বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বিশ্বে নজির : পোপ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আন্তঃধর্ম ও ঐকতানের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বিশ্বে নজির। আর মানুষ-মানুষে বিভেদ হচ্ছে সমাজের খুঁত বলে মন্তব্য করেছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে তেজগাঁওয়ে মাদার তেরেসা হাউজ পরিদর্শনে গিয়ে পোপ এ মন্তব্য করেন।

হলি রোজারিও চার্চে খ্রিস্টান যাজক, ধর্মগুরু ও ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি।

পোপ তার ভাষণে সবাইকে সমালোচনা ও পরনিন্দা থেকে দূরে থেকে আনন্দ নিয়ে বেঁচে থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, কারও সম্পর্কে নিন্দা করা মানুষের একটি ত্রুটি। পেছনে কথা বলা সমাজের শান্তি বিঘ্নিত করে। পরনিন্দা করা এক ধরনের সন্ত্রাসবাদ, কারণ যেমন পরনিন্দা আড়ালে হয়ে থাকে তেমনি সন্ত্রাসবাদও।

পোপ বলেন, কোন মানুষকে অপছন্দের কথাটি যদি সম্ভব হয় মুখের সামনে বলে দাও, যদি তা না পার তাহলে এই কাজে সহায়তা করতে পারে এমন শুধু একজনকে বলবে, আর কাউকে নয়।

তিনি বলেন, উদ্বিগ্নতা ও ভারাক্রান্ত মন থেকে অশুভ সৃষ্টই হয়, তাই নিজকে সব সময় উৎফুল্ল রাখবে। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়েও তোমাকে হাসতে হবে।

মিয়ানমার থেকে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন পোপ ফ্রান্সিস। সেদিনই বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন তিনি।

মিয়ানমার সফরে রাখাইনে নিপীড়নের সমালোচনা করলেও রোহিঙ্গাদের নাম উচ্চারণ না করায় সমালোচিত হন পোপ। তবে শুক্রবার সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রালে এক অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেন তিনি।

রোহিঙ্গাদের তিনটি পরিবারের ১৬ জন সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন তিনি, তাদের দুর্দশার কথা নিজের কানে শুনে আবেগময় হয়ে পড়েন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডিসেম্বর ০২, ২০১৭)