ওই পাইপ লাইনের মাধ্যমে এক মিলিয়ন মেট্রিক টন (ওয়ান এমএমটিপিএ) উচ্চমাত্রার ডিজেল ভারত থেকে বাংলাদেশে আসবে। বর্তমানে আসামের নুমালিগড় রিফাইনারি থেকে রেলের মাধ্যমে এ জ্বালানি আসছে। আর রেললাইনের (মাল্টি ট্র্যাক প্রজেক্ট) প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর এলওসির মাধ্যমে বাংলাদেশে আট বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে ভারত, যা কোনো দেশে ভারত সরকারের সবচেয়ে বড় ঋণ।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর (সোমবার) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানিবিষয়ক প্রকল্প, রেলওয়ের ‘কুলাউড়া-শাহবাজপুর সেকশন পুনর্বাসন’ ও ‘আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ (বাংলাদেশ অংশ)’ প্রকল্পের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভিডিও কনফারেন্সে মোদি বলেন, অনেক সাক্ষাতের মধ্যেও এটি আমাদের মধ্যকার চতুর্থ ভিডিও কনফারেন্স এবং শিগগির আরও একটি ভিডিও কনফারেন্স হওয়ার কথা রয়েছে। এই ভিডিও কনফারেন্সের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের দুই দেশের সহযোগিতামূলক প্রকল্পের শুভারম্ভ বা উদ্বোধন, যা কোনো ধরনের ভিআইপি সফরের জন্য অপেক্ষা করে থাকে না। কনফারেন্সে আরও যুক্ত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/সেপ্টেম্বর ১৫,২০১৮)