thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল 24, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ২০ শাওয়াল 1445

মঞ্জুর হত্যার বর্ধিত প্রতিবেদন ২৯ জানুয়ারি দাখিলের নির্দেশ

২০১৬ অক্টোবর ২৩ ১৩:৩৩:১৯
মঞ্জুর হত্যার বর্ধিত প্রতিবেদন ২৯ জানুয়ারি দাখিলের নির্দেশ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আলোচিত মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলার বর্ধিত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রবিবার (২৩ অক্টোবর) সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম সাইফুল ইসলাম এ দিন ধার্য করেন।

বর্ধিত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রবিবার (২৩ অক্টোবর) দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। তাই প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করা হয়।

২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আসাদুজ্জামান খান রচি মামলাটির অর্ধিত তদন্তের আবেদন করেন। তিনি আবেদনের পক্ষে শুনানিতে বলেন, `এ মামলায় সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি। ফলে অনেককে সাক্ষী করা যায়নি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য মামলাটি অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন।’

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত সিআইডিকে মামলাটির বর্ধিত তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার স্টাফ (জিওসি) ছিলেন আবুল মঞ্জুর। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ২ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং মৃত্যু সনদপত্র পেতে দেরি হওয়ায় ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন। ১৯৯৫ সালের ২৭ জুন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

দীর্ঘ ১৯ বছর মামলাটি বিভিন্ন কারণে ঝুলে ছিল। বিচার চলাকালে পর্যায়ক্রমে ২২জন বিচারক বিচারিক কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিলেন। এরমধ্যে ২২জনই বিভিন্ন কারণে বদলি হয়েছেন। ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি মামলার ২৩তম বিচারক ঢাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা আক্তার ওই বছর ১০ ফেব্রুয়ারি চাঞ্চল্যকর মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ মামলার কার্যক্রম শেষ হয়। এ সময় মামলার প্রধান আসামি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও বাকি দুই আসামি মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইঞা উপস্থিত ছিলেন।

মামলার চার্জশিটভুক্ত অন্য দুই আসামি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শমসেরের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে।

এ মামলায় মোট ৪৯জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন প্রধান আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এর সমর্থনে আদালতে লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/এমকে/অক্টোবর ২৩, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর