thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৬ জমাদিউল আউয়াল 1446

জবি শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ২৪ ১০:৪৪:৩৯
জবি শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : হল উদ্ধারে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণস্বাক্ষর নেওয়া হবে। এরপর দুপুর ১টা থেকে-২টা পর্যন্ত তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করবে।

বুধবার সারাদিনভর ক্যাম্পাসে গণস্বাক্ষর নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার গণস্বাক্ষর নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। এরপর আবারও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

হল উদ্ধার আন্দোলনের সমন্বয়ক শরীফুল ইসলাম সোমবার দুপুর দেড়টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ সব কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে, শিক্ষকদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। শিক্ষক সমিতির সভপাতি অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাস এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

ড. সরকার আলী আক্কাস দ্য রিপোর্টকে জানান, রবিবার শিক্ষক ও ছাত্রদের ওপর যে হামলা হয়েছে তাতে কেবল ছাত্র নয় শিক্ষকও আহত হয়েছেন। ওই ঘটনার জন্য যারা দায়ী শিগগিরই তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

ছাত্রদের আন্দোলনে শিক্ষকরাও কেন যুক্ত হলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ আন্দোলন কেবল ছাত্রদেরই নয়, এ আন্দোলন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের। হল উদ্ধারের দাবি কেবল শিক্ষার্থীদের নয় শিক্ষকদেরও।

সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিনিয়তই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে।

প্রয়োজনে আমরা শিক্ষক সমিতির সকল শিক্ষক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় বসব বলেও জানান তিনি।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীর সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে প্রেস ক্লাবসহ হাইকোর্টের সামনের কদম ফোয়ারা চত্বরে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা টায়ারে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। ওই সড়ক দিয়ে সব রকম যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

শ্রম কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ গাড়ি নিয়ে ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। মন্ত্রীর গাড়িটি পুনরায় শিক্ষা ভবনের দিকে ফিরে যায়।

এর আগে, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আলাদাভাবে মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাব অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুলসংখ্যক পুলিশ প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়। এ ছাড়া সেখানে পুলিশের সাজোয়া যান ও জলকামান মোতায়েন রাখা হয়।

জবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। রবিবারের ওই ঘটনায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

বেদখল হল উদ্ধারের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সদরঘাট শাখা স্থানান্তর, নতুন হল নির্মাণ ও শিক্ষকদের আবাসন ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন শিক্ষকরাও।

জবির ড. হাবিবুর রহমান হল ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২৭ বছর পর দখলে নেয়, আব্দুর রহমান হল বর্তমানে পুলিশের দখলে আছে, শহীদ নজরুল ইসলাম হল স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার আওলাদ হোসেনের দখলে, শহীদ আনোয়ার শফিক হলের দখলদার হাজী মো. আবুল বাসার ও সালেহা বেগম এবং অপর অংশটি মোক্তার হাজীর দখলে, শহীদ শাহবুদ্দিন হলের দখলে আছেন আমিনুল হক ওরফে বিপ্লব ও পুলিশ, নাজিমুদ্দিন হলের দখলদার হলেন ছাত্রদল ক্যাডার শাহীন, মাসুদ ও রহমান, সাইদুর রহমান ও আব্দুর রউফ মজুমদার হলের দখলদাররা হলেন কালা চান ও আলী গুণ্ডাসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা, তিব্বত হল দখলে আছেন পুলিশ ও হাজী সেলিম, শহীদ আফজাল হোসেন হল দখলে আছেন বেগম রোকেয়া (ভুয়া শহীদ পরিবার, বজলুর রহমান হল দখল করেছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (বর্তমানে সেখানে স্কুল বানানো হয়েছে) এবং ছাত্রী নিবাস দখল করেছে বাংলাদেশ বাংক।

(দ্য রিপোর্ট/এলআরএস/এমএম/এমএআর/শাহ/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর