thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি 25, ৮ মাঘ ১৪৩১,  ২১ রজব 1446

নির্বাচনী পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে: ঐক্যফ্রন্ট

২০১৮ ডিসেম্বর ২৭ ০১:৫৫:৩৪
নির্বাচনী পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে: ঐক্যফ্রন্ট

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ক্ষমতাসীন দলের ব্যাপক সহিংসতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জনগণ আশা করেছিল- সেনাবাহিনী মাঠে নামলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা মাঠে নামবেন এবং তারা প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন। তাদের সেই আশা হতাশায় পরিণত হয়েছে।

রাজধানীর পুরানা পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে বুধবার নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এসব অভিযোগ করেন।

নির্বাচনী প্রচার কাজের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফ্রন্টের অন্যতম নেতা গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু অভিযোগ করেন, বুধবারও তার নির্বাচনী এলাকায় প্রচারের সময়ে কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সারাদেশে একই অবস্থা। কিশোরগঞ্জের একটি আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ফজলুর রহমান তাকে জানিয়েছেন, পুলিশ তাদের বলে দিয়েছে- আপনারা এলাকা থেকে বেরিয়ে যান, না হলে পরিণতি ভালো হবে না।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, হামলা-মামলা তো আছেই, পুরো বাংলাদেশকে একটা কারাগারে পরিণত করেছে সরকার। কয়েক সপ্তাহে আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৬ আসন থেকে তিনশ' নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। নতুন নতুন মামলা দিয়ে তাদের জামিনও বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

সেনা মোতায়েন সম্পর্কে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের আবেদন- এখন পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে তা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে, সেজন্য আপনারা একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। জনগণের আস্থা আপনাদের সঙ্গে আছে এবং সে আস্থায় আপনারা আগামী কয়েকদিন মাঠে থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন। দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য অপেক্ষা করছে।

এ সময় সারাদেশে ধানের শীষের প্রার্থীদের ওপর ক্ষমতাসীন দল ও পুলিশি হামলা, মামলা এবং নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন ফ্রন্টের সমন্বয়ক কমিটির প্রধান গণফোরাম নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক। লিখিত বক্তব্যে আফ্রিক বলেন, ধানের শীষের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর সরকারদলীয় লোকজনের অব্যাহত হামলা, পুলিশের মামলা ও হয়রানি বেড়েই চলছে। প্রতিষ্ঠিত এ সত্যকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

তিনি আরও বলেন, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ ক্যাডার ও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন শিশির, সাইদুর রহমান ভূঁইয়া, তাজিম উদ্দিন, আবদুল্লাহ আল মামুন, রাসেন্দ্র চন্দ্র দাসসহ ২৯ জন দলীয় কর্মকর্তাকে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন দলীয় কর্মকর্তা, ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থনকারী হিসেবে স্বাক্ষরকারী কাজী সিরাজুল ইসলাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক রবিন কুমার লস্কর, বোয়ালমারী উপজেলায় পাঁচজন দলীয় কর্মকর্তাকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মকর্তাকে সরিয়ে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি জানাই।

এ সময় হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতাসীনদের নীলনকশা বাস্তবায়নে লিপ্ত। ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে ভোটচুরির পাঁয়তারা চলছে। শুধু ২৪ ডিসেম্বরই সারাদেশে ৩ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আজও (বুধবার) নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি-না জনগণের ওপর ছেড়ে দিলাম।

সংবাদ সম্মেলনে বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী, শাহ আহমেদ বাদল, বিএনপির অর্পণা রায়, গণফোরামের মোশতাক আহমেদ, রফিকুল ইসলাম পথিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ডিসেম্বর ২৬,২০১৮)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর