খালিশপুরে তিন প্রতিষ্ঠানে চুরি

খুলনা ব্যুরো : খুলনায় স্বর্ণের দোকানসহ তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মহানগরীর খালিশপুর বিআইডিসি রোডের ক্রিসেন্ট জুট মিল এলাকার মুসলিম জুয়েলার্স, সবুজ জুয়েলার্স ও একই রোডের পাওয়ার হাউজ গেট এলাকার রনি ফ্যাশনে শনিবার এ চুরির ঘটনা ঘটে।

মুসলিম জুয়েলার্সের মালিক নজরুল ইসলাম বাচ্চু জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে তিনি বাড়ি চলে যান। সকাল ৭ টার দিতে মোবাইল ফোনে পাশ্ববর্তী দোকানদাররা জানান দোকান খোলা, চুরি হয়েছে। শুনে তিনি এসে দেখেন দোকানের কলাপসেবল গ্রিল ও শার্টার খোলা রয়েছে। সেখানে তালা নেই। তালা ভেঙ্গে চোরেরা প্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, দোকানে প্রবেশ করে দেখি সিন্ধুকে (লকার) নেই। চোরেরা সিন্ধুকসহ প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৪ লাখ টাকা, ৩০ হাজার টাকা মূল্যের রূপার গহনা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, সিন্ধুকের ওজন প্রায় ৮/১০ মন হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। যে কারণে চোরেরা ট্রাকে করে নিয়ে যেতে পারে। স্থানীয় প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ভোররাতে একটি ট্রাক দোকানের সামনে দিয়ে যেতে দেখেছে। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে।

মুসলিম জুয়েলার্সের পাশে অবস্থিত সবুজ জুয়েলার্স। সবুজ জুয়েলার্সেও গত রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। জুয়েলার্সের মালিক অসীত দত্ত বলেন, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যায়। সকালে চুরির সংবাদে পেয়ে এসে দেখি তালা ভেঙ্গে দোকানে থাকা প্রায় ৬০ হাজার টাকার স্বার্ণালঙ্কার নেই। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে।

একই রাতে বিআইডিসি রোডের পাওয়ার হাউজ গেট এলাকার খালিশপুর বণিক সমিতির বিপরীত পাশে অবস্থিত রনি ফ্যাশন হাউজে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দোকানের মালিক হোসেন আলী সরদারের ছেলে শাওন বলেন, সকালে ৯টার দিকে দোকান খুলতে এসে দেখি দোকানের তালা নেই। সাটার উঠিয়ে দোকানে প্রবেশ করে দেখি ক্যাশে থাকা প্রায় নগর ১৭ হাজার টাকাসহ প্রায় ১ লাখ টাকার মালামাল নেই। দোকানের মূল্যবান শতাধিক শার্ট চোরেরা নিয়ে গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, বিআইডিসি রোডে খালিশপুর বণিক সমিতির পক্ষ থেকে চারজন নাইট গার্ড নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। তবে গত রাতে ২ জন নাইটগার্ড অসুস্থ্য থাকায় বাকী দু জন দায়িত্বে ছিলেন। নতুন রাস্তা থেকে ক্রিসেন্ট গেট পর্যন্ত তারাই দায়িত্ব পালন করেন। একই রাতে তিনটি দোকানে চুরির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

খালিশপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর সাহিদুর রহমান বলেন, সমিতির পক্ষ থেকে চারজন নাইট গার্ড নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করে। গত রাতে দুজন ছুটিতে ছিলেন। বাকি ২ জন এতো বড় এরিয়া নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তবে সিন্ধুক তুলে নিয়ে চুরির ঘটনা একটি বিস্ময়কর বিষয়। কিভাবে সম্ভব। তিনি বলেন, প্রতিদিন রাতে দেখি পিপলস মোড়ে পুলিশ বসে থাকে দায়িত্ব পালন করে। তবে গতকাল কেন ছিলো না বুঝতে পারলাম না। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। একই সাথে সমিতির পক্ষ থেকে বিষয়টি আলোচনা চলছে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ দিয়েছে। মামলা নেয়া হবে।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/নভেম্বর ০৬,২০১৮)