thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

খুলনায় কমার্স কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ২২ ১৯:০৩:০৪
খুলনায় কমার্স কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০

খুলনা ব্যুরো : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুলনার আযম খান সরকারি কমার্স কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় গ্রুপের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান রাসেল, মহানগর নেতা সালাউদ্দিন, জয়দেব, শাকিল ও রবিউলসহ ১৫ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষের পর উভয় গ্রুপ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে হামলার জন্য এক গ্রুপ জামায়াত-শিবিরকে, অন্য গ্রুপ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে দায়ী করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে সভাপতি ও তার সমর্থকদের হাতে লাঞ্চিত হন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান রাসেল, মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি গোপাল সাহা, আহাদুজ্জামান ডলার ও সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ রায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল ১১টায় কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে মিছিল শেষে সমাবেশ করছিল। এ সময় মহানগর সভাপতি দেব দুলাল বাড়ৈ বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল আহমেদ সুজন উপস্থিত ছিলেন। সাড়ে ১১টার দিকে আসাদুজ্জামান রাসেলের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের অপর গ্রুপের নেতাকর্মীরা। তাদের সঙ্গে বহিরাগতরাও ছিল। দুই পক্ষই উত্তেজনাপূর্ণ শ্লোগান দিলে প্রথমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, পরে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে রাম দা, লাঠি, রড ও দেশীয় তৈরি পাইপগান দেখা যায়।

এ সময় প্রতিপক্ষের লাঠি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান রাসেল, মহানগর কমিটির নেতা সালাউদ্দিন, জয়দেব, শাকিল, শাফিন, রবিউল ও রায়হানসহ ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়। এদের সবাইকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী জোবায়ের, অশেষ, আশিক, সবুজ ও আমিরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি দেব দুলাল বাড়ৈ বাপ্পী বলেন, ‘সকালে আমরা কলেজে মিছিল-সমাবেশ করছিলাম। এ সময় রাম দা, পাইপগানসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে। সাধারণ ছাত্ররা তাদের প্রতিহত করেছে।’

সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল আহমেদ সুজন বলেন, ‘হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে দুপুর ১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সবুজ হাজরা বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের ছত্রছায়ায় নগরীর বাসস্ট্যান্ড ও ঘাট এলাকার সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দিয়েছে।’ এ হামলার প্রতিবাদে রবিবার নগরীর সব ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

অপরদিকে দুপুর আড়াইটায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রলীগের অপর গ্রুপের নেতাকর্মীরা। লিখিত বক্তব্যে মহানগর ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হোসেনুজ্জামান হোসেন বলেন, ‘মহানগর ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক খুলনার কলেজগুলোকে মাদকের আখড়ায় পরিণত করেছে। তাদের নির্দেশে কমার্স কলেজে ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে।’ তারা অবিলম্বে এই কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান।

(দ্য রিপোর্ট/এটি/এসকে/সা/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর