ভাষা চেতনা, মিডিয়ার বহুলতা ও সৃজনশীলতার ভবিতব্য

মহিউদ্দীন মোহাম্মদ : মানুষ এমন তয় একবার পাইবার পর/নিতান্ত মাটির মনে হয় তার সোনার মোহর'।
বায়ান্ন'র ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে সংস্কৃতির যে স্বাতন্ত্র্য অর্জিত হল বিষয়টি কি তা এমনই? আমরা একটা কঠিন সময়ের মধ্যে উপস্থিত হয়েছি। সামনে আরও কঠিন দিন। এত এত বাংলা মিডিয়া। কত লেখালেখি। তবু প্রশান্তির ঢেকুরটুকু তুলতে কি পারছে পাঠককুল তা পড়ে? যা হচ্ছে, তাতে কালিক প্রশ্নটি আরও বিষাদে- অনেকক্ষেত্রে আচ্ছন্ন করছে। কী হতে কী যে হয়, জানি না! এই শংকা নিযে বসত করে কত জনাই। মানুষ হিসেবে প্রত্যেকেরই এটা একটা সীমাবদ্ধতা। সেখান থেকে উত্তরণের জন্য সম্ভাব্য কিছু বয়ান সে সামনের জন্য রেখে দেয়। কখনও সেই বিশ্লেষণ প্রামাণ্য হয়ে ওঠে, কখনও তা ভ্রান্তিতে পর্যবসিত হয়। তবে নতুন একটা সূত্রমুখ সেখান থেকে দৃশ্যমান হয়— তা অস্বীকারের সুযোগ কই। পয়লা বলে রাখি 'সালাম রফিক উদ্দীন জব্বার কী বিষণ্ন থোকা থোকা নাম' তাদের কথা আজ যখন মনে পড়ছে, সে মুহূর্তে লজ্জায় মাথা নত হয়— আমরা বহুকাল ধরে সেই সব লেখকের সন্ধান পাচ্ছি না যারা বাংলার চেহারাটাকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে। আমরা সেই 'গডো'র জন্য অপেক্ষা করছি।
লক্ষণীয়, সম্প্রতি বাংলা ভাষার বিশিষ্ট কবি আল মাহমুদের একটি আফসোস নিয়ে। সেখান থেকে সামনের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ নতুন লিখিয়েরা পোষণ করতে পারেন। তিনি ঢাকার একটি দৈনিকের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'একটি দেশে ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশ কখন কীভাবে ঘটে তা অনেক সময় সঠিকভাবে বোঝা যায় না। আমাদের যতই বিপদ-আপদ থাক না কেন এ দেশের মানুষের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যদিও মাতৃভাষার গৌরব বৃদ্ধি করার দাবী করি এবং এর জন্য মাঝে মধ্যে আন্দোলনও করি, কিন্তু আমাদের মধ্যে একটা সচেতনতা আছে যে ইংরেজি জানতে হবে।
ইংরেজি ভাষা জানা দরকার। বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হলে ইংরেজি জানা প্রয়োজন। কিন্তু মাতৃভাষার উন্নতির জন্য এ দেশে যে খুব একটা কিছু হয়েছে তা আমার মনে হয় না। তবে কম-বেশী, ভালো-মন্দ মিলিয়ে শিল্প-সাহিত্য আমাদের দেশে সৃষ্টি হয়েছে। এর মূল্যায়ন করা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। একটা সময় আসে যখন সাহিত্য সংস্কৃতি থিতিয়ে দানাবাঁধে, তখন এ নিয়ে গবেষণা হয়। আমার মনে হয় বাংলা ভাষার ব্যাপারেও এটাই ঘটবে।
আমাদের দেশে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই অগ্রগতি হচ্ছে কিন্তু কবি-সাহিত্যিকের সংখ্যা বাড়ছে না। সৃজনশীল সাহিত্য যাকে বলে
তা আমাদের দেশে যথেষ্ট বা যথার্থ সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়নি— এটা খুবই অন্তরালবর্তী সত্য। সবচেয়ে বড় কথা হল, ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশে আমাদের দেশে লেখকের সংখ্যা বাড়াতে হবে। যদিও বলা হয় কবি-সাহিত্যিকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, কিন্তু তা সত্য নয়। বরং কবির সংখ্যা কমেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে এমন একটা সময় আসবে যখন লেখকই পাওয়া যাবে না। এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে এটা বলা মুশকিল। তবে এর জন্য একদিকে দায়ী রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অন্যদিকে মানুষের জীবিকার ক্ষেত্র বদলে যাচ্ছে। আগে সমাজ থেকে লেখক বেরিয়ে আসত কিন্তু এখন তেমনটি হচ্ছে না। এর একটি কারণ হচ্ছে বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া তৈরী হয়েছে। বুদ্ধিমান ছেলেরা লেখার বিকল্প হিসেবে এ সব মিডিয়ায় নানা রকম কাজ করছে। ফলে এখন নিবিষ্ট মনে লেখা বা সাহিত্য চর্চা কেউ করছে না।'
এই আফসোস আমাদেরকেও ভাবিযে তোলে। আসলেই এটি ভাবনার বিষয়। যেহেতু এখন মিডিয়ার বহুলতা, তার ভেতর দিয়ে বহু লেখালেখির সাথে সাক্ষাৎ ঘটছে। কিন্তু সৃজনশীল লেখার আসলেই আকাল। পন্থে পন্থে ঘুরে যেন চাকা। একই রকম চক্রের কাছে মিডিয়া প্রতিদিন ধর্ণা দিচ্ছে। কাড়ি-কাড়ি অর্থ ব্যয়েও শৈল্পিক কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এ থেকে অবশ্যই উত্তরণ দরকার। সাহিত্য, সংস্কৃতির একটা বড় বাহন। সংস্কৃতির সৌষ্ঠব তৈরীতে তার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এটাকে যদি অনিন্দ্য সুন্দরের দিকে না নেওয়া যায়—সংস্কৃতির শরীরটাও পুষ্ট হতে পারে না। ফলে মানুষের রুচিটাও বদলে যাবে। তার আকর্ষণটা অরক্ষিত স্বাধীনতার জৌলুসে জেকে বসবে 'পরাধীনতা'।
এ থেকে উত্তরণের পথ হিসেবে আল মাহমুদ বলছেন, 'বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের উচিত লেখকদের পৃষ্ঠপোষকতা করা। কিন্তু এটা আমাদের দেশে আমি দেখতে পাচ্ছি না। সরকার কোনো সময়ই সাহিত্যিকদের জন্য কিছু করে না— এটা আমার বিশ্বাস। ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশে ইনস্টিটিউট যেটা আছে তা হল বাংলা একাডেমী। সরকারের উচিত এ ধরনের আরও প্রতিষ্ঠান তৈরী করা।'
এ সব জারিত ভাবনার দরোজায় আরও চিন্তাও শামিল হয় স্বাভাবিক বাস্তবতায়। আমাদের সম্ভ্রান্ত শ্রেণীর সমাজ-নিয়ামকরা চাইছেন তাঁদের সন্তানসন্ততি কম্পিউটার-বিজ্ঞানেও সমান দক্ষ হোক, কম্পিউটারের ভাষা শিখুক, নইলে প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীতে ঠাঁই পাবে না! একসঙ্গে তিনটি ভাষার মাতৃভাষা, ইংরেজি, কম্পিউটার-ভাষা পরস্পরকে গুঁতোগুঁতি, তবে ইংরেজি ভাষার মধ্যে কম্পিউটারের ভাষাকে সহজেই ঠাঁই দেওয়া যায় উপভাষা হিসেবে। সেই কাজ মোটামুটি হয়েও গেছে। সুতরাং, দ্বন্দ্বটি দাঁড়াচ্ছে মাতৃভাষা ও কম্পিউটার-ভাষা-আত্মস্থ-করা ইংরেজি ভাষার মধ্যে। সমস্যাটি শুধু শিক্ষাক্রমেই নয়, সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রেও, খবরের কাগজে ব্যবহৃত ভাষা, টেলিভিশনে সঞ্চালক-সঞ্চালিকাদের বক্তব্যের ভাষা, সরকারি দফতরে ফাইল চালাচালির ভাষা, বিচারালয়ের ভাষা, বিজ্ঞাপনের ভাষা, সর্বত্রই সংকট। অথচ এই দ্বন্দ্ব থেকে উত্তীর্ণ হতে না পারলে গোটা সামাজিক-আর্থিক ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা। এই মুহূর্তে সমাজের যাঁরা কর্ণধার, তাঁদের বিশেষ শুচিবায়ু নেই, রবীন্দ্রনাথের ভাষার শুদ্ধতা চিরকাল অক্ষুণ্ণ রইল কি না, সে বিষয়ে তাঁদের স্পষ্টতই মাথাব্যথা নেই, তাঁরা ‘কেজো’ সমাধানের অন্বেষী, তাঁদের নিজেদের ঘরের ছেলেমেয়েরা চমৎকার ইংরেজি বোঝে, কম্পিউটারের ভাষা বোঝে, মাতৃভাষায় আড়ষ্ট। অন্য পক্ষে গরীব ছাপোষাদের সন্তানসন্ততি যা-ও একটু-আধটু মাতৃভাষায় নিজেদের প্রকাশ করতে পারে, ইংরেজি ও কম্পিউটারের ভাষার উল্লেখে তারা ফ্যালফ্যাল তাকিয়ে থাকে। সমাজের মাথায় যাঁরা অবস্থান করছেন, প্রশাসন পরিচালনার ব্যাপারেও অনুরূপ অনুশাসন জারি হবে, কাছারি-আদালতেও তাই, সরকার সম্ভবত আশা পোষণ করবেন, সংবাদপত্রাদি, টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ, সেই সঙ্গে সমগ্র সাহিত্যিক সম্প্রদায়, এই নীতি অনুসরণ করে সামাজিক সুস্থিতি সমাজে ফিরিয়ে আনবেন।
এটা ঠিক যে, একুশ শতকের এই তথ্য-প্রযুক্তির পৃথিবীতে বিশ্বায়নের ফলে একদিকে যেমন ভৌগোলিক সীমানার বাধা অতিক্রম করে দেশ-জাতিগুলো পরস্পরের কাছে চলে এসেছে, তেমনি মুক্তবাজার আর অবাধ বাণিজ্যের নামে একের পণ্য সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে অন্যের দরজায়। শুধুমাত্র পণ্য নয়, বিশ্বায়নের ঝাঁপটায় আমাদের যে দুর্বল জানালাগুলো খুলে গিয়েছিল সেখান দিয়েও এখন অবাধে চলে আসছে অন্য দেশের, অন্য ভাষার, অন্য জাতির সংস্কৃতি। দরিদ্র দেশ অভাব মেটাতে উন্নত দেশ থেকে যে পণ্য আনে সেখানে শুধু পণ্যই আসে না, তার সঙ্গে আসে সে দেশের সংস্কৃতি ও ভাষার নানা উপাদান। আমরা উন্নত বিশ্ব থেকে মোবাইল প্রযুক্তি এনেছি, একই সঙ্গে এসে গেছে রোমান হরফের এসএমএস আর মোবাইল সংশ্লিষ্ট ডিজ্যুস সংস্কৃতি। আরও উদাহরণ দেওয়া যায়- আমরা এফএম ব্যান্ড রেডিও স্টেশন ধারণা ও ব্যবসা আমদানী করেছি, এর সঙ্গে চলে এসেছে ইংরেজি ভঙ্গিতে বাংলা উচ্চারণ আর সুপ্রভাতের পরিবর্তে গুডমনিং, গান না শুনিয়ে ‘মিউজিক প্লে’ করা কথায় কথায় সো, থ্যাঙ্কস, লিসেনার জাতীয় এক সময়ের ঔপনিবেশিক এবং একালের বহুজাতিক কোম্পানির বোতলজাত সংস্কৃতি। এই বিশ্বায়ন আর বিদেশী সংস্কৃতির প্রতাপে আজ বাঙালীর সংস্কৃতি-ভাষা ভবিষ্যতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা ভেবে দেখা অবশ্যই জরুরী। এ সব কিছু অনেকের মতোই খুব ভালোভাবেই সমঝেছেন এসময়ের একজন চিন্তানায়ক প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনিও একইভাবে সৃষ্টিশীলতাকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন। সে কারণে তিনি বলেন,‘খুব একটা বড় ব্যাপার হচ্ছে সৃষ্টিশীলতা। দেশে সৃষ্টিশীলতা যে নেই তা নয়, আছে। ব্যক্তিগতভাবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা, উদ্ভাবন, সৃষ্টি এসব অনেকেই করছেন। কিন্তু কোনো সৃষ্টিই ব্যক্তি একা করে না, করে অনেকের সাহায্য, সহযোগিতা ও সমর্থন নিয়ে। মাতৃভাষা ওই সমষ্টিগত হওয়ার ব্যাপারটাকে নিশ্চিত করে। মাতৃভাষার মাধ্যমে সৃষ্টিশীলতার সঙ্গে অন্য ভাষার ভেতর দিয়ে সৃষ্টিশীলতার চর্চার ব্যবধানটাকে টবের গাছের সঙ্গে মাটির গাছের পার্থক্যের তুলনা করাটা কৃত্রিম হবে না। বিশ্বায়ন আজ পৃথিবীকে গ্রাস করে ফেলছে, এটা হচ্ছে পুঁজির আগ্রাসন বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে; এ আগ্রাসন স্থানীয় সংস্কৃতি ও উৎপাদনকে পারলে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে বিশ্বব্যাপী একটি জঙ্গল ও জংলিপনার সৃষ্টি করতে চায়, তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হলে মাতৃভাষার সাহায্যে দাঁড়াতে হবে। বিশ্বকে আমরা উদ্যান হিসেবে দেখতে চাই, জঙ্গল হিসেবে নয়।
আজকের দিনে বাংলাদেশের বাংলার যে হীনদশা তার তাৎপর্যগুলো খুবই স্বচ্ছ। প্রথম কথা, যতই আমরা বাগাড়ম্বর করি, দেশে এখন দেশপ্রেমের ভীষণ অভাব। মাতৃভাষার প্রতি অবজ্ঞা ও অবিচার সে কথাটাই নীরবে বলে যাচ্ছে, আমরা শুনছি না। বলছে এই কথাও যে, এই রাষ্ট্রে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি বাংলা যাদের মাতৃভাষা। বাংলা চালু আছে শুধু সমাজের অপেক্ষাকৃত নিম্নস্তরে। সর্বোপরি বলছে এটাও যে, এ দেশ মোটেই স্বাধীন নয়, রয়েছে সে সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদের অধীনে, যার ভাষা বাংলা নয়, ইরেজি বটে।'
গরীবানায় ধাতস্ত হয়ে আমরা এমন হীনম্মন্যতাকে পুঁজি করে বসে আছি যে, জেতার মানসিকতার চেয়ে হারের মানসিকতাকে আগেই মেনে নিয়েছি। ভিখিরীরও স্বজাত্যবোধ আছে কিন্তু আমাদের নেই। বলা হচ্ছে যে, বাংলা ভাষার চর্চা করতে গেলে আমাদের পক্ষে বিপদ আছে কুয়োর ব্যাঙ হয়ে পড়ার। এত বড় অসত্য ভাষণ, নিমতিতা কথা আর দ্বিতীয়টি হয় না। বাংলা ভাষার চর্চা করলে আমরা মোটেই কূপমণ্ডক হবো না, বরঞ্চ হব আন্তর্জাতিক। জ্ঞানে-বিজ্ঞানে সারা বিশ্বের যত অর্জন সবটা অনুধাবন, অনুবাদ ও রচনার মধ্য দিয়ে আত্মস্থ করে নেবো এবং সেই আহরণটা একদিকে যেমন হবে গভীর ও সৃজনশীল, তেমনি আবার হবে সর্বজনীন। জ্ঞান ব্যক্তিগত সম্পত্তি থাকবে না, পরিণত হবে সমষ্টিগত সম্পদে। আমরা খাড়াখাড়ি ওপরের দিকে উঠে যাব না; অন্যকে খাটো করে নিজে বড় হব না, আমরা ছড়িয়ে যাব আড়াআড়ি, উন্নত হব সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, একের উন্নতি পুষ্ট হবে বহুর উন্নতির দ্বারা। বহুর উন্নতি বৃদ্ধি পাবে একের পর একের সংযোজনে। বিশ্বকে আমরা গ্রহণ করব কী করে যদি গ্রহণ করার ক্ষমতাই না থাকে? যে ব্যক্তি কেবল তরল খাদ্যের ওপর বেঁচে থাকে, শক্ত খাবার দেখলে ভয় পায়, তাকে আর যাই হোক সুস্থ বলা যাবে না। হীনম্মন্যেরা সৃষ্টি করবে কী করে, তারা তো সর্বদাই অবনত।
এখন তাই সবথেকে বড় প্রয়োজন অতীব দেশপ্রেমের জিয়নকাঠি। যেটার অভাবহেতু আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছি না, কেবলই পিছিয়ে যাচ্ছি। আর এই কাজটি ব্যক্তিগতভাবে হবে না, সমষ্টিগতভাবে করতে হবে। বিশেষ করে দরকার যে মাতৃভাষার চর্চা তার জন্য সামাজিক উদ্যোগ চাই; কিন্তু সে উদ্যোগ মোটেই রাজনীতি-নিরপেক্ষ হবে না, তাকে হতে হবে রাজনীতি-সমর্থিত।
রাজনৈতিক অঙ্গীকারের আবশ্যকতার কথা প্রায়ই শোনা যায়। সে অঙ্গীকারের অত্যাবশ্যকীয় বটে। কেননা রাষ্ট্রের হাতেই রয়েছে ক্ষমতার মূল চাবিকাঠি এবং রাষ্ট্রই হচ্ছে পথপ্রদর্শক ও নিয়ন্ত্রক। তারুণ্যকে উজ্জীবিত করে সৃজনশীলতার উত্থান পর্বকে এগিয়ে নিতে রাষ্ট্রকে সবার আগে সজাগ হতে হবে। বায়ান্নর একুশের চেতনা এটাই। মাতৃভাষার প্রতি অবহেলা তথা দেশপ্রেমের ক্রমাবনতির জন্য দেশের শাসকশ্রেণী যতটা দায়ী, ততটা আর কেউ নয়।
লেখক : কবি ও সাংবাদিক
পাঠকের মতামত:

- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ ও ‘শহীদ দিবস’ পালন বাধ্যতামূলক
- গণঅভ্যুত্থান শুধু সরকার পরিবর্তনের জন্য নয়: হাসনাত
- জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয়: মাহফুজ আলম
- গুমে সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনাসদর
- পুরনো সিস্টেম ও দখলদারিত্ব ফিরে আসার চেষ্টা চলছে: নাহিদ
- ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপন খসড়া পর্যায়ে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- বিভাগীয় শহরেও হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনে ঐকমত্য: আলী রীয়াজ
- গাজায় ক্যাফে, স্কুল এবং ত্রাণ কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৯৫
- আল হিলালের কাছে হেরে ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ম্যানসিটির
- শান্তর ওপর আস্থা রাখছেন অধিনায়ক মিরাজ
- সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করলো সরকার
- আমরা এক থাকলে আমাদের সামনে কিছুই টিকতে পারবে না: ফারুকী
- আগামী বছরের শুরুর দিকে নির্বাচন : রুবিওকে ড. ইউনূস
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ সরাসরি সম্প্রচার
- আন্দোলনের একপর্যায়ে আমরা ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতিতে চলে যাই: নাহিদ ইসলাম
- ফেসবুকজুড়ে ‘লাল জুলাই’
- ১ জুলাই : আওয়ামী লীগ শাসন পতনের অভূতপূর্ব সূচনা
- ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুর রহমান
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস পালিত
- ইসলামী ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত
- আবারো ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন হাই-টেক
- ঢাকায় হালকা বৃষ্টির আভাস, দিনভর আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা
- বিএসইসি-অংশীজনের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে ভূমিকা রাখবে সমন্বিত সভা
- মগবাজারের আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
- সামাজিক ব্যবসা একটি বৈশ্বিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে –প্রধান উপদেষ্টা
- ডিএমপির পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ৭ কর্মকর্তার বদলি
- ১০ জুলাইয়ের মধ্যে মতামত চেয়েছে ইসি
- "শান্তিপূর্ণ আচরণ করলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে"
- মুরাদনগরে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন একজন উপদেষ্টা: ফখরুল
- ভুলবশত গুলির ম্যাগাজিন ব্যাগেই রয়ে যায়: আসিফ মাহমুদ
- মোট রিজার্ভের নতুন মাইলফলক, অতিক্রম করলো ৩১ বিলিয়ন ডলার
- ঢাকার আকাশ মেঘলা, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা
- দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সপ্তম দিনের বৈঠক আজ
- মুরাদনগরের ঘটনায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারা দায়ী
- এইচএসসি দ্বিতীয় পরীক্ষা আজ : সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ
- কেক পাঠিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান
- মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৫
- ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরো ৮১ ফিলিস্তিনি
- করোনাভাইরাস: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু এক, আক্রান্ত ১০
- বড় হারের শঙ্কা নিয়ে দিন পার করল বাংলাদেশ
- বরখাস্ত হলেন হামজাদের কোচ নিস্টেলরয়
- সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
- স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি কাপড় ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
- বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি সংশোধন চায় ভারত
- কর্মসূচিতে অনড় ঐক্য পরিষদ, কাজে যোগ না দিলে ব্যবস্থা নেবে এনবিআর
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫
- চীন সফর 'সফল' হয়েছে: দেশে ফিরে ফখরুল
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনার কোনো পরিকল্পনা নেই: ইরান
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিইসি
- ‘নতুন বাংলাদেশ দিবসের’ তারিখ নিয়ে আখতার-সারজিস-হাসনাতের আপত্তি
- ‘আমরা কোনো জোট করছি না’, বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান বৈঠক নিয়ে উপদেষ্টা
- এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন তুলে নিতে অর্থ উপদেষ্টার আহ্বান
- হাসিনার পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন শফিকুল আলম
- "সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে কাজ করলে দেশে স্বৈরাচারের উৎপত্তি হবে না"
- আ. লীগ আমলের ৩ সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
- কাল থেকে দেবতাখুম ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা
- পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে ভালো কোম্পানি আনতে হবে: আবু আহমেদ
- ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কয়েক দশক পিছিয়েছে, দাবি ট্রাম্পের
- আরো ২৬ জনের করোনা শনাক্ত
- এনবিআরের আন্দোলনের পেছনে ‘ব্যবসায়ীদের’ ইন্ধন: অর্থ উপদেষ্টা
- মাদক নির্মূলে সবার আগে গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- শর্তসাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছরের বিষয়ে একমত বিএনপি
- এনসিসি গঠন থেকে সরে এসেছে ঐকমত্য কমিশন : আলী রীয়াজ
- ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ও ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা
- জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নে নির্ভরযোগ্য অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা
- ‘মব জাস্টিস’ নামে এক হিংস্র উন্মাদনা: তারেক রহমান
- বিবাহ ও মোহর আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব
- সারা দেশে বজ্রবৃষ্টির আভাস
- ‘এখন বলার সময় নয়’—অধিনায়কত্ব নিয়ে গুঞ্জনের জবাবে শান্ত
- সূচকের বড় উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
- একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় ১৭ প্রকল্প
- ঢাকায় অলিম্পিক ডে র্যালির উদ্বোধনে সেনাপ্রধান
- দোহা-কুয়েত-শারজাহ-দুবাই রুটে ১১ ফ্লাইটের সময়সূচি বিপর্যস্ত
- যুদ্ধবিরতি কার্যকর, ‘দয়া করে, কেউ এটা লঙ্ঘন করবেন না’: ট্রাম্প
- ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর কমেছে তেলের দাম
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিইসি
- ‘নতুন বাংলাদেশ দিবসের’ তারিখ নিয়ে আখতার-সারজিস-হাসনাতের আপত্তি
- হাসিনার পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন শফিকুল আলম
- আ. লীগ আমলের ৩ সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
- এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন তুলে নিতে অর্থ উপদেষ্টার আহ্বান
- বরখাস্ত হলেন হামজাদের কোচ নিস্টেলরয়
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনার কোনো পরিকল্পনা নেই: ইরান
- ‘আমরা কোনো জোট করছি না’, বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান বৈঠক নিয়ে উপদেষ্টা
- স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি কাপড় ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
- কেক পাঠিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান
- চীন সফর 'সফল' হয়েছে: দেশে ফিরে ফখরুল
- কর্মসূচিতে অনড় ঐক্য পরিষদ, কাজে যোগ না দিলে ব্যবস্থা নেবে এনবিআর
- মুরাদনগরে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন একজন উপদেষ্টা: ফখরুল
- ঢাকার আকাশ মেঘলা, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা
- সামাজিক ব্যবসা একটি বৈশ্বিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে –প্রধান উপদেষ্টা
- ডিএমপির পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ৭ কর্মকর্তার বদলি
- মগবাজারের আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
- মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৫
- বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি সংশোধন চায় ভারত
- ভুলবশত গুলির ম্যাগাজিন ব্যাগেই রয়ে যায়: আসিফ মাহমুদ
- দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সপ্তম দিনের বৈঠক আজ
- মুরাদনগরের ঘটনায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারা দায়ী
- সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
- ফেসবুকজুড়ে ‘লাল জুলাই’
সাহিত্য এর সর্বশেষ খবর
সাহিত্য - এর সব খবর
