thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

১০ ই-কমার্স কোম্পানির তথ্য তদন্ত করছে সিআইডি

২০১৯ মার্চ ১৪ ১৯:৩১:৪৯
১০ ই-কমার্স কোম্পানির তথ্য তদন্ত করছে সিআইডি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের নামে মোটা অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার হওয়ার অভিযোগে ১০টি ই-কমার্স সাইটের তথ্য নিয়ে তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইমের মানি লন্ডারিং ইউনিট।

সিআইডি বলছে, ই-কমার্স সাইটগুলোর বেশকিছু কাগজপত্র ও তথ্য আমরা হাতে পেয়েছি, আমরা তদন্তে এসব ব্যবহার করব।অন্যদিকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের অর্থ তাদের বিদেশি পার্টনাররা পরিশোধ করে।

সিআইডি’র নজরদারিতে আসা দশটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- রকমারি ডটকম , আজকের ডিল, দারাজ ডটকম, ফুডপান্ডা, খাশফুড, অথবা ডটকম, বিক্রয় ডটকম, চালডাল ডটকম, পিকাবো, ও সেবা ডট এক্সওয়াইজেড।

বৃহস্পতিবার ই-কমার্স সাইটগুলোর কাগজপত্র ও তথ্য সিআইডির মালিবাগের কার্যালয়ে এসে দিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্টরা।

সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই ফেসবুকের বিজ্ঞাপন বিষয়ে তথ্যগুলো দিয়ে গিয়েছে, তথ্যগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। পুরো বিষয়টিই তদন্তাধীন আছে, আমরা বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত শেষ করলে পুরো ব্যাপারটি গণমাধ্যমকে জানাতে পারব।

তিনি আরও জানান, ই-কমার্স সাইটগুলোর মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য আমরা জানার পর ফেব্রুয়ারির ২৭ তারিখে তাদের প্রতিনিধিদের আমরা তলব করি এবং তাদের কাছ থেকে কিছু ডকুমেন্টস (কাগজপত্র) ও তথ্য চাই। যা কিনা তারা আজকে সাবমিট (প্রদান) করেছে।

দেশের ই-কমার্স খাতের ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি মাসে অন্তত ১ হাজার এবং বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ৮ থেকে ১০ হাজার ডলার বিজ্ঞাপনবাবদ ফেসবুককে পরিশোধ করে এমন তথ্য জানতে পারে সিআইডি।

বিজ্ঞাপনের অর্থ পরিশোধ করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি বিধান রয়েছে। সেই বিধান অনুযায়ী ডুয়েল কারেন্সির ক্রেডিট কার্ড থেকে সার্কভুক্ত দেশে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ডলার আর সার্কের বাইরে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ডলার খরচ করা যায়।

তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম ভাঙার কারণে ২৭ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রথম দফা ডেকেছিল সিআইডি। প্রত্যেককে পর্যায়ক্রমে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের ব্যাখ্যা শোনা হয়।

ওইদিনের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে সিআইডির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, প্রথমবারের জিজ্ঞাসাবাদে তারা সবাই দাবি করেন- ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের অর্থ তাদের বিদেশি পার্টনাররা পরিশোধ করেন।

মোল্যা নজরুল বলেন, আমাদের হাতে আসা এসব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করব। কোনো ভুল ভ্রান্তি হলে তাদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে। পুরো বিষয়টি তদন্ত শেষেই সব কিছু জানানো হবে।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/মার্চ ১৪,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর