বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে ভারতের প্রতিক্রিয়া
ঠিক ৪৩ বছর আগে অগাস্টের সেই বৃষ্টিভেজা সকালে ঢাকা থেকে সংবাদটা এসেছিল বজ্রপাতের মতো। ভারতে সবেমাত্র ঘোষিত হওয়া জরুরী অবস্থাকে ঘিরে দেশের পরিস্থিতি এমনিতেই টালমাটাল, তখনই খবর এল বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় নিজের বাসভবনেই আততায়ীদের হাতে সপরিবারে নিহত হয়েছেন।
ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সেদিন রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদের দেওয়া রিসেপশনে যোগ দিতে দেশের কয়েকশো নেতা-মন্ত্রী ও সাংসদ তখন রাষ্ট্রপতি ভবনেই। কর্নাটকের কংগ্রেস নেত্রী মার্গারেট আলভা তখন রাজ্যসভার এমপি, সে দিনের তরুণী সেই রাজনীতিকও ছিলেন সেই দলে।
"রাষ্ট্রপতি ভবনে বসেই আমরা খবরটা পেলাম। মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে, সে খবর ততক্ষণে দাবানলের মতো দিল্লি জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, কিন্তু লোকে যেন নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছে না।"
"আমার খুব ভাল মনে আছে রাষ্ট্রপতি ভবনের ভেতর তখনই বলাবলি শুরু হল ঠিকমতো পদক্ষেপ না-নিলে ভারতেও কিন্তু যে কোনও দিন একই জিনিস ঘটতে পারে। বিশ্বাস করবেন কি-না জানি না, ওটাই ছিল আমাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া", এত বছর বাদে সে দিনের স্মৃতিচারণ করতে বসে বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন মিস আলভা।
একাত্তরের যুদ্ধজয়ের স্মৃতি তখনও ম্লান হয়নি - মার্গারেট আলভার কথায় 'শেখসাহেব তখনও উপমহাদেশের গগনস্পর্শী নায়কদের একজন'। কিন্তু তাঁর যে এ ধরনের পরিণতি হতে পারে, সেটা ভারত একেবারেই ভাবতে পারেননি বলে জানাচ্ছেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ এই রাজনীতিক।
বিনা মেঘে বজ্রপাত, না কি আশঙ্কা ছিলই?
কিন্তু শেখ মুজিবের প্রাণনাশের চেষ্টা হতে পারে, ভারত কি তার একেবারেই কোনও আঁচ পায়নি? মানে এই খবরটা কি দিল্লির কাছে পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল বলা যায়?
"না, একেবারেই আন্দাজ করা যায়নি সেটা বলা যাবে না। খবরও ছিল যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটা অংশ মুজিবের বিরুদ্ধে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে,'' বলছেন দিল্লিতে ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজের কর্ণধার ও স্ট্র্যাটেজিক বিশ্লেষক, মেজর জেনারেল (অব) দীপঙ্কর ব্যানার্জি।
''রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং ('র')-এর প্রধান আর এন কাও ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় গিয়ে খোদ মুজিবকে বলেও ছিলেন যে তাঁর জীবনের ওপর হামলা হতে পারে, '' জেনারেল ব্যানার্জি বিবিসিকে বলেন।
"কিন্তু মুজিব তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে বলে ওঠেন, ওসব হতেই পারে না। গোটা বাংলাদেশ আমাকে ভালবাসে, ওরা সবাই আমার ছেলেমেয়ের মতো - কে আমাকে মারতে যাবে? আপনার এসব জল্পনায় কান দেওয়ার কোনও দরকার নেই," তিনি জানান।
বস্তুত শেখ মুজিব চেয়েছিলেন বলেই ভারত তাঁর বিরোধী শিবিরের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি চালানো বন্ধ করে দিয়েছিল বলে জানাচ্ছেন এই বিশ্লেষক।
কিন্তু ঢাকায় তো এমন ধারণাও কারও কারও আছে যে শেখ মুজিবের করুণ মৃত্যুতে দিল্লি হয়তো তেমন একটা অখুশি হয়নি?
বস্তুত মুজিবের হত্যার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই যেভাবে ভারত খন্দকার মোশতাক আহমেদের নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল, তাতেও অনেকের মধ্যে এই সন্দেহ ঘনীভূত হয়েছে।
কিন্তু মুজিবের মৃত্যুর মাত্র মাসকয়েক আগেও ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসে কূটনীতিকের দায়িত্ব পালন করে আসা সাবেক রাষ্ট্রদূত অরুণ কুমার ব্যানার্জি এটাকে 'সম্পূর্ণ বাজে কথা' বলে অভিহিত করেন।
''আমি বলব ভারতের একমাত্র রিঅ্যাকশন ছিল শিয়ার হরর অ্যান্ড শক। কীভাবে এমন মারাত্মক ঘটনা ঘটে গেল, সেটাই দিল্লি ভেবে কূল করতে পারছিল না," বিবিসিকে বলছিলেন মিঃ ব্যানার্জি।
"আসলে শেখ সাহেব নিজে যা-ই বলুন, আমরাই তো তাঁর দেখাশুনো করব বলে কথা দিয়েছিলাম। ফলে ইনটেলিজেন্স গ্যাদারিং বা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে কোথাও তো একটা খামতি ছিলই।
''যদিও এটা মূলত বাংলাদেশেরই কাজ - আমাদের গোয়েন্দা অ্যাপারেটাসেও কেউ কোথাও একটা ভুলচুক করে ফেলেছিল সেটা তো অস্বীকার করতে পারি না," তিনি বলেন।
দীপঙ্কর ব্যানার্জি আবার বলছিলেন, "ভারতের কাছে মুজিবের ইমেজটা ছিল একটা স্বাধীন দেশের ফাউন্ডার-লিবারেটরের। দেশটা জন্মানোর চার বছরেরও কম সময়ের মধ্যে আর্মির একটা অংশ তাকে নির্মমভাবে নিকেশ করে দিতে পারে - ভারত তাতে সত্যিই প্রচন্ড অবাক হয়েছিল।"
কতটা ফাটল ধরেছিল ইন্দিরা-মুজিব সম্পর্কে?
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিজেও যে এই ঘটনায় খুব বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন এমনও তো বিশেষ প্রমাণ নেই? "না, দেখুন - তখনকার সময়টার কথাও আপনাকে ভাবতে হবে,'' মিঃ ব্যানার্জি বলেন।
মিসেস গান্ধী দেশে জরুরি অবস্থা চালু করেছেন মাস দেড়েক আগে। দেশের ভেতরে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তখন একটা অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। দীপঙ্কর ব্যানার্জির মতে, মিসেস গান্ধী তখন হাজারটা সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলেন।
''সত্যি বলতে কী, তখন বাংলাদেশের দিকে বা বাইরের দুনিয়ার দিকে তাঁর তেমন নজর দেওয়া সম্ভবও ছিল না", মনে করেন দীপঙ্কর ব্যানার্জি।
অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বাধ্যবাধকতা নিশ্চয় ছিল - কিন্তু শেখ মুজিবের হত্যাকান্ডের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ইন্দিরা গান্ধী ও তাঁর সম্পর্কে যে অস্বস্তির ছায়া পড়তে শুরু করেছিল, সেটাও কিন্তু ঐতিহাসিক সত্যি।
ভারতের প্রাক্তন পররাষ্ট্রসচিব মুচকুন্দ দুবে মুজিব-হত্যার ঠিক চার বছরের মাথায় ভারতীয় হাই কমিশনারের দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলেন। কোনও রাখঢাক না-করেই তিনি যেমন বলছেন, "আসলে কী, শেখ মুজিবের কিছু কিছু পদক্ষেপে দিল্লির কপালে যে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল সেটা কিন্তু অস্বীকার করা যাবে না।"
"যেমন ধরুন, তার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বা বাকশাল চালু করার উদ্যোগ। ভারত মনে করেছিল সেটা গণতন্ত্রের রাস্তা থেকে বিচ্যুতি বা অ্যাবারেশন। তাঁর প্রশাসনে যে বেশ কিছু আরবিট্রারিনেস বা স্বেচ্ছাচার শেকড় বিছিয়েছিল, সেটা নিয়েও আমরা চিন্তিত ছিলাম।"
"কিন্তু এই উদ্বেগ কখনওই এমন পর্যায়ে পৌঁছয়নি যে শেখ মুজিবকে হত্যা করা হলে ভারতে খুশির লহর বয়ে যাবে। বড়জোর একটা অসন্তুষ্টি ছিল বলা যেতে পারে, এবং হয়তো এই ফিলিংসটাও ছিল মুজিবের ওই রকম কোনও পরিণতি অনিবার্য!" বলছিলেন মিঃ দুবে।
ঢাকায় তখনকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সমর সেনও অবসর নেওয়ার পর ১৯৯৮ সালে ফ্রন্টলাইন ম্যাগাজিনে লিখেছিলেন, "আরও নানা কারণের সঙ্গে যখন দেখা গেল চুয়াত্তরের অগাস্ট মাসে জুলফিকার আলি ভুট্টো বাংলাদেশ সফরে এলেন, তখন শত্রুতা না হোক - ভারতের দিক থেকে একটা হতাশা অবশ্যই তৈরি হয়েছিল।"
আজীবন কংগ্রেসী রাজনীতি করা মার্গারেট আলভার বর্ণনায়, "হ্যাঁ, ততদিনে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে বেশ কয়েকটা ইস্যু তৈরি হয়ে গিয়েছিল তাতে সন্দেহ নেই। যেমন, ফারাক্কা ব্যারাজ তৈরি করা কিংবা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ থেকে যারা এসেছিলেন, তাদের অনেকের ভারতে থেকে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘাত অবশ্যই ছিল।"
"কিন্তু আমি বিশ্বাস করি দুটো দেশের মধ্যে যে পারস্পরিক আস্থা আর মর্যাদার সম্পর্ক ছিল, সেটাকে কোনও কিছুই ছাপিয়ে যেতে পারেনি। মুজিবের মৃত্যুর পর সে দেশের ইতিহাস অন্য মোড় নিল, দেশটাকে 'মুসলিম বাংলাদেশ' বানানোর চেষ্টা শুরু হল - সেটা অবশ্য অন্য প্রসঙ্গ! "
মেজর জেনারেল (অব) দীপঙ্কর ব্যানার্জিও মনে করেন, "একাত্তরের পর থেকে বাংলাদেশ খুব কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে পার হয়েছে সবাই জানে। দুর্ভিক্ষ-অনশন-সাইক্লোনের বহু ঝড়ঝাপটা গেছে। যুদ্ধের পর ভারতেরও তেমন সামর্থ্য ছিল না যে তাদের সব চাহিদা পূরণ করতে পারবে।"
"ভারতীয় গণতন্ত্রেও হয়তো বাংলাদেশকে নিয়ে নানা ধরনের মতামত ছিল - সেটাই তো গণতন্ত্রের বেশিষ্ট্য। কিন্তু তাই বলে শেখ সাহেবের জন্য গুডউইল বা শ্রদ্ধায় কিন্তু কখনওই কোনও ভাঁটা পড়েনি। তার অনিষ্ট হোক এটা ভারত কখনও চায়নি, চাইতে পারেই না", রীতিমতো জোর দিয়ে বলেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
কেন বেছে নেওয়া হয়েছিল ১৫ই অগাস্ট তারিখটা?
যে কোনও দেশের জাতীয় নায়কদের মতোই শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড নিয়েও নানা ধরনের 'কনস্পিরেসি থিওরি' বা ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব চালু আছে। তার কোনও কোনওটায় ভারতের দিকেও আঙুল তোলা হয়েছে। সাবেক কূটনীতিক অরুণ ব্যানার্জি অবশ্য এই সব জল্পনা-কল্পনা হেসেই উড়িয়ে দিচ্ছেন।
"দেখুন, নির্দিষ্ট করে এই ১৫ই অগাস্ট তারিখটা বেছেই নেওয়া হয়েছিল খুব সচেতনভাবে। ভারতের স্বাধীনতা দিবস ওটা - আর ক্যু-র ষড়যন্ত্রকারীরা ভারতকেই একটা মেসেজ দিতে চেয়েছিল। বার্তাটা ছিল, তোমাদের এত খাতিরের লোক - আর তোমাদের বিশেষ দিনে দ্যাখো এই তার অবস্থা", বলছিলেন তিনি।
"ওই অভ্যুত্থানের কিছুদিনের মধ্যেই যেভাবে বাংলাদেশের টপ ইনটেলেজিন্সিয়া বা বুদ্ধিজীবীদের শেষ করে দেওয়া হল, তাজুদ্দিন আহমেদ-সহ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের দ্বিতীয় সারিটাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হল, তাতে বোঝাই যায় এর মাধ্যমে কারা লাভবান হতে চেয়েছিল", বলছিলেন ওই টালমাটাল সময়ে ঢাকায় কাটানো এই প্রাক্তন কূটনীতিক।
কেন ভারত দোষারোপ করেছিল সিআইএ-কে?
যে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল তাতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলেই বরং ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দৃঢ় বিশ্বাস। অরুণ ব্যানার্জি নিজেও এই মতের শরিক।
কলকাতায় কংগ্রেসী ঘরানার সংবাদপত্র যুগান্তরে তো সে সময় সরাসরি লেখা হয়েছিল ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিস বোস্টার এই ক্যু-তে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
বর্তমানে মার্কিন-প্রবাসী ভারতীয় গবেষক বি জেড খসরু লিখেছেন, "কলকাতার মার্কিন কনসাল জেনারেল নিজে যুগান্তর অফিসে গিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। এই খবর প্রত্যাহার করে যুগান্তরকে প্রথম পাতায় ক্ষমা চাইতে হবে বলেও তিনি জেদ ধরে ছিলেন।"
ভারতের বিভিন্ন খবরের কাগজেও সিআইএ-র দিকে আঙুল তুলে সে সময় নানা সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছিল।
দিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশনস ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমেরিকা বিভাগের প্রধান জে এস তেজার সঙ্গে দেখা করে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছিলেন, এ রকম চলতে থাকলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তার ফল ভাল হবে না।
ভারতে তখন ইমার্জেন্সি চলছে, সব খবরের কাগজে প্রথম পাতায় কী খবর বেরোবে সরকারই তা সেন্সর করত। বেশির ভাগ কাগজেই সেটারই প্রতিফলন ঘটত, সরকার যা চাইছে।
ব্যর্থতার দায়ভার কতটুকু ভারতের?
কিন্তু শেখ মুজিবকে যে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি, সেই ব্যর্থতার দায়ভার বহু দিন পর্যন্ত ভারতকেও অনেকটাই বয়ে বেড়াতে হয়েছে।
মুজিবের মৃত্যুর চার বছরের মাথায়, ১৯৭৯-র অক্টোবরে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনারের দায়িত্ব নিয়ে গেলেন মুচকুন্দ দুবে। তাকেও তখন অহরহ এই বিষয়টা নিয়ে অনুযোগ শুনতে হয়েছে।
"অনেকেই আমাকে তখন বলতেন এত বড় ঘটনাটা আপনারা জানতেই পারলেন না? ঠেকাতেই পারলেন না? তাদের কথায় প্রচ্ছন্নভাবে এই সুরটাই থাকত, যেন মুজিবের হত্যাকান্ড দিল্লিরই কূটনৈতিক ব্যর্থতা।"
"তারা কিন্তু এই জিনিসটা বুঝতেন না যে একটা সার্বভৌম দেশ আর একটা সার্বভৌম দেশের সব কিছু করে দিতে পারে না। যেমন ধরুন, আপনি আপনার ইনটেলিজেন্স নেটওয়ার্ক অন্য দেশের সব জায়গায় রাখতে পারেন না - রাখলে সেটাকেই তখন সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বলা হবে", কিছুটা বিষণ্ণ সুরেই বলেন মুচকুন্দ দুবে।
অরুণ ব্যানার্জিও এ প্রসঙ্গে যোগ করেন, "বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকেই এই ডিবেটটা আগাগোড়া ছিল যে ভারত তাদের কতটা গাইড করবে, আর কতটা একলা ছেড়ে দেবে? যতই হোক, বাংলাদেশ তাদের নিজেদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে - একটা সময় পর ভারত তো সেখানে ব্যাকসিট নিতেই বেশি পছন্দ করবে।"
কিন্তু ভারত ঠিক কতটা পেছনে সরে গিয়েছিল - আর সেই দূরে সরে যাওয়ার সুযোগ নিয়েই শেখ মুজিবকে হত্যার পরিকল্পনা কার্যকর করা হয়েছিল কি-না, সেই বিতর্কের মীমাংসা আজও হয়নি।
১৫ই অগাস্ট, ১৯৭৫-র পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ
সে যাই হোক, শেখ মুজিবের হত্যার অব্যবহিত পর ভারত ঠিক কী কী কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছিল?
তখনকার ভারতীয় হাই কমিশনার সমর সেনের (যিনি এখন আর বেঁচে নেই) লেখা থেকেই আবার উদ্ধৃত করা যাক, "আমার মত ছিল অপেক্ষা করা ও নজর রাখা - কিন্তু সেই সঙ্গেই আমি মনে করেছিলাম, বাংলাদেশের নতুন শাসকদের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত। যদিও ভারত সরকারের কারও কারও সেই ভাবনাটা পছন্দ হয়নি।"
"শেখ মুজিবের হত্যাকান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে নিশ্চয় একটা বড় আঘাত ছিল - কিন্তু বিপর্যয় ছিল না। বস্তুত খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের সম্পর্কের মধ্যে একটা আপাত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল।"
শেখ মুজিব সপরিবারে নিহত হওয়ার ঠিক পাঁচদিনের মাথায়, ২০শে অগাস্ট ঢাকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত সমর সেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলেন বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাক আহমেদের সঙ্গে। হাসিমুখে দুজনের করমর্দনের ছবিও বেরোল ভারতের 'দ্য হিন্দু' পত্রিকার প্রথম পাতায়।
ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কও এক অভাবিত নতুন মোড় নিল ১৯৭৫-র সেই ঘটনাবহুল আগস্ট থেকেই।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/আগস্ট ১৫,২০১৮)
পাঠকের মতামত:
- বিচার না হলে বিপিএল ছাড়ার হুমকি বরিশাল মালিকের
- জাবিতে পোষ্য কোটা বাতিল
- আর্জেন্টিনা থেকে এল ৫০ হাজার টন গম
- হঠাৎ-ই স্কোয়াড থেকে সরানো হলো বুমরাহকে, বাড়ছে শঙ্কা
- গাজা উপত্যকা দখল করবে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
- উত্তরবঙ্গের সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ ঘোষণা
- আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা
- শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা : ফাঁসির ৯ জনসহ সব আসামি খালাস
- বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
- হাসিনার পতন ঘটলেও চূড়ান্ত বিজয় এখনও আসেনি : হাসনাত আবদুল্লাহ
- কারণে-অকারণে অবরোধ, ধৈর্যের সীমা শেষ করে দিচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ‘‘বেস্ট ব্যাংকিং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’’ পেল ইসলামী ব্যাংক
- ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করলেন ঢাকা ক্যাপিটালস টিমের সদস্যরা
- ইসলামী ব্যাংকের সিলেট জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- চট্টগ্রামে আ.লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
- সৌদি আরবের জ্বালানি বহির্ভূত খাতে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি
- চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ঢাকায় ফিরছেন মুশতাক
- বাংলাদেশ ব্যাংকে গোপন ৩০০ লকারের সন্ধান, যে কোনো সময় অভিযান
- যুক্তরাজ্যের আদলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ার রূপরেখা দিলো বিএনপি
- ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করা প্রয়োজন’
- পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশন থাকছে না
- পাচার সম্পদ পুনরুদ্ধারে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
- "৮ ফেব্রুয়ারি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব প্রকাশ করা হবে"
- বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- ছয় মাসে লোকসানে ৬ কোম্পানি
- সরস্বতী পূজা আজ
- আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- ঢাকা ছাড়ছেন রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা
- যুক্তরাষ্ট্রে ৯ দিনে ৭ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার
- ভোটার তালিকা হালনাগাদ: বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শেষ আজ
- "দাবির মুখে সরকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবে না সরকার"
- আহতদের সুচিকিৎসা দিতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা: হাসনাত আব্দুল্লাহ
- তিতুমীর কলেজ ‘শাটডাউন’ ঘোষণা, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
- দাবি পূরণের আশ্বাসে যমুনার সামনে থেকে চলে গেলেন আহতরা
- সংস্কারের আলোচনা দীর্ঘ হলে স্বৈরাচার সুযোগ পাবে: তারেক রহমান
- শীতেও ডেঙ্গুর প্রকোপ, এখন থেকেই নিয়ন্ত্রণের তাগিদ
- ব্যাংক লুটের টাকা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনে
- সূচকের উত্থানে লেনদেন ৩৫৬ কোটি টাকা
- পাকিস্তানে অতর্কিত হামলায় ১৮ সেনা নিহত
- পারিশ্রমিক না পাওয়ায় হোটেল ছাড়েননি রাজশাহীর ক্রিকেটাররা
- নির্বাচকের দায়িত্ব ছাড়লেন হান্নান
- কারা অধিদপ্তরের লোগো পরিবর্তন, সরে গেলো নৌকা
- বর্ষার আগে ঢাকার ১৯ খালে প্রবাহ ফেরাতে পারব: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
- নিবন্ধনকেন্দ্রে নিরাপত্তা দিতে আইজিপিকে ইসির নির্দেশ
- ‘আমিন, আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হলো টঙ্গীর তুরাগ তীর
- ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ফখরুল-খসরু
- মহাখালীতে সড়ক অবরোধ, ‘ব্লকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি শিথিল
- দাবি পূরণে ৪টা পর্যন্ত সময় দিলেন আহতরা
- সান্তোসে ‘রাজপুত্র’ বেশে প্রত্যাবর্তন নেইমারের, পরবেন ‘রাজা’র জার্সি
- হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু, জরুরি তদন্তের নির্দেশ
- যৌথবাহিনীর অভিযানে যুবদল নেতার মৃত্যু: উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা
- ফিক্সিংয়ের অভিযোগ, বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- যুক্তরাষ্ট্রে জনবহুল এলাকায় বিমান বিধ্বস্ত, হতাহতের শঙ্কা
- পুলিশ কর্মকর্তাদের শঙ্কা, এভাবে চললে মৃত্যু ঘটবে জুলাই বিপ্লবের
- শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা, উদ্বোধন করবেন ড. ইউনূস
- আজ থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ
- ঘন কুয়াশা: রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে দুর্ঘটনার কবলে ৬ গাড়ি
- রমজানে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ
- সুপ্রিম কোর্টে সচিবালয় স্থাপনের বিকল্প নেই: প্রধান বিচারপতি
- এমবিবিএস ভর্তি: প্রমাণ নিয়ে আসেননি মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৪৯ শিক্ষার্থী
- বিপিএলে পারিশ্রমিক ইস্যুতে তদন্ত কমিটি
- ঋণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কমিটি
- বোনের বাসা থেকে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান গ্রেপ্তার
- আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ট্রাইব্যুনালের অসন্তোষ
- চুক্তি সই করল এআইবি পিএলসি ও দি ইবনে সিনা ট্রাস্ট
- উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা: ‘মনে হয় না আর কেউ বেঁচে আছেন’
- ২১ কোম্পানির অর্ধবার্ষিকে মুনাফা বেড়েছে
- কোচ বাটলারকে চান না সাবিনারা
- ধর্মের ভিত্তিতে নয়, দেশ পরিচালিত হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে: জামায়াতের আমির
- সৌদিতে বাংলাদেশি বন্দিদের ক্ষমা করতে আসিফ নজরুলের অনুরোধ
- কোটা নিয়ে ৩ সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের
- নির্বাচন কমিশন নির্বাহী বিভাগের আজ্ঞাবহ: বদিউল আলম মজুমদার
- আসিফ ও আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিইনি: নাহিদ
- "নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হতেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই"
- পাকিস্তানে অতর্কিত হামলায় ১৮ সেনা নিহত
- তিন জন বাদ, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন ৭ জন
- আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করবে বৈষম্যবিরোধীদের লিগ্যাল সেল
- ছাত্ররা নিজেরাই দল গঠন করবে: ড. ইউনূস
- কোটা নিয়ে ৩ সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের
- আসিফ ও আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিইনি: নাহিদ
- ওয়াশিংটনে মাঝ আকাশে হেলিকপ্টারের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষ
- কোচ বাটলারকে চান না সাবিনারা
- যারাই ক্ষমতায় আসুক দেশ চালানো চ্যালেঞ্জিং হবে: তারেক রহমান
- ঋণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কমিটি
- নির্বাচন কমিশন নির্বাহী বিভাগের আজ্ঞাবহ: বদিউল আলম মজুমদার
- সৌদিতে বাংলাদেশি বন্দিদের ক্ষমা করতে আসিফ নজরুলের অনুরোধ
- বিপিএলে পারিশ্রমিক ইস্যুতে তদন্ত কমিটি
- এক গণমাধ্যমে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড সর্বোচ্চ ১৫ জন
- বিএসইসির শিবলী রুবাইয়াতসহ ৯ জনের পাসপোর্ট বাতিল
- উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা: ‘মনে হয় না আর কেউ বেঁচে আছেন’
- ধর্মের ভিত্তিতে নয়, দেশ পরিচালিত হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে: জামায়াতের আমির
- দাবি পূরণে ৪টা পর্যন্ত সময় দিলেন আহতরা
- ২১ কোম্পানির অর্ধবার্ষিকে মুনাফা বেড়েছে
- বিতর্কিত প্রবন্ধ প্রত্যাহার, ‘ছাত্র সংবাদ’ এর দুঃখ প্রকাশ
- আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ট্রাইব্যুনালের অসন্তোষ
- ব্যাংক লুটের টাকা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনে
- পুলিশ কর্মকর্তাদের শঙ্কা, এভাবে চললে মৃত্যু ঘটবে জুলাই বিপ্লবের
- বোনের বাসা থেকে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান গ্রেপ্তার
- "নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হতেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই"