thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৮ জমাদিউল আউয়াল 1446

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী

২০১৮ এপ্রিল ১৮ ১০:২৬:৩১
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার (১৮ এপ্রিল)। ১৯৭১ সালের এই দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দরুইন গ্রামে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। সেদিন তিনি একাই লড়াই করে বাঁচিয়ে দেন সহযোদ্ধাদের প্রাণ। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া, মোনাজাত ও নানা কর্মসূচির আয়োজন কারা হয়েছে। খবর- বাসসের।

১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মোস্তফা কামাল। বাবা হাবিলদার হাবিবুর রহমান ও মা মালেকা বেগম। ৫ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তার স্ত্রীর নাম পিয়ারা বেগম।

১৯৮২ সালে সরকার সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নে মৌটুপি গ্রামে কিছু সম্পত্তিসহ তার বাবা-মায়ের জন্য একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে তাদের পুনর্বাসিত করে। বর্তমানে এ গ্রামের নাম পরিবর্তন করে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল নগর রাখা হয়েছে। ২০০৮ সালে সরকারিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’।

মোস্তফা কামালের ছোট বেলা থেকেই স্কুলের পড়ালেখার চেয়ে ভালো লাগত সৈনিকদের কুচকাওয়াজ। স্বপ্ন দেখতেন সৈনিক হওয়ার। ১৯৬৭ সালে কাউকে কিছু না বলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ক্রমশই স্বাধীনতার দাবিতে সারা দেশ উত্তাল হতে থাকে। ৭ মার্চ জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে বীরদর্পে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন মোস্তফা কামাল।

সিপাহী মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে এগিয়ে আসা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ঠেকানোর জন্য আখাউড়ার দরুইন গ্রামে অবস্থান নেয়। সংখ্যায় বেশি ও আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মোকাবিলায় মুক্তিযোদ্ধাদের ছিল অদম্য মনোবল। এই যুদ্ধেই প্রাণ হারান মোস্তফা কামাল। তার এমন বীরত্বের কারণে সহযোদ্ধাদের প্রাণ রক্ষা পায়। দরুইনের মাটিতে সমাহিত করা হয় জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানকে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ১৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর