thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১,  ১৯ জমাদিউস সানি 1446

আবদুর রহমান বাদাভি

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১৭ ০২:০৭:২৬
আবদুর রহমান বাদাভি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : মিসরের দার্শনিক ও কবি আবদুর রহমান বাদাভি ১৯১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তাকে আরব অস্তিত্ববাদের অগ্রপথিক বিবেচনা করা হয়। তিনি ১৫০ এর বেশি বই রচনা করেছেন। এর মধ্যে অর্ধেক এনসাইক্লোপেডিক কাজ।

বাদাভি কায়রো থেকে ৯৫ মাইল দূরের সারাবাস নামের একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কায়রোর আল-সাঈদিয়া স্কুলে পড়েন। ১৯৩৮ সালে ইজিপশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় (পরবর্তীতে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে প্রথম শ্রেণীতে গ্রাজুয়েট পাস করেন। পরে ফরাসি দার্শনিক আলেকজান্দ্রে কয়রে’র অধীনে পিএইচডি করেন। এ ছাড়া দার্শনিক আদ্রে লালান্দ্রে ও পাচ্যবিদ পল ক্রশের অধীনে পড়েন। তিনি ক্রশের পদ্ধতি দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। ইসলামিক বিশ্বে গ্রিক দশর্নের প্রভাব নিয়ে তার অনেক কাজ আছে। তিনি আরবি, ইংরেজি, স্পেনিস, ফ্রেঞ্চ, জার্মান, গ্রিক, ল্যাটিন ও ফারসি ভাষায় দক্ষ ছিলেন।

১৯৫০ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি ইব্রাহিম পাশা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ১৯৫৪ সালে মিশরীয় সংবিধানের নতুন খসড়া রচনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সংবিধান কমিটি ভেঙ্গে দিলে ১৯৫৬ সালে প্রেসিডেন্ট নাসেরের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডে কালচারাল অ্যাটাশে হিসেবে কাজ করেন।

১৯৬৬ সালে তিনি প্যারিসের সারবোনে পড়াতে যান। ১৯৬৭ সালে মিসর ত্যাগকে তিনি ‘বড় জেল থেকে মুক্তি’ বলে উল্লেখ করেন। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি লিবিয়ায় শিক্ষকতা করেন। তার বিশ্ববিদ্যালয়ে সফরে গেলে এক ছাত্র গাদ্দাফির সঙ্গে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে তর্ক করে। তাতে গাদ্দাফি রুষ্ট হয়ে বাদাভিকে বন্দি করে এবং জনসম্মুখে তার ব্যক্তিগত পাঠাগার পুড়িয়ে দেন। আনোয়ার সাদাতের মধ্যস্থতায় সতের দিন পর মুক্ত হন। এরপর ১৯৭৫ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি কুয়েতে শিক্ষকতা করেন।

১৯৪৫ সালে প্রকাশিত হয় ‘এক্সিটেন্সিয়ালিস্ট টাইম’ নামের বই। এটি আসলে ইশিপজিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের অধীনে করা পিএইচডি থিসিস। তার থিসিসের নিরীক্ষক ছিলেন ড. তাহা হোসাইন। ১৯৪৭ সালে প্রকাশিত হয় ‘হিউম্যানিজম অ্যান্ড এক্সিটেন্সিয়ালিজম ইন আরব থট’। এর মাধ্যমে তিনি নিজের সংস্কৃতিতে অস্তিত্ববাদের স্বরূপ অনুসন্ধান করেন। এর আগে প্রকাশিত হয় ‘গ্রিক হেরিটেজ ইন ইসলামিক সিভিলাইজেশন’ (১৯৪০)। অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে ইন্টোড্রাকশন টু ডিসিডেন্টস ইন ইসলাম (১৯৪৬), সায়েন্টিফিক রিসার্চ মেথডোলজি (১৯৬৩), আরবস রোল ইন ফর্মিং দ্য ইউরোপিয়ান থট (১৯৬৫) ও আল গাজালিস ওয়ার্কস (১৯৮১)।

তিনি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। ১৯৩৮ থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত মিসরের আল-ফাতাহ পার্টির সদস্য ছিলেন। এরপর ১৯৪৪ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত নিও-ন্যাশনাল পার্টির উচ্চস্তর পরিষদের সদস্য ছিলেন।

জীবনের শেষ দিকে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ২০০২ সালের ২৫ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এএল/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

এই দিনে এর সর্বশেষ খবর

এই দিনে - এর সব খবর