অস্ট্রেলিয় ক্যাথলিক খ্রিস্টান নারীর ইসলাম গ্রহণের ইতিকথা
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ইসলাম হচ্ছে একটা বিশ্বজনীন জীবন বিধান। পৃথিবীর যে-কোনো বংশ-গোত্রের লোকই ইসলামের পথে যে-কোনো সময় আসতে পারে। কারো জন্যেই কোনোরকম বাধা নেই কিংবা ইসলামে প্রবেশের ব্যাপারে গোত্র বা বংশ বিশেষের কোনোরকম তুলনামূলক প্রাধান্যও নেই।
ইসলাম সেই আবির্ভাবের সূচনা থেকেই যে ব্যাপারে আকর্ষণীয় ছিল তা হলো চমৎকার সব নৈতিক শিক্ষা, আধ্যাত্মিক এবং আত্মগঠন সংক্রান্ত মৌলিক শিক্ষা। আর এসব আকর্ষণীয় শিক্ষার মূল প্রোথিত রয়েছে পবিত্র আল-কোরআনে। আল কোরআনের উচ্চতর চিন্তাধারা এবং উন্নত ও শক্তিমান জ্ঞানের প্রবাহ মানুষকে নিয়ে যায় জীবন উৎকর্ষের রাজপথে। কোরআন এ পথে যেতে মানুষকে যথার্থ দিক-নির্দেশনা দেয়। ইসলাম মানুষকে দেয় স্বাধীনতা ও চিন্তার ভারসাম্য, সেইসাথে দৃষ্টিভঙ্গির উর্ধ্ব থেকে উর্ধ্বতর দিগন্তে পাখা মেলা এবং সত্য আবিষ্কারের অবাধ অধিকার। এই অধিকার চর্চা করেই ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসেছেন এইবাত বালদাচিনা নামের এক রমনী। তাঁর মুসলমান হবার ইতিকথা নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা।
এইবাত বালদাচিনার বয়স একত্রিশ বছর। কিছুকাল আগে তিনি মুসলমান হয়ে নিজের নাম রাখেন সুরাইয়া। নওমুসলিম এই মহিয়সী নারী অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী। তাঁর মা হলেন ব্রিটিশ আর পিতা হলেন ইতালীয়। ছোট বেলায় তাঁকে ক্যাথলিক খ্রিস্টান হিসেবে বারিস্নান দেওয়া হয়েছিল। সুরাইয়া তাঁর পুরো শিক্ষাজীবন কাটিয়েছেন ক্যাথলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সমাজ বিজ্ঞানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করেছেন। স্বয়ং সুরাইয়া এ সম্পর্কে বলেছেনঃ
"আমি এক খ্রিষ্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। কিন্তু সেই কিশোরী বয়সেই আমার ভেতর একটা বিষয় আমি অনুভব করতাম। সেটা হলো আমি ভাবতাম যে নিশ্চয়ই এই বিশ্বের স্রষ্টা একক কোনো সত্ত্বা হবেন। ত্রিত্ববাদ বা তিন খোদার বিষয়টি আমার কাছে কেন যেন গ্রহণযোগ্য বলে মনে হতো না। আমার মনে হতো ইঞ্জিল গ্রন্থে কোনো কোনো নবীর ব্যাপারে যেসব অন্যায় বিষয়-আশয় আরোপিত হয়েছে সেসব কিছুতেই আল্লাহর পক্ষ থেকে হতে পারে না। কিন্তু আমি যেই ক্যাথলিক খ্রিষ্টান পরিবেশে বেড়ে উঠেছি সেখানে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে গবেষণা করার কোনো সুযোগ ছিল না।"
এইবাত বালদাচিনা আরো বলেন, "আমার বয়স যখন নয় বছর,তখন আমাকে পাদ্রির কাছে নিয়ে যাওয়া হলো স্বীকার করার জন্যে। স্বীকার মানে হলো পাদ্রি আমার কাছে চাচ্ছিলো-আমি যেন স্বীকার করি গত সপ্তার দিনগুলোতে আমি কী কী গুনাহ বা অন্যায় কাজ করেছি।স্বীকার করার কারণ হলো তাতে গুনাহের বোঝা হালকা হয়ে যাবে। আমি তাকে বললাম গত সপ্তায় আমি কোনোরকম অন্যায় কাজে লিপ্ত হই নি। আর যদি কোনোরকম গুনাহ বা অন্যায় কাজ করিও,তাহলে আমি সরাসরি খোদার কাছে বলবো,তাঁর কাছে তওবা করবো।"
অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী মিস এইবাত নিজের ধর্মের শিক্ষাগুলোর ব্যাপারে সন্দেহ করতেন বলে অন্য ধর্ম নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন। তিনি বলেন, এক স্রষ্টাকে অন্বেষণ করতে গিয়ে প্রাচ্যের ধর্মগুলো নিয়ে পড়ালেখা শুরু করলাম।অবশ্য প্রথমে ইসলাম থেকে দূরত্ব বজায় রাখলাম, কেননা আমাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইসলাম সম্পর্কে ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণা ছিল। আমাদেরকে বোঝানো হতো যে ইসলামে নারীকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয় এমনকি মানুষই মনে করা হয় না। হিন্দুত্ববাদ নিয়ে পড়ালেখা করলাম।কিন্তু আমার কাছে মোটেই আকর্ষণীয় মনে হলো না। বৌদ্ধবাদ তারচেয়ে অনেকটা ভালো বলে মনে হলো। কিন্তু তাদের চিন্তাভাবনাগুলো খুব একটা যৌক্তিক বলে মনে হয় নি আমার। এগুলো আমার তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হলো না। এইবাতের ভেতরে সত্য সন্ধানী কৌতূহলী একটা সুরের অনুরণন খেলে যাচ্ছিল, তিনি আনমনেই সেদিকে ছুটলেন। স্রষ্টাকে খুঁজে ফেরার আকর্ষণ তাঁর ভেতরে ধীরে ধীরে শিখার প্রজ্জ্বলিত হতে লাগলো। সেই আলোয় তিনি সত্যের পথ অন্বেষণে ধাবিত হলেন। এরকম একটা সময়ে তাঁর মা মিশর সফরে যান। তার কিছুদিন পর মিস এইবাতও মিশর সফরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানেই তাঁর ভেতরে জাগরণের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ দেখা দিল। তাঁর ভাষায়ঃ
"যখন মিশর অভিমুখী বিমানের ভেতর ছিলাম,হেডফোন কানে লাগিয়ে রেডিও শুনছিলাম। রেডিও শুনবো কী! কেবল নব ঘুরাচ্ছিলাম। ওয়েব ব্যাণ্ড বা তরঙ্গের পর তরঙ্গে নব ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খেলা করছিলাম। হঠাৎ করে বিশেষ একটা রিদমিক সুর কানে বেশ ভালো লাগলো। সম্ভবত আরবি ভাষার সঙ্গীত ছিল। সুরটা আমার কাছে এতো বেশী স্বস্তিদায়ক এবং প্রশান্তিকর ছিল যে বিমানে যতোক্ষণ ছিলাম আমি আর ঐ ব্যান্ডটা পাল্টাই নি। যদিও আমি জানতাম না এর অর্থ কী! যাই হোক, মিশরে সবকিছুই আমার ভালো লাগল। গরিব মুসলমানদেরকেও দেখলাম অভাব-অভিযোগ সত্ত্বেও বেশ উদার এবং নিজেদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট। এটা বেশ অবাক করার মতো ব্যাপার ছিল, কেননা পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে মানুষেরা সেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুধু টাকার পেছনে ছোটে, তারপরও তারা সবসময় অতৃপ্ত এবং অসন্তুষ্ট। পাশ্চাত্যে একটা মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত কর্মঠ থাকে ততোক্ষণ তাকে মূল্যায়ন করা হয়। বয়স্ক বা বৃদ্ধরা সেখানে বৃদ্ধাশ্রমে কাটায়। অথচ মুসলমানরা বয়স্কদেরকে বেশ সম্মান করে। ভ্যাপারটা আমাকে বেশ আকৃষ্ট করল। পরে বুঝলাম এটা তাদের ইসলামী সংস্কৃতিরই অঙ্গ। মুসলমানরা রমযান মাসে রোযা রাখে এবং নিজেদের আচার-আচরণের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকে। ইসলামে পারিবারিক ব্যবস্থাটি বেশ মার্জিত। ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের সাথে পূত-পবিত্র জীবন যাপন করে। সাধারণত অন্যায়ের কেন্দ্রগুলো থেকে তারা দূরত্ব বজায় রাখে। আর এই সুন্দর ব্যবস্থাপনাগুলো অপর ধর্মের লোকজনকে ইসলামে দীক্ষিত হলো অনুপ্রাণিত করে। এজন্যেই লক্ষ্য করা গেছে গত বছর ইউরোপে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছে। এদের বেশিরভাগই হলেন শিক্ষিত শ্রেণী। বিশ্বব্যাপী বর্তমানে যেভাবে ফেৎনা ফাসাদে, যুদ্ধ-বিগ্রহ, শোষন-নিপীড়ন লেগেই আছে তাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। শিক্ষিত শ্রেণী তাই নীতি-নৈতিকতা আর চিন্তা-চেতনার নবমূল্যায়নের পেছনে ছুটছে। এভাবে গবেষণা করতে গিয়েই তারা ইসলামের যুগোপযোগী অনাবিল আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলামের দাওয়াত গ্রহণ করে নিজেদের জীবনকে ধন্য করার অবকাশ পাচ্ছে।
২.
ইউরোপে যারা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে তাদের বেশিরভাগই শিক্ষিত শ্রেণীর। কেননা বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিরতা আর শোষণ-বঞ্চনাক্লিষ্ট মানুষ এখন নিরূপায় হয়ে একটা সুষ্ঠু সমাধান আশা করছে। সেই লক্ষ্যেই চিন্তাশীল ব্যক্তিরা গবেষণা চালাচ্ছেন। আর যারাই গবেষণা চালাতে গিয়ে ইসলামী আদর্শ নিয়ে পড়ালেখা করেন তারাই অনন্য এই আদর্শের মোহে বিমুগ্ধ হয়ে যান এবং ইসলাম গ্রহণ করে নিজেদের জীবনকে ধন্য করে তোলেন।কেননা তাঁরা যে আদর্শ বা পরিত্রাণের যেরকম মাধ্যম খুজেঁ বেড়ান সে সবই খুজেঁ পান ইসলামে। বেলজিয়ামের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন লওজ ওয়ার সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে লিখেছে,চল্লিশ হাজারেরও বেশি বেলজিয়ান নাগরিক গেল ক'বছরে মুসলমান হয়েছে। বেলজিয়ামের মোট জনসংখ্যা এক কোটির মতো। তার মাঝে মুসলমানদের সংখ্যাই হলো সাড়ে চার লাখ। এই পরিসংখ্যান উল্লেখ করে সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনটি লিখেছেঃ এভাবে এতাটা দ্রুততার সাথে যদি বেলজিয়ানরা ইসলাম গ্রহণ করতে থাকে তাহলে ২ হাজার ১২ সালের মধ্যে বেলজিয়ামে মুসলমানদের সংখ্যা পাঁচ লাখে পৌঁছে যাবে। যেসব বেলজিয়ান ইসলামে দীক্ষিত হয়েছেন তাদের এই ধর্মান্তরের পেছনে যে যুক্তিটি তারা দেখান তাহলো ইসলামে মানুষ এবং খোদার মাঝে কোনোরকম মাধ্যম বা তৃতীয় পক্ষের অস্তিত্ব নেই। তাদের দৃষ্টিতে আধ্যাত্মিক জীবনে পবিত্রতার ক্ষেত্রে ইসলামের যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। মিস এইবাত বলেন, মিশরে একদিন এক কফি হাউজের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ কানে ভেসে এলো সেই মিষ্টি মধুর আওয়াজ-বিমানের ভেতর রেডিওতে যা শুনে আমি প্রশান্তি পাচ্ছিলাম। আমি পেরেক বিদ্ধের মতো দাঁড়িয়ে গেলাম। জানতে চাইলাম এটা কিসের শব্দ।বললো এ হচ্ছে কোরআন তেলাওয়াতের শব্দ। আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করে ঐ কোরআনের একটা ইংরেজি সংস্করণ জোগাড় করে পড়লাম। আমি ভীষণভাবে কোরআনের আয়াতের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে পড়লাম। আমি বিস্ময়কর এই গ্রন্থে জীবনের পরিপূর্ণ বিধি-বিধান লক্ষ্য করলাম। দেখলাম সবকিছুই যৌক্তিক এবং বাস্তবায়নযোগ্য।এমন কোনো বিষয় নেই যার সম্পর্কে কোরআনে বলা হয় নি।কোরআনের যে বাচনভঙ্গি,অন্যদের সাথে সম্পর্কের যে প্রক্রিয়া,হালাল-হারামের ব্যাপারে যেরকম গুরুত্বারোপ, জ্ঞান,মনোবিজ্ঞান, পরিবার, প্রশিক্ষণ, শাসনকার্য ইত্যাদি সকল কিছুই ইসলামে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আমি ইঞ্জিলের পরিবেশের মধ্যে বড়ো হয়েছি তবে আমার মনে হতো ইঞ্জিলের একটা অংশ খোদার বক্তব্য নয়। সে রাতে আমি যখন আমার রুমে কোরআন পড়লাম ঠিক তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম ইঞ্জিল এবং কোরআনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কোরআনের যে বক্তব্য তা এক আল্লাহর পক্ষ থেকে আর তার অর্থও একদম যথার্থ এবং সুস্পষ্ট। ঐ রাতে আমি সকাল পর্যন্ত কোরআন পড়েছি। অবশেষে আমি এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছলাম যার সাথে আমার চিন্তার সাযুজ্য রয়েছে। আমি ভাবতাম ইসা (আ) কিছুতেই খোদা হতে পারে না। যদি তিনি খোদাই হতেন তাহলে তিনি এই মর্তলোকে বসে কার দরবারে মোনাজাত দিতেন? মূলত যিনি খোদা,তাঁর তো মুনাজাত দেওয়ারই প্রয়োজন নেই। কোরআন সুস্পষ্টভাবে এবং সরাসরি বলেছেঃ হে আহলে কিতাব! তোমরা তো ইসা (আ) কে খোদার পুত্র বলে অভিহিত করো,অথচ তিনি কেবল একজন পয়গাম্বর মাত্র। কোরআন আমাকে এমনভাবে আকৃষ্ট করলো যে পরদিন সকালে আমি আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেলাম এবং মুসলমান হয়ে গেলাম। মিস এইবাত ইসলাম গ্রহণ করাটাকে অভ্যন্তরীণ পবিত্র যে আহ্বান আছে তার ডাকে সাড়া দেওয়া বলে মনে করেন এবং তিনি বিশ্বাস করেন কোরআনের প্রাণদায়ী আয়াতগুলোর আলোকরশ্মি সৌন্দর্য আর নূরের জানালা দিয়ে তাঁর চেহারায় এসে পড়েছে। তিনি বলেন যখন কোরআন পড়লাম, এ বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারলাম যে এই গ্রন্থের শিক্ষাগুলো সেই মহান জিনিস যেগুলোকে সবসময় নিজের ভেতর লালন করতাম এবং সেসব নিয়ে সবসময় ভাবতাম। আসলে কোরআন একটা স্মরণীয় জিনিস, যখনি তা আমার স্মৃতিতে জেগে ওঠে ভাবতেই ভালো লাগে যে কী চমৎকার এবং পূত-পবিত্র জিনিস আমার অস্তিত্ব জুড়ে বিরাজ করছে। আমি যেহেতু ইসলামের বিধি-বিধানগুলো যথার্থভাবে জানতাম না,তাই অস্ট্রেলিয়া ফিরে আসার পর স্বভাবগতভাবেই আমি উপলব্ধি করলাম যে অন্যায় বা গুনাহের পরিবেশ থেকে দূরে থাকা উচিত। বিশিষ্ট মুসলিম চিন্তাবিদ আবু হামেদ গাযযালী মনে করেন মানুষের চিন্তাগত পরিবর্তনকে মূল্যায়ন করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। সেজন্যেই সত্যকে উপলব্ধি করার যে আনন্দ এবং উত্তেজনা মানুষের ভাগ্যে জোটে সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তারপরও বহু নওমুসলিম এই অবস্থা বা পরিস্থিতিটা উপলব্ধি করেছেন। তাঁরা ইসলাম গ্রহণ করাকে এমন একটা নূরের প্রভাব বলে মনে করেন যা আল্লাহ তায়ালা তাদেঁর অন্তরে প্রজ্জ্বলিত করে দিয়েছেন এবং তাঁদেরকে সত্যের ঝর্ণাধারায় অবগাহিত করেছেন।
পাঠক! যাঁরা তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব চর্চা না করলেও মোটামুটি বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে পড়ালেখা করে তাদেঁর কৌতূহল মেটানোর চেষ্টা করে থাকেন, তাঁরা অস্ট্রেলিয় নওমুসলিম এইবাত বালদাচিনার কথাগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখবেন এবং নতুন কোনো বক্তব্য থাকলে কিংবা আপনাদের কোনো দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে তাও আমাদের জানাতে পারেন। মনে রাখবেন ইসলাম সবসময় গবেষণাকে প্রাধান্য দেয়। এমনকি কলমের কালিকে শহীদের রক্তের চেয়েও অনেক বেশি মূল্যবান বলে মনে করে।তাই গবেষণা করলে অনেক বেশি কল্যাণ পেতে পারেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই তৌফিক দিন।
সূত্র: পার্স টুডে
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/নভেম্বর ১২,২০১৮)
পাঠকের মতামত:
- ব্রাজিলে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই
- চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নেই স্টোকস, ফিরলেন রুট
- দেশের দীর্ঘতম ম্যারাথন ‘কোস্টাল আলট্রা’র নিবন্ধন শুরু
- ভারত ইস্যুতে কথা বলাতেই ছাত্রলীগ আমার ওপর হামলা করে: নুর
- যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ
- ২১ দিনেই প্রবাসী আয় এলো ২৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা
- বাতিল হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক’ প্রকল্প
- উদ্ধার হয়নি লুট হওয়া ১৪৫৬ আগ্নেয়াস্ত্র, নিরাপত্তায় বড় হুমকি
- না ফেরার দেশে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরাফাত, বিকেলে জানাজা
- হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারের দিকে তাকিয়ে ইউজিসি
- কাজের মাধ্যমে জনবান্ধব পুলিশ হতে চাই : ডিবি প্রধান
- ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের
- ঢাকার বাতাস আজ খুবই অবস্থ্যকর
- সিভিল সার্ভিসে বিশৃঙ্খলার শঙ্কা, কলমবিরতি-মানববন্ধন-সমাবেশের ঘোষণা
- ইয়েমেনে ফের যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা
- সংসদ নির্বাচন ইভিএমে হবে না, যন্ত্রগুলো কী করবে ইসি
- আগে তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা
- তিন বিভাগে বৃষ্টি, কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা
- এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি লাখ ছুঁই ছুঁই
- পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ১২ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা
- অবৈধ বাংলাদেশিদের আটক রাখতে ‘ডিটেনশন সেন্টার’ বানাবে মহারাষ্ট্র
- সাকিব-তামিম চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য ‘অ্যাভেইলেবল’: বিসিবি সভাপতি
- এশিয়া কাপজয়ীদের ৩ লাখ করে পুরস্কারের ঘোষণা বিসিবির
- জনগণের সঙ্গে প্রতারণার কোনো সুযোগ আর নেই: সাকি
- গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের খসড়া তালিকা প্রকাশ, দেওয়া যাবে মতামত ও তথ্য
- জঙ্গিবাদের উত্থান বাংলাদেশে হবে না: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
- ‘জনশক্তি’ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি : জাতীয় নাগরিক কমিটি
- চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, চাঁদাবাজ পরিবর্তন হয়েছে: হাসনাত
- সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
- গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
- মাওলানা সাদের অনুসারী মোয়াজ বিন নুর গ্রেপ্তার
- আরও আগেই আমার ইউক্রেন আক্রমণ করা উচিত ছিল: পুতিন
- টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়েছেন, বলছেন লিটন
- গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের
- এটা আমার জীবনের লাস্ট ইনিংস: মাহমুদুর রহমান
- হাসিনাকে উৎখাত করে ইকোনমিস্টের ‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার’ বাংলাদেশ
- সাবেক এমপি আনারের দেহাংশের সঙ্গে আংশিক মিলেছে মেয়ের ডিএনএ
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
- নিয়ন্ত্রণে আসেনি রেস্টুরেন্টের আগুন, ৬ জনকে উদ্ধার
- চাল-মুরগির দাম বাড়তি, বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ এখনো কম
- বেনাপোল সীমান্তে ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে মিলল তিন মরদেহ
- ভূমিকম্পে ভানুয়াতুতে নিহত বেড়ে ১৪
- আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে অশ্বিন
- অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর বৃষ্টি বাধা, ভেসে গেল ব্রিসবেন টেস্ট
- বাড়ছে শীত বাড়ছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ
- ব্যবসায়ীরা খুব শক্তিশালী, সেটা ভাঙা সহজ না : অর্থ উপদেষ্টা
- কেউ নির্বাচন করতে চাইলে ক্ষমতা ছেড়ে করতে হবে: সাখাওয়াত হোসেন
- মোদির বিতর্কিত পোস্ট : মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরল সরকার
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
- ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আ.লীগের গুম-খুনের জবাব দেব: তারেক রহমান
- কায়রোতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর সাক্ষাৎ
- সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
- রাশিয়ার রাসায়নিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বোমা হামলায় নিহত
- ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক
- এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান ৩ দিনের রিমান্ডে
- সাদপন্থিদের ধৈর্য ধরতে বললেও কথা রেখেনি : হাসনাত আব্দুল্লাহ
- গুমের ঘটনায় হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মাইকেল চাকমার অভিযোগ
- ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
- কর্মীদের বেতন বাড়ালেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট, সর্বোচ্চ ৫০%
- ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ
- ইজতেমা মাঠ দখল নিয়ে মুসল্লিদের দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ২
- স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত ৩ লাখ ৬ হাজার শিক্ষার্থী
- নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুত কমিশন : সিইসি
- স্ত্রী ও ভাইসহ সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা
- হাসিনা-রেহানা-জয়ের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত
- তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে আনা সংশোধনী অবৈধ: হাইকোর্ট
- ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ কনসার্টে মাতোয়ারা লাখো জনতা
- ভানুয়াতুর রাজধানীতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
- আসাদ বললেন তিনি কখনোই রাশিয়ায় পালাতে চাননি
- মালয়েশিয়াকে ২৯ রানে গুটিয়ে ১২০ রানে জিতল বাংলাদেশ
- বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টি
- পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেয়া হবে: কমিশন
- সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর জামিন স্থগিত থাকবে
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির আ. লীগ সরকারের ১২ মন্ত্রীসহ ১৬ জন
- বিডিআর হত্যাকাণ্ড : ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন
- কর্মীদের বেতন বাড়ালেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট, সর্বোচ্চ ৫০%
- ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ কনসার্টে মাতোয়ারা লাখো জনতা
- ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
- আরও আগেই আমার ইউক্রেন আক্রমণ করা উচিত ছিল: পুতিন
- ইজতেমা মাঠ দখল নিয়ে মুসল্লিদের দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ২
- ছাত্রলীগের সাবেক ক্যাডারকে আর্থিক গোয়েন্দার প্রধান করতে ফ্যাসিস্টরা তৎপর
- এটা আমার জীবনের লাস্ট ইনিংস: মাহমুদুর রহমান
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
- ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
- বিডিআর হত্যাকাণ্ড : ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন
- পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করা হয়
- বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টি
- ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আ.লীগের গুম-খুনের জবাব দেব: তারেক রহমান
- আসাদ বললেন তিনি কখনোই রাশিয়ায় পালাতে চাননি
- পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেয়া হবে: কমিশন
- হাসিনাকে উৎখাত করে ইকোনমিস্টের ‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার’ বাংলাদেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির আ. লীগ সরকারের ১২ মন্ত্রীসহ ১৬ জন
- সাদপন্থিদের ধৈর্য ধরতে বললেও কথা রেখেনি : হাসনাত আব্দুল্লাহ
- গুমের ঘটনায় হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মাইকেল চাকমার অভিযোগ
- মালয়েশিয়াকে ২৯ রানে গুটিয়ে ১২০ রানে জিতল বাংলাদেশ
- হাসিনা-রেহানা-জয়ের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত
- ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক
- তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে আনা সংশোধনী অবৈধ: হাইকোর্ট
- স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত ৩ লাখ ৬ হাজার শিক্ষার্থী