thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৬ জমাদিউল আউয়াল 1446

কোটা আন্দোলনের নেতা সুহেলকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

২০১৮ জুলাই ১২ ১৪:১২:৪৮
কোটা আন্দোলনের নেতা সুহেলকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক সুহেলকে গণজাগরণের মঞ্চের নেত্রী লাকীর শান্তিনগর বাসা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে লাকী আক্তার তার ফেসবুকে স্ট্যাটাসে এমন তথ্য দেন।

এ ব্যাপারে পল্টন মডেল থানার ডিউটি অফিসার সেলিনা হোসেন বলেন, পল্টন থানায় এই ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। আমাদের কাছে এই রকম কোন তথ্য নেই।

গণজাগরণ মঞ্চের নেত্রী লাকী গণমাধ্যমকে জানান, আমরা গোপনসূত্রে খবর পেয়েছি। সুহেলকে ডিবি অফিসে রাখা হয়েছে। সুহেলের ভাই ডিবি অফিসে খোঁজ করছে। কিন্তু ডিবি অফিসের কর্মকর্তারা এখনও কোনো খোঁজ দেয়নি। তারা ব্যাপারটা অস্বীকার করছে। আমরা আরও কিছুক্ষণ খুঁজবো। তারপর কোন পদক্ষেপ নিবো।

এর আগে লাকী তার স্ট্যাটাসে লেখেন, আমার বাসায় বৃহস্পতিবার ভোররাত সোয়া ৪টা নাগাদ ডিবি পুলিশ অভিযান চালায়। ৮-১০ জনের একটা দল আসেন। শুরুতে তারা বেশ উত্তেজিত ছিলেন। আমি জানতে চাইলাম এত রাতে কোন অভিযোগে আমার বাসায় তল্লাশি করবেন তারা। তর্কা-তর্কির এক পর্যায়ে তারা দরজা ভেঙে ফেলার হুমকি দেন। আমি বললাম আপনারা সকালে আসেন। অনেকক্ষণ বাক-বিতণ্ডার পর অবশেষে তারা বাড়িওয়ালা আঙ্কেলকে নিয়ে আসলে সাড়ে চারটার দিকে আমি দরজা খুলি।

“ক্যাম্পাসে আমার ডিপার্টমেন্টের ছোটভাই এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক সুহেল আমার বাসায় ছিল। তারা তাকে তুলে নিয়ে গেছে। যাওয়ার আগে বাসার কম্পিউটারের হিস্ট্রি চেক করেন। এছাড়া সুহেল যে রুমে ছিল সেখানে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালান। সুহেলের ব্যবহৃত একটি ফোন ছাড়া আর কিছুই তারা পাননি।”

“প্রায় দেড় ঘণ্টা তারা আমার বাসায় অবস্থানকালে সুহেলকে আলাদারুমে হাতকড়া পরিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় আমাদের সব ফোনগুলো তারা জব্দ করে রাখেন। আমার ফোনও তারা চেক করেন। যদিও ঘরে প্রবেশ করার পর আমাদের কারও সাথে উত্তেজিত আচরণ করেননি তারা।”

“সুহেলকে নিয়ে যাওয়ার আগে আমি জানতে চাইলাম ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ কী। তারা বললেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। আমার বাসায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের লিফলেট-পোস্টার আছে কিনা জানতে চান। বাসায় সেরকম কোনো কিছু না থাকায় আমি তাদের দেখাতে পারিনি। তবে সেজন্য তারা বাড়তি কোনো তল্লাশিও করেননি।”

‘‘যাওয়ার আগে সুহেল আমাকে অনুরোধ করেছে তার মাকে যেন কিছু না জানানো হয়। কিছুদিন আগে তার বাবা মারা গেছেন। সম্প্রতি কোটা আন্দোলনে জড়িত থাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলারও শিকার হয় ও। এরপর এ ঘটনায় তার মা আরও ভেঙে পড়তে পারেন।”

“তবে কি গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত থাকলে মানুষকে এভাবে আতঙ্ক নিয়ে রাত কাটাতে হবে?”

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ১২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর