thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৮ জমাদিউল আউয়াল 1446

মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু

২০১৮ এপ্রিল ১৪ ১০:০০:৩২
মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ এই প্রতিপাদ্য ও মর্মবাণী ধারণ করে বাংলা বর্ষবরণের প্রধান অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে।

শনিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়।

শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে।

মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট।

সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের উপস্থিতিতে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। এছাড়া ঢাবি’র শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি হাজারো মানুষ অংশ নিয়েছেন এই শোভাযাত্রায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ ও র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শোভাযাত্রার চারপাশে দায়িত্ব পালন করছেন।

শোভাযাত্রায় অংশ নিতে শনিবার সকাল থেকেই ঢাবি ক্যাম্পাসের দিকে ছিল মানুষের ঢল। শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার পরও অনেকেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান থেকে এতে অংশ নিচ্ছেন।

মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শাহবাগ হয়ে শেরাটন হোটেল, সেখান থেকে ইউটার্ন করে টিএসসি ঘুরে আবার চারুকলার সামনে এসে শেষ হবে।

মা পাখি সাথে ছানা, হাতি, মাছ ও বক, মহিষ, সূর্য, টেপা পুতুল এবং সাইকেলে মা ও মেয়ে- এবার শোভাযাত্রায় এই ৭টি মোটিফ স্থান পেয়েছে।

২০১৬ বছরের নভেম্বর মাসে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে্র তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে হওয়া এ শোভাযাত্রা।

বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। মিলেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা। শুরু থেকেই চারুকলার শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। তখন এর নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। ১৯৯৬ সালে এর নাম হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।

বর্ষবরণ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা চারুকলায় ১৯৮৯ সালে শুরু হলেও এর ইতিহাস আরও কয়েক বছরের পুরনো। ১৯৮৫ বা ১৯৮৬ সালে চারুপীঠ নামের একটি প্রতিষ্ঠান যশোরে প্রথমবারের মতো নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভযাত্রার আয়োজন করে। যশোরের সেই শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, বাঘের প্রতিকৃতি, পুরানো বাদ্যসহ আরও অনেক শিল্পকর্ম। শুরুর বছরেই যশোরে সেই শোভাযাত্রা আলোড়ন তৈরি করে।

যশোরের সেই শোভাযাত্রার উদ্যোক্তাদের একজন মাহবুব জামাল শামীম মাস্টার্স ডিগ্রি নিতে পরে ঢাকার চারুকলায় চলে আসেন। পরবর্তীতে যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকার চারুকলা থেকে শুরু হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ১৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর