thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল 24, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ২০ শাওয়াল 1445

আশুলিয়ায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ

২০১৬ ডিসেম্বর ১৮ ১৭:৫০:৫৭
আশুলিয়ায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ

সাভার প্রতিনিধি : আশুলিয়ায় ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) টানা ৬ষ্ঠ দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে কয়েকটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হলে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শিল্প এলাকার প্রায় ২০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ।

এছাড়া যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শিল্প এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের টহল বৃদ্ধি, পুলিশের সাজোয়াজান ও জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই আশুলিয়ার বেশ কয়েকটি কারখানাতে কর্মবিরতি পালন করে আসছে শ্রমিকরা। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার সকালে কর্মবিরতির অংশ হিসেবে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করলে মালিকপক্ষের লোকজন কারখানাগুলো সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। একযোগে কারখানাগুলো ছুটি দেওয়া হলে শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে বিক্ষোভ করে। এ সময় পুলিশের ধাওয়া ও লাঠিচার্জে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় আহত হয় ৫ শ্রমিক।

ঘটনাটি দ্রুত অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে অসন্তোষ ঠেকাতে এম ডিজাইন, এনভয়, উইন্ডি, হিয়ন এ্যাপারেলস, দ্য ডিজাইন এন্ড জিন্স, সেতারা গ্রুপ, দি রোজ, বান্দু ডিজাইন, নেক্সট কালেকশন, পলমল সাফা, সেড ফ্যাশন, দ্য আইডিয়াস ফ্যাশন, লিন্ডা ও ডেকোসহ প্রায় ২০টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, সরকার ঘোষিত বর্তমান মজুরিও শ্রমিকরা সঠিকভাবে পাচ্ছেন না। তার উপর বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের জীবন-যাপন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে আমরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলেও পুলিশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছি।

এদিকে শ্রমিক বিক্ষোভ ঠেকাতে ঢাকা-১৯ আসনের সাংসদ ডা. এনামুর রহমান কারখানাগুলো পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি শিল্প এলাকার বাড়ির মালিকদের আগামী তিন বছরের মধ্যে বাড়ি ভাড়া না বাড়ানোর অনুরোধ করেন।

এ সময় শ্রমিকদের আন্দোলন বন্ধ করে কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও শ্রমমন্ত্রীকে অবগত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই আলোচনা করে ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান করা হবে।

এদিকে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান শ্রমিক আন্দোলন ঠেকাতে সরকারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চেয়েছেন। আর শ্রমিকদের এই আন্দোলনের পেছনে কারো উসকানি আছে কি না সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এপি/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর