thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৪ জমাদিউল আউয়াল 1446

বাজেটে মধ্যবিত্তের ওপর চাপ বাড়বে

২০১৯ জুন ১৪ ১২:২৫:৫৭
বাজেটে মধ্যবিত্তের ওপর চাপ বাড়বে

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত বাজেটে মধ্যবিত্তের ওপর চাপ বাড়াবে। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের কারণে নিত্যব্যবহার্য পণ্য যেমন- এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, গুঁড়া মসলা, টমেটো কেচাপের দাম বাড়তে পারে। শখ পূরণ করতে স্মার্টফোন কিনতেও বেশি খরচ করতে হবে। গাড়ি রেজিস্ট্রেশন, মোবাইল ফোনে কথা বলারও খরচ বাড়বে। এত খরচের পর অর্থ থাকলে সঞ্চয়ের প্রশ্ন। কিন্তু সেখানেও করের বোঝা চাপানো হয়েছে। সঞ্চয়পত্রের উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ মধ্যবিত্তের আয়ে করের বোঝা বেড়েছে।

পুরনো ভ্যাট আইনে এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, গুঁড়া মসলা, টমেটো কেচাপ, চাটনি, ফলের জুস, টয়লেট টিসু, টিউবলাইট, চশমার ফ্রেমসহ নিত্যব্যবহার্য ৮৬টি আইটেমের ওপর ট্যারিফ মূল্য ছিল। নতুন আইনে উৎপাদন পর্যায়ে এসব পণ্যে ট্যারিফ মূল্যের পরিবর্তে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। এ কারণে গুঁড়া দুধের দাম কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা, গুঁড়া মসলার দাম কেজিপ্রতি ২-১০ টাকা, ফলের জুসের দাম ২-৫ টাকা বাড়তে পারে। একই কারণে বাসাবাড়িতে ব্যবহার্য এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়বে।

এ তো গেল নিত্যব্যবহার্য ভোগ্যপণ্যের কথা, ফ্যাশন সচেতনদের ওপর ভ্যাটের খড়গ নামছে। ১ জুলাইয়ের পর থেকে জামাকাপড় কিনতে গেলে বেশি অর্থ খরচ করতে হবে। কারণ আগে পোশাক মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হতো, এখন সেখানে সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। অন্যদিকে যারা পোশাক বানিয়ে পরেন, তাদেরও ছাড় নেই। জামাকাপড় তৈরির ওপর ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। ধূমপানে অভ্যস্তদের ওপর প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাটের বোঝা বাড়ানো হয়েছে। নিু থেকে উচ্চমানের প্রতিটি সিগারেটের মূল্যস্তর বাড়ানো হয়েছে।

এ কারণে সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়বে। গরিবের বিড়ির দাম ও সম্পূরক শুল্ক দুটোই বাড়ানো হয়েছে। ফিল্টারবিহীন হাতে তৈরি ৮, ১২ ও ২৫ শলাকার প্রতি প্যাকেট বিড়ির দাম যথাক্রমে বাড়ানো হয়েছে ৪৮ পয়সা, ৭২ পয়সা ও দেড় টাকা। সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। অন্যদিকে ফিল্টারযুক্ত ১০ ও ২০ শলাকার বিড়ির দাম যথাক্রমে ১ ও দুই টাকা বাড়ানোর পাশাপাশি ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। ধোঁয়াবিহীন তামাক যেমন জর্দা ও গুলের দামও বাড়বে।

মোবাইল ফোনে কথা বলারও খরচ বাড়বে। বর্তমানে কথা বলার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আদায় করা হয়। বাজেটে সম্পূরক শুল্ক হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। বাজেট ঘোষণার দিন থেকে তা কার্যকর হবে। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি’র ওপর ভ্যাটের পাশাপাশি সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে।

যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, লরি, অ্যাম্বুলেন্স ও স্কুলবাস ছাড়া সব ধরনের পরিবহন রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট নবায়ন, ফিটনেস সনদ, মালিকানা সনদ নিতে এবং নবায়ন করতে বিআরটিএ নির্ধারিত সেবামূল্যের ওপর ভ্যাটের পাশাপাশি ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক দিতে হবে। যারা বাড়িঘর করার কথা ভাবছেন, তাদের জন্যও দুঃসংবাদ আছে। নতুন ভ্যাট আইনের কারণে রডের দাম বাড়বে। বর্তমানে রড উৎপাদন ও বিপণনে টনপ্রতি ৯০০ টাকা ভ্যাট দেন।

আগামী দিনে টনপ্রতি রডের ক্ষেত্রে সেটি ২ হাজার টাকা করা হচ্ছে। অর্থাৎ টনপ্রতি রডের দাম ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা বাড়তে পারে। এত খরচের পরও যারা সঞ্চয়ে আগ্রহী বা সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরশীল, তাদের জন্যও বাজেটে দুঃসংবাদ আছে। সঞ্চয়পত্রকে নিরুৎসাহিত করতে মুনাফার উৎসে কর ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে যারা সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরশীল, তাদের কষ্ট বাড়বে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ১৪, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর