অনুবাদ গল্প
কানা দাজ্জাল
মূল: ইনতেজার হুসেইন
অনুবাদ: সালেহ ফুয়াদ
[লেখক পরিচিতি : কথাসাহিত্যিক ইনতেজার হুসেইনকে তুলনা করা হয় প্রখ্যাত উর্দু ছোটগল্পকার সা’দত হাসান মান্টোর সঙ্গে। কেউ কেউ তাকে মান্টোর চেয়েও শক্তিশালী গল্পকার বলে দাবি করেন। মান্টোপরবর্তী উর্দু ছোটগল্পের সবচে’ শক্তিমান স্রষ্টা ইনতেজার হুসেইন প্রথম কোন পাকিস্তানী লেখক হিসেবে ম্যানবুকার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান করে নিয়েছিলেন। বিখ্যাত উপন্যাস ‘বাস্তি’ এর জন্য ২০১৩ সালে ম্যানবুকার শর্টলিস্টের চতুর্থ নামটি ছিল তার। পৌরাণিক আখ্যান, আলিফ লায়লা ও কাফকাকে ছেনে সৃষ্টি করেছেন ছোটগল্পের নিজস্ব স্টাইল। তার গল্পের প্লট, চরিত্র কিংবা ভাষা সবই প্রতীকি। এছাড়াও দেশভাগের সময় ভারত ছেড়ে আসা এই লেখকের লেখায় বারবার ঘুরেফিরে এসেছে নস্টালজিয়া।
ইনতেজার হুসেইন উর্দু ছাড়াও ইংরেজিতে লেখালেখি করেছেন। পেশাজীবনে পাকিস্তানের বিখ্যাত ইংরেজি দৈনিক ডন-এ কাজ করেছেন। অনুবাদ করেছেন চেখভসহ বিশ্বসাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ নানা লেখাজোখা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষের এই কথাসাহিত্যিক আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও লিখেছেন একাধিক অসাধারণ ছোটগল্প। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার বিখ্যাত দু’টি ছোটগল্প হচ্ছে, স্লিপ এবং সিটি অব সরো। এ ছাড়াও তার বিখ্যাত উপন্যাস বাস্তি এর একটি বড় অংশ জুড়েই রয়েছে সাতচল্লিশ, উনসত্তর এবং একাত্তরের দিল্লি, ঢাকা এবং লাহোর। গতবছর দুসরা ফেব্রুয়ারি উর্দু সাহিত্যের এই শক্তিমান লেখক মারা যান। ৭ ডিসেম্বর ইনতেজার হুসেইনের ৯৪ তম জন্মদিন।
কানা দাজ্জাল আরব-ইসরাইল যুদ্ধ নিয়ে লেখা ইনতেজারের একটি বিখ্যাত ছোটগল্প। গল্পটি সরাসরি উর্দু থেকে অনূদিত।]
সে টেলিফোন বন্ধ করে বেলকনি দিয়ে উঠানে নেমে বাবার মোড়ার সামনে পড়ে থাকা চেয়ারে বসে। বাবা হুক্কা টানতে টানতে তাকে দেখেন, বাপ, কিছু কি জানা গেল?
জ্বী না আব্বাজান, এখন পর্যন্ত কিছু জানা যাচ্ছে না। অনেক পরস্পর বিরোধী খবর আসছে।
তারপর সে টেবিলে রাখা টেলিফোন সেটের উপর ঝুঁকে পড়ে বোতাম ঘোরাতে থাকে। রেডিও বন্ধ করে বলে, বারোটা বাজলেই খবর পাওয়া যাবে... আব্বাজান, আপনি আরবিটা বুঝে নিতে পারবেন তো?
বেটা, আমি এসব শহরে কত ঘুরে বেড়িয়েছি আর আরবিটাও বুঝতে পারব না।
বাবা গড়গড় করে হুক্কা টানেন। হুক্কার নল সরিয়ে রেখে বলেন, এ জায়গাটা ছিল জমিনের সফরের শেষপ্রান্ত।
জ্বী? মহসিন জিজ্ঞাসু চোখে তাকায়।
বাবা কিছুটা ভেবে নিয়ে বলেন, যখন আমাদের নবিজি মেরাজে তাশরিফ নেন...
পালঙ্কে বসে মা সুপারি কাটতে কাটতে কান্না শুরু করেন। যাঁতি থালায় রেখে আঁচল দিয়ে বারবার মুখ মুছেন। বাবার চোখও জলে টলমল করছিল কিন্তু তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেন। স্বভাবসিদ্ধ গাম্ভীর্যে বলতে শুরু করেন...নবিজি সাগর, পাহাড়, মরুভূমি অতিক্রম করে মসজিদে আকসায় গিয়ে থামেন। ফেরেশতা জিবরাইল অনুরোধ করেন-হজরত তশরিফ রাখুন। হজরত জানতে চান, কোথায়? বলেন, জমিনের সফর পূর্ণ হয়েছে। এটা ছিল শেষ প্রান্ত। সামনে ঊর্ধ্ব জগতের সফর। তখন নবিজি ঊর্ধ্বে ওঠেন। ক্রমশ ঊর্ধ্বে উঠতে থাকেন। প্রথম আকাশ, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ। সেখানে ইসা নবির সাথে সাক্ষাত। আরো ঊর্ধ্বে ওঠেন। শেষে আরশে মুয়াল্লার সন্নিকটে পৌঁছন। শুধু দুই ধনুকের দূরত্ব থাকে মাত্র।
বাবা নীরব হয়ে যান। হুক্কার নল আবারো মুখে নেন। মা কেঁদেই যাচ্ছিলেন। আঁচল দিয়ে চোখ মুছে কিছু সময় নীরব থেকে বলতে শুরু করেন, তারাবলুসে যখন যুদ্ধ হয়েছিল তখনও এমন দিনই ছিল। গরমকাল ছিল। এরপর মহসিনকে সম্বোধন করে বলেন, বাপ, এটা তোমার জন্মের আগের কথা। আমার তিন মাস ছিল। বড়মা আমার জন্য নতুন সোনার চুড়ি বানিয়েছিলেন। এরপর তারাবলুসে যুদ্ধ বেঁধে গেল। সকল মুসলমান আতংকিত হয়ে পড়ল। জুফর আলি মৌলভি এলেন। এলেন খেলাফত ওয়ালা মৌলভি। উনারা বললেন, মা-বোনেরা, মুসলমানদের এখন দুর্দিন শুরু হয়েছে। স্ব স্ব অলঙ্কারাদি খুলে দাও। আমি কাঁদতে কাঁদতে হাতের চুড়ি খুলে মৌলভিকে দিয়ে দিই।
মা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নীরব হয়ে যান। চুপচাপ হুক্কা পানরত বাবাকে দেখেন। বাবা ভাবলেন মা বুঝি আর কিছু বলবেন না। কিন্তু মা আবারো শুরু করেন, আল্লা-রসুলের নামে অনেক বরকত। পরের বছর গরম শুরু হতেই তোমার বাবার চাকরিটা হয়ে যায়। আমি আগের চে’ মোটা চুড়ি বানিয়ে নিই। হাতের দিকে তাকিয়ে বলেন, এ হলো সেই চুড়ি।
এরপর তিনি যাঁতি হাতে নিয়ে সুপারি ছাঁটতে থাকেন। সুপারি ছাঁটতে ছাঁটতে বলেন, বাবা মহসিন, জুফর আলি মৌলভি এখন কোথায়?
আম্মাজি, তার তো ইন্তেকাল হয়ে গেছে।
আর খেলাফত ওয়ালা মৌলভি?
তারও ইন্তেকাল হয়ে গেছে।
আচ্ছা, ব্যাপার তাহলে এই-নিজের কাপড়ের দিকে তাকিয়ে বলেন, তাই তো বলি, এখনো কেউ এলো না কেন।
বাবা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, কিছু কবর তো আমরা ভারতেই ফেলে এসেছি। যা একটা এদিকে ছিল তাও গেল। মহসিন, তুমি মুক্তিপ্রধানকে দেখেছিলে?
মুক্তিপ্রধানকে? চিন্তায় পড়ে গেল।
জ্বী না।
হুঁ, তুমি কোথায় দেখবে। সেই শ্রদ্বেয় ব্যক্তিটিরও ওখানে দাফন হয়েছে। কিছুটা ভেবে নিয়ে আবারো বলেন, না জানি কে কে দাফন হয়েছে। আজব জায়গা। আমি ওখানে গেলে অদ্ভুত মনে হল। যেন আমি নবিদের মাঝে চলাফেরা করছি... এরপর আমি মদিনায় গেলাম। সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ কী জায়গা!
সে বাবার দিকে তাকাল, এরপর মায়ের দিকে। দু’জনের সজল চোখ টলমল করছে। বাবা বলতে থাকেন, গম্বুজ শরিফে কবুতর আর কবুতর। সব ঝকঝকে তকতকে, কোনো বিষ্ঠা নাই। খোদা! পাখি পর্যন্ত সম্মান করে।
এ কথা শুনে সে বেশ অবাক হয়, বাবা, তাহলে পাখিগুলো মল ত্যাগ করে কোথায়?
করেই না!
করেই না! এটা কিভাবে সম্ভব? সে হতবুদ্ধি হয়ে যায়। তার মনে সন্দেহ তৈরি হতে থাকে। বলে, অচ্ছা, এত কবুতর ওখানে কেন বসে?
কেন বসে? বাবা, তুমি জানো না কেন বসে। দুনিয়া হল ফিতনার জায়গা। শয়তানের ঘর। সবদিকে শয়তান। ওটাই কেবল নিরাপদ স্থান।
মা সুপারি কাটতে কাটতে বলেন, গম্বুজ শরিফকে শূন্য দেখলে কী হয়?
বাবা খানিকটা ভেবে বলেন, পুরো স্বপ্নটা ভেঙে বলো।
মা, যেন স্বপ্নটা স্মরণ করার চেষ্টা করছেন— বললেন, পুরোটা তো আর মনে নাই। কোনো কোনো কথা মনে আছে। যেমন, আমি তোমার সঙ্গে জেয়ারতে গেছি। যেন সৃষ্টি উচ্ছসিত হয়ে আছে। আঙিনা, দেওয়াল, গম্বুজ শরিফে সাদা সাদা কবুতর। এরপর কি যেন হলো। কিছুই মনে নাই। শুধু এ টুকু মনে আছে যে, আমি একা। চিৎকার করছি, হায় হায় কবুতর কোথায় গেলো! কোনো কবুতরই নাই। আঙিনাতেও নাই, দেওয়ালের উপরও নাই, গম্বুজ শরিফও শূন্য পড়ে আছে। এরপর যখনই তোমাকে খোঁজা শুরু করলাম অমনি চোখ খুলে গেল।
মা বলতে বলতে থামলেন। বাবা হুক্কাটাকে নিজের দিকে টেনে নিয়ে চিলমটাকে তার ঘাড়ের উপর থাকা চিমটা দিয়ে সামান্য নেড়েচেড়ে নেন। এরপর নল মুখে নিয়ে হুক্কা টানতে টানতে কোনো গভীর চিন্তায় ডুবে যান। ওর মনে হয়, বাবা এবার চুপ হয়ে গেছেন আর কোনো কথাই বলবেন না। কিন্তু তিনি আবারো হুক্কা টানতে টানতে বলেন, বাবা মহসিন, এ কথা কি ঠিক যে, ওদের জেনারেলের চোখ নাই?
জ্বী, ঠিক— সে বলে।
এ কথাও কি ঠিক যে, সে তার চোখের উপর সব সময় পর্দা ফেলে রাখে?
জ্বী, হ্যাঁ।
বাবা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন, সব দাজ্জালের আলামত।
মা ভয় পেয়ে যান, হায়! খোদা না করুন, এমন কথা কেন মুখ থেকে বের করেন।
আমি কেন, সবার মুখেই এই কথা। সব তারই আলামত।
হ্যাঁ, কিন্তু সে তো তখনই আসবে যখন কেয়ামত কাছাকাছি হবে।
মহসিনের মা— বাবা হুক্কার নল একপাশে সরিয়ে দুঃখী ভঙ্গীতে বলেন, এখন আর কেয়ামতের কী বাকি রয়েছে!
এ কথার অদ্ভুত প্রভাব পড়ল। মা ফের কাঁদা শুরু করলেন। এরপর চোখ মুছে তাকে সম্বোধন করেন, মহসিন, বড়মার কথা তো তোমার মনে আছে?
সবই মনে আছে।
গলিতে হিন্দুদের কোনো বরযাত্রী বেরুলে তুমি দেখার জন্য দৌড়ে যেতে। বড়মা চিল্লাতেন, যেয়ো না যেয়ো না, দাজ্জালের বাহন বেরুচ্ছে। আমি বলতাম, বড়মা, এটা তো হিন্দুদের বরযাত্রা। বলতেন, বউ, একদিন দাজ্জাল এভাবেই আসবে। সঙ্গে বাজনদার থাকবে। সে নিজে গাধার উপর সওয়ার থাকবে। বাজনদারদের বাজনায় মানুষ এমন পাগল হবে যে তার পিছু পিছু চলতে থাকবে। আমি বলতাম, আরে নাহ বড়মা, এটা কি কোনো যুক্তি হলো, মানুষ এতটা উন্মাদ হয়ে যাবে যে বাজনার পেছনে পেছনে চলা শুরু করবে। বলতেন, বউ, লোভের সামগ্রী তাদের কাছে ঢের থাকবে। ঐ বছর আকাল দেখা দেবে। এমন আকাল পড়বে যে জগত বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকবে। দাজ্জালের গাধার পেছনে মানুষ রুটির সন্ধানে করবে। রুটি বের করে দাজ্জাল তাতে কানের ময়লা রাখবে। মানুষ মনে করবে হালুয়া। আর হালুয়া-রুটির স্বাদ নেওয়ার জন্য মানুষ তার পিছনে হুমড়ি খেয়ে পড়বে।
এ কাহিনি শুনে সে হেসে ওঠে। তার এ হাসি মায়ের পছন্দ হয় নি। মা বলেন, বাপ, এ আমি সামান্যই বলেছি। আমার কথা তো সব সময় হেসেই উড়িয়ে দাও, আর এসব তো তোমার দাদিমা বলতেন, তিনিও হয় তো ভাববেন, কী সভ্য নাতি আমার, মৃত দাদিমাকে নিয়েও হাসি-তামাশা করে।
সে লজ্জিত হয়ে বলল, মা, আমি হাসছি অন্য কারণে। মানুষ কানের ময়লাকে হালুয়া মনে করবে কথাটা অদ্ভূত মনে হলো।
বাবা তখনো চুপচাপ হুক্কা টেনে যাচ্ছিলেন। মহসিনের এ কথা শুনে হুক্কার পাইপ একদিকে সরিয়ে রেখে খুবই শক্তভাবে বললেন, বাপু, তোমাদের আধুনিকদের জন্য এগুলো হাস্যকর কথা। কিন্তু চিন্তা করলে দেখবে এখানে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় লুকিয়ে আছে। ভবিষ্যতে কী হবে আমাদের রসুল ও বুযুর্গদের সবই জানা ছিল। আমি তো ভেবে ভেবে ব্যাকুল হয়ে পড়ি- গতকাল পর্যন্ত কী প্রাচুর্য ছিল আর এখন রুটিরুজি কতটা কমে গেছে... মহসিনের মা, তোমার কি মনে আছে, বাবা যখন জীবিত ছিলেন তখন গমের দাম কত ছিল।
মা দ্রুত বলেন, জ্বী, আমার তো মনে আছে মাসের ১লা তারিখে বাবা আড়াই রুপি নিয়ে হাটে যেতেন আর গমের বস্তা কুলির মাথায় উঠিয়ে নিয়ে ফিরতেন।
বাবা বলেন, বেটা, এ তো কালকের কথা; আর আজ-খোদা মিথ্যে না বলাক-আড়াই রুপির গম আমার হাতের মুঠোর ভেতর চলে আসবে। এখন আমেরিকা থেকে গম না এলে আমাদের তাওয়া গরম হয় না। আর আমেরিকা আমাদেরকে দেয়টা কী? যা দেয় তা ওদের কানের ময়লা।
বাবা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন বলেই তাকে বলার সাহস হলো না, নয়তো তার মুখে এসেই গিয়েছিল যে, বাবা কিসের সঙ্গে কী মিলিয়েছেন। কথা ছিল কানা দাজ্জাল প্রসঙ্গে, তা নিয়ে ফেলেছেন আমেরিকান সাহায্যের উপর। এ কথা সে কিভাবে বলবে বাবা যা রেগে ছিলেন। এরপর আচানক বাবার ভেতর কোমলতা চলে আসে, মুসলমানদের অনেক খারাপ সময় যাচ্ছে— থেমে আবার বলেন, শাস্ত্রে এসেছে, কানা দাজ্জাল যখন আসবে তখন মুসলমানদেরকে খুঁজে খুঁজে মারবে। শেষমেষ তিন শ’ তেরোজন মুসলমান থেকে যাবে।
তিন শ’ তেরোজন? — সে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে।
হ্যাঁ, তিন শ’ তেরোজন। অনেক লোক মারা যাবে। অনেকে দাজ্জালের গাধার পেছনে পড়ে থাকবে। শুধু তিন শ’ তেরোজন রয়ে যাবে।
বাবা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন, খোদা মুসলমানদের উপর দয়া করুন। আবার হুক্কা টানতে থাকেন, কিছু সময় এমনভাবে বসে থাকেন যেন কোনো বন্দি বসে আছে। এরপর ধীরে ধীরে ওঠে বেলকনির দিকে চলে যান। মা পেছন থেকে বলেন, বাপ, একটু খবরের কাগজের অফিসে আরেকবার ফোন করো তো।
সে গিয়ে টেলিফোনের বোতাম টেপে, হ্যালো...। আড়াই থেকে তিন মিনিটের মতো কথা বলে ফিরে এসে চেয়ারে নিশব্দে বসে পড়ে। বাবা তার মুখের দিকে গভীরভাবে তাকান। জিজ্ঞেস করেন, কোনো খবর পাওয়া গেল?
জ্বী, অস্ত্রবিরতি হয়ে গেছে।
মুসলমানরা হেরে গেছে?
তাই ধরে নিন।
বাবার মাথা নত হয়ে যায়। মহসিন তার নত মাথার দিকে তাকিয়ে রয়। তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, যেখানে আমাদের হজুর সা. ঊর্ধ্বে উঠেছিলেন আমরা সেখানে পতিত হয়ে গেলাম। এরপর একেবারে নীরব হয়ে যান। চিলম ঢেকে দিয়ে হুক্কাটাকে দূরে সরিয়ে রাখেন। বিছানার চাদর খানিকটা ঠিকঠাক করে সটান শুয়ে পড়েন।
মা একমনে যাঁতি চালিয়ে সুপারি ছেঁটে যাচ্ছেন। সে অবাক হয় এবার তিনি কাঁদলেনও না, কিছু বললেনও না। যাঁতি কৌটায় ভরে পানেরবাটা বন্ধ করে দিলেন। উঠে গিয়ে পানেরবাটা জায়নামাজ বিছানো চৌকির একপাশে রেখে দেন। এরপর মাঝউঠানে দাঁড়িয়ে মনে মনে কিছু একটা পড়ে ফুঁ দিলেন আর তিনবার তালি বাজালেন। নিজের পালঙ্কে ফিরে এসে কাত হয়ে শুয়ে পড়লেন।
মহসিনের ঘুম আসছিল না। সে এমনভাবে বসেছিল যেন সে জমে গেছে। উঠে দাঁড়ালেই সব খানখান হয়ে যাবে। টেবিলের উপর রাখা রেডিও সেটের সুইচ ঘোরাতে থাকে। ঘোরাতেই থাকে। একটা স্টেশন পেয়ে যায়, কিছু অস্পষ্ট কণ্ঠ আসে। সে না বুঝে না শুনে আবারো সুইচ ঘোরাতে থাকে। আরো কোনো স্টেশন লেগে যায়। কিন্তু তার হয়তো কোনো স্টেশনই ধরার ছিল না। সুইচ ঘোরাতে ঘোরাতে তার মন খারাপ হয়ে যায়। রেডিও অফ করে পালঙ্কে গিয়ে শুয়ে পড়ে।
এবারও ঘুম তার চোখে ছিল না। সে বেশ ক’বার চোখ বন্ধ করে পড়ে রইল। এক সময় বিরক্ত হয়ে চোখ মেলে তারাভরা আকাশ দেখতে থাকে। তারাভরা আকাশ দেখতে দেখতে তার মনে হল একটি সরু পথ বহু দূর পর্যন্ত চলে গেছে। তারারা সব সেই সরুপথে জড়ো হয়েছে। এটি একটি ছায়াপথ। ছায়াপথের কথা মনে পড়তেই দাদিমার কথা মনে পড়ল। দাদিমা যখন বেঁচে ছিলেন, যখন সে ছোট ছিল বলতেন, বেটা, এ হলো আমাদের নবিজির পবিত্র ঘোড়ার খুরের ছাপ।
আকাশে ঘোড়া গিয়েছিল?
হ্যাঁ বেটা, পবিত্র মেরাজ তো সপ্তআকাশের উপরে হয়েছিল। হুজুর ঘোড়ায় বসে আকাশ অতিক্রম করেছিলেন... ‘যেখানে আমাদের নবি ঊর্ধ্বে উঠেছিলেন আমরা সেখানে পতিত হয়ে গেলাম’—তার বাবার কথা মনে পড়ে যায়। এরপর সে দাদিমার কথা ভুলে যায়। বাবার কথাগুলো একটার পর একটা মনে পড়তে থাকে। কানা দাজ্জাল, কানের ময়লা, গাধা, গম, আমেরিকা, সড়কের ইট, গলির কঙ্কর। বাবাও ভানুমতির খেল দেখাতে জানেন। কোথাকার কাহিনি কোথায় নিয়ে মিলান। কথা হয় এ সময়ের, তা নিয়ে অতীতের গালগপ্পোর সঙ্গে গড়বড় করে ফেলেন। এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন থাকার পরও বাবার ছায়া তাকে ছেয়ে রেখেছে। অতীত ও বর্তমান তার চিন্তা জগতে গুলিয়ে গিয়েছে।
অতীত ও বর্তমানকে অনেক কষ্টে সে আলাদা করে। সিদ্ধান্তে আসে, এ যুদ্ধ বর্তমান সময়ের যুদ্ধ। আমি নবিদের মধ্যে নেই। আমি আধুনিক মানুষদের মাঝে শ্বাস নিচ্ছি, আমি বর্তমান। বাবা এবং মা অতীতে পড়ে আছেন। কানা দাজ্জাল সে অতীতের ভয়ানক ভবিষ্যৎ যেখানে বাবা ও মা শ্বাস নিচ্ছেন। আর আমার ভবিষ্যৎ? এ প্রশ্নে সে ফেঁসে যায়। কিন্তু আবারো সে সিদ্ধান্তে আসে, যেহেতু বর্তমান ফাঁদে আটকে আছে তাই ভবিষ্যৎ ফাঁদে আটকাই হবে। এতটা নিশ্চিত ভাবনার পর তার মনে হল, রাতটা ভালই কেটে গেছে, এবার ঘুমিয়ে পড়া উচিত। সে চোখ বন্ধ করে ফেলে।
চোখ বন্ধ করে দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকে। তার মনে হয়, এবার সে ঘুমাতে যাচ্ছে। বাবা আস্তে আস্তে কাঁশছেন। বাবার দীর্ঘশ্বাস ফেলার শব্দ শুনা যায়। সে চমকে ওঠে, বাবা এখনো ঘুমান নি! অথচ মনে হচ্ছিল যেন শোয়ামাত্রই তিনি ঘুমিয়ে পড়েছেন। আর মা? সে আন্দাজ করে, তিনি কয়েকবার পার্শ্ব পরিবর্তন করেছেন। কথা আর স্মৃতিরা আবারও তার চিন্তা জগতকে ঝাঁকি দিতে থাকে। বাবা অদ্ভুত সব কথা বলেন। কোথাকার সম্পর্ক কোথায় নিয়ে জুড়ে দেন। কানের ময়লা, কানা দাজ্জাল, গাধা, গম, আমেরিকা। তার চিন্তা জগতে সময় আবারো গুলিয়ে যেতে লাগল। ‘মহসিন, বড়মার কথা তো তোমার মনে আছে?’ সে অবাক হয়ে ভাবে, কত বছর গত হয়ে গেছে, তবু দাদিমা-দাদু এবং নিজের ছোটকালের কথা তার এখনো মনে আছে। প্রতিটি কথাই মনে আছে। হিন্দুদের বরযাত্রীর দল সে সময়গুলোতে কত বেরুত। বাদ্য বেজে উঠতেই দে দৌড়। ওদিকে দাদিমা উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠতেন। দরজা থেকে বেরুতেই খপ করে ধরে ফেলতেন। দরজা বন্ধ করে তাকে ভেতরে নিয়ে আসতেন, রে কপালপোড়া, তুমি কি দাজ্জালের সেপাই হবে?
পালঙ্কে বসা শুভ্র শশ্রুমণ্ডিত দীর্ঘদেহী দাদু তাকে আদর করে পাশে বসিয়ে একে একে দাজ্জালের সবগুলো আলামত বুঝাতেন। তারপর আমাদের ইমাম... বলতে বলতে তার মাথা নত হয়ে আসে। দাদিমা ঝুকে সালাম করেন। এতটাই ঝুকেন যে একেবারে ভাজ হয়ে পড়েন। ‘তারপর তিনি আত্মপ্রকাশ করবেন।’ আবারো তার চোখ ছলছল করে। ‘তিনি সত্যের ঘোষণা দেবেন। কিন্তু মুসলমানরা সত্যের সাক্ষ্য দেবে না। হাতেগোণা কয়েকজন দেবেন। কেতাবে আছে, সংখ্যায় তারা হবেন মাত্র তিন শ’ তেরোজন।’
দাদিমা বলেন, আচ্ছা, এই যে লাখে লাখে মুসলমান তারা সবাই ইমামের কণ্ঠ শুনতে পাবে তো?
সবাই শুনতে পাবে, তার কণ্ঠ সারা দুনিয়ায়ই শুনা যাবে কিন্তু মুসলমান থাকলে তো। অনেক মুসলমান শহিদ হয়ে যাবে। অনেকেই থাকবে দাজ্জালের গাধার পিছে। সত্যায়নের জন্য স্রেফ তিন শ’ তেরোজনই থাকবে। এদের নিয়েই তিনি বেড়িয়ে পড়বেন।”
সে পাশ ফিরে ভাবে, আমি অতীত জগতে আছি নাকি ভবিষ্যতে। অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, জাগ্রত, স্বপ্নালোক সব এলোমেলো হয়ে গেছে। যেন সে জেগে ছিল, আবার ঘুমিয়েও। যেন সে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের চক্রে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিল। তিন শ’ তেরো— এ আমাদের অতীত নাকি ভবিষ্যৎ? যা প্রারম্ভ ছিল তাই-ই কি সমাপ্তি। যেখানে আমরা ঊর্ধ্বে উঠেছিলাম সেখানে আমরা পতিত হয়ে গেলাম। কানা দাজ্জাল বাদ্য বাজিয়ে আসবে, কানা দাজ্জাল, কানের ময়লা, গাধা, গম, আমেরিকা...।
আমি অতীতে হই কি বর্তমানে, সে ঘুমিয়েছিল আবার জেগেও ছিল, যখন সে জাগল তখন ভাবতে লাগল- সে কি ঘুমিয়েছিল। সে আকাশ দেখল। আকাশ তখন ফর্সা হয়ে গিয়েছে। অনেক নক্ষত্র মুছে গেছে কিন্তু অল্প কয়টা তখনো এখানে-ওখানে জ্বলজ্বল করছিল। আর সেই সরু পথ যেখানে নক্ষত্রদের ঔজ্জল্য ছড়িয়ে ছিল? সে ভাবে, হয়তো ছায়াপথ রাতের বেলা উজ্জ্বল হয়, সকাল হতেই আবার নিবে যায়। আযান কি তাহলে হয়ে গেছে? জানি নে আযান হয়ে গিয়েছিল নাকি তখনো হয় নি। কিন্তু দূরের কোনো ঘর থেকে মোরগের আযান শোনা যাচ্ছিল। যখন সে পাশ ফিরল, দেখল, বাবা পালঙ্কে জায়নামাজ বিছিয়ে সেজদারত আছেন। মায়ের পালঙ্ক শূন্য পড়ে আছে। তিনি মেঝেতে জায়নামাজ বিছিয়ে তসবিহ হাতে চোখ বন্ধ করে বসে আছেন।
[অনুবাদক পরিচয়: প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক সালেহ ফুয়াদের জন্ম ১৯৯৫ সালের ১০ই জানুয়ারি সুনামগঞ্জে। বেড়ে উঠেছেন সিলেট শহরে। বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ায় অধ্যয়নরত । তিনি আরবি, উর্দু ও ইংরেজি থেকে অনুবাদ করে থাকেন। পদ্মভূষণ প্রাপ্ত বিখ্যাত ভারতীয় পন্ডিত মওলানা ওয়াহিদুদ্দিন খানের ‘সালমান রুশদি ও মিছিলের রাজনীতি’ (চৈতন্য, বইমেলা-২০১৭) উর্দু থেকে অনুদিত তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। এখন কাজ করছেন ইনতেজার হুসেইনের উপন্যাস ও ছোটগল্প নিয়ে।]
পাঠকের মতামত:
- জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব
- গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
- গণঅভ্যুত্থানের ছাপ রেখে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবল
- আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
- খেজুরের আমদানি শুল্ক কমল, থাকছে না অগ্রিম করও
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: শুনানি শেষ, রায় যেকোনো দিন
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির আকার বাড়ল
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ
- খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : ফখরুল
- বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস
- সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে
- "সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত"
- এদের রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না : নতুন সিইসি
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পেলেন এ এম এম নাসির উদ্দীন
- ডিএসইর পরিচালক নাহিদ হোসেন ওএসডি
- ম্যাচ শেষের আগেই মাঠ ছাড়ল কসোভো, রোমানিয়াকে জয়ী ঘোষণা
- ২০২৫ সালে ভারতের কেরালায় খেলবে আর্জেন্টিনা
- পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে
- বিদায় বেলায় ঢাকায় আসছে বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
- হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
- সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
- রাজধানীর পয়েন্টে পয়েন্টে অবরোধ অটোরিকশাচালকদের, যান চলাচল বন্ধ
- এবার শুনানিতে উঠছে জামায়াত নিবন্ধনের আপিল
- "বিচারের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের বিচার ট্রাইব্যুনালে নয়"
- আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা
- ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা
- সাত কলেজকে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
- ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
- ফ্যাসিস্টের মতো কারও ভয়েস কেড়ে নেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
- মুজিববর্ষ উদযাপনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের খরচ ১২৬১ কোটি
- নির্বাচনে হস্তক্ষেপ রুখে দেওয়ার বিধান চায় ইসি
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন
- সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে ১২ কোটি টাকা জরিমানা
- আমাকে দেশনায়ক-রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না: তারেক রহমান
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- দূষণ ধুয়ে ফেলতে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টির আবেদন
- সমন্বিত হিসাবে ঘাটতি: দুই ব্রোকারেজ হাউজকে জরিমানা
- আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব পেলেন নীড়
- খেলাপিদের ঘটিবাটি বিক্রি করে অর্থ আদায় করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
- খালেদা জিয়ার কাছে পৌঁছাল সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণপত্র
- বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ কিন্তু সফল হয়নি: হাসনাত
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায়: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- আ. লীগের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নেই: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- সন্দেহটা কোথায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন ফখরুলের
- টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে চারজন নিহত
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেফতার
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সাথে হজ এজেন্সি প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দিলেন বাইডেন
- আইসিবির লভ্যাংশ ঘোষণা
- হালান্ডের আরও এক হ্যাটট্রিক, আইরিশদের গোলবন্যায় ভাসাল ইংল্যান্ড
- প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের ৭ উইকেটে ২৫৩
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- আগামী বছর ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৭ দিন
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- সব অপরাধের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা, মন্ত্রী-এমপিরা ছিলেন সহযোগী
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- পাকিস্তান থেকে ২৯৭ টিইইউএস কনটেইনারে যেসব পণ্য এলো
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- ইসলামী ব্যাংকে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তাদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- তৃতীয়বারের মত সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- হাসিনার জন্য আরেকটি তাজমহল বানান: ভারতকে রিজভী
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ৩৩ শতাংশের বেশি
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- এ যুদ্ধ তো হবেই, কোন না কোন ফর্মেটে: উপদেষ্টা মাহফুজ
- সামরিক কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল ৬০ দিন
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া