thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল 24, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ২১ শাওয়াল 1445

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫১ অবৈধ শ্রমিক আটক

২০১৭ জুলাই ০১ ১৫:৩৪:৫৯
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫১ অবৈধ শ্রমিক আটক

শামছুজ্জামান নাঈম, মালয়েশিয়া : মালয়েশিয়ায় বসবাসরত কাগজপত্রহীন অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার মাঝরাত থেকেই শুরু হয় এই অভিযান। কুয়ালালামপুরের পেটালিং জায়া ডরমিটরিতে অভিযান চালিয়ে ৫১ অবৈধ শ্রমিককে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশি।

এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ইমিগ্রেশন পুলিশের মহাপরিচালক দাতুকে সেরি মুস্তাফার আলী। ইনফোর্স কার্ডের (ই-কার্ড) মাধ্যমে নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হতেই এ সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে অবৈধ শ্রমিকদের ই-কার্ড নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সময়সীমা শেষে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দেখা যায় মাত্র ১৪ হাজার ৫৪১ জন নিয়োগকারীর মাধ্যমে ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৮১ জন নিবন্ধন করেছে। এরমধ্যে ই-কার্ড ইস্যু করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৬ জনের। যা মোট অবৈধ লোকের মাত্র ২৩ শতাংশ।

দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের লক্ষ্য ছিল প্রায় ৬ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে ই-কার্ডের আওতায় নিবন্ধন করানো।

অবৈধ অভিবাসীদের নিবন্ধনের চিত্রে হতাশ ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলী শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, 'ই-কার্ড নিবন্ধনের সময়সীমার ওপর আমি বহুবার জোর দিয়েছিলাম। এখন অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হবে এবং তাদের নিয়োগদাতাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। এমনকি যারা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আসা লোকদের চাকরি দিয়েছে তারাও রেহাই পাবে না।'

তিনি আরও জানান, মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে বেশি অবৈধ শ্রমিক বসবাস করছে বাংলাদেশের। এরপর ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার এবং নেপালের নাগরিক রয়েছে। তবে নিবন্ধনের আওতায় কতজন অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিক নিবন্ধিত হয়েছেন তার হিসেব এখনও পাওয় যায়নি।

এদিকে, শুক্রবার মধ্যরাতে কুয়ালালামপুরের পেটালিং জায়া ডরমিটরিতে অভিযান চালিয়ে ৫১ অবৈধ শ্রমিককে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। যার নেতৃত্ব দেন ইমিগ্রেশন পুলিশের মহাপরিচালক দাতুকে সেরি মুস্তাফার আলী।

অভিযানে ২৩৯ জনের কাগজ-পত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর ৫১ জনকে আটক করা হয়। যারমধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশি। অভিযানের পর মুস্তাফার আলী সাংবাদিকদের বলেন, বেশিরভাগ শ্রমিক আসবাবপত্র-প্লাস্টিক উৎপাদন কারখানাগুলোতে কাজ করছিলেন। আমরা দেশের স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে এ অভিযান চালিয়েছি।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর