অস্ট্রেলিয় ক্যাথলিক খ্রিস্টান নারীর ইসলাম গ্রহণের ইতিকথা
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ইসলাম হচ্ছে একটা বিশ্বজনীন জীবন বিধান। পৃথিবীর যে-কোনো বংশ-গোত্রের লোকই ইসলামের পথে যে-কোনো সময় আসতে পারে। কারো জন্যেই কোনোরকম বাধা নেই কিংবা ইসলামে প্রবেশের ব্যাপারে গোত্র বা বংশ বিশেষের কোনোরকম তুলনামূলক প্রাধান্যও নেই।
ইসলাম সেই আবির্ভাবের সূচনা থেকেই যে ব্যাপারে আকর্ষণীয় ছিল তা হলো চমৎকার সব নৈতিক শিক্ষা, আধ্যাত্মিক এবং আত্মগঠন সংক্রান্ত মৌলিক শিক্ষা। আর এসব আকর্ষণীয় শিক্ষার মূল প্রোথিত রয়েছে পবিত্র আল-কোরআনে। আল কোরআনের উচ্চতর চিন্তাধারা এবং উন্নত ও শক্তিমান জ্ঞানের প্রবাহ মানুষকে নিয়ে যায় জীবন উৎকর্ষের রাজপথে। কোরআন এ পথে যেতে মানুষকে যথার্থ দিক-নির্দেশনা দেয়। ইসলাম মানুষকে দেয় স্বাধীনতা ও চিন্তার ভারসাম্য, সেইসাথে দৃষ্টিভঙ্গির উর্ধ্ব থেকে উর্ধ্বতর দিগন্তে পাখা মেলা এবং সত্য আবিষ্কারের অবাধ অধিকার। এই অধিকার চর্চা করেই ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসেছেন এইবাত বালদাচিনা নামের এক রমনী। তাঁর মুসলমান হবার ইতিকথা নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা।
এইবাত বালদাচিনার বয়স একত্রিশ বছর। কিছুকাল আগে তিনি মুসলমান হয়ে নিজের নাম রাখেন সুরাইয়া। নওমুসলিম এই মহিয়সী নারী অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী। তাঁর মা হলেন ব্রিটিশ আর পিতা হলেন ইতালীয়। ছোট বেলায় তাঁকে ক্যাথলিক খ্রিস্টান হিসেবে বারিস্নান দেওয়া হয়েছিল। সুরাইয়া তাঁর পুরো শিক্ষাজীবন কাটিয়েছেন ক্যাথলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সমাজ বিজ্ঞানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করেছেন। স্বয়ং সুরাইয়া এ সম্পর্কে বলেছেনঃ
"আমি এক খ্রিষ্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। কিন্তু সেই কিশোরী বয়সেই আমার ভেতর একটা বিষয় আমি অনুভব করতাম। সেটা হলো আমি ভাবতাম যে নিশ্চয়ই এই বিশ্বের স্রষ্টা একক কোনো সত্ত্বা হবেন। ত্রিত্ববাদ বা তিন খোদার বিষয়টি আমার কাছে কেন যেন গ্রহণযোগ্য বলে মনে হতো না। আমার মনে হতো ইঞ্জিল গ্রন্থে কোনো কোনো নবীর ব্যাপারে যেসব অন্যায় বিষয়-আশয় আরোপিত হয়েছে সেসব কিছুতেই আল্লাহর পক্ষ থেকে হতে পারে না। কিন্তু আমি যেই ক্যাথলিক খ্রিষ্টান পরিবেশে বেড়ে উঠেছি সেখানে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে গবেষণা করার কোনো সুযোগ ছিল না।"
এইবাত বালদাচিনা আরো বলেন, "আমার বয়স যখন নয় বছর,তখন আমাকে পাদ্রির কাছে নিয়ে যাওয়া হলো স্বীকার করার জন্যে। স্বীকার মানে হলো পাদ্রি আমার কাছে চাচ্ছিলো-আমি যেন স্বীকার করি গত সপ্তার দিনগুলোতে আমি কী কী গুনাহ বা অন্যায় কাজ করেছি।স্বীকার করার কারণ হলো তাতে গুনাহের বোঝা হালকা হয়ে যাবে। আমি তাকে বললাম গত সপ্তায় আমি কোনোরকম অন্যায় কাজে লিপ্ত হই নি। আর যদি কোনোরকম গুনাহ বা অন্যায় কাজ করিও,তাহলে আমি সরাসরি খোদার কাছে বলবো,তাঁর কাছে তওবা করবো।"
অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী মিস এইবাত নিজের ধর্মের শিক্ষাগুলোর ব্যাপারে সন্দেহ করতেন বলে অন্য ধর্ম নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন। তিনি বলেন, এক স্রষ্টাকে অন্বেষণ করতে গিয়ে প্রাচ্যের ধর্মগুলো নিয়ে পড়ালেখা শুরু করলাম।অবশ্য প্রথমে ইসলাম থেকে দূরত্ব বজায় রাখলাম, কেননা আমাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইসলাম সম্পর্কে ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণা ছিল। আমাদেরকে বোঝানো হতো যে ইসলামে নারীকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয় এমনকি মানুষই মনে করা হয় না। হিন্দুত্ববাদ নিয়ে পড়ালেখা করলাম।কিন্তু আমার কাছে মোটেই আকর্ষণীয় মনে হলো না। বৌদ্ধবাদ তারচেয়ে অনেকটা ভালো বলে মনে হলো। কিন্তু তাদের চিন্তাভাবনাগুলো খুব একটা যৌক্তিক বলে মনে হয় নি আমার। এগুলো আমার তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হলো না। এইবাতের ভেতরে সত্য সন্ধানী কৌতূহলী একটা সুরের অনুরণন খেলে যাচ্ছিল, তিনি আনমনেই সেদিকে ছুটলেন। স্রষ্টাকে খুঁজে ফেরার আকর্ষণ তাঁর ভেতরে ধীরে ধীরে শিখার প্রজ্জ্বলিত হতে লাগলো। সেই আলোয় তিনি সত্যের পথ অন্বেষণে ধাবিত হলেন। এরকম একটা সময়ে তাঁর মা মিশর সফরে যান। তার কিছুদিন পর মিস এইবাতও মিশর সফরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানেই তাঁর ভেতরে জাগরণের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ দেখা দিল। তাঁর ভাষায়ঃ
"যখন মিশর অভিমুখী বিমানের ভেতর ছিলাম,হেডফোন কানে লাগিয়ে রেডিও শুনছিলাম। রেডিও শুনবো কী! কেবল নব ঘুরাচ্ছিলাম। ওয়েব ব্যাণ্ড বা তরঙ্গের পর তরঙ্গে নব ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খেলা করছিলাম। হঠাৎ করে বিশেষ একটা রিদমিক সুর কানে বেশ ভালো লাগলো। সম্ভবত আরবি ভাষার সঙ্গীত ছিল। সুরটা আমার কাছে এতো বেশী স্বস্তিদায়ক এবং প্রশান্তিকর ছিল যে বিমানে যতোক্ষণ ছিলাম আমি আর ঐ ব্যান্ডটা পাল্টাই নি। যদিও আমি জানতাম না এর অর্থ কী! যাই হোক, মিশরে সবকিছুই আমার ভালো লাগল। গরিব মুসলমানদেরকেও দেখলাম অভাব-অভিযোগ সত্ত্বেও বেশ উদার এবং নিজেদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট। এটা বেশ অবাক করার মতো ব্যাপার ছিল, কেননা পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে মানুষেরা সেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুধু টাকার পেছনে ছোটে, তারপরও তারা সবসময় অতৃপ্ত এবং অসন্তুষ্ট। পাশ্চাত্যে একটা মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত কর্মঠ থাকে ততোক্ষণ তাকে মূল্যায়ন করা হয়। বয়স্ক বা বৃদ্ধরা সেখানে বৃদ্ধাশ্রমে কাটায়। অথচ মুসলমানরা বয়স্কদেরকে বেশ সম্মান করে। ভ্যাপারটা আমাকে বেশ আকৃষ্ট করল। পরে বুঝলাম এটা তাদের ইসলামী সংস্কৃতিরই অঙ্গ। মুসলমানরা রমযান মাসে রোযা রাখে এবং নিজেদের আচার-আচরণের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকে। ইসলামে পারিবারিক ব্যবস্থাটি বেশ মার্জিত। ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের সাথে পূত-পবিত্র জীবন যাপন করে। সাধারণত অন্যায়ের কেন্দ্রগুলো থেকে তারা দূরত্ব বজায় রাখে। আর এই সুন্দর ব্যবস্থাপনাগুলো অপর ধর্মের লোকজনকে ইসলামে দীক্ষিত হলো অনুপ্রাণিত করে। এজন্যেই লক্ষ্য করা গেছে গত বছর ইউরোপে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছে। এদের বেশিরভাগই হলেন শিক্ষিত শ্রেণী। বিশ্বব্যাপী বর্তমানে যেভাবে ফেৎনা ফাসাদে, যুদ্ধ-বিগ্রহ, শোষন-নিপীড়ন লেগেই আছে তাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। শিক্ষিত শ্রেণী তাই নীতি-নৈতিকতা আর চিন্তা-চেতনার নবমূল্যায়নের পেছনে ছুটছে। এভাবে গবেষণা করতে গিয়েই তারা ইসলামের যুগোপযোগী অনাবিল আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলামের দাওয়াত গ্রহণ করে নিজেদের জীবনকে ধন্য করার অবকাশ পাচ্ছে।
২.
ইউরোপে যারা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে তাদের বেশিরভাগই শিক্ষিত শ্রেণীর। কেননা বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিরতা আর শোষণ-বঞ্চনাক্লিষ্ট মানুষ এখন নিরূপায় হয়ে একটা সুষ্ঠু সমাধান আশা করছে। সেই লক্ষ্যেই চিন্তাশীল ব্যক্তিরা গবেষণা চালাচ্ছেন। আর যারাই গবেষণা চালাতে গিয়ে ইসলামী আদর্শ নিয়ে পড়ালেখা করেন তারাই অনন্য এই আদর্শের মোহে বিমুগ্ধ হয়ে যান এবং ইসলাম গ্রহণ করে নিজেদের জীবনকে ধন্য করে তোলেন।কেননা তাঁরা যে আদর্শ বা পরিত্রাণের যেরকম মাধ্যম খুজেঁ বেড়ান সে সবই খুজেঁ পান ইসলামে। বেলজিয়ামের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন লওজ ওয়ার সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে লিখেছে,চল্লিশ হাজারেরও বেশি বেলজিয়ান নাগরিক গেল ক'বছরে মুসলমান হয়েছে। বেলজিয়ামের মোট জনসংখ্যা এক কোটির মতো। তার মাঝে মুসলমানদের সংখ্যাই হলো সাড়ে চার লাখ। এই পরিসংখ্যান উল্লেখ করে সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনটি লিখেছেঃ এভাবে এতাটা দ্রুততার সাথে যদি বেলজিয়ানরা ইসলাম গ্রহণ করতে থাকে তাহলে ২ হাজার ১২ সালের মধ্যে বেলজিয়ামে মুসলমানদের সংখ্যা পাঁচ লাখে পৌঁছে যাবে। যেসব বেলজিয়ান ইসলামে দীক্ষিত হয়েছেন তাদের এই ধর্মান্তরের পেছনে যে যুক্তিটি তারা দেখান তাহলো ইসলামে মানুষ এবং খোদার মাঝে কোনোরকম মাধ্যম বা তৃতীয় পক্ষের অস্তিত্ব নেই। তাদের দৃষ্টিতে আধ্যাত্মিক জীবনে পবিত্রতার ক্ষেত্রে ইসলামের যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। মিস এইবাত বলেন, মিশরে একদিন এক কফি হাউজের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ কানে ভেসে এলো সেই মিষ্টি মধুর আওয়াজ-বিমানের ভেতর রেডিওতে যা শুনে আমি প্রশান্তি পাচ্ছিলাম। আমি পেরেক বিদ্ধের মতো দাঁড়িয়ে গেলাম। জানতে চাইলাম এটা কিসের শব্দ।বললো এ হচ্ছে কোরআন তেলাওয়াতের শব্দ। আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করে ঐ কোরআনের একটা ইংরেজি সংস্করণ জোগাড় করে পড়লাম। আমি ভীষণভাবে কোরআনের আয়াতের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে পড়লাম। আমি বিস্ময়কর এই গ্রন্থে জীবনের পরিপূর্ণ বিধি-বিধান লক্ষ্য করলাম। দেখলাম সবকিছুই যৌক্তিক এবং বাস্তবায়নযোগ্য।এমন কোনো বিষয় নেই যার সম্পর্কে কোরআনে বলা হয় নি।কোরআনের যে বাচনভঙ্গি,অন্যদের সাথে সম্পর্কের যে প্রক্রিয়া,হালাল-হারামের ব্যাপারে যেরকম গুরুত্বারোপ, জ্ঞান,মনোবিজ্ঞান, পরিবার, প্রশিক্ষণ, শাসনকার্য ইত্যাদি সকল কিছুই ইসলামে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আমি ইঞ্জিলের পরিবেশের মধ্যে বড়ো হয়েছি তবে আমার মনে হতো ইঞ্জিলের একটা অংশ খোদার বক্তব্য নয়। সে রাতে আমি যখন আমার রুমে কোরআন পড়লাম ঠিক তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম ইঞ্জিল এবং কোরআনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কোরআনের যে বক্তব্য তা এক আল্লাহর পক্ষ থেকে আর তার অর্থও একদম যথার্থ এবং সুস্পষ্ট। ঐ রাতে আমি সকাল পর্যন্ত কোরআন পড়েছি। অবশেষে আমি এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছলাম যার সাথে আমার চিন্তার সাযুজ্য রয়েছে। আমি ভাবতাম ইসা (আ) কিছুতেই খোদা হতে পারে না। যদি তিনি খোদাই হতেন তাহলে তিনি এই মর্তলোকে বসে কার দরবারে মোনাজাত দিতেন? মূলত যিনি খোদা,তাঁর তো মুনাজাত দেওয়ারই প্রয়োজন নেই। কোরআন সুস্পষ্টভাবে এবং সরাসরি বলেছেঃ হে আহলে কিতাব! তোমরা তো ইসা (আ) কে খোদার পুত্র বলে অভিহিত করো,অথচ তিনি কেবল একজন পয়গাম্বর মাত্র। কোরআন আমাকে এমনভাবে আকৃষ্ট করলো যে পরদিন সকালে আমি আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেলাম এবং মুসলমান হয়ে গেলাম। মিস এইবাত ইসলাম গ্রহণ করাটাকে অভ্যন্তরীণ পবিত্র যে আহ্বান আছে তার ডাকে সাড়া দেওয়া বলে মনে করেন এবং তিনি বিশ্বাস করেন কোরআনের প্রাণদায়ী আয়াতগুলোর আলোকরশ্মি সৌন্দর্য আর নূরের জানালা দিয়ে তাঁর চেহারায় এসে পড়েছে। তিনি বলেন যখন কোরআন পড়লাম, এ বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারলাম যে এই গ্রন্থের শিক্ষাগুলো সেই মহান জিনিস যেগুলোকে সবসময় নিজের ভেতর লালন করতাম এবং সেসব নিয়ে সবসময় ভাবতাম। আসলে কোরআন একটা স্মরণীয় জিনিস, যখনি তা আমার স্মৃতিতে জেগে ওঠে ভাবতেই ভালো লাগে যে কী চমৎকার এবং পূত-পবিত্র জিনিস আমার অস্তিত্ব জুড়ে বিরাজ করছে। আমি যেহেতু ইসলামের বিধি-বিধানগুলো যথার্থভাবে জানতাম না,তাই অস্ট্রেলিয়া ফিরে আসার পর স্বভাবগতভাবেই আমি উপলব্ধি করলাম যে অন্যায় বা গুনাহের পরিবেশ থেকে দূরে থাকা উচিত। বিশিষ্ট মুসলিম চিন্তাবিদ আবু হামেদ গাযযালী মনে করেন মানুষের চিন্তাগত পরিবর্তনকে মূল্যায়ন করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। সেজন্যেই সত্যকে উপলব্ধি করার যে আনন্দ এবং উত্তেজনা মানুষের ভাগ্যে জোটে সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তারপরও বহু নওমুসলিম এই অবস্থা বা পরিস্থিতিটা উপলব্ধি করেছেন। তাঁরা ইসলাম গ্রহণ করাকে এমন একটা নূরের প্রভাব বলে মনে করেন যা আল্লাহ তায়ালা তাদেঁর অন্তরে প্রজ্জ্বলিত করে দিয়েছেন এবং তাঁদেরকে সত্যের ঝর্ণাধারায় অবগাহিত করেছেন।
পাঠক! যাঁরা তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব চর্চা না করলেও মোটামুটি বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে পড়ালেখা করে তাদেঁর কৌতূহল মেটানোর চেষ্টা করে থাকেন, তাঁরা অস্ট্রেলিয় নওমুসলিম এইবাত বালদাচিনার কথাগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখবেন এবং নতুন কোনো বক্তব্য থাকলে কিংবা আপনাদের কোনো দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে তাও আমাদের জানাতে পারেন। মনে রাখবেন ইসলাম সবসময় গবেষণাকে প্রাধান্য দেয়। এমনকি কলমের কালিকে শহীদের রক্তের চেয়েও অনেক বেশি মূল্যবান বলে মনে করে।তাই গবেষণা করলে অনেক বেশি কল্যাণ পেতে পারেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই তৌফিক দিন।
সূত্র: পার্স টুডে
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/নভেম্বর ১২,২০১৮)
পাঠকের মতামত:
- জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব
- গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
- গণঅভ্যুত্থানের ছাপ রেখে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবল
- আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
- খেজুরের আমদানি শুল্ক কমল, থাকছে না অগ্রিম করও
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: শুনানি শেষ, রায় যেকোনো দিন
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির আকার বাড়ল
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ
- খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : ফখরুল
- বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস
- সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে
- "সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত"
- এদের রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না : নতুন সিইসি
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পেলেন এ এম এম নাসির উদ্দীন
- ডিএসইর পরিচালক নাহিদ হোসেন ওএসডি
- ম্যাচ শেষের আগেই মাঠ ছাড়ল কসোভো, রোমানিয়াকে জয়ী ঘোষণা
- ২০২৫ সালে ভারতের কেরালায় খেলবে আর্জেন্টিনা
- পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে
- বিদায় বেলায় ঢাকায় আসছে বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
- হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
- সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
- রাজধানীর পয়েন্টে পয়েন্টে অবরোধ অটোরিকশাচালকদের, যান চলাচল বন্ধ
- এবার শুনানিতে উঠছে জামায়াত নিবন্ধনের আপিল
- "বিচারের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের বিচার ট্রাইব্যুনালে নয়"
- আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা
- ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা
- সাত কলেজকে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
- ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
- ফ্যাসিস্টের মতো কারও ভয়েস কেড়ে নেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
- মুজিববর্ষ উদযাপনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের খরচ ১২৬১ কোটি
- নির্বাচনে হস্তক্ষেপ রুখে দেওয়ার বিধান চায় ইসি
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন
- সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে ১২ কোটি টাকা জরিমানা
- আমাকে দেশনায়ক-রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না: তারেক রহমান
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- দূষণ ধুয়ে ফেলতে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টির আবেদন
- সমন্বিত হিসাবে ঘাটতি: দুই ব্রোকারেজ হাউজকে জরিমানা
- আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব পেলেন নীড়
- খেলাপিদের ঘটিবাটি বিক্রি করে অর্থ আদায় করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
- খালেদা জিয়ার কাছে পৌঁছাল সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণপত্র
- বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ কিন্তু সফল হয়নি: হাসনাত
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায়: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- আ. লীগের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নেই: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- সন্দেহটা কোথায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন ফখরুলের
- টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে চারজন নিহত
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেফতার
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সাথে হজ এজেন্সি প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দিলেন বাইডেন
- আইসিবির লভ্যাংশ ঘোষণা
- হালান্ডের আরও এক হ্যাটট্রিক, আইরিশদের গোলবন্যায় ভাসাল ইংল্যান্ড
- প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের ৭ উইকেটে ২৫৩
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- আগামী বছর ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৭ দিন
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- সব অপরাধের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা, মন্ত্রী-এমপিরা ছিলেন সহযোগী
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- পাকিস্তান থেকে ২৯৭ টিইইউএস কনটেইনারে যেসব পণ্য এলো
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- ইসলামী ব্যাংকে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তাদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- তৃতীয়বারের মত সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- হাসিনার জন্য আরেকটি তাজমহল বানান: ভারতকে রিজভী
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ৩৩ শতাংশের বেশি
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- এ যুদ্ধ তো হবেই, কোন না কোন ফর্মেটে: উপদেষ্টা মাহফুজ
- সামরিক কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল ৬০ দিন
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া