গল্প
অতুল ও কাছারি ঘর
মারুফ কামরুল
তাহেরপুর। হেমন্তবাবু বিশেষ দরকারে এই আয়তাকার পল্লিতে এসেছেন। নিজের কাজ সেরে রাতে কবিতা লিখতে বসেন। মাঝেমাঝে গুনগুনিয়ে গান গাওয়ার অভ্যাস আছে। দোচালা কাছারি ঘরে থাকেন।
শীতের সকাল। কাছারির সামনে চেয়ারে বসে রোদে পোহাচ্ছেন হেমন্তবাবু। বই হাতে থাকলেও তিনি দূরের মাঠের দিকে তাকিয়ে আছেন। খুব ক্ষীণস্বরে মুখ আওড়াচ্ছেন। পেছন থেকে কেউ হেসে উঠলো। হেমন্তবাবু চমকে উঠলেন। একটি কিশোরী মেয়ে এমন ফিক করে হেসে ওঠার কোনো কারণ তিনি খুঁজে পাননি। আবার কিছু বলে যাচ্ছেন মুখে আর কৃষকদের কাজ করা দেখছেন হয়তো। মেয়েটি মুচকি হাসছে। আরো একটু কাছে এসে দাঁড়ায়।
আচ্ছা আপনি নিজে নিজে কথা বলেন!
হুম, মাঝে মাঝে বলি।
নিজে নিজে কথা বলা মানুষ আমার বেশ পছন্দ।
তুমি আমাকে চেনো?
নাহ, চিনি না। তবে বেশ সময় ধরে আপনাকে দেখছি।
আমি এখানে সরকারি হুকুম তামিল করতে এসেছি, এই কাছারিতেই থাকবো।
আমি যদি ভুল না করি, আপনিই কবি হেমন্তবাবু।
আমি হেমন্তবাবু, এ পর্যন্ত ঠিক আছে।
নিজেকে লুকোতে চাইলেই তো লুকোনো যায় না কবি!
তোমার, নিজে নিজে কথা বলা মানুষ ভালো লাগে কেনো?
এই প্রশ্ন করার আগে আপনি অন্য প্রশ্নও করতে পারতেন!
যেমন!
এই ধরুন, তোমার নাম কী; কী করো- এসব প্রশ্ন তো করতে পারতেন।
ও তাই তো! তোমার নামটাই জানা হলো না।
ঠিক সময়ে জেনে যাবেন।
আচ্ছা এখন বলো নিজে নিজে কথা বলা মানুষ ভালো লাগে কেনো?
এর একটা সহজ উত্তর আমার জানা আছে- এই ধরনের মানুষগুলো মনের সব কথা নিজেকে বলে দেয়। নিজের শ্রোতা নিজেই।
সুন্দর বিশ্লেষণ করলে।
হুম ধন্যবাদ! আপনি বরং নিজে নিজে কথা বলেন; মা ডাকছে- যেতে হবে।
কিন্তু নামটা বললে না!
মা, কী নামে ডাকছে শুনতে পাননি?
আবারো ডাক এলো ‘অতুল দ্রুত আয়!’
অতুল চলে গেলো। হেমন্তবাবু ঘরে গিয়ে চা হাতে টেবিলের সামনে বসলেন। গতরাতের কবিতাটা টেনে নিলেন। দুটো লাইন কেটে নতুন চার লাইন যুক্ত করলেন।
‘হেমন্তবাবুর স্নানের পানি লাগবে কিনা দেখতো অতুল’ বলে পুকুর পাড়ে চলে গেলেন ঋতু বেগম। হেমন্তবাবু কাপড় শুকাতে দিচ্ছেন। পেছন থেকে অতুল ‘কবি’ বলে ডাক দিলো। আপনার গরম জল লাগবে? -‘গরম জল হলে ভালোই হতো, তবে এখন তো স্নান সেরে ফেলেছি। তবুও তোমাকে ধন্যবাদ।’ অতুল চলে যায়।
হেমন্তবাবু কাজে বের হওয়ার প্রস্তুুতি নিচ্ছেন। কাগজপত্র গুছিয়েছেন। সুগন্ধি মেখে বেরুবেন এমন সময় বাইর থেকে আওয়াজ এলো ‘ভেতরে আসবো’। ভাবলেন মেয়েটি আবার কেনো এলো। ‘এসো’ বলে তিনি নিজের কাজে মন দিলেন। ‘এইনেন, চা খেয়ে বেরুবেন।’ হেমন্তবাবু চা'র কাপ নিয়ে চুমুক দেয়। ‘এই শীতে গোসলের পর একটু চা, মন্দ হয় না, কী বলো অতুল!’ সম্মতিসূচক ‘হু’ বলে টেবিলে রাখা বইগুলোর দিকে তাঁকিয়ে আছে। রবীন্দ্র, আল মাহমুদ, নির্মলেন্দুগুণ, শামসুর রাহমান, হেলাল হাফিজ। কবিতার বইগুলো চেয়ে আছে। শরৎও য্যান মুখ খুলে বলতে চাইছে ‘বিলাসী’ ভালো নেই। ‘এই নেও অতুল, কাপটা ধরো, আমাকে দ্রুত বেরুতে হবে’ হেমন্তবাবু কাপটা বাড়িয়ে দিলেন অতুলের দিকে। ‘ও হ্যাঁ, দেন। ঠিক আছে, ভালো থাকুন, সাবধানে যেয়েন’ বলে অতুল চলে যায়।
সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে কাছারিতে ফিরেন হেমন্তবাবু। খানিকটা জিরুইয়ে রাতের খাবার সারেন। হিসেবের খাতাটা রেখে কবিতা লিখতে বসেন। বাইরে ঘুটঘুটে আঁধার। পাখি ডাকার শব্দও নাই। শীতে চারপাশ প্রায় জমে গেছে। কুয়াশা ঝরছে। হেমন্তবাবু আবুল হাসানের কবিতার বইটা খুঁজছেন। লেখতে বসলে প্রায় আবুল হাসানকে পড়েন। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না। একবার ভাবলেন ভুলে রেখে এলাম না তো! নাহ, আজ সকালেও তো মনে হয় দেখছি। আচ্ছা সকালে অতুলকে একবার জিজ্ঞেস করা যাবে।
কাছারি থেকে পুরোনো আঁসটে গন্ধ, শেওলা জমা গন্ধ নাকে আসে। ঘুমও আসছে না। হেমন্তবাবু হাঁটছেন এপাশ থেকে ওপাশ। বহু বছর অতীত জমে আছে ঘরটায়। কতকিছু লেখা রয়েছে। আড়ার একপাশে একটি কাগজ ঝুলছে। মাকড়শার বাসা আর ধুলোবালিতে ঢেকে গেছে। বাইরে বাতাস নেই তবুও মনেহয় কাগজটি নড়ছে। কিছু লেখাও রয়েছে। হেমন্তবাবু চেয়ার টেনে উপরে উঠে কাগজটা নামালেন। ঝাড়ামোছার পর কয়েকটি পঙক্তি ভেসে উঠলো। লাইনগুলো পড়ে হেমন্তবাবু কেমন উদাস হয়ে উঠলেন-
‘মানুষের ওজনে ভারি হচ্ছে মহাকাল
মানুষ নিয়ে ডুব দিবে মহাকাল জাহাজ
গভীর থেকে গভীরে
মনুষ্যজাতি নেশায় বিভোর হয়ে পার করবে বছরকে বছর
এরপর মানুষ হওয়ার ইচ্ছে হবে না করোর
এক সন্ধ্যার পর ফুটবে না আলো
আঁধারে আঁধারে খেলা শেষ হবে পৃথিবীর’
ক্লান্ত মহাকাল/৯৫
লেখকের নামের অংশটা পোকায় কেটেছে। হেমন্তবাবু আরো গভীর চিন্তায় পড়লেন- এতো গভীর থেকে কেউ লেখতে পারে! সত্যিই তো মানষু মহাকালে স্থান নিতে ব্যস্ত। মহাকাল কী একদিন সত্যি তলিয়ে যাবে? কিছু বিখ্যাত মানুষের ছবিও মলিন মুখে ঝুলছে। হেমন্তবাবু ভাবছেন, আমার আগে এই কাছারিতে কত গুণিজন হেঁটেছেন, থেকেছেন! এবং তাঁদের মাঝে একজন প্রতিভাবান কবি তো ছিলেনই, যার প্রমাণ এই কবিতা।
বিদ্যুৎ চলে গেলো। গ্রামে এটা স্বাভাবিক। হেমন্তবাবু চিন্তার সুযোগ পেলেন। বারবার পঙক্তিগুলো আওড়াচ্ছেন। কল্পনা দিয়ে নাম নাজানা কবি’র একটি চিত্রও এঁকে ফেলেন। আচমকা দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে চমকে উঠেন। বললেন, কে? কে আপনি?
মৃদুসুরে ভেসে এলো ‘আমি অতুল’। ‘তুমি এতো রাতে’ বলে হেমন্তবাবু দরজা খুলে দিলেন। অতুল হ্যারিক্যান হাতে প্রবেশ করে। ‘অন্ধকারে আপনার ভয় করে না’ বলে হ্যারিক্যানটা টেবিলে রাখে। চাদরের নিচ থেকে বুকের সাথে লেপ্টে থাকা বইটা বের করে হেমন্তবাবুর হাতে দেয়। আবুল হাসানের কবিতা সমগ্র। বইটা ঠিক জায়গায় রেখে বললেন, ‘তুমি এতো রাতে এখানে এলে যে।’ হুম বলছি কবি- কবিতা পড়ছিলাম। আপনাকে না বলেই বইটা নিয়েছি। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পড়তে ভালো লাগেনি। ভাবলাম আপনি অন্ধকারে পড়ে আছেন, আলো নিয়ে যাই আড্ডা দেওয়া যাবে। তাছাড়া একটা প্রশ্নও জেগেছে মনে।
তো প্রশ্নটা কী?
কবি আবুল হাসান লিখলেন-
‘চেয়েছিলো আরো কিছু কম
জলের খনি
তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি
চেয়েছিলো একটি পুরুষ
তাকে বলুক রমনী’
আপনি কাউকে রমণী বলেছেন, কবি?
রমণী বলতে হলে অধিকার লাগে। অধিকারটা অর্জন করতে পারিনি। আচ্ছা অতুল, তোমার কাছে জীবনবোধটা কেমন?
বসে বলি?
নিশ্চয়- এসো বসি।
একই প্রশ্ন যদি আপনাকে করি!
আসলে জীবনকেই তো বুঝে উঠতে পারিনি।
একটা গল্প আপনাকে বললে কিছুটা হলেও বোধের অস্তিত্ব টের পাবেন। বলি!
চমশা খুলে টেবিলে রেখে বললেন- হুম, শুরু করো।
‘এই গ্রামের ছেলে মামুন। সালমাকে বিয়ে করে। মাস দুয়েক ভালোই চলে সংসার। দিনেদিনে দ্বন্দ¦মুখর হতে থাকে সম্পর্ক। দেড় বছরের মাথায় একটি মেয়ে হয়। কথা কাটাকাটি আর ঝড়ঝাপটা নিয়ে আরো বছর দুয়েক পার হলো। সংসারে ইতি টানতে হয়। মেয়েকে নিয়ে সালমা যায় বাবার বাড়ি। সেখান থেকে কাজের খোঁজে ঢাকা। মা কাজ করে আর মেয়ে লেখাপড়া। সেখানে মেয়েটি পড়ার পাশাপাশি কবিতার প্রেমে পড়ে যায়। আধুনিক যুগের কবিতার সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়। সালমা নতুন একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মেয়েটি মাধ্যমিকে পড়ে। সালমা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। মেয়েটিকে তাঁর পিতৃ পরিচয়ের জন্য রেখে যায় বাবার কাছে। মেয়েটি বড্ড অগোছালো, সারাদিন বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায়। মেয়েটির বাবা এরই মাঝে দুখান বিয়ে করেছে। শেষের বউটি আছে। দুটি ছেলেও আছে। এতো বছরেও নেশাখোর বাবাটি বদলায়নি। প্রতিরাতেই নেশাগ্রস্থ হয়ে মেয়েটির ঘরে যাতায়াত করে। মুহূর্তেই মাংসাসী হয়ে ওঠে। হিংস্রতা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে মেয়েটির ওপর। মাংসের ওপর মানুষের এতো লোভ কী করে হয়। খামচির দাগ, অবশ দেহ নিয়ে আবার সকাল শুরু করে। পাড়ার ব্যাপক মানুষের গালি খায়। আবার কালো একটি রাত কাটে সূর্যের অপেক্ষায়। তবে কবি, আজ রাত মেয়েটির জন্য ভিন্ন রকম। জানতে চাইবেন না মেয়েটি কে! মেয়েটি অতুল। আপনার খুব নিকটে বসা বিষন্ন জীবনবোধ।’ উদাস হয়ে গল্প বলে গেলো অতুল। রাত গভীর। চাঁদের আলো আর কুয়াশা বাইরে জড়াজড়িরত। অতুলের চোঁখে পানি। হেমন্তবাবু পানি মুছে দিলেন। অতুল ধীরে ধীরে মুখ গুঁজে দিলো হেমন্তবাবুর বুকে। তিনি খুব আলতো করে জড়িয়ে আছেন। কান্নার মৃদুতা বুকে বিঁধে যাচ্ছে। অতুল এমন প্রশস্ত বুক আর পায়নি। খুব মনোযোগী হয়ে বুকের ভেতরে ভালোবাসার প্রতিধ্বনি শুনছে। বুকে বুক পিষ্টের ব্যথায় রাত কাটতো অতুলের। এই প্রথম কারোর বুকে মাথা রাখার নিরাপদ আশ্রয় পেলো।
মাথা তুলবে অতুল?
আপনার বুকের ধুকধুক শব্দটা একটু শুনি।
অতুল, তোমার নাকটা খুব চোকা, চুলগুলো খুব শীতল।
কবি!
হুম বলো।
গত পাঁচদিন আগে চেয়ারম্যান চাচা আপনার আসার কথা বলে গেলেন। আমার দায়িত্ব হলো আপনার দেখভাল করা। সে থেকেই অপেক্ষা করে কাটছে আমার দিন।
অপেক্ষা করছিলে কেনো, অতুল?
আপনার কবিতার একজন ভক্ত। ম্যাগাজিনে পড়েছি। যার কবিতা ভালোবাসি তাকে কাছে থেকে পাবার আশায়।
আর?
এমন প্রশস্ত বুকে মাথা রাখবার ইচ্ছে ছিলো।
পিঠে হাত বুলিয়ে বললেন- কাছ থেকে পেয়েছো?
চোখ মুছতে মুছতে বলে- এতোটা কাছে পাবো ভাবিনি।
শুনো অতুল আমার কাছে জীবনবোধ এটাই।
প্রশ্নাতুর চোখে হেমন্তবাবুর মুখে চেয়ে বলে, কোনটা?
এইযে, মানুষের খুব কাছে চলে যাওয়া। যতটা মানুষ ভাবতে চায় না। জীবন দিয়ে জীবনকে আলিঙ্গন করা।
হাতটা হেমন্তবাবুর দিকে বাড়িয়ে বলল- কবি হাতটা একটু শক্ত করে ধরবেন?
বিদ্যুৎ চলে এলো। অতুল ওঠে দাঁড়ায়। ‘কবি গেলাম’ বলে হ্যারিক্যান হাতে ধীরে ধীরে সামনের দিকে পা বাড়ায়। হেমন্তবাবু দরজা পর্যন্ত আসেন। পেছন থেকে হাত ধরে বলেন, ‘ভালো থেকো’।
২.
‘কবি, কবি ঘুম ভাঙেনি’- বাইরে অতুল ডাকছে। দরজা খুলে হেমন্তবাবু অতুলকে ‘শুভ সকাল’ জানালেন, ভেতরে এসো। অতুল বলল, না, আপনার নাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। নাস্তা রেখে যাওয়ার সময় বলে গেলো, গোসলের জন্য গরম পানি আছে। শুধু ‘অতুল’ বলে ডাকলেই হাজির হবো। এখন তবে নাস্তা সারুন।
দুপুরের খাবার শেষে হেমন্তবাবু কবিতা পড়ছেন। জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে অতুল চুল শুকাচ্ছে। একটু পরেই মৃদুস্বরে ‘কবি’ ডাকে বাইরে তাকালেন, দেখলেন অতুল দাঁড়িয়ে। হেমন্তবাবুর ডাকে ভেতরে এলো। ‘কবিতা শুনবো’ বলে চৌকিতে বসলো। হেমন্তবাবুর মোবাইল বেজে ওঠে-‘একটু বোসো অতুল, আসছি’ বলে ফোন কানে বাইরে গেলেন।
কে কল করেছে, কবি?- অতুলের প্রশ্ন।
মা।
ও, মা কেমন আছেন?
ভালো তবে আমাকে নিয়ে চিন্তা করছে, কী খাচ্ছি, কোথায় থাকছি!
কেনো? আপনি মাকে আমার কথা বলেননি!
বলেছি, তোমার জন্য মা দোয়া করছেন।
অতুল হেমন্তবাবুুর হাত ধরে বলল- আমি মাকে দেখবো।
ওপাশ থেকে অতুলের ডাক পড়লো। হেমন্তবাবুর হাত ছেড়ে ‘এখন যাই, রাতে লুডু খেলবো কবি’ বলে এক দৌড়ে চলে যায়। ঋতু বেগম অর্থাৎ অতুলের বাবার তৃতীয় স্ত্রী। যাকে অতুল মা ডাকে। অতুলের চুলের মুটি ধরে ধুমধুম কিল মারে পিঠে, ‘মাগি কোথাকার, ব্যাটা দেখলে তর সয় না। সারাদিন ঐ বেটার কাছে কী তোর? তোর বাপ আসুক, আজ খবর আছে।’
সন্ধ্যা গেলো, রাত হলো। অতুল আসেনি। হেমন্তবাবুু অপেক্ষা করছেন। রাতের খাবার ঋতু বেগম দিয়ে গেছেন। হেমন্তবাবু ভেবেছিলো অতুলের কথা জিগ্যেস করবেন, সাহস হয়নি।
মার খাওয়ার পর অতুল তার ঘরে সুয়ে আছে। ঋতু বেগমের কাছে বাজে কথা শুনে টলতে টলতে মেয়ে ঘরে ঢুকে মামুন। ‘ঐ মাগি- তোর আজ স্বাদ মিঠামু, ঐ কবি'র কাছে তোর কী এতো!’
‘বাবা! তোমার পায়ে ধরি, আমারে আর কষ্ট দিও না। কামড়ের ব্যথা এখনো ভালো হয়নি। বাবা- বাবাগো- মরে যাবো...’ ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে আসে অতুলের কণ্ঠ।
গভীর রাতে দরজা ধাক্কার শব্দে চমকে উঠলেন হেমন্তবাবু। ‘অতুল আপনার ঘরে? দরজা খোলেন!’ মামুন নেশাক্রান্ত গলায় বলছে। ‘না তো’ হেমন্তবাবু বলেন। ‘অতুলকে খুঁজে পাইতাছি না কবি’ বলে টলতে টলতে চলে গেলো মামুন।
পরদিন সকালে কাছারি ঘরে নতুন আরেকটি কবিতা ঝুলতে দেখা যায়।
‘একবার রমণী শুনতে চেয়ে
কবিতা হয়ে ঝুলছে
জারুলের ডালে
চাঁদ রাঙা রাতে
আমার সমন্ত সপেছি
অতুলের হাতে’
-হেমন্তবাবু
শূন্য কাছারিতে কবিতার কাগজে মাকড়শা হেঁটে যায়...
(দ্য রিপোর্ট/একেএম/মে ১৮, ২০১৮)
পাঠকের মতামত:
- কাজের মাধ্যমে জনবান্ধব পুলিশ হতে চাই : ডিবি প্রধান
- ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের
- ঢাকার বাতাস আজ খুবই অবস্থ্যকর
- সিভিল সার্ভিসে বিশৃঙ্খলার শঙ্কা, কলমবিরতি-মানববন্ধন-সমাবেশের ঘোষণা
- ইয়েমেনে ফের যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা
- সংসদ নির্বাচন ইভিএমে হবে না, যন্ত্রগুলো কী করবে ইসি
- আগে তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা
- তিন বিভাগে বৃষ্টি, কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা
- এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি লাখ ছুঁই ছুঁই
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ১২ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা
- অবৈধ বাংলাদেশিদের আটক রাখতে ‘ডিটেনশন সেন্টার’ বানাবে মহারাষ্ট্র
- সাকিব-তামিম চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য ‘অ্যাভেইলেবল’: বিসিবি সভাপতি
- এশিয়া কাপজয়ীদের ৩ লাখ করে পুরস্কারের ঘোষণা বিসিবির
- জনগণের সঙ্গে প্রতারণার কোনো সুযোগ আর নেই: সাকি
- গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের খসড়া তালিকা প্রকাশ, দেওয়া যাবে মতামত ও তথ্য
- জঙ্গিবাদের উত্থান বাংলাদেশে হবে না: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
- ‘জনশক্তি’ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি : জাতীয় নাগরিক কমিটি
- চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, চাঁদাবাজ পরিবর্তন হয়েছে: হাসনাত
- সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
- গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
- মাওলানা সাদের অনুসারী মোয়াজ বিন নুর গ্রেপ্তার
- আরও আগেই আমার ইউক্রেন আক্রমণ করা উচিত ছিল: পুতিন
- টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়েছেন, বলছেন লিটন
- গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের
- এটা আমার জীবনের লাস্ট ইনিংস: মাহমুদুর রহমান
- হাসিনাকে উৎখাত করে ইকোনমিস্টের ‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার’ বাংলাদেশ
- সাবেক এমপি আনারের দেহাংশের সঙ্গে আংশিক মিলেছে মেয়ের ডিএনএ
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
- নিয়ন্ত্রণে আসেনি রেস্টুরেন্টের আগুন, ৬ জনকে উদ্ধার
- চাল-মুরগির দাম বাড়তি, বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ এখনো কম
- বেনাপোল সীমান্তে ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে মিলল তিন মরদেহ
- ভূমিকম্পে ভানুয়াতুতে নিহত বেড়ে ১৪
- আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে অশ্বিন
- অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর বৃষ্টি বাধা, ভেসে গেল ব্রিসবেন টেস্ট
- বাড়ছে শীত বাড়ছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ
- ব্যবসায়ীরা খুব শক্তিশালী, সেটা ভাঙা সহজ না : অর্থ উপদেষ্টা
- কেউ নির্বাচন করতে চাইলে ক্ষমতা ছেড়ে করতে হবে: সাখাওয়াত হোসেন
- মোদির বিতর্কিত পোস্ট : মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরল সরকার
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
- ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আ.লীগের গুম-খুনের জবাব দেব: তারেক রহমান
- কায়রোতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর সাক্ষাৎ
- সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
- রাশিয়ার রাসায়নিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বোমা হামলায় নিহত
- ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক
- এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান ৩ দিনের রিমান্ডে
- সাদপন্থিদের ধৈর্য ধরতে বললেও কথা রেখেনি : হাসনাত আব্দুল্লাহ
- গুমের ঘটনায় হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মাইকেল চাকমার অভিযোগ
- ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
- কর্মীদের বেতন বাড়ালেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট, সর্বোচ্চ ৫০%
- ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ
- ইজতেমা মাঠ দখল নিয়ে মুসল্লিদের দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ২
- স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত ৩ লাখ ৬ হাজার শিক্ষার্থী
- নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুত কমিশন : সিইসি
- স্ত্রী ও ভাইসহ সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা
- হাসিনা-রেহানা-জয়ের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত
- তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে আনা সংশোধনী অবৈধ: হাইকোর্ট
- ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ কনসার্টে মাতোয়ারা লাখো জনতা
- ভানুয়াতুর রাজধানীতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
- আসাদ বললেন তিনি কখনোই রাশিয়ায় পালাতে চাননি
- মালয়েশিয়াকে ২৯ রানে গুটিয়ে ১২০ রানে জিতল বাংলাদেশ
- বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টি
- পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেয়া হবে: কমিশন
- সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর জামিন স্থগিত থাকবে
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির আ. লীগ সরকারের ১২ মন্ত্রীসহ ১৬ জন
- বিডিআর হত্যাকাণ্ড : ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন
- পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করা হয়
- বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএসইসির আলোচনা সভা
- ছাত্রলীগের সাবেক ক্যাডারকে আর্থিক গোয়েন্দার প্রধান করতে ফ্যাসিস্টরা তৎপর
- নাইজারে সন্ত্রাসীদের হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ৩৯
- স্মৃতিসৌধে নাশকতার অভিযোগে আ. লীগ নেতাসহ আটক ৮
- বিজয়ের দিনে এলো আরেকটি জয়
- বিজয়ের দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের শ্বাসরুদ্ধকর জয়
- মোদির দাবি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি: হাসনাত আব্দুল্লাহ
- সারদায় প্রশিক্ষণরত ২৫ এএসপিকে শোকজ
- হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন মির্জা ফখরুল
- কর্মীদের বেতন বাড়ালেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট, সর্বোচ্চ ৫০%
- ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ কনসার্টে মাতোয়ারা লাখো জনতা
- ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
- ইজতেমা মাঠ দখল নিয়ে মুসল্লিদের দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ২
- ২০২৫ সালের শেষ অথবা ’২৬-এর প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন: ড. ইউনূস
- আরও আগেই আমার ইউক্রেন আক্রমণ করা উচিত ছিল: পুতিন
- ছাত্রলীগের সাবেক ক্যাডারকে আর্থিক গোয়েন্দার প্রধান করতে ফ্যাসিস্টরা তৎপর
- এটা আমার জীবনের লাস্ট ইনিংস: মাহমুদুর রহমান
- বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
- হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন মির্জা ফখরুল
- ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
- বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টি
- বিডিআর হত্যাকাণ্ড : ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন
- বিজয় দিবস নিয়ে মোদির পোস্ট: কড়া প্রতিবাদ আসিফ নজরুলের
- স্মৃতিসৌধে নাশকতার অভিযোগে আ. লীগ নেতাসহ আটক ৮
- ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আ.লীগের গুম-খুনের জবাব দেব: তারেক রহমান
- নাইজারে সন্ত্রাসীদের হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ৩৯
- পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করা হয়
- আসাদ বললেন তিনি কখনোই রাশিয়ায় পালাতে চাননি
- সারদায় প্রশিক্ষণরত ২৫ এএসপিকে শোকজ
- মোদির দাবি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি: হাসনাত আব্দুল্লাহ
- পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেয়া হবে: কমিশন
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির আ. লীগ সরকারের ১২ মন্ত্রীসহ ১৬ জন