thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৭ জমাদিউল আউয়াল 1446

খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের যুক্তি টিকবে না: অ্যাটর্নি জেনারেল

২০১৯ মে ২৮ ১৭:০৭:৪৩
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের যুক্তি টিকবে না: অ্যাটর্নি জেনারেল

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আদালত স্থানান্তরের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে করা রিটের শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ঢাকার যিনি স্পেশাল জজ, তার এখতিয়ার সমগ্র ঢাকা বিভাগজুড়ে।

সুতরাং তারা (খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা) যে অভিযোগ তুলেছেন, কেরানীগঞ্জের আদালত ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে, এ যুক্তি মামলায় টিকবে না। তার কারণ হলো এই মামলায় বিচার করছেন একজন বিশেষ জজ। আর একজন বিশেষ জজের এখতিয়ার সমগ্র ঢাকা বিভাগজুড়ে। এছাড়া আইনের বিধান আছে, সরকার যেকোনও জায়গায় আদালত স্থানান্তর করতে পারে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সুপ্রিম কোর্টস্থ অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে মাহবুবে আলম এসব কথা বলেন।

মাহবুবে আলম বলেন, কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোকে গ্যাসফিল্ড দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে নানারকম দুর্নীতি হয়েছিল। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া, মওদুদ আহমদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ২০০৮ সালের ৫ মে এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং চার্জ শুনানির জন্য একই বছরের ৮ জুন দিন নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এরপর আর চার্জ শুনানি সম্ভব হয়নি। তার কারণ হলো, বিভিন্ন সময়ে এ মামলার বিভিন্ন আসামি মামলাটির বিচারিক আদালতের বিভিন্ন আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এসেছেন, আবার আপিল বিভাগে গিয়েছেন।

‘সর্বশেষে মামলাটি যখন আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শুরু হলো, তখন খালেদা জিয়ার সমর্থকদের কারণে একটি বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছিল। তারা নানাভাবে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তাই কারাভ্যন্তরে (সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার) আদালত স্থাপন করা হয়। তাদের আইনজীবীরা বিভিন্ন সময়ে বলেছে, এ জায়গাটি (সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার) অপ্রশস্ত এবং সেখানে বসার জায়গা হয় না, ইত্যাদি। সরকার গত ১২ মে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি ভবনকে আদালত হিসেবে ঘোষণা করেছেন, নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচার এখন সেখানেই হবে।’

‘যে ভবনে বিচার হবে সে ভবনের রুমটির পরিমাপ প্রায় ২ হাজার স্কয়্যারফিট। এখানে প্রায় ২০ সারি বেঞ্চ বসানো সম্ভব। সেখানে পর্যাপ্ত আলো ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে। মামলায় গত ১৯ মে তারা সময় নিয়েছে। এরপর এসে হাইকোর্টে মামলা করেছে যে, আদালত স্থানান্তর করা অবৈধ।’

মাহবুবে আলম বলেন, ‘রিটের শুনানিতে বলেছি, এটা আর কিছু না এই বিচারককে (নাইকো দুর্নীতি মামলা) বিলম্বিত করার প্রচেষ্টা। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি ফারুক রহমানও এরকম নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের একটি ভবনকে করা আদালতের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করেছিল। সে মামলায় আপিল বিভাগ স্পষ্টভাবে রায় দিয়েছিলেন যে, সরকার এটা (আদালত স্থানান্তর) পারে।

জেলখানা থেকে আসামি আনা-নেওয়ার স্বার্থেই আদালত স্থাপন করা হয় মন্তব্য করে মাহবুবে আলম আরও বলেন, এমনটা (কারাগারে আদালত স্থাপন) এদেশে নতুন নয়। এর আগেও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিচার, বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিচার করতেও আদালত (কারাগারে) স্থাপন করা হয়েছিল। সর্বশেষ খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য আদালত স্থাপন করা হয়েছে। এরআগে, সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে যখন আদালত স্থাপন করা হয়েছিল, তখন তারা (খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা) এ নিয়ে কোনও আপত্তি করেননি। তবে এখন কেরানীগঞ্জে আদালত স্থানান্তর করা নিয়ে তারা যে আপত্তি করেছেন, তার কোনও যৌক্তিকতা নেই।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ২৮, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর