে মুসলমানরা প্রায় ৭০০ বছর পর্যন্ত শাসন করে শিক্ষাসভ্যতা প্রবর্তন করেছিলেন।
এ উপমহাদেশে ফার্সী, উর্দু, বাংলা ভাষায় কুরআন, হাদিসের প্রচুর গবেষণা ও বই-পুস্তক রচনা করা হয়। আরবী ভাষার কুরআন ও হাদিসের বাণী এ দেশের মাতৃভাষার মাধ্যমে ব্যাপক চর্চার ফলে এখানকার মানুষের মধ্যে ইসলামের ব্যাপক প্রসার ঘটে। বাংলা ভাষায় কুরআন তাফসীর, হাদিস ও অন্যান্য বিষয়ের যে বিশাল ভাণ্ডার গড়ে উঠেছে তাতে মাতৃভাষায় যে গুরুত্ব বহন করে তা অবাক করার মতো। বাংলাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ অসংখ্য প্রকাশনা সংস্থা মাতৃভাষায় যে সব কিতাবাদি রচনা ও অনুবাদ করেছে তা সত্যিই অতুলনীয়। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, মাতৃভাষায় ইসলাম চর্চা এ দেশে এক যুগান্তকারী অধ্যায় সূচিত করেছে। সত্যিকার অর্থে বাংলা ভাষায় ইসলাম চর্চা এটা এক বিরাট অবদান।
বাংলা ভাষা তথা আমাদের মাতৃভাষা আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন এ ভাষাতে ইসলাম চর্চা আরও ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হবে। ইসলাম যেমন আরবীয় মরু অঞ্চল পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল ঠিক তেমনি বাংলা ভাষা তথা মাতৃভাষার মাধ্যমে আমরা ইসলামের চর্চাকে বিশ্বব্যাপী আরও সম্প্রসারিত করতে সক্ষম হব।
সুতরাং একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে বাংলা ভাষার স্বকীয়তা রক্ষা করা আমাদের একান্ত অপরিহার্য। এ লক্ষ্যেই আমাদের মাতৃভাষাকে জাগতিক ও পারলৌকিক কল্যাণের কাজে ব্যবহার করতে হবে। মাতৃভাষায় ইসলাম চর্চায় প্রয়োজন সুগভীর অনুরাগ।
(দ্য রিপোর্ট/একেএম/আইজেকে/এএইচ/ফেরুয়ারি ১৪, ২০১৪)
পাঠকের মতামত:
- ওয়ালটন-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসবের পুরস্কার বিতরণ
- গায়ানার স্কোয়াডে যোগ দিলেন সাকিব
- অ্যান্টিগায় প্রথম দিনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ৫ উইকেট
- শব্দের চেয়ে দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তত আছে: পুতিন
- পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ২১ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদদের স্মরণসভা করার নির্দেশ
- না ভোট ফিরিয়ে আনাসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন
- ক্ষমা চাওয়ার কথা বললেও সুযোগ পেলে গলা চেপে ধরবে আ.লীগ: রিজভী
- খুনি হাসিনার পুনর্বাসনকারীরাও ফ্যাসিস্টের দোসর: সারজিস
- গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৭৫ প্রাণ
- ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই : জামায়াত আমির
- জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব
- গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
- গণঅভ্যুত্থানের ছাপ রেখে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবল
- আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
- খেজুরের আমদানি শুল্ক কমল, থাকছে না অগ্রিম করও
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: শুনানি শেষ, রায় যেকোনো দিন
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির আকার বাড়ল
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ
- খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : ফখরুল
- বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস
- সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে
- "সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত"
- এদের রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না : নতুন সিইসি
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পেলেন এ এম এম নাসির উদ্দীন
- ডিএসইর পরিচালক নাহিদ হোসেন ওএসডি
- ম্যাচ শেষের আগেই মাঠ ছাড়ল কসোভো, রোমানিয়াকে জয়ী ঘোষণা
- ২০২৫ সালে ভারতের কেরালায় খেলবে আর্জেন্টিনা
- পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে
- বিদায় বেলায় ঢাকায় আসছে বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
- হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
- সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
- রাজধানীর পয়েন্টে পয়েন্টে অবরোধ অটোরিকশাচালকদের, যান চলাচল বন্ধ
- এবার শুনানিতে উঠছে জামায়াত নিবন্ধনের আপিল
- "বিচারের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের বিচার ট্রাইব্যুনালে নয়"
- আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা
- ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা
- সাত কলেজকে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
- ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
- ফ্যাসিস্টের মতো কারও ভয়েস কেড়ে নেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
- মুজিববর্ষ উদযাপনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের খরচ ১২৬১ কোটি
- নির্বাচনে হস্তক্ষেপ রুখে দেওয়ার বিধান চায় ইসি
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন
- সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে ১২ কোটি টাকা জরিমানা
- আমাকে দেশনায়ক-রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না: তারেক রহমান
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- দূষণ ধুয়ে ফেলতে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টির আবেদন
- সমন্বিত হিসাবে ঘাটতি: দুই ব্রোকারেজ হাউজকে জরিমানা
- আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব পেলেন নীড়
- খেলাপিদের ঘটিবাটি বিক্রি করে অর্থ আদায় করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
- খালেদা জিয়ার কাছে পৌঁছাল সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণপত্র
- বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ কিন্তু সফল হয়নি: হাসনাত
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায়: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- আ. লীগের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নেই: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- সন্দেহটা কোথায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন ফখরুলের
- টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে চারজন নিহত
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেফতার
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সাথে হজ এজেন্সি প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দিলেন বাইডেন
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- পাকিস্তান থেকে ২৯৭ টিইইউএস কনটেইনারে যেসব পণ্য এলো
- সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে
- ইসলামী ব্যাংকে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তাদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- তৃতীয়বারের মত সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- হাসিনার জন্য আরেকটি তাজমহল বানান: ভারতকে রিজভী
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ৩৩ শতাংশের বেশি
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০