গল্প
অতুল ও কাছারি ঘর
মারুফ কামরুল
তাহেরপুর। হেমন্তবাবু বিশেষ দরকারে এই আয়তাকার পল্লিতে এসেছেন। নিজের কাজ সেরে রাতে কবিতা লিখতে বসেন। মাঝেমাঝে গুনগুনিয়ে গান গাওয়ার অভ্যাস আছে। দোচালা কাছারি ঘরে থাকেন।
শীতের সকাল। কাছারির সামনে চেয়ারে বসে রোদে পোহাচ্ছেন হেমন্তবাবু। বই হাতে থাকলেও তিনি দূরের মাঠের দিকে তাকিয়ে আছেন। খুব ক্ষীণস্বরে মুখ আওড়াচ্ছেন। পেছন থেকে কেউ হেসে উঠলো। হেমন্তবাবু চমকে উঠলেন। একটি কিশোরী মেয়ে এমন ফিক করে হেসে ওঠার কোনো কারণ তিনি খুঁজে পাননি। আবার কিছু বলে যাচ্ছেন মুখে আর কৃষকদের কাজ করা দেখছেন হয়তো। মেয়েটি মুচকি হাসছে। আরো একটু কাছে এসে দাঁড়ায়।
আচ্ছা আপনি নিজে নিজে কথা বলেন!
হুম, মাঝে মাঝে বলি।
নিজে নিজে কথা বলা মানুষ আমার বেশ পছন্দ।
তুমি আমাকে চেনো?
নাহ, চিনি না। তবে বেশ সময় ধরে আপনাকে দেখছি।
আমি এখানে সরকারি হুকুম তামিল করতে এসেছি, এই কাছারিতেই থাকবো।
আমি যদি ভুল না করি, আপনিই কবি হেমন্তবাবু।
আমি হেমন্তবাবু, এ পর্যন্ত ঠিক আছে।
নিজেকে লুকোতে চাইলেই তো লুকোনো যায় না কবি!
তোমার, নিজে নিজে কথা বলা মানুষ ভালো লাগে কেনো?
এই প্রশ্ন করার আগে আপনি অন্য প্রশ্নও করতে পারতেন!
যেমন!
এই ধরুন, তোমার নাম কী; কী করো- এসব প্রশ্ন তো করতে পারতেন।
ও তাই তো! তোমার নামটাই জানা হলো না।
ঠিক সময়ে জেনে যাবেন।
আচ্ছা এখন বলো নিজে নিজে কথা বলা মানুষ ভালো লাগে কেনো?
এর একটা সহজ উত্তর আমার জানা আছে- এই ধরনের মানুষগুলো মনের সব কথা নিজেকে বলে দেয়। নিজের শ্রোতা নিজেই।
সুন্দর বিশ্লেষণ করলে।
হুম ধন্যবাদ! আপনি বরং নিজে নিজে কথা বলেন; মা ডাকছে- যেতে হবে।
কিন্তু নামটা বললে না!
মা, কী নামে ডাকছে শুনতে পাননি?
আবারো ডাক এলো ‘অতুল দ্রুত আয়!’
অতুল চলে গেলো। হেমন্তবাবু ঘরে গিয়ে চা হাতে টেবিলের সামনে বসলেন। গতরাতের কবিতাটা টেনে নিলেন। দুটো লাইন কেটে নতুন চার লাইন যুক্ত করলেন।
‘হেমন্তবাবুর স্নানের পানি লাগবে কিনা দেখতো অতুল’ বলে পুকুর পাড়ে চলে গেলেন ঋতু বেগম। হেমন্তবাবু কাপড় শুকাতে দিচ্ছেন। পেছন থেকে অতুল ‘কবি’ বলে ডাক দিলো। আপনার গরম জল লাগবে? -‘গরম জল হলে ভালোই হতো, তবে এখন তো স্নান সেরে ফেলেছি। তবুও তোমাকে ধন্যবাদ।’ অতুল চলে যায়।
হেমন্তবাবু কাজে বের হওয়ার প্রস্তুুতি নিচ্ছেন। কাগজপত্র গুছিয়েছেন। সুগন্ধি মেখে বেরুবেন এমন সময় বাইর থেকে আওয়াজ এলো ‘ভেতরে আসবো’। ভাবলেন মেয়েটি আবার কেনো এলো। ‘এসো’ বলে তিনি নিজের কাজে মন দিলেন। ‘এইনেন, চা খেয়ে বেরুবেন।’ হেমন্তবাবু চা'র কাপ নিয়ে চুমুক দেয়। ‘এই শীতে গোসলের পর একটু চা, মন্দ হয় না, কী বলো অতুল!’ সম্মতিসূচক ‘হু’ বলে টেবিলে রাখা বইগুলোর দিকে তাঁকিয়ে আছে। রবীন্দ্র, আল মাহমুদ, নির্মলেন্দুগুণ, শামসুর রাহমান, হেলাল হাফিজ। কবিতার বইগুলো চেয়ে আছে। শরৎও য্যান মুখ খুলে বলতে চাইছে ‘বিলাসী’ ভালো নেই। ‘এই নেও অতুল, কাপটা ধরো, আমাকে দ্রুত বেরুতে হবে’ হেমন্তবাবু কাপটা বাড়িয়ে দিলেন অতুলের দিকে। ‘ও হ্যাঁ, দেন। ঠিক আছে, ভালো থাকুন, সাবধানে যেয়েন’ বলে অতুল চলে যায়।
সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে কাছারিতে ফিরেন হেমন্তবাবু। খানিকটা জিরুইয়ে রাতের খাবার সারেন। হিসেবের খাতাটা রেখে কবিতা লিখতে বসেন। বাইরে ঘুটঘুটে আঁধার। পাখি ডাকার শব্দও নাই। শীতে চারপাশ প্রায় জমে গেছে। কুয়াশা ঝরছে। হেমন্তবাবু আবুল হাসানের কবিতার বইটা খুঁজছেন। লেখতে বসলে প্রায় আবুল হাসানকে পড়েন। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না। একবার ভাবলেন ভুলে রেখে এলাম না তো! নাহ, আজ সকালেও তো মনে হয় দেখছি। আচ্ছা সকালে অতুলকে একবার জিজ্ঞেস করা যাবে।
কাছারি থেকে পুরোনো আঁসটে গন্ধ, শেওলা জমা গন্ধ নাকে আসে। ঘুমও আসছে না। হেমন্তবাবু হাঁটছেন এপাশ থেকে ওপাশ। বহু বছর অতীত জমে আছে ঘরটায়। কতকিছু লেখা রয়েছে। আড়ার একপাশে একটি কাগজ ঝুলছে। মাকড়শার বাসা আর ধুলোবালিতে ঢেকে গেছে। বাইরে বাতাস নেই তবুও মনেহয় কাগজটি নড়ছে। কিছু লেখাও রয়েছে। হেমন্তবাবু চেয়ার টেনে উপরে উঠে কাগজটা নামালেন। ঝাড়ামোছার পর কয়েকটি পঙক্তি ভেসে উঠলো। লাইনগুলো পড়ে হেমন্তবাবু কেমন উদাস হয়ে উঠলেন-
‘মানুষের ওজনে ভারি হচ্ছে মহাকাল
মানুষ নিয়ে ডুব দিবে মহাকাল জাহাজ
গভীর থেকে গভীরে
মনুষ্যজাতি নেশায় বিভোর হয়ে পার করবে বছরকে বছর
এরপর মানুষ হওয়ার ইচ্ছে হবে না করোর
এক সন্ধ্যার পর ফুটবে না আলো
আঁধারে আঁধারে খেলা শেষ হবে পৃথিবীর’
ক্লান্ত মহাকাল/৯৫
লেখকের নামের অংশটা পোকায় কেটেছে। হেমন্তবাবু আরো গভীর চিন্তায় পড়লেন- এতো গভীর থেকে কেউ লেখতে পারে! সত্যিই তো মানষু মহাকালে স্থান নিতে ব্যস্ত। মহাকাল কী একদিন সত্যি তলিয়ে যাবে? কিছু বিখ্যাত মানুষের ছবিও মলিন মুখে ঝুলছে। হেমন্তবাবু ভাবছেন, আমার আগে এই কাছারিতে কত গুণিজন হেঁটেছেন, থেকেছেন! এবং তাঁদের মাঝে একজন প্রতিভাবান কবি তো ছিলেনই, যার প্রমাণ এই কবিতা।
বিদ্যুৎ চলে গেলো। গ্রামে এটা স্বাভাবিক। হেমন্তবাবু চিন্তার সুযোগ পেলেন। বারবার পঙক্তিগুলো আওড়াচ্ছেন। কল্পনা দিয়ে নাম নাজানা কবি’র একটি চিত্রও এঁকে ফেলেন। আচমকা দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে চমকে উঠেন। বললেন, কে? কে আপনি?
মৃদুসুরে ভেসে এলো ‘আমি অতুল’। ‘তুমি এতো রাতে’ বলে হেমন্তবাবু দরজা খুলে দিলেন। অতুল হ্যারিক্যান হাতে প্রবেশ করে। ‘অন্ধকারে আপনার ভয় করে না’ বলে হ্যারিক্যানটা টেবিলে রাখে। চাদরের নিচ থেকে বুকের সাথে লেপ্টে থাকা বইটা বের করে হেমন্তবাবুর হাতে দেয়। আবুল হাসানের কবিতা সমগ্র। বইটা ঠিক জায়গায় রেখে বললেন, ‘তুমি এতো রাতে এখানে এলে যে।’ হুম বলছি কবি- কবিতা পড়ছিলাম। আপনাকে না বলেই বইটা নিয়েছি। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পড়তে ভালো লাগেনি। ভাবলাম আপনি অন্ধকারে পড়ে আছেন, আলো নিয়ে যাই আড্ডা দেওয়া যাবে। তাছাড়া একটা প্রশ্নও জেগেছে মনে।
তো প্রশ্নটা কী?
কবি আবুল হাসান লিখলেন-
‘চেয়েছিলো আরো কিছু কম
জলের খনি
তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি
চেয়েছিলো একটি পুরুষ
তাকে বলুক রমনী’
আপনি কাউকে রমণী বলেছেন, কবি?
রমণী বলতে হলে অধিকার লাগে। অধিকারটা অর্জন করতে পারিনি। আচ্ছা অতুল, তোমার কাছে জীবনবোধটা কেমন?
বসে বলি?
নিশ্চয়- এসো বসি।
একই প্রশ্ন যদি আপনাকে করি!
আসলে জীবনকেই তো বুঝে উঠতে পারিনি।
একটা গল্প আপনাকে বললে কিছুটা হলেও বোধের অস্তিত্ব টের পাবেন। বলি!
চমশা খুলে টেবিলে রেখে বললেন- হুম, শুরু করো।
‘এই গ্রামের ছেলে মামুন। সালমাকে বিয়ে করে। মাস দুয়েক ভালোই চলে সংসার। দিনেদিনে দ্বন্দ¦মুখর হতে থাকে সম্পর্ক। দেড় বছরের মাথায় একটি মেয়ে হয়। কথা কাটাকাটি আর ঝড়ঝাপটা নিয়ে আরো বছর দুয়েক পার হলো। সংসারে ইতি টানতে হয়। মেয়েকে নিয়ে সালমা যায় বাবার বাড়ি। সেখান থেকে কাজের খোঁজে ঢাকা। মা কাজ করে আর মেয়ে লেখাপড়া। সেখানে মেয়েটি পড়ার পাশাপাশি কবিতার প্রেমে পড়ে যায়। আধুনিক যুগের কবিতার সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়। সালমা নতুন একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মেয়েটি মাধ্যমিকে পড়ে। সালমা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। মেয়েটিকে তাঁর পিতৃ পরিচয়ের জন্য রেখে যায় বাবার কাছে। মেয়েটি বড্ড অগোছালো, সারাদিন বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায়। মেয়েটির বাবা এরই মাঝে দুখান বিয়ে করেছে। শেষের বউটি আছে। দুটি ছেলেও আছে। এতো বছরেও নেশাখোর বাবাটি বদলায়নি। প্রতিরাতেই নেশাগ্রস্থ হয়ে মেয়েটির ঘরে যাতায়াত করে। মুহূর্তেই মাংসাসী হয়ে ওঠে। হিংস্রতা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে মেয়েটির ওপর। মাংসের ওপর মানুষের এতো লোভ কী করে হয়। খামচির দাগ, অবশ দেহ নিয়ে আবার সকাল শুরু করে। পাড়ার ব্যাপক মানুষের গালি খায়। আবার কালো একটি রাত কাটে সূর্যের অপেক্ষায়। তবে কবি, আজ রাত মেয়েটির জন্য ভিন্ন রকম। জানতে চাইবেন না মেয়েটি কে! মেয়েটি অতুল। আপনার খুব নিকটে বসা বিষন্ন জীবনবোধ।’ উদাস হয়ে গল্প বলে গেলো অতুল। রাত গভীর। চাঁদের আলো আর কুয়াশা বাইরে জড়াজড়িরত। অতুলের চোঁখে পানি। হেমন্তবাবু পানি মুছে দিলেন। অতুল ধীরে ধীরে মুখ গুঁজে দিলো হেমন্তবাবুর বুকে। তিনি খুব আলতো করে জড়িয়ে আছেন। কান্নার মৃদুতা বুকে বিঁধে যাচ্ছে। অতুল এমন প্রশস্ত বুক আর পায়নি। খুব মনোযোগী হয়ে বুকের ভেতরে ভালোবাসার প্রতিধ্বনি শুনছে। বুকে বুক পিষ্টের ব্যথায় রাত কাটতো অতুলের। এই প্রথম কারোর বুকে মাথা রাখার নিরাপদ আশ্রয় পেলো।
মাথা তুলবে অতুল?
আপনার বুকের ধুকধুক শব্দটা একটু শুনি।
অতুল, তোমার নাকটা খুব চোকা, চুলগুলো খুব শীতল।
কবি!
হুম বলো।
গত পাঁচদিন আগে চেয়ারম্যান চাচা আপনার আসার কথা বলে গেলেন। আমার দায়িত্ব হলো আপনার দেখভাল করা। সে থেকেই অপেক্ষা করে কাটছে আমার দিন।
অপেক্ষা করছিলে কেনো, অতুল?
আপনার কবিতার একজন ভক্ত। ম্যাগাজিনে পড়েছি। যার কবিতা ভালোবাসি তাকে কাছে থেকে পাবার আশায়।
আর?
এমন প্রশস্ত বুকে মাথা রাখবার ইচ্ছে ছিলো।
পিঠে হাত বুলিয়ে বললেন- কাছ থেকে পেয়েছো?
চোখ মুছতে মুছতে বলে- এতোটা কাছে পাবো ভাবিনি।
শুনো অতুল আমার কাছে জীবনবোধ এটাই।
প্রশ্নাতুর চোখে হেমন্তবাবুর মুখে চেয়ে বলে, কোনটা?
এইযে, মানুষের খুব কাছে চলে যাওয়া। যতটা মানুষ ভাবতে চায় না। জীবন দিয়ে জীবনকে আলিঙ্গন করা।
হাতটা হেমন্তবাবুর দিকে বাড়িয়ে বলল- কবি হাতটা একটু শক্ত করে ধরবেন?
বিদ্যুৎ চলে এলো। অতুল ওঠে দাঁড়ায়। ‘কবি গেলাম’ বলে হ্যারিক্যান হাতে ধীরে ধীরে সামনের দিকে পা বাড়ায়। হেমন্তবাবু দরজা পর্যন্ত আসেন। পেছন থেকে হাত ধরে বলেন, ‘ভালো থেকো’।
২.
‘কবি, কবি ঘুম ভাঙেনি’- বাইরে অতুল ডাকছে। দরজা খুলে হেমন্তবাবু অতুলকে ‘শুভ সকাল’ জানালেন, ভেতরে এসো। অতুল বলল, না, আপনার নাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। নাস্তা রেখে যাওয়ার সময় বলে গেলো, গোসলের জন্য গরম পানি আছে। শুধু ‘অতুল’ বলে ডাকলেই হাজির হবো। এখন তবে নাস্তা সারুন।
দুপুরের খাবার শেষে হেমন্তবাবু কবিতা পড়ছেন। জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে অতুল চুল শুকাচ্ছে। একটু পরেই মৃদুস্বরে ‘কবি’ ডাকে বাইরে তাকালেন, দেখলেন অতুল দাঁড়িয়ে। হেমন্তবাবুর ডাকে ভেতরে এলো। ‘কবিতা শুনবো’ বলে চৌকিতে বসলো। হেমন্তবাবুর মোবাইল বেজে ওঠে-‘একটু বোসো অতুল, আসছি’ বলে ফোন কানে বাইরে গেলেন।
কে কল করেছে, কবি?- অতুলের প্রশ্ন।
মা।
ও, মা কেমন আছেন?
ভালো তবে আমাকে নিয়ে চিন্তা করছে, কী খাচ্ছি, কোথায় থাকছি!
কেনো? আপনি মাকে আমার কথা বলেননি!
বলেছি, তোমার জন্য মা দোয়া করছেন।
অতুল হেমন্তবাবুুর হাত ধরে বলল- আমি মাকে দেখবো।
ওপাশ থেকে অতুলের ডাক পড়লো। হেমন্তবাবুর হাত ছেড়ে ‘এখন যাই, রাতে লুডু খেলবো কবি’ বলে এক দৌড়ে চলে যায়। ঋতু বেগম অর্থাৎ অতুলের বাবার তৃতীয় স্ত্রী। যাকে অতুল মা ডাকে। অতুলের চুলের মুটি ধরে ধুমধুম কিল মারে পিঠে, ‘মাগি কোথাকার, ব্যাটা দেখলে তর সয় না। সারাদিন ঐ বেটার কাছে কী তোর? তোর বাপ আসুক, আজ খবর আছে।’
সন্ধ্যা গেলো, রাত হলো। অতুল আসেনি। হেমন্তবাবুু অপেক্ষা করছেন। রাতের খাবার ঋতু বেগম দিয়ে গেছেন। হেমন্তবাবু ভেবেছিলো অতুলের কথা জিগ্যেস করবেন, সাহস হয়নি।
মার খাওয়ার পর অতুল তার ঘরে সুয়ে আছে। ঋতু বেগমের কাছে বাজে কথা শুনে টলতে টলতে মেয়ে ঘরে ঢুকে মামুন। ‘ঐ মাগি- তোর আজ স্বাদ মিঠামু, ঐ কবি'র কাছে তোর কী এতো!’
‘বাবা! তোমার পায়ে ধরি, আমারে আর কষ্ট দিও না। কামড়ের ব্যথা এখনো ভালো হয়নি। বাবা- বাবাগো- মরে যাবো...’ ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে আসে অতুলের কণ্ঠ।
গভীর রাতে দরজা ধাক্কার শব্দে চমকে উঠলেন হেমন্তবাবু। ‘অতুল আপনার ঘরে? দরজা খোলেন!’ মামুন নেশাক্রান্ত গলায় বলছে। ‘না তো’ হেমন্তবাবু বলেন। ‘অতুলকে খুঁজে পাইতাছি না কবি’ বলে টলতে টলতে চলে গেলো মামুন।
পরদিন সকালে কাছারি ঘরে নতুন আরেকটি কবিতা ঝুলতে দেখা যায়।
‘একবার রমণী শুনতে চেয়ে
কবিতা হয়ে ঝুলছে
জারুলের ডালে
চাঁদ রাঙা রাতে
আমার সমন্ত সপেছি
অতুলের হাতে’
-হেমন্তবাবু
শূন্য কাছারিতে কবিতার কাগজে মাকড়শা হেঁটে যায়...
(দ্য রিপোর্ট/একেএম/মে ১৮, ২০১৮)
পাঠকের মতামত:
- জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব
- গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
- গণঅভ্যুত্থানের ছাপ রেখে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবল
- আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
- খেজুরের আমদানি শুল্ক কমল, থাকছে না অগ্রিম করও
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: শুনানি শেষ, রায় যেকোনো দিন
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির আকার বাড়ল
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ
- খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : ফখরুল
- বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস
- সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে
- "সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত"
- এদের রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না : নতুন সিইসি
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পেলেন এ এম এম নাসির উদ্দীন
- ডিএসইর পরিচালক নাহিদ হোসেন ওএসডি
- ম্যাচ শেষের আগেই মাঠ ছাড়ল কসোভো, রোমানিয়াকে জয়ী ঘোষণা
- ২০২৫ সালে ভারতের কেরালায় খেলবে আর্জেন্টিনা
- পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে
- বিদায় বেলায় ঢাকায় আসছে বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
- হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
- সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
- রাজধানীর পয়েন্টে পয়েন্টে অবরোধ অটোরিকশাচালকদের, যান চলাচল বন্ধ
- এবার শুনানিতে উঠছে জামায়াত নিবন্ধনের আপিল
- "বিচারের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের বিচার ট্রাইব্যুনালে নয়"
- আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা
- ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা
- সাত কলেজকে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
- ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
- ফ্যাসিস্টের মতো কারও ভয়েস কেড়ে নেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
- মুজিববর্ষ উদযাপনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের খরচ ১২৬১ কোটি
- নির্বাচনে হস্তক্ষেপ রুখে দেওয়ার বিধান চায় ইসি
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন
- সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে ১২ কোটি টাকা জরিমানা
- আমাকে দেশনায়ক-রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না: তারেক রহমান
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- দূষণ ধুয়ে ফেলতে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টির আবেদন
- সমন্বিত হিসাবে ঘাটতি: দুই ব্রোকারেজ হাউজকে জরিমানা
- আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব পেলেন নীড়
- খেলাপিদের ঘটিবাটি বিক্রি করে অর্থ আদায় করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
- খালেদা জিয়ার কাছে পৌঁছাল সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণপত্র
- বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ কিন্তু সফল হয়নি: হাসনাত
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায়: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- আ. লীগের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নেই: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- সন্দেহটা কোথায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন ফখরুলের
- টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে চারজন নিহত
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেফতার
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সাথে হজ এজেন্সি প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দিলেন বাইডেন
- আইসিবির লভ্যাংশ ঘোষণা
- হালান্ডের আরও এক হ্যাটট্রিক, আইরিশদের গোলবন্যায় ভাসাল ইংল্যান্ড
- প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের ৭ উইকেটে ২৫৩
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- আগামী বছর ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৭ দিন
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- সব অপরাধের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা, মন্ত্রী-এমপিরা ছিলেন সহযোগী
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- পাকিস্তান থেকে ২৯৭ টিইইউএস কনটেইনারে যেসব পণ্য এলো
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- ইসলামী ব্যাংকে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তাদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- তৃতীয়বারের মত সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- হাসিনার জন্য আরেকটি তাজমহল বানান: ভারতকে রিজভী
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ৩৩ শতাংশের বেশি
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- এ যুদ্ধ তো হবেই, কোন না কোন ফর্মেটে: উপদেষ্টা মাহফুজ
- সামরিক কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল ৬০ দিন
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া