thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

'ব্যাংকের কমপ্লায়েন্স পরিপালনে ব্যয় বাড়ছে'

২০১৮ অক্টোবর ০৫ ২১:৪৬:১৭
'ব্যাংকের কমপ্লায়েন্স পরিপালনে ব্যয় বাড়ছে'

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ব্যাংকের কমপ্লায়েন্স পরিপালনের চাপ ও ব্যয় উভয়ই বাড়ছে। ব্যাংকের কমপ্লায়েন্স পরিপালনে বর্তমানে ১৫টি আইন বা অধ্যাদেশ, ৪৬টি গাইডলাইন, ১০টি রেগুলেশন ও ৪৭৮টি প্রজ্ঞাপন আছে। সরকারি-বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা পরিপালনে বছরে গড়ে ২৬৩টি রিপোর্ট দিতে হচ্ছে। একই সঙ্গে এ খাতে খরচও বাড়াতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থাপিত প্রবন্ধে এসব বিষয় উঠে এসেছে।

গতকাল রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘কস্টস ফর কমপ্লায়েন্স উইথ রেগুলেশনস ইন ব্যাংকস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী। তিনি অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে ব্যাংকগুলোর কমপ্লায়েন্স পরিপালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের অধ্যাপক ও পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন এবং পরামর্শ) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী। তিনি গোলটেবিল বৈঠকের বিষয়টির ওপর সূচনা বক্তব্য দেন।

গোলটেবিল বৈঠকে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এ গবেষণা সম্পন্ন করে। গবেষণাদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ও বিআইবিএমের অনুষদ সদস্য মো. আবদুল কাইউম, বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র পণ্ডিত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক রতœপরতন পাইন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ও পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধূরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী বছরে ২৬৩টি রিপোর্ট দিতে হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো এ প্রতিবেদনের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। ব্যাংক তার সুবিধার্থে অসত্য তথ্য দেয়। এটি পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে রিপোর্টের সংখ্যা কমিয়ে সমন্বয় সাধন করতে হবে।

বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী বলেন, ব্যাংক নিয়মকানুন মেনে ব্যবসা করে আসছে। তবে আগে এটি ভিন্ন নামে কমপ্লায়েন্স। অনেকে কমপ্লায়েন্স নিয়ে বক্তব্য দেয়, যা সঠিক নয়। কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।
বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, কমপ্লায়েন্সের খরচ না কমিয়ে যৌক্তিক করতে হবে। কিছু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যেগুলো আলাদা করে হিসাবনিকাশ করলে কমপ্লায়েন্সের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে। কমপ্লায়েন্সের কোনো বিকল্প নেই। এটি ব্যাংকের কর্র্মীসহ সব পর্যায়ের অংশীজনদের স্বার্থ রক্ষা করে। এজন্য খরচ না কমিয়ে যৌক্তিকীকরণ করতে হবে।

পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটেছে। এ কারণে ব্যাংকের রিপোর্টিংয়ে এখন কোনো সমস্যা নেই। নন-কমপ্লায়েন্স থাকার সুযোগ নেই। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাত থেকে আটটি বিভাগ একই ধরনের তথ্য চায়, এটি সমন্বয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক মো. ইয়াছিন আলি বলেন, ব্যাংকগুলোর সুদ কমানোর কারণে কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন করা কঠিন বলে অভিযোগ করা হয়েছে, যা সঠিক নয়। পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সুদ কমিয়ে ঋণ নিয়েছেন। আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক হস্তক্ষেপ করে। সবার আগে জনগণের স্বার্থ, তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন সঠিকভাবে পরিপালন করতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/অক্টোবর ০৫,২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর