thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল 24, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ২১ শাওয়াল 1445

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক

‘সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাবের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়নি’

২০১৭ জানুয়ারি ২২ ১৬:২৭:০৩
‘সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাবের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়নি’

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ‘র‌্যাব একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। জঙ্গি দমন, সন্ত্রাস দমন, মাদক নির্মূল এসব কাজে র‌্যাবের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। র‌্যাব একটি প্রশংসিত বাহিনী। র‌্যাবের উচ্ছাভিলাষী কয়েকজন কর্মকর্তার কারণে এ সাত খুনের ঘটনা ঘটলেও র‌্যাবের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়নি।’

রবিবার ৭ খুন মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। গত ১৬ জানুয়ারি সাত খুন মামলার রায় দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন।

পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, ‘র‌্যাব একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। দেশের ক্রান্তিলগ্ন থেকে শুরু করে জঙ্গি দমন, সন্ত্রাস দমন, মাদক নির্মূল এসব কাজে র‌্যাবের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। র‌্যাব একটি প্রশংসিত বাহিনী। র‌্যাবের উচ্ছাভিলাষী কয়েকজন কর্মকর্তার কারণে পাবলিকের সঙ্গে মিশে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। এর দায় পুরো বাহিনীর উপর না। যারা ঘটিয়েছেন তাদের উপর দায় বর্তাবে। এর পেছনে তাদের ব্যক্তিগত লোভ-লালসা, উচ্চভিলাসী ঘৃণ্য কাজেই ঘটনাটি ঘটেছে। এ সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাবের সাময়িক মর্যাদা কিছুটা নষ্ট হলেও সামগ্রিক র‌্যাবের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়নি।’

পিপি আরো জানান, ‘বিচারক রায়ের পর্যালোচনায় র‌্যাবের যেমন প্রশংসা করেছেন তেমনি কিছুটা তিরস্কারও করেছেন। যেন ভবিষ্যতে র‌্যাব বাহিনীতে এ ধরনের ব্যক্তি লোভ-লালসা উচ্চবিলাসী বাসনায় যে কোন ঘৃণ্য কাজ করতে না পারে। ভবিষ্যতে যাতে এ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। তাছাড়া যারা আছেন তারাও যেন সতর্ক হয়ে যান। বিচারক এটাকেই তিরস্কার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

পিপি আরো জানান, অপহরণ থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ থাকায় আদালত ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। আর অপহরণে সহযোগিতায় ৭ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড সঙ্গে আরো ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও ৭ বছরে করে দণ্ডপ্রাপ্তদের ২৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘বিচারক পর্যবেক্ষণে আরও বলেছেন, নূর হোসেনের টার্গেট ছিল নজরুল ইসলাম। দুজনেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরেন। দুজনেই সন্ত্রাসী ছিলেন, দুজনের ছিল বিশাল বাহিনী। তাদের দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রাণ হারাতে হয়েছে নিরীহ ৬ জনকে।’

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, ‘মামলার জুডিশিয়াল রেকর্ড, রায় ও ডকুমেন্ট হাইকোর্টে পাঠানো হবে। ডেথ রেফারেন্সে এই মামলার শুনানি হবে। আমরা আশা করবো নিম্ন-আদালতের রায় হাইকোর্টেও বহাল থাকবে।’

তিনি জানান, সাত খুনের দুটি মামলার রায় ১৬৩ পাতা করে। প্রতি মামলায় ১১ হাজার করে লাইন। মোট ২২ হাজার লাইন। ইংরেজিতে রায় দেওয়া হয়েছে।

গত ১৬ জানুয়ারি আলোচিত সাত খুন মামলার আসামি নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক উপ অধিনায়ক মেজর (অব.) আরিফ হোসেন ও সাবেক ক্যাম্প ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) এম এম রানাসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশে দিয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/জানুয়ারি ২২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর