thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২০ জানুয়ারি 25, ৬ মাঘ ১৪৩১,  ২০ রজব 1446

খালেদার উপস্থিতিতে বিএনপির সমাবেশ চলছে

২০১৭ নভেম্বর ১২ ১৪:৩৩:৩৭
খালেদার উপস্থিতিতে বিএনপির সমাবেশ চলছে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।প্রায় দেড় বছর পর প্রকাশ্য কোনো সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন তিনি।

রবিবার (১২ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে তিনি গাড়িবহর নিয়ে সমাবেশস্থলে পৌঁছান। পরে তিনি সমাবেশ মঞ্চে উঠেন বিএনপির চেয়ারপারসন।দুপুর সোয়া ২টার দিকে তিনি গুলশানের ‘ফিরোজা’ বাসা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে রওনা দেন।

এর আগে দুপুর পৌনে দুইটার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়।ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সীমানার পশ্চিম পাশের প্রাচীর ঘেঁষা তৈরি করনা হয়েছে সমাবেশের মঞ্চ। মঞ্চের চারপাশে অসংখ্য ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।

এদিকে সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে দলে দলে নেতাকর্মী আসতে শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন পর রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি পেয়ে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করছেন। আশপাশের পুরো এলাকা জুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে।

তবে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে হঠাৎ করেই গণপরিবহন চলাচল কমে যাওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যা থেকে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। রাতের মধ্যেই ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থের সমাবেশ মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়। মঞ্চের আশেপাশে মাইকে সংযোগ স্থাপন, সিসিটিভি ও সাউন্ড সিস্টেম লাগানো হয়েছে। এছাড়া মঞ্চের সামনে বাঁশ দিয়ে একটি নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত বেরিকেড দেওয়া হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার স্বার্থে সাধারণ নেতাকর্মীদের ওই ব্যারিকেডের বাইরে থাকবেন।

এদিকে সমাবেশ সফল করতে সকাল থেকেই আসতে শুরু করেছেন দলের নেতাকর্মীরা। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সমাবেশে বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন খালেদা জিয়া। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকালে থেকেই রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির আহমেদ রিজভী অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশকে পন্ড করতে সরকার আশপাশের জেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকামুখী গণপরিবহন বন্ধ করে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাতে কোনো কাজ হবে না। বিএনপির সমাবেশমুখ জনস্রোত ঠেকাতে পারবে না সরকার।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন আগামী জাতীয় নির্বাচন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, গণতন্ত্রহীনতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ সাধারণ মানুষের সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে ভাষণ দেবেন।

শনিবার সকালে ২৩টি শর্ত সাপেক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বিএনপিকে অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এর পরপরই নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। রবিবার বিকেল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে- এটা অন্যতম প্রধান শর্ত। এ ছাড়া সমাবেশ স্থল ও এর আশপাশে বিএনপিকেই তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে বলেছে ডিএমপি। সমাবেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের করাও অন্যতম প্রধান শর্ত। বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানে না আসতেও বলেছে ডিএমপি।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ উনিশ মাস পর রাজধানীতে জনসভার আয়োজন করতে যাচ্ছে বিএনপি। এ সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের জনপ্রিয়তা বা জনসমর্থনের বিষয়টি জানান দিতে চায় দলটি। সর্বশেষ, ২০১৬ সালের ১ মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে শ্রমিক সমাবেশ করে বিএনপি। এর আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। এর আগে ওই বছরের ৫ জানুয়ারি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার সুযোগ পায় দলটি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তিতে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে সেই সমাবেশ করে বিএনপি। জাতীয়বাদী শ্রমিক দল এর আয়োজন করে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ১২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর