ইমাম আন-নববী (রহ) এর সংকলিত চল্লিশ হাদীস – তিন
ইসলামের বুনিয়াদ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আবু আব্দুর রহমান আব্দুল্লাহ্ বিন উমার বিন আল-খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন- আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ
পাঁচটি জিনিসের উপর ইসলামের বুনিয়াদ রাখা হয়েছে- সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন সত্য মা’বূদ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল, সালাত কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, আল্লাহর ঘরের হজ্জ করা এবং রমাদানে সওম পালন করা। [বুখারীঃ ৭, মুসলিমঃ ২১]
হাদীসের পটভূমি
এই হাদীসটি হাদীসে জিব্রীল (আ) অর্থাৎ আগের পর্বে আমরা যে হাদীসটি নিয়ে আলোচনা করেছি তারই একটি অংশ। অধিকাংশ আলিম বলেন যে, পূর্ববর্তী হাদিসে এই হাদিসের প্রতিপাদ্য বিষয় চলে আসার পরেও ইমাম আন-নাওয়াবী (রহ) এই হাদীসটিকে আলাদা ভাবে এই চল্লিশটি হাদীসের অন্তর্ভুক্ত করার কারণ হচ্ছে ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের গুরুত্ব। এই হাদীসটিতে আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণের বাহ্যিক বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আল্লাহর প্রতি এই আত্মসমর্পণের বাহ্যিক নিদর্শনগুলো মূলত পাঁচটি স্তম্ভের সমন্বয়ে গঠিত যা অনেকটা অবকাঠামোগত গঠনের মতো। যদি কেউ এই বিষয়গুলোকে পূর্ণ করে তাহলে সে শক্ত গাঁথুনির মাধ্যমে তার দ্বীনের ঘরকে প্রতিষ্ঠা করলো।
ইসলামের অন্য কাজ গুলো যেগুলো এই হাদীসে উল্লেখ করা হয়নি সেগুলোকে ঐ ঘরের পরিপূর্ণতাদানকারী উপাদান হিসেবে ধরা যেতে পারে। যদি কেউ এই বিষয়গুলো (এই হাদীছে উল্লেখিত বুনিয়াদগুলো) পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার ঈমান বা দ্বীনের সম্পূর্ণ গঠনটি চরম ভাবে হুমকীর সম্মুখীন হবে।
শিক্ষা
এই হাদীসটিতে একটি নির্দিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অর্থকে স্পষ্ট করে বোঝানোর জন্য পাঠকের (শ্রোতার) সামনে একটি ছবিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, অর্থাৎ visualize করা হয়েছে। যেখানে একটি স্থাপত্যের অস্তিত্বকে কয়েকটি স্তম্ভের উপর কল্পনা করেছে। একটি ছবি এক মিনিটে যে ভাব দর্শকের কাছে প্রেরণ করতে পারে, তা ব্যাখ্যা করতে হয়তো পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে যেতে হয়। এভাবেই রাসূলুল্লাহ (সঃ) সাহাবাদেরকে ইসলামের বাহ্যিক রূপকে সহজে বুঝাতে এই রূপকায়ন (Metaphoric) পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। এই পদ্ধতিটি কোরআন ও হাদীসের আরও অনেক জায়গায় প্রয়োগ করা হয়েছে। উদাহরণ স্বরুপ,
সুরা আত-তাওবার ১০৯ নং আয়াতে একই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে,
“তাহলে তুমি কি মনে করো , যে ব্যক্তি আল্লাহ ভীতি ও তার সন্তুষ্টি অর্জনের উপর নিজের ইমারতের ভিত্তি স্থাপন করলো সে ভাল, না যে ব্যক্তি তার ইমারতের ভিত উঠালো একটি পতাকার স্থিতিহীন ফাঁপা প্রান্তের ওপর এবং তা তাকে নিয়ে সোজা জাহান্নামের আগুনে গিয়ে পড়লো? এ ধরনের জালেমদের কে আল্লাহ কখনো সোজা পথ দেখান না৷” [সূরা আত-তাওবা : ১০৯]
সুরা নূরেও আল্লাহ একই ভাবে বলেছেনঃ
“তারা যেন সেদিনের কথা ভুলে না যায় যেদিন তাদের নিজেদের কন্ঠ এবং তাদের নিজেদের হাত-পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে৷” [সূরা আন-নূর : ২৪]
যারা আমানত রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করতেও এই রূপকায়ন (Metaphoric) পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, যা আমরা সুরা জুম’আ এর ৫নং আয়াতে পাই। যেমন বলা হয়েছে
“﴿مَثَلُ الَّذِينَ حُمِّلُوا التَّوْرَاةَ ثُمَّ لَمْ يَحْمِلُوهَا كَمَثَلِ الْحِمَارِ يَحْمِلُ أَسْفَارًا ۚ بِئْسَ مَثَلُ الْقَوْمِ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِ اللَّهِ ۚ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ﴾
“যাদেরকে তাওরাতের বাহক বানানো হয়েছিল, কিন্তু তারা তা বহন করেনি তাদের উপমা সেই সব গাধাদের মত যেগুলো বই-পুস্তক বহন করে৷ এর চেয়েও নিকৃষ্ট উপমা সেই সব লোকদের, যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছে৷ আল্লাহ এ রকম জালেমদের হিদায়াত দান করেন না৷” [সূরা জুমুআ : ৫]
বনী ইসরাইল আল্লাহর আদেশ মান্য করতে ব্যর্থ হওয়ার এভাবেই তাওরাতে তাদেরকে গাধার সাথে তুলনা করা হয়েছিলো।
একটি হাদীসে রাসূলুল্লাহ (স) মুসলিম উম্মাহ কে তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করেছেন। এক শ্রেণী হল তারা, যারা আল্লাহর বাণী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। আরেকশ্রেণী আল্লাহর বার্তা থেকে অর্ধেক শিক্ষা গ্রহণ করে। আর বাকিরা কিছুই শিক্ষা হিসেবে নিতে পারে না। এই বিষয়টি বোঝাতে রাসুল (স) বৃষ্টির উদাহরণ দিয়েছেন। যখন বৃষ্টি পড়ে তখন জমিনের বিভিন্ন স্থান বিভিন্ন রকম ভাবে প্রভাবিত হয়। সমতল ভূমিতে বৃষ্টি পড়লে সে একফোটা পানিও ধরে রাখতে পারে না; এটি হল শেষ শ্রেণীর লোকদের উদাহরন। ছোট ছোট গর্ত গুলো কিছুটা পানি ধরে রাখতে পারলেও তা দ্বারা অন্যের কোন উপকার হয় না; এটি হল দ্বিতীয় শ্রেণীর লোকদের উদাহরণ। কিন্তু বড় বড় পুকুর খাল, দীঘি এবং বিল প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টির পানি ধরে রাখে যা থেকে সবাই উপকৃত হয়। আর এটি হল প্রথম শ্রেণীর লোকদের উদাহরণ।
ভিজুয়ালাইজেশনের এই পদ্ধতিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ্ধতি যা রাসুল (স) হাদীসে এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে ব্যবহার করেছেন। ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্যে কোরআন ও হাদীসে বিভিন্ন ধরনের ভাব প্রণালী ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন অবিশ্বাসীদের মিথ্যা অনুমান এবং ভুল বোঝাবোঝিকে মোকাবেলা করতে যৌক্তিক চিন্তাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা দেয়ার ক্ষেত্রে ভিজুয়ালাইজেশনের পদ্ধতি বেছে নেয়া হয়েছে। এগুলো এমন ভাবে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে যে সহজেই আমাদের চোখে একটি কল্প-চিত্র ফুটে উঠে।
একজন সাহাবী একদিন বললেন যে তিনি ইতিমধ্যেই জান্নাত ও জাহান্নাম দেখে ফেলেছেন। একথা শুনে তো অন্য সাহাবাগণ ধাঁধাঁয় পড়ে গেলেন। তাঁরা তাঁকে প্রশ্ন করলেন “এটা কিভাবে সম্ভব যখন কেউই কিয়ামতের আগে এগুলো দেখতেই পাবে না?” তখন তিনি বললেন, “আমি তাদেরকে রাসূলের (সাঃ) চোখ দিয়ে দেখেছি, যদি আমাকে আমার নিজের চোখে জান্নাত ও জাহান্নাম দেখার সুযোগ দেয়া হয় আমি আমার চোখকেও বিশ্বাস করবো না। আমি আমার নিজের চোখের চেয়ে রাসূলের (সাঃ) চোখকেই বেশী বিশ্বাস করি।” এই উক্তি থেকে আমরা এতটুকু বুঝতে পারি যে যদি আমরা কুরআন ও হাদীসকে পড়ি এবং বুঝি তাহলে আমরাও সাহাবাদের মতো জান্নাত ও জাহান্নামকে ভিজুয়ালাইজ করতে পারবো।
আল্লাহর ঐশী বাণী ও রাসূলের বাণী সকলের কাছে কার্যকর ভাবে পৌছে দেয়ার জন্য কোরআন ও হাদীসে ব্যবহৃত ভাবপ্রকাশের এইসব পদ্ধতিগুলোকে আমাদের ভালোভাবে বোঝা ও ব্যবহার করা দরকার।
প্রথম স্তম্ভঃ শাহাদাহ বা সাক্ষ্য
কালেমার প্রথম অংশটা হল একথা সাক্ষ্য দেয়া এবং স্বীকার করা আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। কালেমার সাতটি শর্ত আছে।
জ্ঞানঃ কালেমার নিগূঢ় অর্থ অনুধাবন করা
নিশ্চিত বিশ্বাসঃ কুরআন ও সুন্নাহর কোন কিছুর ব্যাপারে সন্দেহ না করা
মেনে নেয়াঃ হৃদয় ও মুখ দ্বারা কালেমার সকল দিককের সাথে একমত হওয়া
সমর্পণ করাঃ মানসিক ও শারীরিক উভয় ভাবেই আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করা
সততাঃ সত্যিকার অর্থেই কালেমায় বিশ্বাস করা। মনে বিন্দুমাত্রও বিপরীত কোন কিছু না রাখা
ইখলাসঃ একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই কালেমায় বিশ্বাস স্থাপন করা
ভালোবাসাঃ কালেমাকে, এর প্রয়োগকে এবং এর কর্তব্যগুলোকে ভালোবাসা
ঈমানের সাক্ষ্য বা কালেমার মাহাত্ম্য শুধু মুখেই উচ্চারণের বিষয় নয়, মুখে কালেমা বলার পাশাপাশি উপরোক্ত শর্তগুলিও আমাদেরকে পূরণ করতে হবে। যদি আমরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে, একাগ্রতা এবং সততার সাথে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই কালেমায় বিশ্বাস স্থাপন করে থাকি তাহলে আমাদের দ্বারা এমন কোন কাজ হওয়া সম্ভব নয় যা এই কালেমার সাথে বৈপরীত্য রাখে।
কালেমার দ্বিতীয় অংশ হল রাসূল (স) কে আল্লাহর প্রেরিত রাসূল হসেবে মানা, কালেমার এই অংশেরও কিছু শর্ত আছে। যেমন,
রাসূল (স) এর উপর এবং তার কথা ও কাজের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা
তাঁর যেকোন আদেশকে মান্য করা
তাঁর নিষেধকৃত যেকোন বিষয়াদি থেকে দূরে থাকা
আমাদের ইবাদাত, চরিত্র এবং জীবনাচরণে তাঁকে অনুসরণ করা
তাঁকে নিজের, পরিবার পরিজন ও দুনিয়ার যে কোন কিছুর চেয়ে বেশী ভালোবাসা
তাঁর সুন্নাহকে সর্বোত্তম ভাবে বুঝা এবং তদানুযায়ি আমল করা
দ্বিতীয় স্তম্ভঃ নামাজ কায়েম করা
এই হাদীসের কিছু ব্যাখ্যায় ‘ইকামাতুস সালাত’ বলতে শুধুমাত্র “নামাজ পড়াকে” বুঝানো হয়েছে। কিন্তু, ‘ইকামাতুস সালাত’ মূলত অনেক বৃহৎ একটি পরিভাষা। যা নামাজ পড়ার গন্ডিকেও ছাড়িয়ে যায়। আলিমগণ ‘ইকামাতুস সালাত’ বলতে নিম্নের বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
সঠিক ভাবে অজু করা
সময় মতো নামাজ আদায় করা
জামায়াতের সাথে নামাজ আদায় করা যেখানে একাকী নামাজ পড়ার চাইতে ২৭ গুণ বেশী নামাজের সওয়াব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
নামাজের ছয়টি শর্ত মেনে নামাজ পড়া
নামাজে বিনম্রতা, বিনয়ী ভাব ও নামাজের উপযুক্ত আদব মেনে নামাজ আদায় করা।
নামাজের মধ্যে সুন্নাহগুলো মেনে চলা
আমাদের সম্ভবত সবারই একথা জানা আছে যে, প্রথমে আল্লাহ আমাদের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছিলেন। পরবর্তীতে সেটা পাঁচ ওয়াক্তে নামিয়ে আনা হয় যদিও পঞ্চাশ ওয়াক্তের সওয়াবে কোন কমতি করা হয়নি অর্থাৎ আমরা এখন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছি তারজন্য পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজের সওয়াবই দেয়া হবে। এটা বান্দার প্রতি আল্লাহর অসীম দয়ার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। নামাজের সময় গুলোকে অত্যন্ত পরিকল্পিত ও যৌক্তিক ভাবেই সারাদিনব্যাপী বিন্যস্ত করা হয়েছে। এটা এমন ভাবে করা হয়েছে যে, আমরা আমাদের প্রতিদিনের রুটিন নামাজকে কেন্দ্র করেই সাজাতে পারি। আমাদের প্রতিদিনের কাজকর্মকে সুন্দর একটি ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার জন্য আমরা যদি নামাজের সময় গুলোকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে ধরি, তাহলে আমাদের সারাদিন একটি অসাধারণ নিয়মানুবর্তিতার আওতায় চলে আসবে যা সবদিক থেকে একজন মানুষের জন্য কল্যাণকর।
তৃতীয় স্তম্ভঃ যাকাত
বর্তমান আর্থ-সামাজিক বিপর্যয়পূর্ণ পরিস্থিতিতে, যখন বিশ্ব-অর্থনীতি মুমূর্ষু অবস্থায় ধুকছে, ঠিক তখন যাকাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সমাধান হতে পারে। এই যাকাত একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর লোকদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত সাপেক্ষে মানুষের উপর ফরজ করা হয়েছে। তাছাড়া যাকাত আদায় করার ক্ষেত্রেও রয়েছে কিছু সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা। ইমাম গাজ্জালী (রহ) তার বিখ্যাত গ্রন্থ “ইহইয়া উলুমিদ্দীন” এ বলেছেন, যাকাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানা তখনই ফরজ হবে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির মালিকানাধীনে উপযুক্ত পরিমাণ ধন-সম্পদ থাকবে। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে আসন্ন অর্থনৈতিক ধ্বংসযজ্ঞ এবং অর্থনৈতিক দাসত্ব থেকে জাতিকে মুক্ত করতে প্রচলিত অর্থনীতি এবং যাকাতের যথাযথ জ্ঞান অর্জন করা সকলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তা না হলে আসন্ন অর্থনৈতিক ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াল থাবার করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে না। এই বিপদজনক পরিস্থিতি জাতির কোন ব্যাক্তিকেই গা বাঁচানোর কোন সুযোগ করে দেবে না।
চতুর্থ স্তম্ভঃ হজ্জ্ব
কাবার উদ্দেশ্যে হজ্জ্ব করাটা উপযুক্ত বিত্তশালী ব্যাক্তির জন্য জীবনে শুধু একবারই ফরজ। হজ্জ্বের জন্য যাবতীয় খরচ বহনের পর দেশে রেখে যাওয়া পরিবারের ভরণ পোষন চালাতে সক্ষম এমন আর্থিক অবস্থা কারো থাকলেই তার উপর জীবনে একবার হজ্জ করা ফরজ।
কিছু কিছু উলামা বলেছেন যে, যদি কারো বারবার হজ্জ্ব করার সামর্থ থাকে তাহলে অন্যকে হজ্জ করতে সাহায্য করাটাই উত্তম। এই সহযোগিতার কল্যাণে সাহায্যকারী সাহায্যপ্রাপ্ত হাজীর হজ্জ্বের সমান সওয়াব পেতে পারে।
ইসলামের প্রত্যেকটি বুনিয়াদী ইবাদাতের জন্য কিছু শর্ত, নিয়ম এবং আদাব আছে যেগুলো সবসময় অনুসরণ করা উচিৎ। কেন আমরা প্রতি বছর হজ্জ্বে অসংখ্য মুসলমানকে প্রাণ হারাতে কিংবা আহত হতে শুনি? আসলে, হজ্জ্ব আদায়ের আদব এবং সুন্নাহকে না মানাই এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ। উদাহরণ স্বরুপ, জামারাতে শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর ছুড়ে মারার ক্ষেত্রে
সকলের জন্য ছোট ছোট পাথর ব্যবহার করার কথা থাকলেও সবাই বড় বড় পাথর অহেতুক এমন দূরত্ব থেকে ছুড়ে মারে যেখান থেকে পাথর কখনও লক্ষ্যের ধারে কাছেও পৌছায় না। তারা পাথর ছোড়ার সময় ভুলেই যায় যে, তাদের সামনে হাজার হাজার হাজী আছে এবং তাদের কথা মাথায় রেখেই পাথরটা মারতে হবে
হাজীরা তাদের জন্য নির্দেশিতে পথে না চলে একেকজন একেকদিকে চলাফেরা করেন। যার কারণে অনেকে জনস্রোতের নিচে পড়েই অনেকে পিষ্ট হয়।
মানুষ পাথর মারার জন্য ভিড়ের সময়টাই বেছে নেয়।
পঞ্চম স্তম্ভঃ রোজা পালন করা
পবিত্র রমজানুল মুবারাক মুসলিমদের জন্য একটি ট্রেনিং এর মাস। যে মাস ব্যাপী তাদেরকে বেশী বেশী ভালো কাজ এবং ভালো মুসলমান হওয়ার চেষ্টার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করতে হয়। এই প্রশিক্ষণের মাসে অর্জিত শিক্ষাকে বাকী এগারোটি মাসে প্রতিটি কাজের মধ্যে প্রয়োগ করা আমাদের জন্য অবশ্য কর্তব্য। এই মাসে কুরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, মসজিদে নিয়মিত হওয়া, তাহাজ্জুদ পড়া, দান-খয়রাত করা সহ আরো অনেক ভালো কাজ বেশি বেশি করা উচিৎ।
রাসূল (স) কে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কোরআন খতম করার সবচেয়ে উত্তম উপায় কোনটা? তখন তিনি বলেছেন একমাসে একবার কুরান খতম দেয়াই হল উত্তম। অর্থাৎ প্রতিদিন এক পারা করে শেষ করা। এটা শুধু রমজানের জন্য নয় বরং অন্যান্য মাসের জন্যও প্রযোজ্য। একই ভাবে আমাদেরকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্যেও চেষ্টা করা উচিৎ। এটা যদি দুই রাকাত করে হয় এবং শুধু রমজান মাসের জন্য নয় বরং সকল মাসেই এমনটা হওয়া উচিৎ।
সূত্র: দ্বিন উইকলি
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ডিসেম্বর ০৬,২০১৮)
পাঠকের মতামত:
- জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব
- গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
- গণঅভ্যুত্থানের ছাপ রেখে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবল
- আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
- খেজুরের আমদানি শুল্ক কমল, থাকছে না অগ্রিম করও
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: শুনানি শেষ, রায় যেকোনো দিন
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির আকার বাড়ল
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ
- খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : ফখরুল
- বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে : ড. ইউনূস
- সাগর দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পর্যটন আশা-নিরাশার দোলাচলে
- "সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত"
- এদের রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না : নতুন সিইসি
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- থানায় মামলা দিতে গিয়ে শাহজাহান ওমর গ্রেফতার
- প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পেলেন এ এম এম নাসির উদ্দীন
- ডিএসইর পরিচালক নাহিদ হোসেন ওএসডি
- ম্যাচ শেষের আগেই মাঠ ছাড়ল কসোভো, রোমানিয়াকে জয়ী ঘোষণা
- ২০২৫ সালে ভারতের কেরালায় খেলবে আর্জেন্টিনা
- পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে
- বিদায় বেলায় ঢাকায় আসছে বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
- হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
- সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
- রাজধানীর পয়েন্টে পয়েন্টে অবরোধ অটোরিকশাচালকদের, যান চলাচল বন্ধ
- এবার শুনানিতে উঠছে জামায়াত নিবন্ধনের আপিল
- "বিচারের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের বিচার ট্রাইব্যুনালে নয়"
- আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা
- ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা
- সাত কলেজকে স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
- ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
- ফ্যাসিস্টের মতো কারও ভয়েস কেড়ে নেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
- মুজিববর্ষ উদযাপনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের খরচ ১২৬১ কোটি
- নির্বাচনে হস্তক্ষেপ রুখে দেওয়ার বিধান চায় ইসি
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন
- সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে ১২ কোটি টাকা জরিমানা
- আমাকে দেশনায়ক-রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না: তারেক রহমান
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- দূষণ ধুয়ে ফেলতে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টির আবেদন
- সমন্বিত হিসাবে ঘাটতি: দুই ব্রোকারেজ হাউজকে জরিমানা
- আন্তর্জাতিক মাস্টারের খেতাব পেলেন নীড়
- খেলাপিদের ঘটিবাটি বিক্রি করে অর্থ আদায় করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
- খালেদা জিয়ার কাছে পৌঁছাল সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আমন্ত্রণপত্র
- বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ কিন্তু সফল হয়নি: হাসনাত
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায়: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- আ. লীগের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নেই: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- সন্দেহটা কোথায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন ফখরুলের
- টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে চারজন নিহত
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেফতার
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সাথে হজ এজেন্সি প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দিলেন বাইডেন
- আইসিবির লভ্যাংশ ঘোষণা
- হালান্ডের আরও এক হ্যাটট্রিক, আইরিশদের গোলবন্যায় ভাসাল ইংল্যান্ড
- প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের ৭ উইকেটে ২৫৩
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- আগামী বছর ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৭ দিন
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- সব অপরাধের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা, মন্ত্রী-এমপিরা ছিলেন সহযোগী
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- দুই হাজার মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি: সারজিস
- সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
- আ.লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
- ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হওয়া উচিত’
- পাকিস্তান থেকে ২৯৭ টিইইউএস কনটেইনারে যেসব পণ্য এলো
- ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
- অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘একটু’ সময় দিতে বললেন ফখরুল
- ইসলামী ব্যাংকে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তাদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- এস আলমের ঋণ জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
- হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসের
- সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
- তৃতীয়বারের মত সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করলো ওয়ালটন
- শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
- হাসিনার জন্য আরেকটি তাজমহল বানান: ভারতকে রিজভী
- তৃতীয়বারের মতো ‘সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন
- অন্তবর্তীকালীন সরকার ও একটি বৈশ্বিক বিশ্লেষণ
- সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলো
- ভারতীয় মাওলানা সাদকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেবে না তার অনুসারীরা
- রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ৩৩ শতাংশের বেশি
- বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
- শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবলেও বাস্তবতা ভিন্ন
- এ যুদ্ধ তো হবেই, কোন না কোন ফর্মেটে: উপদেষ্টা মাহফুজ
- সামরিক কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল ৬০ দিন
- চলতি বছরে ৪৮২ শিশু হত্যা, নির্যাতিত ৫৮০
- সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া