বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে ভারতের প্রতিক্রিয়া

ঠিক ৪৩ বছর আগে অগাস্টের সেই বৃষ্টিভেজা সকালে ঢাকা থেকে সংবাদটা এসেছিল বজ্রপাতের মতো। ভারতে সবেমাত্র ঘোষিত হওয়া জরুরী অবস্থাকে ঘিরে দেশের পরিস্থিতি এমনিতেই টালমাটাল, তখনই খবর এল বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় নিজের বাসভবনেই আততায়ীদের হাতে সপরিবারে নিহত হয়েছেন।
ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সেদিন রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদের দেওয়া রিসেপশনে যোগ দিতে দেশের কয়েকশো নেতা-মন্ত্রী ও সাংসদ তখন রাষ্ট্রপতি ভবনেই। কর্নাটকের কংগ্রেস নেত্রী মার্গারেট আলভা তখন রাজ্যসভার এমপি, সে দিনের তরুণী সেই রাজনীতিকও ছিলেন সেই দলে।
"রাষ্ট্রপতি ভবনে বসেই আমরা খবরটা পেলাম। মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে, সে খবর ততক্ষণে দাবানলের মতো দিল্লি জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, কিন্তু লোকে যেন নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছে না।"
"আমার খুব ভাল মনে আছে রাষ্ট্রপতি ভবনের ভেতর তখনই বলাবলি শুরু হল ঠিকমতো পদক্ষেপ না-নিলে ভারতেও কিন্তু যে কোনও দিন একই জিনিস ঘটতে পারে। বিশ্বাস করবেন কি-না জানি না, ওটাই ছিল আমাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া", এত বছর বাদে সে দিনের স্মৃতিচারণ করতে বসে বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন মিস আলভা।
একাত্তরের যুদ্ধজয়ের স্মৃতি তখনও ম্লান হয়নি - মার্গারেট আলভার কথায় 'শেখসাহেব তখনও উপমহাদেশের গগনস্পর্শী নায়কদের একজন'। কিন্তু তাঁর যে এ ধরনের পরিণতি হতে পারে, সেটা ভারত একেবারেই ভাবতে পারেননি বলে জানাচ্ছেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ এই রাজনীতিক।
বিনা মেঘে বজ্রপাত, না কি আশঙ্কা ছিলই?
কিন্তু শেখ মুজিবের প্রাণনাশের চেষ্টা হতে পারে, ভারত কি তার একেবারেই কোনও আঁচ পায়নি? মানে এই খবরটা কি দিল্লির কাছে পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল বলা যায়?
"না, একেবারেই আন্দাজ করা যায়নি সেটা বলা যাবে না। খবরও ছিল যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটা অংশ মুজিবের বিরুদ্ধে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে,'' বলছেন দিল্লিতে ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজের কর্ণধার ও স্ট্র্যাটেজিক বিশ্লেষক, মেজর জেনারেল (অব) দীপঙ্কর ব্যানার্জি।
''রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং ('র')-এর প্রধান আর এন কাও ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় গিয়ে খোদ মুজিবকে বলেও ছিলেন যে তাঁর জীবনের ওপর হামলা হতে পারে, '' জেনারেল ব্যানার্জি বিবিসিকে বলেন।
"কিন্তু মুজিব তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে বলে ওঠেন, ওসব হতেই পারে না। গোটা বাংলাদেশ আমাকে ভালবাসে, ওরা সবাই আমার ছেলেমেয়ের মতো - কে আমাকে মারতে যাবে? আপনার এসব জল্পনায় কান দেওয়ার কোনও দরকার নেই," তিনি জানান।
বস্তুত শেখ মুজিব চেয়েছিলেন বলেই ভারত তাঁর বিরোধী শিবিরের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি চালানো বন্ধ করে দিয়েছিল বলে জানাচ্ছেন এই বিশ্লেষক।
কিন্তু ঢাকায় তো এমন ধারণাও কারও কারও আছে যে শেখ মুজিবের করুণ মৃত্যুতে দিল্লি হয়তো তেমন একটা অখুশি হয়নি?
বস্তুত মুজিবের হত্যার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই যেভাবে ভারত খন্দকার মোশতাক আহমেদের নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল, তাতেও অনেকের মধ্যে এই সন্দেহ ঘনীভূত হয়েছে।
কিন্তু মুজিবের মৃত্যুর মাত্র মাসকয়েক আগেও ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসে কূটনীতিকের দায়িত্ব পালন করে আসা সাবেক রাষ্ট্রদূত অরুণ কুমার ব্যানার্জি এটাকে 'সম্পূর্ণ বাজে কথা' বলে অভিহিত করেন।
''আমি বলব ভারতের একমাত্র রিঅ্যাকশন ছিল শিয়ার হরর অ্যান্ড শক। কীভাবে এমন মারাত্মক ঘটনা ঘটে গেল, সেটাই দিল্লি ভেবে কূল করতে পারছিল না," বিবিসিকে বলছিলেন মিঃ ব্যানার্জি।
"আসলে শেখ সাহেব নিজে যা-ই বলুন, আমরাই তো তাঁর দেখাশুনো করব বলে কথা দিয়েছিলাম। ফলে ইনটেলিজেন্স গ্যাদারিং বা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে কোথাও তো একটা খামতি ছিলই।
''যদিও এটা মূলত বাংলাদেশেরই কাজ - আমাদের গোয়েন্দা অ্যাপারেটাসেও কেউ কোথাও একটা ভুলচুক করে ফেলেছিল সেটা তো অস্বীকার করতে পারি না," তিনি বলেন।
দীপঙ্কর ব্যানার্জি আবার বলছিলেন, "ভারতের কাছে মুজিবের ইমেজটা ছিল একটা স্বাধীন দেশের ফাউন্ডার-লিবারেটরের। দেশটা জন্মানোর চার বছরেরও কম সময়ের মধ্যে আর্মির একটা অংশ তাকে নির্মমভাবে নিকেশ করে দিতে পারে - ভারত তাতে সত্যিই প্রচন্ড অবাক হয়েছিল।"
কতটা ফাটল ধরেছিল ইন্দিরা-মুজিব সম্পর্কে?
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিজেও যে এই ঘটনায় খুব বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন এমনও তো বিশেষ প্রমাণ নেই? "না, দেখুন - তখনকার সময়টার কথাও আপনাকে ভাবতে হবে,'' মিঃ ব্যানার্জি বলেন।
মিসেস গান্ধী দেশে জরুরি অবস্থা চালু করেছেন মাস দেড়েক আগে। দেশের ভেতরে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তখন একটা অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। দীপঙ্কর ব্যানার্জির মতে, মিসেস গান্ধী তখন হাজারটা সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলেন।
''সত্যি বলতে কী, তখন বাংলাদেশের দিকে বা বাইরের দুনিয়ার দিকে তাঁর তেমন নজর দেওয়া সম্ভবও ছিল না", মনে করেন দীপঙ্কর ব্যানার্জি।
অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বাধ্যবাধকতা নিশ্চয় ছিল - কিন্তু শেখ মুজিবের হত্যাকান্ডের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ইন্দিরা গান্ধী ও তাঁর সম্পর্কে যে অস্বস্তির ছায়া পড়তে শুরু করেছিল, সেটাও কিন্তু ঐতিহাসিক সত্যি।
ভারতের প্রাক্তন পররাষ্ট্রসচিব মুচকুন্দ দুবে মুজিব-হত্যার ঠিক চার বছরের মাথায় ভারতীয় হাই কমিশনারের দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলেন। কোনও রাখঢাক না-করেই তিনি যেমন বলছেন, "আসলে কী, শেখ মুজিবের কিছু কিছু পদক্ষেপে দিল্লির কপালে যে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল সেটা কিন্তু অস্বীকার করা যাবে না।"
"যেমন ধরুন, তার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বা বাকশাল চালু করার উদ্যোগ। ভারত মনে করেছিল সেটা গণতন্ত্রের রাস্তা থেকে বিচ্যুতি বা অ্যাবারেশন। তাঁর প্রশাসনে যে বেশ কিছু আরবিট্রারিনেস বা স্বেচ্ছাচার শেকড় বিছিয়েছিল, সেটা নিয়েও আমরা চিন্তিত ছিলাম।"
"কিন্তু এই উদ্বেগ কখনওই এমন পর্যায়ে পৌঁছয়নি যে শেখ মুজিবকে হত্যা করা হলে ভারতে খুশির লহর বয়ে যাবে। বড়জোর একটা অসন্তুষ্টি ছিল বলা যেতে পারে, এবং হয়তো এই ফিলিংসটাও ছিল মুজিবের ওই রকম কোনও পরিণতি অনিবার্য!" বলছিলেন মিঃ দুবে।
ঢাকায় তখনকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সমর সেনও অবসর নেওয়ার পর ১৯৯৮ সালে ফ্রন্টলাইন ম্যাগাজিনে লিখেছিলেন, "আরও নানা কারণের সঙ্গে যখন দেখা গেল চুয়াত্তরের অগাস্ট মাসে জুলফিকার আলি ভুট্টো বাংলাদেশ সফরে এলেন, তখন শত্রুতা না হোক - ভারতের দিক থেকে একটা হতাশা অবশ্যই তৈরি হয়েছিল।"
আজীবন কংগ্রেসী রাজনীতি করা মার্গারেট আলভার বর্ণনায়, "হ্যাঁ, ততদিনে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে বেশ কয়েকটা ইস্যু তৈরি হয়ে গিয়েছিল তাতে সন্দেহ নেই। যেমন, ফারাক্কা ব্যারাজ তৈরি করা কিংবা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ থেকে যারা এসেছিলেন, তাদের অনেকের ভারতে থেকে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘাত অবশ্যই ছিল।"
"কিন্তু আমি বিশ্বাস করি দুটো দেশের মধ্যে যে পারস্পরিক আস্থা আর মর্যাদার সম্পর্ক ছিল, সেটাকে কোনও কিছুই ছাপিয়ে যেতে পারেনি। মুজিবের মৃত্যুর পর সে দেশের ইতিহাস অন্য মোড় নিল, দেশটাকে 'মুসলিম বাংলাদেশ' বানানোর চেষ্টা শুরু হল - সেটা অবশ্য অন্য প্রসঙ্গ! "
মেজর জেনারেল (অব) দীপঙ্কর ব্যানার্জিও মনে করেন, "একাত্তরের পর থেকে বাংলাদেশ খুব কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে পার হয়েছে সবাই জানে। দুর্ভিক্ষ-অনশন-সাইক্লোনের বহু ঝড়ঝাপটা গেছে। যুদ্ধের পর ভারতেরও তেমন সামর্থ্য ছিল না যে তাদের সব চাহিদা পূরণ করতে পারবে।"
"ভারতীয় গণতন্ত্রেও হয়তো বাংলাদেশকে নিয়ে নানা ধরনের মতামত ছিল - সেটাই তো গণতন্ত্রের বেশিষ্ট্য। কিন্তু তাই বলে শেখ সাহেবের জন্য গুডউইল বা শ্রদ্ধায় কিন্তু কখনওই কোনও ভাঁটা পড়েনি। তার অনিষ্ট হোক এটা ভারত কখনও চায়নি, চাইতে পারেই না", রীতিমতো জোর দিয়ে বলেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
কেন বেছে নেওয়া হয়েছিল ১৫ই অগাস্ট তারিখটা?
যে কোনও দেশের জাতীয় নায়কদের মতোই শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড নিয়েও নানা ধরনের 'কনস্পিরেসি থিওরি' বা ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব চালু আছে। তার কোনও কোনওটায় ভারতের দিকেও আঙুল তোলা হয়েছে। সাবেক কূটনীতিক অরুণ ব্যানার্জি অবশ্য এই সব জল্পনা-কল্পনা হেসেই উড়িয়ে দিচ্ছেন।
"দেখুন, নির্দিষ্ট করে এই ১৫ই অগাস্ট তারিখটা বেছেই নেওয়া হয়েছিল খুব সচেতনভাবে। ভারতের স্বাধীনতা দিবস ওটা - আর ক্যু-র ষড়যন্ত্রকারীরা ভারতকেই একটা মেসেজ দিতে চেয়েছিল। বার্তাটা ছিল, তোমাদের এত খাতিরের লোক - আর তোমাদের বিশেষ দিনে দ্যাখো এই তার অবস্থা", বলছিলেন তিনি।
"ওই অভ্যুত্থানের কিছুদিনের মধ্যেই যেভাবে বাংলাদেশের টপ ইনটেলেজিন্সিয়া বা বুদ্ধিজীবীদের শেষ করে দেওয়া হল, তাজুদ্দিন আহমেদ-সহ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের দ্বিতীয় সারিটাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হল, তাতে বোঝাই যায় এর মাধ্যমে কারা লাভবান হতে চেয়েছিল", বলছিলেন ওই টালমাটাল সময়ে ঢাকায় কাটানো এই প্রাক্তন কূটনীতিক।
কেন ভারত দোষারোপ করেছিল সিআইএ-কে?
যে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল তাতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলেই বরং ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দৃঢ় বিশ্বাস। অরুণ ব্যানার্জি নিজেও এই মতের শরিক।
কলকাতায় কংগ্রেসী ঘরানার সংবাদপত্র যুগান্তরে তো সে সময় সরাসরি লেখা হয়েছিল ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিস বোস্টার এই ক্যু-তে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
বর্তমানে মার্কিন-প্রবাসী ভারতীয় গবেষক বি জেড খসরু লিখেছেন, "কলকাতার মার্কিন কনসাল জেনারেল নিজে যুগান্তর অফিসে গিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। এই খবর প্রত্যাহার করে যুগান্তরকে প্রথম পাতায় ক্ষমা চাইতে হবে বলেও তিনি জেদ ধরে ছিলেন।"
ভারতের বিভিন্ন খবরের কাগজেও সিআইএ-র দিকে আঙুল তুলে সে সময় নানা সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছিল।
দিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশনস ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমেরিকা বিভাগের প্রধান জে এস তেজার সঙ্গে দেখা করে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছিলেন, এ রকম চলতে থাকলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তার ফল ভাল হবে না।
ভারতে তখন ইমার্জেন্সি চলছে, সব খবরের কাগজে প্রথম পাতায় কী খবর বেরোবে সরকারই তা সেন্সর করত। বেশির ভাগ কাগজেই সেটারই প্রতিফলন ঘটত, সরকার যা চাইছে।
ব্যর্থতার দায়ভার কতটুকু ভারতের?
কিন্তু শেখ মুজিবকে যে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি, সেই ব্যর্থতার দায়ভার বহু দিন পর্যন্ত ভারতকেও অনেকটাই বয়ে বেড়াতে হয়েছে।
মুজিবের মৃত্যুর চার বছরের মাথায়, ১৯৭৯-র অক্টোবরে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনারের দায়িত্ব নিয়ে গেলেন মুচকুন্দ দুবে। তাকেও তখন অহরহ এই বিষয়টা নিয়ে অনুযোগ শুনতে হয়েছে।
"অনেকেই আমাকে তখন বলতেন এত বড় ঘটনাটা আপনারা জানতেই পারলেন না? ঠেকাতেই পারলেন না? তাদের কথায় প্রচ্ছন্নভাবে এই সুরটাই থাকত, যেন মুজিবের হত্যাকান্ড দিল্লিরই কূটনৈতিক ব্যর্থতা।"
"তারা কিন্তু এই জিনিসটা বুঝতেন না যে একটা সার্বভৌম দেশ আর একটা সার্বভৌম দেশের সব কিছু করে দিতে পারে না। যেমন ধরুন, আপনি আপনার ইনটেলিজেন্স নেটওয়ার্ক অন্য দেশের সব জায়গায় রাখতে পারেন না - রাখলে সেটাকেই তখন সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বলা হবে", কিছুটা বিষণ্ণ সুরেই বলেন মুচকুন্দ দুবে।
অরুণ ব্যানার্জিও এ প্রসঙ্গে যোগ করেন, "বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকেই এই ডিবেটটা আগাগোড়া ছিল যে ভারত তাদের কতটা গাইড করবে, আর কতটা একলা ছেড়ে দেবে? যতই হোক, বাংলাদেশ তাদের নিজেদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে - একটা সময় পর ভারত তো সেখানে ব্যাকসিট নিতেই বেশি পছন্দ করবে।"
কিন্তু ভারত ঠিক কতটা পেছনে সরে গিয়েছিল - আর সেই দূরে সরে যাওয়ার সুযোগ নিয়েই শেখ মুজিবকে হত্যার পরিকল্পনা কার্যকর করা হয়েছিল কি-না, সেই বিতর্কের মীমাংসা আজও হয়নি।
১৫ই অগাস্ট, ১৯৭৫-র পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ
সে যাই হোক, শেখ মুজিবের হত্যার অব্যবহিত পর ভারত ঠিক কী কী কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছিল?
তখনকার ভারতীয় হাই কমিশনার সমর সেনের (যিনি এখন আর বেঁচে নেই) লেখা থেকেই আবার উদ্ধৃত করা যাক, "আমার মত ছিল অপেক্ষা করা ও নজর রাখা - কিন্তু সেই সঙ্গেই আমি মনে করেছিলাম, বাংলাদেশের নতুন শাসকদের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত। যদিও ভারত সরকারের কারও কারও সেই ভাবনাটা পছন্দ হয়নি।"
"শেখ মুজিবের হত্যাকান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে নিশ্চয় একটা বড় আঘাত ছিল - কিন্তু বিপর্যয় ছিল না। বস্তুত খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের সম্পর্কের মধ্যে একটা আপাত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল।"
শেখ মুজিব সপরিবারে নিহত হওয়ার ঠিক পাঁচদিনের মাথায়, ২০শে অগাস্ট ঢাকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত সমর সেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলেন বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাক আহমেদের সঙ্গে। হাসিমুখে দুজনের করমর্দনের ছবিও বেরোল ভারতের 'দ্য হিন্দু' পত্রিকার প্রথম পাতায়।
ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কও এক অভাবিত নতুন মোড় নিল ১৯৭৫-র সেই ঘটনাবহুল আগস্ট থেকেই।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/আগস্ট ১৫,২০১৮)
পাঠকের মতামত:

- গাজায় ক্যাফে, স্কুল এবং ত্রাণ কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৯৫
- আল হিলালের কাছে হেরে ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ম্যানসিটির
- শান্তর ওপর আস্থা রাখছেন অধিনায়ক মিরাজ
- সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করলো সরকার
- আমরা এক থাকলে আমাদের সামনে কিছুই টিকতে পারবে না: ফারুকী
- আগামী বছরের শুরুর দিকে নির্বাচন : রুবিওকে ড. ইউনূস
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ সরাসরি সম্প্রচার
- আন্দোলনের একপর্যায়ে আমরা ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতিতে চলে যাই: নাহিদ ইসলাম
- ফেসবুকজুড়ে ‘লাল জুলাই’
- ১ জুলাই : আওয়ামী লীগ শাসন পতনের অভূতপূর্ব সূচনা
- ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুর রহমান
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস পালিত
- ইসলামী ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত
- আবারো ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন হাই-টেক
- ঢাকায় হালকা বৃষ্টির আভাস, দিনভর আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা
- বিএসইসি-অংশীজনের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে ভূমিকা রাখবে সমন্বিত সভা
- মগবাজারের আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
- সামাজিক ব্যবসা একটি বৈশ্বিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে –প্রধান উপদেষ্টা
- ডিএমপির পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ৭ কর্মকর্তার বদলি
- ১০ জুলাইয়ের মধ্যে মতামত চেয়েছে ইসি
- "শান্তিপূর্ণ আচরণ করলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে"
- মুরাদনগরে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন একজন উপদেষ্টা: ফখরুল
- ভুলবশত গুলির ম্যাগাজিন ব্যাগেই রয়ে যায়: আসিফ মাহমুদ
- মোট রিজার্ভের নতুন মাইলফলক, অতিক্রম করলো ৩১ বিলিয়ন ডলার
- ঢাকার আকাশ মেঘলা, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা
- দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সপ্তম দিনের বৈঠক আজ
- মুরাদনগরের ঘটনায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারা দায়ী
- এইচএসসি দ্বিতীয় পরীক্ষা আজ : সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ
- কেক পাঠিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান
- মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৫
- ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরো ৮১ ফিলিস্তিনি
- করোনাভাইরাস: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু এক, আক্রান্ত ১০
- বড় হারের শঙ্কা নিয়ে দিন পার করল বাংলাদেশ
- বরখাস্ত হলেন হামজাদের কোচ নিস্টেলরয়
- সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
- স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি কাপড় ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
- বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি সংশোধন চায় ভারত
- কর্মসূচিতে অনড় ঐক্য পরিষদ, কাজে যোগ না দিলে ব্যবস্থা নেবে এনবিআর
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫
- চীন সফর 'সফল' হয়েছে: দেশে ফিরে ফখরুল
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনার কোনো পরিকল্পনা নেই: ইরান
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিইসি
- ‘নতুন বাংলাদেশ দিবসের’ তারিখ নিয়ে আখতার-সারজিস-হাসনাতের আপত্তি
- ‘আমরা কোনো জোট করছি না’, বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান বৈঠক নিয়ে উপদেষ্টা
- এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন তুলে নিতে অর্থ উপদেষ্টার আহ্বান
- হাসিনার পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন শফিকুল আলম
- "সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে কাজ করলে দেশে স্বৈরাচারের উৎপত্তি হবে না"
- আ. লীগ আমলের ৩ সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
- কাল থেকে দেবতাখুম ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা
- পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে ভালো কোম্পানি আনতে হবে: আবু আহমেদ
- ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কয়েক দশক পিছিয়েছে, দাবি ট্রাম্পের
- আরো ২৬ জনের করোনা শনাক্ত
- এনবিআরের আন্দোলনের পেছনে ‘ব্যবসায়ীদের’ ইন্ধন: অর্থ উপদেষ্টা
- মাদক নির্মূলে সবার আগে গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- শর্তসাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছরের বিষয়ে একমত বিএনপি
- এনসিসি গঠন থেকে সরে এসেছে ঐকমত্য কমিশন : আলী রীয়াজ
- ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ও ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা
- জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নে নির্ভরযোগ্য অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা
- ‘মব জাস্টিস’ নামে এক হিংস্র উন্মাদনা: তারেক রহমান
- বিবাহ ও মোহর আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব
- সারা দেশে বজ্রবৃষ্টির আভাস
- ‘এখন বলার সময় নয়’—অধিনায়কত্ব নিয়ে গুঞ্জনের জবাবে শান্ত
- সূচকের বড় উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
- একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় ১৭ প্রকল্প
- ঢাকায় অলিম্পিক ডে র্যালির উদ্বোধনে সেনাপ্রধান
- দোহা-কুয়েত-শারজাহ-দুবাই রুটে ১১ ফ্লাইটের সময়সূচি বিপর্যস্ত
- যুদ্ধবিরতি কার্যকর, ‘দয়া করে, কেউ এটা লঙ্ঘন করবেন না’: ট্রাম্প
- ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর কমেছে তেলের দাম
- ট্রাম্পের ‘যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণার পর নীরব নেতানিয়াহু
- যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে: ইরান
- ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করলেন স্বতন্ত্র পরিচালক আকতার মতিন চৌধুরী
- ইসলামী ব্যাংকের সাথে ঢাকা কলেজের চুক্তি স্বাক্ষর
- বন্ড ছেড়ে ৮০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে মার্কেন্টাইল ব্যাংক
- ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে মানুষ রাজনীতিকদের ওপর আস্থা হারাবে: সালাহউদ্দিন
- সংস্কার কমিশনের সব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নের জন্য নয়: আলী রীয়াজ
- ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ও ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিইসি
- পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে ভালো কোম্পানি আনতে হবে: আবু আহমেদ
- হাসিনার পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন শফিকুল আলম
- ‘নতুন বাংলাদেশ দিবসের’ তারিখ নিয়ে আখতার-সারজিস-হাসনাতের আপত্তি
- কাল থেকে দেবতাখুম ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা
- এনবিআরের আন্দোলনের পেছনে ‘ব্যবসায়ীদের’ ইন্ধন: অর্থ উপদেষ্টা
- বিবাহ ও মোহর আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব
- ‘মব জাস্টিস’ নামে এক হিংস্র উন্মাদনা: তারেক রহমান
- ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কয়েক দশক পিছিয়েছে, দাবি ট্রাম্পের
- শর্তসাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছরের বিষয়ে একমত বিএনপি
- মাদক নির্মূলে সবার আগে গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আ. লীগ আমলের ৩ সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
- এনসিসি গঠন থেকে সরে এসেছে ঐকমত্য কমিশন : আলী রীয়াজ
- জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নে নির্ভরযোগ্য অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা
- আরো ২৬ জনের করোনা শনাক্ত
- এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন তুলে নিতে অর্থ উপদেষ্টার আহ্বান
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫
- ‘আমরা কোনো জোট করছি না’, বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান বৈঠক নিয়ে উপদেষ্টা
- বরখাস্ত হলেন হামজাদের কোচ নিস্টেলরয়
- স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি কাপড় ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
- চীন সফর 'সফল' হয়েছে: দেশে ফিরে ফখরুল
- কর্মসূচিতে অনড় ঐক্য পরিষদ, কাজে যোগ না দিলে ব্যবস্থা নেবে এনবিআর
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনার কোনো পরিকল্পনা নেই: ইরান
- কেক পাঠিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান
বিশেষ সংবাদ এর সর্বশেষ খবর
বিশেষ সংবাদ - এর সব খবর
