গল্প
অতুল ও কাছারি ঘর

মারুফ কামরুল
তাহেরপুর। হেমন্তবাবু বিশেষ দরকারে এই আয়তাকার পল্লিতে এসেছেন। নিজের কাজ সেরে রাতে কবিতা লিখতে বসেন। মাঝেমাঝে গুনগুনিয়ে গান গাওয়ার অভ্যাস আছে। দোচালা কাছারি ঘরে থাকেন।
শীতের সকাল। কাছারির সামনে চেয়ারে বসে রোদে পোহাচ্ছেন হেমন্তবাবু। বই হাতে থাকলেও তিনি দূরের মাঠের দিকে তাকিয়ে আছেন। খুব ক্ষীণস্বরে মুখ আওড়াচ্ছেন। পেছন থেকে কেউ হেসে উঠলো। হেমন্তবাবু চমকে উঠলেন। একটি কিশোরী মেয়ে এমন ফিক করে হেসে ওঠার কোনো কারণ তিনি খুঁজে পাননি। আবার কিছু বলে যাচ্ছেন মুখে আর কৃষকদের কাজ করা দেখছেন হয়তো। মেয়েটি মুচকি হাসছে। আরো একটু কাছে এসে দাঁড়ায়।
আচ্ছা আপনি নিজে নিজে কথা বলেন!
হুম, মাঝে মাঝে বলি।
নিজে নিজে কথা বলা মানুষ আমার বেশ পছন্দ।
তুমি আমাকে চেনো?
নাহ, চিনি না। তবে বেশ সময় ধরে আপনাকে দেখছি।
আমি এখানে সরকারি হুকুম তামিল করতে এসেছি, এই কাছারিতেই থাকবো।
আমি যদি ভুল না করি, আপনিই কবি হেমন্তবাবু।
আমি হেমন্তবাবু, এ পর্যন্ত ঠিক আছে।
নিজেকে লুকোতে চাইলেই তো লুকোনো যায় না কবি!
তোমার, নিজে নিজে কথা বলা মানুষ ভালো লাগে কেনো?
এই প্রশ্ন করার আগে আপনি অন্য প্রশ্নও করতে পারতেন!
যেমন!
এই ধরুন, তোমার নাম কী; কী করো- এসব প্রশ্ন তো করতে পারতেন।
ও তাই তো! তোমার নামটাই জানা হলো না।
ঠিক সময়ে জেনে যাবেন।
আচ্ছা এখন বলো নিজে নিজে কথা বলা মানুষ ভালো লাগে কেনো?
এর একটা সহজ উত্তর আমার জানা আছে- এই ধরনের মানুষগুলো মনের সব কথা নিজেকে বলে দেয়। নিজের শ্রোতা নিজেই।
সুন্দর বিশ্লেষণ করলে।
হুম ধন্যবাদ! আপনি বরং নিজে নিজে কথা বলেন; মা ডাকছে- যেতে হবে।
কিন্তু নামটা বললে না!
মা, কী নামে ডাকছে শুনতে পাননি?
আবারো ডাক এলো ‘অতুল দ্রুত আয়!’
অতুল চলে গেলো। হেমন্তবাবু ঘরে গিয়ে চা হাতে টেবিলের সামনে বসলেন। গতরাতের কবিতাটা টেনে নিলেন। দুটো লাইন কেটে নতুন চার লাইন যুক্ত করলেন।
‘হেমন্তবাবুর স্নানের পানি লাগবে কিনা দেখতো অতুল’ বলে পুকুর পাড়ে চলে গেলেন ঋতু বেগম। হেমন্তবাবু কাপড় শুকাতে দিচ্ছেন। পেছন থেকে অতুল ‘কবি’ বলে ডাক দিলো। আপনার গরম জল লাগবে? -‘গরম জল হলে ভালোই হতো, তবে এখন তো স্নান সেরে ফেলেছি। তবুও তোমাকে ধন্যবাদ।’ অতুল চলে যায়।
হেমন্তবাবু কাজে বের হওয়ার প্রস্তুুতি নিচ্ছেন। কাগজপত্র গুছিয়েছেন। সুগন্ধি মেখে বেরুবেন এমন সময় বাইর থেকে আওয়াজ এলো ‘ভেতরে আসবো’। ভাবলেন মেয়েটি আবার কেনো এলো। ‘এসো’ বলে তিনি নিজের কাজে মন দিলেন। ‘এইনেন, চা খেয়ে বেরুবেন।’ হেমন্তবাবু চা'র কাপ নিয়ে চুমুক দেয়। ‘এই শীতে গোসলের পর একটু চা, মন্দ হয় না, কী বলো অতুল!’ সম্মতিসূচক ‘হু’ বলে টেবিলে রাখা বইগুলোর দিকে তাঁকিয়ে আছে। রবীন্দ্র, আল মাহমুদ, নির্মলেন্দুগুণ, শামসুর রাহমান, হেলাল হাফিজ। কবিতার বইগুলো চেয়ে আছে। শরৎও য্যান মুখ খুলে বলতে চাইছে ‘বিলাসী’ ভালো নেই। ‘এই নেও অতুল, কাপটা ধরো, আমাকে দ্রুত বেরুতে হবে’ হেমন্তবাবু কাপটা বাড়িয়ে দিলেন অতুলের দিকে। ‘ও হ্যাঁ, দেন। ঠিক আছে, ভালো থাকুন, সাবধানে যেয়েন’ বলে অতুল চলে যায়।
সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে কাছারিতে ফিরেন হেমন্তবাবু। খানিকটা জিরুইয়ে রাতের খাবার সারেন। হিসেবের খাতাটা রেখে কবিতা লিখতে বসেন। বাইরে ঘুটঘুটে আঁধার। পাখি ডাকার শব্দও নাই। শীতে চারপাশ প্রায় জমে গেছে। কুয়াশা ঝরছে। হেমন্তবাবু আবুল হাসানের কবিতার বইটা খুঁজছেন। লেখতে বসলে প্রায় আবুল হাসানকে পড়েন। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না। একবার ভাবলেন ভুলে রেখে এলাম না তো! নাহ, আজ সকালেও তো মনে হয় দেখছি। আচ্ছা সকালে অতুলকে একবার জিজ্ঞেস করা যাবে।
কাছারি থেকে পুরোনো আঁসটে গন্ধ, শেওলা জমা গন্ধ নাকে আসে। ঘুমও আসছে না। হেমন্তবাবু হাঁটছেন এপাশ থেকে ওপাশ। বহু বছর অতীত জমে আছে ঘরটায়। কতকিছু লেখা রয়েছে। আড়ার একপাশে একটি কাগজ ঝুলছে। মাকড়শার বাসা আর ধুলোবালিতে ঢেকে গেছে। বাইরে বাতাস নেই তবুও মনেহয় কাগজটি নড়ছে। কিছু লেখাও রয়েছে। হেমন্তবাবু চেয়ার টেনে উপরে উঠে কাগজটা নামালেন। ঝাড়ামোছার পর কয়েকটি পঙক্তি ভেসে উঠলো। লাইনগুলো পড়ে হেমন্তবাবু কেমন উদাস হয়ে উঠলেন-
‘মানুষের ওজনে ভারি হচ্ছে মহাকাল
মানুষ নিয়ে ডুব দিবে মহাকাল জাহাজ
গভীর থেকে গভীরে
মনুষ্যজাতি নেশায় বিভোর হয়ে পার করবে বছরকে বছর
এরপর মানুষ হওয়ার ইচ্ছে হবে না করোর
এক সন্ধ্যার পর ফুটবে না আলো
আঁধারে আঁধারে খেলা শেষ হবে পৃথিবীর’
ক্লান্ত মহাকাল/৯৫
লেখকের নামের অংশটা পোকায় কেটেছে। হেমন্তবাবু আরো গভীর চিন্তায় পড়লেন- এতো গভীর থেকে কেউ লেখতে পারে! সত্যিই তো মানষু মহাকালে স্থান নিতে ব্যস্ত। মহাকাল কী একদিন সত্যি তলিয়ে যাবে? কিছু বিখ্যাত মানুষের ছবিও মলিন মুখে ঝুলছে। হেমন্তবাবু ভাবছেন, আমার আগে এই কাছারিতে কত গুণিজন হেঁটেছেন, থেকেছেন! এবং তাঁদের মাঝে একজন প্রতিভাবান কবি তো ছিলেনই, যার প্রমাণ এই কবিতা।
বিদ্যুৎ চলে গেলো। গ্রামে এটা স্বাভাবিক। হেমন্তবাবু চিন্তার সুযোগ পেলেন। বারবার পঙক্তিগুলো আওড়াচ্ছেন। কল্পনা দিয়ে নাম নাজানা কবি’র একটি চিত্রও এঁকে ফেলেন। আচমকা দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে চমকে উঠেন। বললেন, কে? কে আপনি?
মৃদুসুরে ভেসে এলো ‘আমি অতুল’। ‘তুমি এতো রাতে’ বলে হেমন্তবাবু দরজা খুলে দিলেন। অতুল হ্যারিক্যান হাতে প্রবেশ করে। ‘অন্ধকারে আপনার ভয় করে না’ বলে হ্যারিক্যানটা টেবিলে রাখে। চাদরের নিচ থেকে বুকের সাথে লেপ্টে থাকা বইটা বের করে হেমন্তবাবুর হাতে দেয়। আবুল হাসানের কবিতা সমগ্র। বইটা ঠিক জায়গায় রেখে বললেন, ‘তুমি এতো রাতে এখানে এলে যে।’ হুম বলছি কবি- কবিতা পড়ছিলাম। আপনাকে না বলেই বইটা নিয়েছি। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পড়তে ভালো লাগেনি। ভাবলাম আপনি অন্ধকারে পড়ে আছেন, আলো নিয়ে যাই আড্ডা দেওয়া যাবে। তাছাড়া একটা প্রশ্নও জেগেছে মনে।
তো প্রশ্নটা কী?
কবি আবুল হাসান লিখলেন-
‘চেয়েছিলো আরো কিছু কম
জলের খনি
তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি
চেয়েছিলো একটি পুরুষ
তাকে বলুক রমনী’
আপনি কাউকে রমণী বলেছেন, কবি?
রমণী বলতে হলে অধিকার লাগে। অধিকারটা অর্জন করতে পারিনি। আচ্ছা অতুল, তোমার কাছে জীবনবোধটা কেমন?
বসে বলি?
নিশ্চয়- এসো বসি।
একই প্রশ্ন যদি আপনাকে করি!
আসলে জীবনকেই তো বুঝে উঠতে পারিনি।
একটা গল্প আপনাকে বললে কিছুটা হলেও বোধের অস্তিত্ব টের পাবেন। বলি!
চমশা খুলে টেবিলে রেখে বললেন- হুম, শুরু করো।
‘এই গ্রামের ছেলে মামুন। সালমাকে বিয়ে করে। মাস দুয়েক ভালোই চলে সংসার। দিনেদিনে দ্বন্দ¦মুখর হতে থাকে সম্পর্ক। দেড় বছরের মাথায় একটি মেয়ে হয়। কথা কাটাকাটি আর ঝড়ঝাপটা নিয়ে আরো বছর দুয়েক পার হলো। সংসারে ইতি টানতে হয়। মেয়েকে নিয়ে সালমা যায় বাবার বাড়ি। সেখান থেকে কাজের খোঁজে ঢাকা। মা কাজ করে আর মেয়ে লেখাপড়া। সেখানে মেয়েটি পড়ার পাশাপাশি কবিতার প্রেমে পড়ে যায়। আধুনিক যুগের কবিতার সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়। সালমা নতুন একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মেয়েটি মাধ্যমিকে পড়ে। সালমা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। মেয়েটিকে তাঁর পিতৃ পরিচয়ের জন্য রেখে যায় বাবার কাছে। মেয়েটি বড্ড অগোছালো, সারাদিন বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায়। মেয়েটির বাবা এরই মাঝে দুখান বিয়ে করেছে। শেষের বউটি আছে। দুটি ছেলেও আছে। এতো বছরেও নেশাখোর বাবাটি বদলায়নি। প্রতিরাতেই নেশাগ্রস্থ হয়ে মেয়েটির ঘরে যাতায়াত করে। মুহূর্তেই মাংসাসী হয়ে ওঠে। হিংস্রতা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে মেয়েটির ওপর। মাংসের ওপর মানুষের এতো লোভ কী করে হয়। খামচির দাগ, অবশ দেহ নিয়ে আবার সকাল শুরু করে। পাড়ার ব্যাপক মানুষের গালি খায়। আবার কালো একটি রাত কাটে সূর্যের অপেক্ষায়। তবে কবি, আজ রাত মেয়েটির জন্য ভিন্ন রকম। জানতে চাইবেন না মেয়েটি কে! মেয়েটি অতুল। আপনার খুব নিকটে বসা বিষন্ন জীবনবোধ।’ উদাস হয়ে গল্প বলে গেলো অতুল। রাত গভীর। চাঁদের আলো আর কুয়াশা বাইরে জড়াজড়িরত। অতুলের চোঁখে পানি। হেমন্তবাবু পানি মুছে দিলেন। অতুল ধীরে ধীরে মুখ গুঁজে দিলো হেমন্তবাবুর বুকে। তিনি খুব আলতো করে জড়িয়ে আছেন। কান্নার মৃদুতা বুকে বিঁধে যাচ্ছে। অতুল এমন প্রশস্ত বুক আর পায়নি। খুব মনোযোগী হয়ে বুকের ভেতরে ভালোবাসার প্রতিধ্বনি শুনছে। বুকে বুক পিষ্টের ব্যথায় রাত কাটতো অতুলের। এই প্রথম কারোর বুকে মাথা রাখার নিরাপদ আশ্রয় পেলো।
মাথা তুলবে অতুল?
আপনার বুকের ধুকধুক শব্দটা একটু শুনি।
অতুল, তোমার নাকটা খুব চোকা, চুলগুলো খুব শীতল।
কবি!
হুম বলো।
গত পাঁচদিন আগে চেয়ারম্যান চাচা আপনার আসার কথা বলে গেলেন। আমার দায়িত্ব হলো আপনার দেখভাল করা। সে থেকেই অপেক্ষা করে কাটছে আমার দিন।
অপেক্ষা করছিলে কেনো, অতুল?
আপনার কবিতার একজন ভক্ত। ম্যাগাজিনে পড়েছি। যার কবিতা ভালোবাসি তাকে কাছে থেকে পাবার আশায়।
আর?
এমন প্রশস্ত বুকে মাথা রাখবার ইচ্ছে ছিলো।
পিঠে হাত বুলিয়ে বললেন- কাছ থেকে পেয়েছো?
চোখ মুছতে মুছতে বলে- এতোটা কাছে পাবো ভাবিনি।
শুনো অতুল আমার কাছে জীবনবোধ এটাই।
প্রশ্নাতুর চোখে হেমন্তবাবুর মুখে চেয়ে বলে, কোনটা?
এইযে, মানুষের খুব কাছে চলে যাওয়া। যতটা মানুষ ভাবতে চায় না। জীবন দিয়ে জীবনকে আলিঙ্গন করা।
হাতটা হেমন্তবাবুর দিকে বাড়িয়ে বলল- কবি হাতটা একটু শক্ত করে ধরবেন?
বিদ্যুৎ চলে এলো। অতুল ওঠে দাঁড়ায়। ‘কবি গেলাম’ বলে হ্যারিক্যান হাতে ধীরে ধীরে সামনের দিকে পা বাড়ায়। হেমন্তবাবু দরজা পর্যন্ত আসেন। পেছন থেকে হাত ধরে বলেন, ‘ভালো থেকো’।
২.
‘কবি, কবি ঘুম ভাঙেনি’- বাইরে অতুল ডাকছে। দরজা খুলে হেমন্তবাবু অতুলকে ‘শুভ সকাল’ জানালেন, ভেতরে এসো। অতুল বলল, না, আপনার নাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। নাস্তা রেখে যাওয়ার সময় বলে গেলো, গোসলের জন্য গরম পানি আছে। শুধু ‘অতুল’ বলে ডাকলেই হাজির হবো। এখন তবে নাস্তা সারুন।
দুপুরের খাবার শেষে হেমন্তবাবু কবিতা পড়ছেন। জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে অতুল চুল শুকাচ্ছে। একটু পরেই মৃদুস্বরে ‘কবি’ ডাকে বাইরে তাকালেন, দেখলেন অতুল দাঁড়িয়ে। হেমন্তবাবুর ডাকে ভেতরে এলো। ‘কবিতা শুনবো’ বলে চৌকিতে বসলো। হেমন্তবাবুর মোবাইল বেজে ওঠে-‘একটু বোসো অতুল, আসছি’ বলে ফোন কানে বাইরে গেলেন।
কে কল করেছে, কবি?- অতুলের প্রশ্ন।
মা।
ও, মা কেমন আছেন?
ভালো তবে আমাকে নিয়ে চিন্তা করছে, কী খাচ্ছি, কোথায় থাকছি!
কেনো? আপনি মাকে আমার কথা বলেননি!
বলেছি, তোমার জন্য মা দোয়া করছেন।
অতুল হেমন্তবাবুুর হাত ধরে বলল- আমি মাকে দেখবো।
ওপাশ থেকে অতুলের ডাক পড়লো। হেমন্তবাবুর হাত ছেড়ে ‘এখন যাই, রাতে লুডু খেলবো কবি’ বলে এক দৌড়ে চলে যায়। ঋতু বেগম অর্থাৎ অতুলের বাবার তৃতীয় স্ত্রী। যাকে অতুল মা ডাকে। অতুলের চুলের মুটি ধরে ধুমধুম কিল মারে পিঠে, ‘মাগি কোথাকার, ব্যাটা দেখলে তর সয় না। সারাদিন ঐ বেটার কাছে কী তোর? তোর বাপ আসুক, আজ খবর আছে।’
সন্ধ্যা গেলো, রাত হলো। অতুল আসেনি। হেমন্তবাবুু অপেক্ষা করছেন। রাতের খাবার ঋতু বেগম দিয়ে গেছেন। হেমন্তবাবু ভেবেছিলো অতুলের কথা জিগ্যেস করবেন, সাহস হয়নি।
মার খাওয়ার পর অতুল তার ঘরে সুয়ে আছে। ঋতু বেগমের কাছে বাজে কথা শুনে টলতে টলতে মেয়ে ঘরে ঢুকে মামুন। ‘ঐ মাগি- তোর আজ স্বাদ মিঠামু, ঐ কবি'র কাছে তোর কী এতো!’
‘বাবা! তোমার পায়ে ধরি, আমারে আর কষ্ট দিও না। কামড়ের ব্যথা এখনো ভালো হয়নি। বাবা- বাবাগো- মরে যাবো...’ ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে আসে অতুলের কণ্ঠ।
গভীর রাতে দরজা ধাক্কার শব্দে চমকে উঠলেন হেমন্তবাবু। ‘অতুল আপনার ঘরে? দরজা খোলেন!’ মামুন নেশাক্রান্ত গলায় বলছে। ‘না তো’ হেমন্তবাবু বলেন। ‘অতুলকে খুঁজে পাইতাছি না কবি’ বলে টলতে টলতে চলে গেলো মামুন।
পরদিন সকালে কাছারি ঘরে নতুন আরেকটি কবিতা ঝুলতে দেখা যায়।
‘একবার রমণী শুনতে চেয়ে
কবিতা হয়ে ঝুলছে
জারুলের ডালে
চাঁদ রাঙা রাতে
আমার সমন্ত সপেছি
অতুলের হাতে’
-হেমন্তবাবু
শূন্য কাছারিতে কবিতার কাগজে মাকড়শা হেঁটে যায়...
(দ্য রিপোর্ট/একেএম/মে ১৮, ২০১৮)
পাঠকের মতামত:

- দাপুটে জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালে যুবারা
- গাজায় প্রবেশের পরই লুট হচ্ছে ত্রাণের ট্রাক
- বিএসইসির কমিশনার হিসেবে সাইফুদ্দিনের যোগদান
- সেই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন
- বেনজীরের ডক্টরেট ডিগ্রি স্থগিত করল ঢাবি
- সমালোচকদের হতাশ করে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা’
- এ শুল্কহারে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব: বিজিএমইএ সভাপতি
- গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা অপু গ্রেপ্তার
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএনপি: সালাহউদ্দিন
- ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ বৈঠকের তদন্ত চলছে, আগস্টে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই: ডিএমপি
- মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ, অপরিবর্তিত নীতিতে নজর শুধু মূল্যস্ফীতি
- সাত জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- পুঁজিবাজারে সালমান আজীবন নিষিদ্ধ-১০০ কোটি টাকা জরিমানা
- একমত হওয়া বিষয়গুলোকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে: আখতার হোসেন
- হার্টে ব্লক: বিদেশে সার্জারির সিদ্ধান্ত নাকচ করলেন জামায়াত আমির
- হাসিনার দেশত্যাগের এক বছর পরও মানবাধিকার সংকট প্রকট
- গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- ‘অন্তর্বর্তী সরকার, জুলাই সনদ দরকার’ – স্লোগান দিয়ে শাহবাগ অবরোধ
- আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী, জবানবন্দিতে সাবেক আইজিপি
- প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : শেখ হাসিনার বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
- ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা শুরু
- সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
- গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউর রায় ৬ আগস্ট
- ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর
- বৃহস্পতিবার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা
- নেতানিয়াহুর দাবি গাজায় কেউ না খেয়ে নেই, ট্রাম্পের ভিন্নমত
- বিচার সংস্কার নির্বাচন সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিতে হবে: জামায়াত আমির
- ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের সময় অগ্নিকাণ্ডের প্রমাণ মেলেনি
- অভ্যুত্থানের শক্তি সক্রিয় থাকা পর্যন্ত মুজিববাদীরা দাঁড়াতে পারবে না: নাহিদ
- জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে আপত্তি এনসিপি-জামায়াতে ইসলামীর
- টেকসই উন্নয়নের শর্ত-স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান: আমীর খসরু
- জুলাই সনদের খসড়া বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক: সালাহউদ্দিন
- দেশে গভীর পরিবর্তন না হলে স্বৈরাচার গিয়ে স্বৈরাচার আসবে: প্রধান উপদেষ্টা
- সেপ্টেম্বরে শুরু এশিয়া কাপ, এক গ্রুপেই ভারত-পাকিস্তান
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৩৭ হাজার ৭৩ কোটি টাকা
- হচ্ছে না সাময়িক যুদ্ধবিরতি, হামাসকে ধ্বংসের হুমকি ট্রাম্পের
- কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে কিন্তু উন্নয়ন পায়নি : নাহিদ ইসলাম
- রোববার খুলছে না মাইলস্টোন, কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত সোমবার
- পুরনো পদ্ধতিতে আর নির্বাচন চলবে না: মজিবুর রহমান
- নির্বাচনের আগে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- দগ্ধদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা
- গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৫
- "কয়েকদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা"
- যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি, তখনই ষড়যন্ত্র আসছে: প্রধান উপদেষ্টা
- প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- সারা বছর মৃত ভোটার বাদ দেওয়ার ক্ষমতা চান ইসি কর্মকর্তারা
- ফেনী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ১
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫৯ হাজার ৫০০ ছাড়ালো
- দাম কমলো স্বর্ণের
- দু-চারটা হলেও শীর্ষ অপরাধীর বিচার দেখতে চাই: জামায়াত আমির
- বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিসহ ১৯৮ জনকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া
- কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে আইডি কার্ড দেখাতে হবে: আইন উপদেষ্টা
- বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে চীনা মেডিকেল টিম ঢাকায়
- হাসিনার গুলি চালানোর নির্দেশ নিয়ে আল জাজিরার ‘বিস্ফোরক’ প্রতিবেদন
- টানা ৮ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
- বাংলাদেশকে ধসিয়ে ধবলধোলাই এড়াল পাকিস্তান
- ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি সই
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩০ বিলিয়ন
- নতুন বাংলাদেশ গড়ার লড়াই শেষ হয়নি: নাহিদ
- জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় আমাদের স্বার্থে হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- মানুষের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক তৈরি করেছে মব কালচার: রুহুল কবির রিজভী
- হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক কারাগারে
- দগ্ধদের জন্য রক্ত ও স্কিনের প্রয়োজন নেই : বার্নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক
- ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসে নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ
- নাটোরে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬
- পাকিস্তানকে উড়িয়ে র্যাঙ্কিংয়ে জোড়া সুখবর পেল বাংলাদেশ
- ইসলামী ব্যাংকের ক্যাশ ওয়াক্ফ অ্যাকাউন্ট: মানবতার সেবায় স্থায়ী দান
- ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হয়নি: ইসরাইলি সেনাপ্রধান
- দুদকের পক্ষে এতো দুর্নীতির শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব না : বিচারক
- মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় তদন্তের দাবি জামায়াতের নায়েবে আমিরের
- নিহতের সংখ্যা কম দেখানোর কোনো কারণ নেই: প্রেস সচিব
- ফ্যাসিস্ট শক্তি উত্থানের শঙ্কায় মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা: মির্জা ফখরুল
- শক্তিশালী পাসপোর্টের র্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
- সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিদল বার্ন ইনস্টিটিউটে
- নির্বাচনের আগে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৫
- কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে কিন্তু উন্নয়ন পায়নি : নাহিদ ইসলাম
- হচ্ছে না সাময়িক যুদ্ধবিরতি, হামাসকে ধ্বংসের হুমকি ট্রাম্পের
- রোববার খুলছে না মাইলস্টোন, কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত সোমবার
- দগ্ধদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা
- জুলাই সনদের খসড়া বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক: সালাহউদ্দিন
- পুরনো পদ্ধতিতে আর নির্বাচন চলবে না: মজিবুর রহমান
- সেপ্টেম্বরে শুরু এশিয়া কাপ, এক গ্রুপেই ভারত-পাকিস্তান
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৩৭ হাজার ৭৩ কোটি টাকা
- বিচার সংস্কার নির্বাচন সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিতে হবে: জামায়াত আমির
- টেকসই উন্নয়নের শর্ত-স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান: আমীর খসরু
- নেতানিয়াহুর দাবি গাজায় কেউ না খেয়ে নেই, ট্রাম্পের ভিন্নমত
- জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে আপত্তি এনসিপি-জামায়াতে ইসলামীর
- যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি, তখনই ষড়যন্ত্র আসছে: প্রধান উপদেষ্টা
- অভ্যুত্থানের শক্তি সক্রিয় থাকা পর্যন্ত মুজিববাদীরা দাঁড়াতে পারবে না: নাহিদ
- সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
- সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
- ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা শুরু
- গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর
- ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের সময় অগ্নিকাণ্ডের প্রমাণ মেলেনি
- বৃহস্পতিবার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা
- গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউর রায় ৬ আগস্ট
- দেশে গভীর পরিবর্তন না হলে স্বৈরাচার গিয়ে স্বৈরাচার আসবে: প্রধান উপদেষ্টা
সাহিত্য এর সর্বশেষ খবর
সাহিত্য - এর সব খবর
